টুটুল সাহেবের বুদ্ধি
কোথাও পাত্তা পান না টুটুল সাহেব। তার কথা শুনতে চায় না কেউ। তাই তিনি ইদানীং নিজের কথা বলেন অন্যভাবে।
সেদিন অফিসে বলছিলেন, ‘বুঝলেন, পাশের বাসার ভাবিকে দেখলাম বারান্দা থেকে ফানুস ওড়াচ্ছেন।’
লোকজন টুটুল সাহেবের দিকে ঘুরে তাকাল।
টুটুল সাহেব সবার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মানুষ বড় অদ্ভুত। আমি যখন অন্যদের নিয়ে কথা বলি, সবাই শোনে। যখন নিজেকে নিয়ে বলি, তখন কেউ শোনে না।’
সকালটা যদি
অফিসে ঢুকতে রোজ দেরি করে সাগর ও তমাল। এ নিয়ে তাদের কথা শুনতে হয় প্রতিদিনই। সেদিন দুপুরে অফিসে ঢুকে কফি খেতে গেল ওরা।
তমাল বলল, ‘আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠি না বলে বস আর ফ্যামিলির অভিযোগ জমতে জমতে এভারেস্ট হয়ে যাচ্ছে।’
সাগর বলল, ‘আরে ভাই, সমস্যা এই সকাল নিয়ে। সকালটা যদি দুপুরবেলা হতো, তাহলেই কিন্তু আমরা এই অভিযোগের হাত থেকে রেহাই পেতাম। ভাল্লাগে না।’
নোনতা স্বাদ
বিজ্ঞান বই পড়ছিল জনি। দাদা জিজ্ঞেস করলেন, ‘বলো তো, মানবদেহের কত ভাগ পানি?’
জনি বলল, ‘জানি না, দাদা!’
দাদা বললেন, ‘মানবদেহের ৭০ ভাগ পানি।’
জনি বলল, ‘দাদা, আমার মনে হয়, এটা আসলে হবে লবণ–পানি। নিজেকে কামড় দিয়ে টেস্ট করো, কেমন নোনতা নোনতা লাগবে।’
ফুটবল দিয়ে ছক্কা
বসের কাছ থেকে ঝাড়ি খেয়ে এসে দবির সাহেব বললেন, ‘অফিস–বাসা কোথাও কারও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি না! কী এক জীবন রে, ভাই!’
জামিল সাহেব বলল, ‘আমারও একই অবস্থা। বাসায় কথা শুনতে হয়, অফিসে কথা শুনতে হয়। রাস্তায় নামলেও একই অবস্থা। কই যাই!’
তামিম সাহেব বললেন, ‘ভাই, এসব নিয়ে হতাশ হবেন না। সবাইকে বোঝান যে, জনপ্রিয় খেলা হলেও ফুটবল দিয়ে ছক্কা মারা যায় না।’