What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রাণীজগৎ নিয়ে প্রচলিত ১০ টি ভুল ধারণা (1 Viewer)

MECHANIX

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Apr 12, 2018
Threads
695
Messages
11,929
Credits
228,349
Audio speakers
Cake Chocolate
Soccer Ball
Profile Music
Bikini
প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন প্রজাতির প্রাণীকে ঘিরে আমাদের এই গ্রহ। তাই যদি বলা হয় যে আমরা অনেকেই প্রাণীদের সম্পর্কে কিছু তথ্য সম্পূর্ণ ভুল জানি, তবে তা আশ্চর্যের বিষয় হবে না। কিছু প্রাণী এবং তাদের আচরণ বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো রহস্যময় থাকলেও দীর্ঘমেয়াদী গবেষণার এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা কিছু রহস্য ও ভুল ধারণা দূর করতে সক্ষম হয়েছে।

আসুন জেনে নেয়া যাক প্রাণীজগৎ এর এমন কিছু জানা-অজানা ভুল ধারণা সম্পর্কে।

১০. বাদুড়

ভুল ধারনা: বাদুড় চোখে দেখতে পায় না

প্রায়শই অন্ধকারের সাথে কিংবা ডাইনি এবং কালো যাদুর সাথে সংযুক্ত থাকায় এই প্রাণীটিকে নিয়ে তৈরি হয় হরেক রকম পুরাকথা এবং ভুল ধারণা। এর কারণেই বাদুরকে অমঙ্গল আশংকা হিসেবেই ধরা হয়। তবে এটা কেবল কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়।

JTfEWqa.jpg


Source: San Diego Zoo Animals

বাদুড় সাধারণত রাতে বা সন্ধ্যায় দেখা যায়। কৌতূহলী মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন বাদুর কেবল রাতেই শিকার করে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রায় সবাই বলবে বাদুর চোখে দেখতে পায় না তাই। যদিও কথাটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বাদুড় দিনের বেলা স্পষ্ট দেখতে পায়, কিন্তু চোখের ব্যবহার খুব বেশি একটা করেনা কারণ এদের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ।

তাহলে বাদুর চলাফেরা কিভাবে করে? এদের গন্ধ এবং শ্রবণের চমৎকার ইন্দ্রিয় থাকায় এগুলোর ব্যবহার করে সহজেই চলতে পারে। বাদুড়ের কান শব্দোত্তর তরঙ্গের শব্দ শুনতে সক্ষম। চলার সময় বাদুড় ক্রমাগত মুখ দিয়ে শব্দোত্তর তরঙ্গের শব্দ তৈরি করে এবং সেই শব্দ তার চারপাশ থেকে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এলে বাদুড় সেই প্রতিধ্বনি থেকেই আশেপাশের সম্ভাব্য বাধা-বিঘ্ন সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে ও তা এড়িয়ে চলতে পারে। তবে মাঝে মাঝে বৈদ্যুতিক তারের মধ্য দিয়ে চলাচল করার ক্ষেত্রে তরঙ্গের প্রতিধ্বনির ব্যাঘাত ঘটে এবং তারের উপস্থিতি টের না পেয়ে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে মারা যায়।
 
৯. কেঁচো

ভুল ধারনা: একটি কেঁচো কে দুইভাগে ভাগ করলে, তা দুইটি কেঁচো হিসেবে বেচে থাকবে।

কেঁচোর দুইটি শেষপ্রান্ত আছে, একটি হলো মাথা এবং আরেকটি লেজ। মাথাটি তার পুরু প্রান্তের শেষে। মাথাটি একটি নতুন লেজ তৈরি করবে যদি তা শেষ প্রান্তের আগে কাটা হয়। লেজটি কাটার পর কিছুক্ষণ নড়াচড়া করবে কিন্তু তা নতুন মাথা তৈরি করবে না নতুন কেঁচো সৃষ্টির জন্য।

fHTXpAr.jpg


কেঁচো - Source: Animals Town

শুধুমাত্র “প্লানারিয়ান ফ্লাটওয়ারম” ব্যতিক্রম যা নিজের দেহ নতুনভাবে তৈরি করতে পারে নিজের দেহের প্রকৃত মাপের এক তৃতীয়াংশ থেকে। ইহা নিজের মাথা আবার তৈরি করতে পারে এবং নিজের পুরনো স্মৃতিসহ পরিপূর্ণ হতে পারে।

