পাখির অসূস্থ্যতা
ক'দিন ধরেই পাখির মন ভালো নেই। শারীরিক অসূস্থ্যতাই মনের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে বলে এই দশা। পাখির বউ অবশেষে পাখিকে নিয়ে ডাঃ জিসানের চেম্বারে গেলো। জিসান পাখিকে দেখে কয়েকটা টেস্ট দিলো। টেস্টের রেজাল্ট হাতে পেয়ে ডাঃ জিসান বেশ গম্ভির হয়ে গেলো। সে পাখির বউকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললো,
ডাঃ জিসানঃ আপনার স্বামীর হার্টের অবস্থা ভালো নয়। ওনাকে প্রতিদিন ভালো ভালো খাবার রান্না করে খাওয়াবেন। ওনার সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। মনের উপর চাপ পড়ে এমন কিছু করবেন না। এমন কিছু করবেন না যাতে ওনি মানসিকভাবে আঘাত পান। শাড়ী-গয়না কেনার জন্য টাকা চেয়ে ওনাকে কিছুতেই বিরক্ত করবেন না। বাসাতে কোনো টিভি সিরিয়াল দেখবেন না। এভাবে মাস ছয়েক নিয়ম মেনে চললেই ওনি আবার সূস্থ্য হয়ে উঠবেন।
ডাক্তারের কথাগুলো শোনার পর পাখি আর তার বউ ডাঃ জিসানের চেম্বার থেকে বেরোতেই পাখি তার বউকে জিজ্ঞেস করলো,
পাখিঃ ডাক্তার তোমাকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে কি বললো ?
পাখির বউঃ (হাউমাউ করে ) ওগো, তোমার আর বাঁচার কোনো আশাই নেই গো...
