What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

পড়তে বসলেই ঘুম আসে কেন? (2 Viewers)

দুঃখজনক! তবে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনের মাঝে থাকলে ঘুম এসে সমস্যা করে না,এর কি ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে :-D
 
ধরুন, আপনি পড়তে বসেছেন। হোক সেটা কোনো পাঠ্যপুস্তক, কিংবা নিছকই গল্প-উপন্যাসের বই। কিন্তু কয়েক পাতা পড়ার পরই আর এগোতে পারলেন না। কারণ ঘুমে চোখের পাতা লেগে আসছে আপনার। মনে হচ্ছে রাজ্যের ক্লান্তি যেন এসে ভর করেছে শরীরে। এখন ঘুমের চেয়ে জরুরি আর কিছুই হতে পারে না আপনার জন্য। এভাবেই সারাদিন মানসিক প্রস্তুতি ও পূর্ব-পরিকল্পনা সত্ত্বেও, খুব বেশিক্ষণ পড়া সম্ভব হলো না আপনার।
ভাবছেন, এটি কেবল আপনি? মোটেই না। এই সমস্যায় ভোগে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। সারাদিন তারা একশোটা পরিশ্রমের কাজ করে ফেলতে পারে অনায়াসে, কিন্তু বই পড়তে শুরু করলেই ঘুমের আক্রমণে নাজেহাল হয় তারা। এর পেছনে কারণ কী? ফাঁকিবাজি? অমনোযোগ? মন বসে না পড়ার টেবিলে?
না, আপাতদৃষ্টিতে পড়তে বসলে ঘুম আসার পেছনে আমরা এসব কারণকে চিহ্নিত করলেও, বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজে বের করেছেন। প্রথমত, বই পড়তে গেলে চোখ সবসময় বইয়ের পাতার দিকে নিবদ্ধ রাখতে হয়, এবং প্রতি মুহূর্তে চোখকে বাম থেকে ডান দিকে, আবার ডান থেকে বাম দিকে ঘোরাতে হয়। শুধু তা-ই না, চোখ যেসব দেখে, সেগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ককে অর্থবোধক শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদও তৈরি করে নিতে হয়, এবং সেগুলো দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে, তা-ও অনুধাবন করতে হয়। আবার পাঠ্যপুস্তক পড়ার সময় বাড়তি চাপ হিসেবে যোগ হয় পঠিত বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখার চ্যালেঞ্জ। এভাবে পড়ার সময় ক্রমাগত নাড়াচাড়ায় চোখের পেশি যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তেমনই একসাথে অনেকগুলো কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে মস্তিষ্কও ওঠে হাঁপিয়ে। তখন চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়েরই বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে। আর ঘুমের চেয়ে শ্রেয়তর বিশ্রাম কী হতে পারে! তাই তো ধীরে ধীরে চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে, এবং মস্তিষ্কে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হতে থাকে।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পড়ার সময় অনেকেই নিজের জন্য একটি আরামদায়ক অবস্থা তৈরি করে নিতে চায়। অনেকেই হয়তো শুয়ে শুয়ে পড়ে, আবার অনেকে বিশ্রামের ভঙ্গিতে শরীর এলিয়ে দিয়ে পড়ে। তাদের কাছে মনে হয় এভাবে পড়লে পড়া সহজ হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। শরীরকে যখন আরামদায়ক অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, তখন মস্তিষ্ক ধরেই নেয় যে এখন সময় কেবল বিশ্রামের। অথচ তখন যদি পড়ার মতো মানসিক পরিশ্রমের একটি কাজ করতে যাওয়া হয়, তখন মস্তিষ্ক বিদ্রোহ করে বসে। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব অনুভূত হয়।
এই ঘুমের কারণে অনেকেরই গোটা ক্যারিয়ার বরবাদ হয়ে যাচ্ছে। পরদিন পরীক্ষা, এখনো অর্ধেকের বেশি সিলেবাস বাকি, অথচ ঘুমের কারণে পরীক্ষার আগের রাতেও বেশিক্ষণ পড়া সম্ভব হলো না - এমন বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। ফলে পরদিন পরীক্ষার হলে হাত গুটিয়ে বসে থাকা কিংবা মনের মাধুরী মিশিয়ে যা-ইচ্ছা-তাই লিখে রেখে আসা ছাড়া কোনো উপায়ই থাকে না।
জোরে জোরে পড়ুন তাহলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে jabe
 
যখন স্টুডেন্ট ছিলাম মনে পড়ে পড়তে বসলে প্রচির ঘুম পেত। তখন মনে হত আহা কত দিন ঘুমাইনি। আব্বা যদি বলতেন, যা ঘুমা। কিন্তু সেটা আর বলতেন না। মিস করি সেইসব দিন গুলি।
পড়তে বস্লে ঘুম আসে কারন পড়া ফাকি দেয়ার একটা অংশ। ;)
 
এই জন্য আমি পড়তে বসার আগে অতিরিক্ত ঘুমিয়ে নিই।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top