What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস ও হ্যাকস (1 Viewer)

WhisperBD

Experienced Member
Joined
Jul 24, 2024
Threads
50
Messages
1,065
Credits
10,282
h5oqJUo.jpeg


রান্নাঘর বেশ রহস্যময় জায়গা। প্রতিদিন এর ভেতর থেকে কত শত সুস্বাদু খাবার বের হয়। কিন্তু খেতে যতটা সহজ, রান্নাঘরে রান্না করা কিন্তু ততটা সহজ নয়। প্রতিদিনই রাঁধুনীদের এই রহস্যময় রান্নাঘরে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। কিন্তু সামান্য কিছু টিপস ফলো করে এই ঝামেলা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। তেমনই কিছু টিপস দেখে নেয়া যাক এই আলোচনায়।

(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত, সংকলিত ও পরিমার্জিত)

আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি ফোরামের সাথে থাকবেন এবং একে অন্যকে উৎসাহ যোগাবেন।
 
১। ভাত রান্না করার আগে কিছুক্ষণ চাল ভিজিয়ে রাখুন, এতে ভাত অনেক ঝরঝরা হবে।

২। ওয়াশ বেসিন বা সিংক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।

৩। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।

৪। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।

৫। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলিয়ে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।

৬। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকানো অবধি জ্বাল করুন। গন্ধ চলে যাবে। এছাড়াও রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে চুলায় পাত্র দিয়ে এক কাপ পানি গরম করুন। পানিতে কমলার খোসা দিয়ে দুই মিনিট রেখে দিন। তারপর দারুচিনি গুঁড়া দিন। কিছুক্ষণ ফুটান। গন্ধ দূর হবে।

৭। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।

৮। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।

৯। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে। তেমনই যদি পাকা নারকেলের শাঁস তুলতে কষ্ট হয়, তাহলে আধ ঘন্টা পানিতে চুবিয়ে রাখুন। এরপর দেখবেন সহজেই উঠে আসছে।

১০। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
 
১১। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।

১২। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।

১৩। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

১৪। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।

১৫। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

১৬। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারীতে দিন।

১৭। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে। সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে চাইলে এক চিমটি চিনি দিন।

১৮। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবণ দিল। তাহলে আর তেল ছিটবেনা।

১৯। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।

২০। চিনাবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।
 
২১। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।

২২। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।

২৩। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তবে বিকল্প হিসেবে কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করতে পারেন।

২৪। যদি কাজুবাদামের খোসা ছাড়াতে কষ্ট হয়, তাহলে বাদামগুলোকে গরম পানিতে অন্তত ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। খোসা নরম হয়ে সহজেই উঠে আসবে।

২৫। চিনির বয়ামে খুব বেশী পিঁপড়ার আক্রমণ হচ্ছে? বয়াম এর মুখ খুলে চিনির উপর ৩-৪ টি লবঙ্গ রেখে দিন। পিঁপড়ে বাপ বাপ করে পালিয়ে যাবে।

২৬। কাটা আপেলের উপর হালকা করে লেবুর রস লাগিয়ে দিন। আপেল লালচে হবে না। বরং ফ্রেশ দেখাবে অনেক সময় ধরে।

২৭। যদি চামড়ায় কোথাও পুড়ে যায়, ঠান্ডা পানি ঢেলে দিন। এরপর পাকা কলা চ্যাপ্টা করে নিয়ে পোড়া স্থানে লাগিয়ে দিন। জ্বলুনি একদম কমে যাবে।

২৮। রান্নাঘরে পোকা কামড় দিতেই পারে। যদি হুলের যন্ত্রণা বেশি হয় তাহলে চুইংগাম চিবিয়ে তার সাথে ১ ড্রপ পানি মিশিয়ে হুল ফোটা স্থানে চেপে ধরুন।কয়েক মিনিটেই ব্যথা মিলিয়ে যাবে।

২৯। করলা মাঝখানে কেটে নিয়ে তার ভেতরে লবণ, ময়দা এবং দই এর মিশ্রণ ঢুকিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন। এরপর কেটে রান্না করুন, স্বাদ বেড়ে যাবে দ্বিগুণ।