৮. হাঁস

ভুল ধারণা: হাঁস উড়তে পারেনা

যে সব পাখি উড়তে পারে না তাদের উড্ডয়ন ক্ষমতাহীন পাখি বলে। এই শ্রেণীর হাজারো প্রাণী থাকলেও হাঁস কিন্তু মোটেও এদের মধ্যে একটি নয়। কিছু বন্য হাঁস প্রতি ঘণ্টায় ৫০ মাইল উড়ে যেতে পারে।

এক্ষেত্রে অনেকেই হয়তো ভাবছেন তাহলে হাঁসকে তো কখনোই উড়তে দেখলাম না। এর কারণ হলো তাদের ওজন। ওজনের কারণে এরা বেশিক্ষণ উড়তে পারেনা। এর আরেকটি কারণ হলো এদের চারটির মধ্যে তিনটি প্রজাতিই অর্থাৎ বেশিরভাগ প্রজাতি উড়তে পারেনা। এমনকি যারা উড়তে পারে তারাও তাদের ওজনের কারণে স্থলে বা পানিতে থাকে।
 
৭. গোল্ডফিস

ভুল ধারণা: গোল্ডফিসের স্মৃতিশক্তি তিন সেকেন্ড থাকে

আমরা অনেকেই হয়তো কোন কিছু স্মরণে না আনতে পারলে কারো না কারো কাছ থেকে ‘গোল্ডফিস মেমোরি’ সঙ্ক্রান্ত ঠাট্টার শিকার হয়েছি। প্রচলিত আছে, গোল্ডফিসের স্মৃতিশক্তি বা মেমোরি খুবই কম। অনেকের ধারণা মতে গোল্ডফিস কোনো বিষয় মনে রাখতে পারে মাত্র তিন সেকেন্ড। যদিও এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সুইডিশদের থেকেই মূলত এই কনসেপ্টটি এসেছে। গোল্ডফিসের স্মৃতিশক্তি আসলে এতটাও কম নয়। এতদিন আপনি যদি ‘গোল্ডফিস মেমোরি’ বলতে মারাত্মক ভুলোমনা টাইপের কিছু মনে করে থাকেন, তাহলে সঠিক তথ্যটি আপনার এখনো জানা বাকি আছে যা আপনার চিন্তা পালটে দিবে।

pcPDjG6.jpg


গোল্ডফিস - Source: 1ZOOM

এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গোল্ডফিস কোনও ঘটনা কমপক্ষে তিন মাস পর্যন্ত মনে রাখতে পারে। এরা বিভিন্ন আকৃতি, রং ও শব্দের মধ্যেও পার্থক্য করতে পারে। এছাড়া গোল্ডফিসরা বিভিন্ন রঙের আলোক সংকেত অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম। গোল্ডফিস কিংবা অন্য যেকোনো মাছ তাদের খাবার প্রাপ্তির ভিত্তিতেও স্থান মনে রাখে। মাছদের কয়েকদিন একটি নির্দিষ্ট স্থানে খাবার দিলে কয়েকদিন পর মাছগুলো ঠিকই সেই একই জায়গায় এসে খাদ্য অনুসন্ধান করবে। এরই ফলশ্রুতিতে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে এই স্মরণকাল ১২ দিন পর্যন্ত হতে পারে, যা অন্তত ‘তিন সেকেন্ড’ সময়ের চেয়ে অনেক বেশি!
 
