শিক্ষকতা :
ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহঃ) মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৩৪৫ হিঃ/১৯২৭ খৃষ্টাব্দে দারুল হাদীছ রহমানিয়া, দিল্লী ফারেগ হয়ে সে বছরই সেখানে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। (মির'আতুল মাফাতীহ ১/৯; তারাজিম, পৃঃ ৩২৯; আল-বালাগ, মার্চ '৯৪, পৃঃ ৪০; ছাওতুল উম্মাহ, ডিসেম্বর '০৮, পৃঃ ১৮, জানুয়ারী '০৯, পৃঃ ১৩।) এত অল্প বয়সে তদানীন্তন ভারতবর্ষে ইলমে দ্বীন চর্চার নাভিমূলে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। কারণ রহমানিয়া মাদরাসা তখন ভারতবর্ষে আহলেহাদীছদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। প্রতিষ্ঠাতাদের ঐকান্তিকতা, শিক্ষকদের যোগ্যতা, শিক্ষার মান, যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, নিয়ম-কানূন প্রভৃতি কারণে অল্প সময়ের ব্যবধানেই ভারতবর্ষ ও বহির্বিশ্বে এ মাদরাসার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে আধুনিক সঊদী আরবের হিজায ও নাজদ সহ অন্যান্য দেশ থেকেও ছাত্ররা এখানে পড়তে আসত। (জামা'আতে আহলেহাদীছ কী তাদরীসী খিদমাত, পৃঃ ২৬; জুহূদ মুখলিছাহ, পৃঃ ২৫৪।)
রহমানিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নের সময় মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউর রহমান ও অন্যান্য খ্যাতিমান শিক্ষকগণ তাঁর তীক্ষ্ণ মেধা, ফলাফল ও পান্ডিত্যে বিমুগ্ধ-বিমোহিত হয়েই তাঁকে শিক্ষক হিসাবে সাদরে বরণ করে নেন। মুবারকপুরীর ছাত্র জীবনের সোনালী দিনগুলো যেখানে কেটেছে, সেখানে শিক্ষকতা করার চেয়ে পরম আনন্দের আর কী হ'তে পারে!
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় দিল্লী ও অন্যান্য শহরে সৃষ্ট দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে রহমানিয়া মাদরাসার তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল ওয়াহ্হাব (প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আতাউর রহমানের ছেলে) পাকিস্তানের করাচীতে হিজরত করার কারণে মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে যাওয়া (জামা'আতে আহলেহাদীছ কী তাদরীসী খিদমাত, পৃঃ ২৭; মির'আতুল মাফাতীহ ১/১০; জুহূদ মুখলিছাহ, পৃঃ ২৫৫।) পর্যন্ত সুদীর্ঘ বিশ বছর মুবারকপুরী সেখানে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। মাঝখানে দু'বছর আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহঃ)-কে তিরমিযীর ভাষ্য 'তুহফাতুল আহওয়াযী' প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য তিনি মুবারকপুরে অবস্থান করেন। এরপর পুনরায় স্বীয় কর্মস্থলে ফিরে পূর্বের ন্যায় পাঠ দানে মনোনিবেশ করেন।
ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহঃ) মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৩৪৫ হিঃ/১৯২৭ খৃষ্টাব্দে দারুল হাদীছ রহমানিয়া, দিল্লী ফারেগ হয়ে সে বছরই সেখানে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। (মির'আতুল মাফাতীহ ১/৯; তারাজিম, পৃঃ ৩২৯; আল-বালাগ, মার্চ '৯৪, পৃঃ ৪০; ছাওতুল উম্মাহ, ডিসেম্বর '০৮, পৃঃ ১৮, জানুয়ারী '০৯, পৃঃ ১৩।) এত অল্প বয়সে তদানীন্তন ভারতবর্ষে ইলমে দ্বীন চর্চার নাভিমূলে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। কারণ রহমানিয়া মাদরাসা তখন ভারতবর্ষে আহলেহাদীছদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। প্রতিষ্ঠাতাদের ঐকান্তিকতা, শিক্ষকদের যোগ্যতা, শিক্ষার মান, যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, নিয়ম-কানূন প্রভৃতি কারণে অল্প সময়ের ব্যবধানেই ভারতবর্ষ ও বহির্বিশ্বে এ মাদরাসার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে আধুনিক সঊদী আরবের হিজায ও নাজদ সহ অন্যান্য দেশ থেকেও ছাত্ররা এখানে পড়তে আসত। (জামা'আতে আহলেহাদীছ কী তাদরীসী খিদমাত, পৃঃ ২৬; জুহূদ মুখলিছাহ, পৃঃ ২৫৪।)
রহমানিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নের সময় মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউর রহমান ও অন্যান্য খ্যাতিমান শিক্ষকগণ তাঁর তীক্ষ্ণ মেধা, ফলাফল ও পান্ডিত্যে বিমুগ্ধ-বিমোহিত হয়েই তাঁকে শিক্ষক হিসাবে সাদরে বরণ করে নেন। মুবারকপুরীর ছাত্র জীবনের সোনালী দিনগুলো যেখানে কেটেছে, সেখানে শিক্ষকতা করার চেয়ে পরম আনন্দের আর কী হ'তে পারে!
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় দিল্লী ও অন্যান্য শহরে সৃষ্ট দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে রহমানিয়া মাদরাসার তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল ওয়াহ্হাব (প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আতাউর রহমানের ছেলে) পাকিস্তানের করাচীতে হিজরত করার কারণে মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে যাওয়া (জামা'আতে আহলেহাদীছ কী তাদরীসী খিদমাত, পৃঃ ২৭; মির'আতুল মাফাতীহ ১/১০; জুহূদ মুখলিছাহ, পৃঃ ২৫৫।) পর্যন্ত সুদীর্ঘ বিশ বছর মুবারকপুরী সেখানে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। মাঝখানে দু'বছর আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহঃ)-কে তিরমিযীর ভাষ্য 'তুহফাতুল আহওয়াযী' প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য তিনি মুবারকপুরে অবস্থান করেন। এরপর পুনরায় স্বীয় কর্মস্থলে ফিরে পূর্বের ন্যায় পাঠ দানে মনোনিবেশ করেন।