৩০। জিরা ফ্রেশ রাখতে চাইলে কী করবেন? জিরাগুলোকে এলুমিনিয়াম ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে নিশ্চিন্তে ফ্রিজের এক কোণায় রেখে দিন। এরপর ভুলে যান। যখন প্রয়োজন হবে, ফ্রেশ ফ্রেশ জিরা পাবেন।
 
৩১। পাতিলে যদি খাবারের পোড়া দাগ লেগে যায়, অনেক সময় ঘষেও তোলা যায় না। এই ক্ষেত্রে কী করবেন? রান্নাঘরে গিয়ে অল্প কিছু পেঁয়াজ কেটে নিন। এরপর খাবারের পোড়া পাতিলে গরম পানি ঢেলে তাতে পেঁয়াজ কুচি রেখে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার করুন। দেখবেন পোড়া দাগ উঠে গেছে।

৩২। রান্নাঘরে খুব তেলাপোকার উপদ্রপ? রান্না ঘরের সিংকের নিচে এবং কোণাগুলোতে বোরিক পাউডার ছড়িয়ে দিন। তেলাপোকা রান্নাঘর তো বটেই, বাড়ি ছেড়ে পালাবে।

৩৩। অসাবধানতা বশত তরকারিতে লবণ বেশি দিয়ে ফেললে একদলা মাখানো ময়দা ছেড়ে দিন। তরকারি নামানোর আগে ময়দার দলাটি তুলে নিন, দেখবেন লবণের মাত্রা কমে গেছে। এছাড়াও রান্নায় নুন বা চিনি বেশি হয়ে গেলে একটুকরো কাঁচা আলু ফেলে দিন। মুহূর্তেই হবে সমস্যার সমাধান।

৩৪। ফ্রেঞ্চফ্রাই বাচ্চাদের অনেক প্রিয় একটা খাবার। এটি তৈরী করার আগে কিছুক্ষণ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে তারপর শুকিয়ে ভাজলে তা অনেক বেশী মচমচে ও অধিক স্বাদের হয়।

৩৫। নেতিয়ে যাওয়া লেটুস পাতা তরতাজা করতে হলে একটু আলুর খোসা ছাড়িয়ে কুচিকুচি করে লেটুস পাতাসহ ঠান্ডা পানিতে ছেড়ে দিন দেখবেন কেমন তরতাজা হয়ে উঠেছে।

৩৬। ফ্রিজ দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে এক টুকরো লেবু কেটে ফ্রিজে রেখে দিন। দেখবেন ফ্রিজে আর কোন গন্ধ থাকবে না। তবে ফ্রিজ নিয়মিত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

৩৭। দুধ ফেটে যাওয়ার ভয় থাকলে জ্বাল দেবার আগে সামান্য পরিমাণ খাবার সোডা মিশিয়ে দিন।

৩৮। বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন, এতে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি লালচে হবে। তবে পেঁয়াজের স্বাদ ও গন্ধ টাটকা পেতে হলে পেঁয়াজ ভাজার আগে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে দুধে ভিজিয়ে তারপর ভাজতে হবে।

৩৯। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে চাল বা আটা ময়দার পাত্রের মধ্যে একটা তেজপাতা রেখে সংরক্ষণ করুন। এছাড়াও চালের কৌটোতে শুকনো লঙ্কা আর গোলমরিচ ফেলে রাখুন। দেখবেন বহুদিন পোকা ধরবে না। চাল কালো হয়েও যাবে না।

৪০। শাক-সবজি ও মাছ-মাংস রান্না করার সময় হলুদ বা তেল-লবণ বেশি হয়ে গেলে যেকোনো শাক বা সবজির পাতা অথবা লাউ/কুমড়া পাতা তরকারিতে দিয়ে রাখুন। এতে তরকারিতে থাকা অতিরিক্ত তেল-লবণ-হলুদ শুষে নেবে। এগুলো শুষে নেওয়ার পর পাতাটি তুলে ফেলে দেবেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top