৬. উটপাখি

ভুল ধারণা: এরা বিপদে পড়লে মাথা বালিতে গুঁজে ফেলে

উটপাখি বালিতে বিপদে পড়লে মাথা গুঁজে থাকে বলে আমাদের মাঝে একটি ধরনা প্রচলিত আছে। আমাদের সমাজে এটাকে নির্বুদ্ধিতার কিংবা গা বাঁচিয়ে চলার উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়। অর্থাৎ এখানে উটপাখি নির্বোধ আর অকর্মণ্য হওয়ার ব্যাপারটা মানুষের কিছু স্বভাব এর সাথে তুলনা করা হয়। তবে আসলেই কি এরা নিজেদের মাথা বালিতে গুঁজে দেয়?

উটপাখি বিপদ দেখলে বালিতে মুখ লুকিয়ে ফেলে, এটা একটা প্রচলিত বিভ্রান্তিকর ভুল ধারণা মাত্র। ধারণা করা হয়, উটপাখিকে বালির মধ্যে কোন কিছু খুঁটিয়ে খেতে দেখে, কারো কারো মাথায় এই চিন্তাটি এসেছিল, যা পরে এক জনপ্রিয় ধারণায় পরিণত হয়। বাস্তবে আর সব প্রাণীর মত বিপদ টের পেলে হয় সে রুখে দাড়ায় কিংবা পালিয়ে যায়। কেননা উটপাখি যদি বালিতে মাথা গুঁজে থাকত তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যেত।

আচ্ছা, ধরি যদি কোনো প্রাণী বিপদে পড়ে তাহলে তার প্রথম কাজ কি? দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া, এক্ষেত্রে উটপাখি ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে তাই সহজেই শত্রু থেকে দূরে চলে যেতে পারে। আবার, শিকারি ডিমের কাছাকাছি থাকলে উটপাখি পালিয়ে বেড়ায় না, অনেক সময় উটপাখি সম্ভাব্য বিপদের মুখোমুখি হয় এবং আক্রমণাত্মক অবস্থান নেয়। এরা পা-এর লাথি দিয়ে এমনকি সিংহকেও কাবু করে ফেলতে সক্ষম। তবে অধিকাংশ সময় এরা খুব শক্ত আঘাত করে না।

ougjCDn.jpg


উটপাখি - Source: Wallpaper Abyss – Alpha Coders

গুজবের এই উৎপত্তির কারণ হরেক রকম হতে পারে, যেমন –

  • উটপাখি মাথা নিচু করে মাটি থেকে খাবার খায়, খুব সহজেই বিশেষ করে দূর থেকে তাদের দেখে মনে হতে পারে তারা বালিতে মাথা গুঁজে আছে।
  • বালিতে মাথা না গুঁজলেও উটপাখি তাদের ডিম বালিতে গুঁজে রাখে। এই কারণে পুরুষ পাখিটি বালিতে বড়সড় গর্ত করে। এরা ডিমগুলোকে বালির গর্তে রাখার পর দিনের বিভিন্ন সময় এগুলোকে উল্টে পাল্টে দেয়। এই সময় হয়তে তাদের দেখে মনে হতে পারে তারা বালিতে মাথা গুঁজে আছে।
  • তারা যখন নিজেদের বিপন্ন মনে করে তখন তারা শরীর আড়াল করার জন্য অনেক সময় সটান শুয়ে পড়ে। এই অবস্থায় দূর থেকে কেবল তাদের বিশাল দেহটিই চোখে ধরা পড়ে, যা দেখে কারো কারো মনে হতে পারে এদের মাথাটি সমাহিত অবস্থায় আছে।
  • উটপাখি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ পাখি। এদের দেহ সাত থেকে নয় ফুট লম্বা হয় এবং ওজন হয় ৩৫০ পাউন্ড। তবে শরীরের আকারের তুলনায় এদের মাথাটি ছোট। উটপাখির মাথার অংশটি ধুসর ও হালকা রং এর। দুর থেকে দেখে বালি থেকে আলাদা করা যায় না। ফলে মনে হতে পারে এরা বালিতে মাথা গুঁজে আছে।
 
