What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সন্ধি কাকে বলে (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,618
Messages
122,368
Credits
312,018
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
সন্ধি কাকে বলে ?

বাংলা ব্যকরণে দীপু বরাবরই কাঁচা। ছোটম, পাখি আর অপুদের কাছ থেকে এই বিষয়ে প্রায়ই তার সহযোগিতা নিতে হয়। বিশেষ করে যেদিন শিবু স্যার ক্লাস নেন সেদিন পাশে বসে থাকা পাখির কাছ থেকে ইশারা ইঙ্গীতে প্রশ্নের জবাব জেনে কোনো রকমে স্যারকে আমতা আমতা করে জবাব দিয়ে পার পেয়ে যাবার চেস্টায় থাকে। সেদিন স্যার দীপুকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
স্যারঃ দীপু, তুই বল সন্ধি কাকে বলে ?
স্যারের প্রশ্ন শুনেই দীপুর চিকন ঘাম বেরিয়ে গেলো। পাখির দিকে তাকিয়ে তাকে নিরাশ হতে হয়। পাখি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা এমন কোনো উত্তর নয় যে হাতের আঙ্গুল দেখিয়ে পাখি তাকে জবাব দেখিয়ে দিতে পারবে। অগত্যা দীপু নিচের দিকে তাকিয়ে ঘার চুলকাতে থাকলো।
দীপুর অবস্থা দেখে স্যার কিছুটা রাগত স্বরেই বললেন,
স্যারঃ কি ? উত্তর দিচ্ছিস না কেনো ?
এবার দীপু মীন মীন করে বললো,
দীপুঃ স্যার, প্রথমটুকু পারি না, স্যার। শেষের টুকু পারি...
দীপুর কথায় স্যার মনে মনে ভাবলেন, দীপু যদি শেষেরটুকুও ঠিকভাবে বলতে পারে তবুও তাকে কিছু বলবেন না। দীপুর মতো দুস্টু ছেলের অর্দ্ধেক জবাবই পুরো জবাব ধরে নিলেও ক্ষতি নেই। স্যার কিছুটা নরম মেজাজে বললেন,
স্যারঃ ঠিক আছে, তুই শেষেরটুকুই বল...
দীপুঃ স্যার, শেষেরটুকু হলো, .... তাকে সন্ধি বলে !!
 
মশার প্রকারভেদ

সেদিন দীপুদের গার্হস্থ বিজ্ঞান ক্লাসে স্যার হুট করেই দীপুকে প্রশ্ন করলেন,
স্যারঃ দীপু, তুমি বলো তো মশা কতো প্রকার ও কি কি ?
দীপু সটান দাঁড়িয়ে তরতরিয়ে বলতে শুরু করলো,
দীপুঃ স্যার, মশা আট প্রকার...
এই পর্যন্ত শুনেই স্যার অবাক হয়ে দীপুকে বললেন,
স্যারঃ মশা আট প্রকার হয় কি করে ?
দীপু বেশ গর্বের সাথেই বললো,
দীপুঃ আগে তো প্রকার গুলো বলতে দেন, স্যার !
দীপুর কথায় স্যার চুপ মেরে গেলেন। আর দীপু সেই সুযোগে বলে যতে লাগলো...
দীপুঃ ০১. যে মশা গায়ে বসা মাত্রই কামড়াতে শুরু করে, তাকে "রাক্ষসী মশা " বলে।
০২. যে মশা দিনের বেলায় কামড়ায় তাকে "সন্ত্রাসী মশা " বলে।
০৩. যে মশা নাকের ভিতর ঢুকে কামড়ায় তাকে "নমরূদী মশা " বলে।
০৪. যে মশা সুযোগ পেলেই কামড়ায় তাকে "সুযোগ সন্ধানী মশা " বলে।
০৫. যে মশা কানের কাছে এসে গান গায় আর মাঝে মধ্যে কামড়ায় তাকে "গায়ক মশা " বলে।
০৬. যে মশাকে থাপ্পড় দিলেও ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায় তাকে "গোল্লাছুট মশা " বলে।
০৭. যে মশা কাম্র দিলে শরীরে জ্বর এসে যায় তাকে "বিষাক্ত মশা " বলে।
০৮. যে মশা মশারীর ভিতর ঢুকে কামড়ায় তাকে "মূর্খ্য মশা " বলে।
 

স্যার শালা বহুত হারামী আছিলো !

এমনিতে সুবোধ স্যার খুব ভালো লোক। ছাত্রদের সাথে সব সময়ই বন্ধুসুলভ আচরণ করেন। পারোতপক্ষে কারো সাথে রাগারাগি করেন না। ছাত্রদেরকে সব ধরনের সহায়তা করার জন্য ওনি সব সময়ই যথেষ্ঠ উদার। কিন্তু কি কারনে জানি দীপুর সাথে ওনার সম্পর্কটা তেমন একটা ভালো না। যদিও এই সম্পর্কের ব্যাপারটা তারা মনে মনেই পোষণ করেন। সম্পর্কের এই ব্যাপারটাকে সামনে এনে না দীপু কখনো স্যারের সাথে খারাপ আচরণ করেছে আর না স্যার দীপুকে অহেতুক বকাবাকি বা রাগারাগি করেছেন। তারপরেও দুজনার মনেই দুজনার প্রতি একটা রাগ বা গোস্বা সব সময়ই কাজ করে।
সেদিন পরিক্ষা শুরু হবার আগে আগে পরীক্ষার হলে ছাত্ররা স্যারের কাছে একটা অনুরোধ নিয়ে গেলো। যেহেতু সুবোধ স্যার ছাত্রদের প্রতি বিশেষ সহানুভুতিশীল তাই ছাত্ররা পরীক্ষার দিন স্যারকে এই অনুরোধটা করবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলো। স্যারের সাথে অপুর সম্পর্ক সব থেকে বেশী ঘনিষ্ঠ। আর তাই সে অন্যসব ছাত্রদের পক্ষ হয়ে স্যারের কাছে অনুরোধটি নিয়ে গেলো।
অপুঃ স্যার, আজকের পরীক্ষায় আমরা সবাই একটু দেখাদেখি করে লিখতে চাই।
অপুর কথায় সুবোধ স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর মুচকি হেসে অনুমতি দিয়ে দিলেন। অনুমতি পাবার পর ছাত্রদের আর পায় কে ? ইচ্ছেমতো মনের আনন্দে একে অপরের খাতা দেখে তারা পরীক্ষা দিয়ে দিলো। পরীক্ষা শেষে স্যারের হাতে যখন সবাই খাতা জমা দিচ্ছিলো তখন স্যার সবাইকে ডেকে দাঁড় করিয়ে বললেন,
স্যারঃ খবরদার, আমি যে তোদের দেখাদেখি করতে দিয়েছি তা বাইরে কাউকে বলবি না।
স্যারের এই কথায় দীপু সুযোগটা পেয়ে গেলো। সে সব ছাত্রদের শুনিয়ে বেশ জোরেই বলে উঠলো,
দীপুঃ স্যার, এই ব্যাপারে আপনি কোনো চিন্তাই করবেন না। হল থাইক্যা বাইর হইয়া সবাইরে কমু যে... স্যার শালা বহুত হারামী আছিলো। ঘার ঘুরাইতেও দেয় নাই। নইলে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাইতাম...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top