জান্নাতুল পিয়ার অনেকগুলো পরিচয়। মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপক—সব ছাপিয়ে এই মুহূর্তে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি চার মাস বয়সী অ্যারেস হাসানের গর্বিত মা। মা হওয়ার পরে তাঁর দিনলিপির অনেকটাই বদলে গেছে। খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন। ওজনের কথা ভুলে কিছুক্ষণ পরপর হাতের কাছে যা পাচ্ছেন, খাচ্ছেন। তবে পিয়ার হাতের কাছে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবারই থকে! এই যেমন ভাত, সবজি, কেক, চকলেট, আইসক্রিম, ডিম, মাছ, মাংস এসব। সারা বছর চকলেট আর আইসক্রিম খেতে ভালোবাসেন পিয়া। এ জন্য জিমে অতিরিক্ত আধঘণ্টা সময় দিতে হয়। তবে খাদ্যতালিকা থেকে এ দুটোকে বাদ দিতে নারাজ তিনি।
গর্ভকালীন পুরোটা সময় নিজেকে ফুরফুরে রাখতে চেষ্টা করেছেন পিয়া জান্নাতুল
৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার পিয়ার ওজন থাকে ৫৮, বাড়লে ৫৯। কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় তাঁর ওজন বেড়েছিল ১৭ কেজি। সন্তান জন্মের আগে তাঁর ওজন ছিল ৭৫ থেকে ৭৬ কেজি। পুত্রের জন্মের দুই সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই ১২ কেজি কমেছে। এরপর ডায়েট, ইয়োগা, ব্যায়াম, সবই শুরু করেছিলেন। এই সবকিছু করে সাড়ে তিন মাসে মাত্র এক কেজি কমায় এখন আর ওসবকে পাত্তা দিচ্ছেন না। ওজন কমানো নিয়ে চিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছেন। ক্ষুধা পেলেই ক্যালরি না মেপে খাচ্ছেন।
পুত্রের সঙ্গে পিয়া
রাতে দেরিতে ঘুমান পিয়া। ঘুমাতে ঘুমাতে বেজে যায় রাত দুইটা কি তিনটা। সকালে ওঠেন ১০টায়। তবে এর মধ্যে দুই ঘণ্টা পরপর ছেলেকে খাওয়ান। সকালে উঠে দিন শুরু করেন কালিজিরা আর মধু দিয়ে। এর উপকার জানিয়ে বলেলেন, ‘আমি সারা বছর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কালিজিরা আর মধু খাই। এতে আমার আর আমার ছেলের কখনোই ঠান্ডা লাগে না। সর্দি–কাশি হয় না। আমি অনেক আগে থেকেই এটা করি।’
জান্নাতুল পিয়া, ইনস্টাগ্রাম
ঝরঝরে পিয়ার কিন্তু ভাত ছাড়া চলেই না! দুই বেলা খান তিনি। দুপুরে আর রাতে। দুবেলাই ভাত খান পিয়া। সকালে ভাতের সঙ্গে থাকে ডাল, ভর্তা, স্বাভাবিক তরকারি, মুরগির মাংস। নিয়ম করে অ্যাভোকাডো খান পিয়া। প্রয়োজনীয় ফ্যাটও খান। বললেন, ‘ফ্যাট মানেই কিন্তু খারাপ না। গুড ফ্যাট অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর উপকারী। আমি স্যামন মাছ খাই। বাদাম খাই।’ এরপর বিকেলের দিকে হালকা স্ন্যাকস খান পিয়া। একটা স্যান্ডউইচ বা অন্য কিছু, কলা, ফল, জুস, সালাদ, স্যুপ—এগুলো থাকতে পারে। রাতেও খান ভাত।
পিযা রাতেও খান ভাত, ইনস্টাগ্রাম
নিয়মিত মাশরুম খান পিয়া। এই মুহূর্তে খাওয়াদাওয়া নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন পিয়া। বললেন, ‘এখন আমার শুকানোর চেয়ে জরুরি হলো বাচ্চা ঠিকমতো বুকের দুধ পাচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত করা। কাজ কমিয়ে দিয়েছি। আশপাশে শুট থাকলে করছি। জিমেও বেশি সময় দিচ্ছি না। এই মুহূর্তে অ্যারেসই আমার প্রথম প্রায়োরিটি। ওকে ব্রেস্টফিডিং করাতে হচ্ছে। আর প্রতিবার ব্রেস্টফিডিং করালে ৫০০ ক্যালরি মতো কমে।’
পিয়া জানালেন, প্রচুর পানি খান তিনি। আর খান মৌসুমি ফল। বললেন, ‘ছয় মাস যাক। বাচ্চা অন্য খাবার ধরুক। তিন–চার কেজি অতিরিক্ত যা আছে, ঠিক ঝরিয়ে ফেলব। আপাতত এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই।’