৫. উট

ভুল ধারণা: উট তাদের কুজের ভেতর পানি সংরক্ষণ করে

vSaBEvw.jpg


উট - Source: Pinterest

উট কিন্তু কুজের ভেতর পানি জমিয়ে রাখে না। এই প্রচলিত ভুল ধারণার মূল ভিত্তি হল, মরুভূমির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় উট একনাগাড়ে ১৭ দিন পর্যন্ত পানি না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এই তপ্ত রৌদ্রের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কুজ ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। এখান থেকেই ধারণা করা হয় যে, উট তাদের কুজে পানি জমিয়ে রাখে। বাস্তবে কুজে চর্বি জমা থাকে যা কেবল এটাই নির্দেশ করে যে উটকে পরিমাণ মত খাবার দেয়া হয়েছে নাকি। আর উট এক সাথে ১২০ লিটার পানি পান করতে পারে। আর পানি না পান করে এতো দিন বেঁচে থাকার কারণ হল, তাদের কিছু শারীরবৃত্তীয় অভিযোজন এর শরীরের তাপমাত্রা, কম প্রস্রাব, চামড়া যা সূর্যের রেডিয়েশনকে প্রতিফলন করতে পারে, শরীরে পানির কম প্রয়োজনীয়তা এবং তাদের আরেকটা বিশেষ ক্ষমতা পানি সংরক্ষণ করতে পারে। কিন্তু তারা কুজে পানি সংরক্ষণ করে না। তারা তাদের লাল রক্ত কোষে পানি সংরক্ষণ করতে পারে।
 
৪. ষাঁড়

ভুল ধারণা: ষাঁড় লাল কাপড় দেখে রেগে যায়

আমরা অনেকেই মনে করি লাল কাপড় পড়ে গরু বা ষাঁড়ের সামনে গেলে হয়তো খেপে যাবে। তবে আপনি কি বাস্তবে কখনও কোনো ষাঁড়কে দেখেছেন লাল কাপড় দেখে তেড়ে আসতে? দেখেন নাই সম্ভবত। কারণ সাধারণ ষাঁড়রা লাল বা অন্য কোনো কাপড় দেখলে তেড়ে আসেনা। এর কারণ ষাঁড় সাদা কালো এবং নীল রং ছাড়া অন্য কোনো কালার বুঝতে পারেনা। অর্থাৎ এরা কালার ব্লাইন্ড। শুধুমাত্র সার্কাসেই দেখা যায় একটি ষাঁড়কে লাল কাপড় দেখে তেড়ে আসতে। কারণ অন্যান্য পোষা প্রাণীদের মতো সার্কাসে ষাঁড়কেও সেইভাবে তৈরি করা হয়। তাদেরকে ঐ কাপড়ের প্রতি আক্রমণাত্মক করে গড়ে তোলা হয়। তারপরও বিশ্বাস না হলে আপনি একটি ষাঁড়র সামনে লাল কাপড়ের টুকরো ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

৩. পাখি

ভুল ধারণা: মা পাখিরা মানব দারা স্পর্শিত বাচ্চাদের পরিত্যাগ করে

ছোটবেলায় হয়তো অনেককেই বারণ করা হয়েছে যে পাখির বাচ্চা স্পর্শ না করতে। এর কারণ অনেকেই মনে করে যদি পাখির বাচ্চা স্পর্শ করা হয় তবে পাখি এই বাচ্চাটিকে পরিত্যাগ করবে। তবে তা মোটেও সত্যি নয়। কেনান পাখিদের ঘ্রাণশক্তি খুবই সীমিত। এর ফলে মানুষের স্পর্শের সামান্য ঘ্রাণ মা পাখি সনাক্ত করতে পারে না। পাখিরা তাদের বাচ্চাদের প্রতি খুবই অনুরত এবং অচেনা ঘ্রাণের জন্য তাদের ঘর ত্যাগ করতে ইচ্ছুক নয়। যদিও তাদের বিশৃঙ্খলার কারণে তারা ঘর ত্যাগকারী হিসেবে পরিচিত। কদাচিৎ পাখিরা বাচ্চাসহ বাসা ত্যাগ করে। যা সম্পূর্ণ ভাবে বসন্ত ব্যতীত অন্য সময়ে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার বিরোধী। কেনান বসন্তে খাদ্যের অভাব হয়না। একটি কম বয়সী পাখির, সেই বাসায় ফিরে আসা বাচ্চাগুলোকে বাচাতে পারে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলা হবে না, মা পাখির পক্ষে মানুষের সংস্পর্শ সনাক্ত করা অসম্ভাব্য।

২. কুকুর

ভুল ধারনা: কুকুর সাদা এবং কালো ব্যতীত কোন রঙ দেখতে পারে না।

কুকুর রঙ দেখতে পারে, তবে মানুষের বর্ণালীর মত নয়। সাদা, কাল এবং ধূসর বর্ণের পাশাপাশি নীল বা বেগুনি, হলুদ বা সবুজের মাঝে পার্থক্য করতে পারে। এটা বললে বেশি সঠিক হয় যে, কুকুর সবুজ দেখতে পারে না। তাই বলা যেতে পারে, তোমার কুকুর ছানাটি সবুজ-নীল, ধুসর, বেগুনীর পাশাপাশি লাল, কমলা, সবুজ সনাক্ত করতে পারে না। গবেষণায় বলা হয়েছে, কুকুরের চোখে রড এবং কোন দুটিই রয়েছে, যদিও কুকুরের দুটি কোন রয়েছে, যেখানে মানুষের রয়েছে তিনটি। যদি কুকুরের একটিও কোন না থাকত তবে তাদের দৃষ্টি সাদা ও কালো রঙের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকত। যেহেতু তা নয় সুতরাং কুকুর কেবল সাদা কালো দেখতে পারে তা সম্পূর্ণ ভুল।
 
১. অক্টোপাস

ভুল ধারণা: অক্টোপাস মলাস্কা প্রজাতির একটি নির্বোধ প্রাণী।

যদি আপনি ‘finding dory’ সিনেমাটি দেখে থাকেন, তাহলে ‘Hank’ এর কথা মনে থাকবে যে রঙ পরিবর্তন করে চারপাশের সাথে মিশে যেত। ‘মিমিক’ অক্টোপাস এক ধরনের প্রাণী যে অন্য প্রাণীদের চেহারা ধারণ করতে পারে, তাদের মডেল হিসেবে না দেখেই। তারা শুধু মনে করেই রূপ ধারণ করতে পারে। তবে মিমিক অক্টোপাস শুধুই একমাত্র চালাক অক্টোপাস নয়। একটি গল্প আছে ইনকি নামক অক্টোপাস নিয়ে যে নিউজিল্যান্ড এর একুরিয়াম থেকে পালিয়েছে নিষ্কাশন পথে যা সমুদ্রে মিলিত হত। “finilding dory” সিনেমাটিতে হ্যানক এর পালিয়ে যাওয়া এই গল্পের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি।

NNBuRoA.jpg


অক্টোপাস - Source: Wallpaper Abyss – Alpha Coders

গবেষণা বলছে, হাড়হীন এই প্রাণীগুলো বুদ্ধি, আবেগ এবং ব্যক্তিত্ব তৈরি করে নিয়েছে। সুন্দর এবং লোমযুক্ত না হলেও অক্টোপাস খেলতে পছন্দ করে যা বুদ্ধিমত্তার আরেকটি লক্ষণ।

তথ্যসূত্র – banglanews24, Reader’s Digest, biggan potrika, Toptenz, YouTube
 

Users who are viewing this thread

Back
Top