হাজির হুজুর।
মাননীয় বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নাম বিজেপি তথা এনডিএ শিবির থেকে ঘোষণা হওয়ার পর কংগ্রেসের নেতৃত্বে দলিত নেত্রী, ইউপিএ জমানার দ্বিতীয় দফার অধ্যক্ষ মীরা কুমারকে প্রার্থী করে সতেরোটি দলের বিরোধী জোট। নির্বাচনে জয়পরাজয় থাকেই কিন্তু এবছর ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভারতীয় গণতন্ত্র অনেকটা পথ হেঁটে এসে আধুনিক হয়ে উঠতে পারছে। দেশীয় রাজনীতির বর্তমান সময় আমাদের সেই আবৃত্তি করতে আহ্বান করছে বলেই মনে হয় । নিরপেক্ষ কলমচির টেবিল থেকে এমন উপলব্ধি আমার হয়েছে। পূর্বের পরিস্থিতি যদি খুঁজে দেখি তাহলে ইতিহাস বলছে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় রাষ্ট্রপতি-পদে এ পি জে আব্দুল কালামকে সমর্থন করা নিয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের মতপার্থক্য দেখা দেয়। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সেই সময়ের একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক লিখেছিল, ‘’অবশেষে কংগ্রেসও রাষ্ট্রপতি-পদে এ পি জে আব্দুল কালামকে সমর্থন ঘোষণা করল।‘’
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের দ্বিতীয় বছরে কিরকম রাজনৈতিক অভিঞ্জতা ভারতবাসীর হয়েছিল? অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল দেশের মেট্রোপলিটন শহরগুলি। যেমন দিল্লি, কলকাতা এবং চেন্নাই। বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কিছু উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের কাজ করলেও চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পায়নি। তার কারণ দেশের ধর্মীয় ভারসাম্য রক্ষা করতে বাজপেয়ী সরকার ব্যর্থ হয়। দেশের যে চিরাচরিত বিশ্বাস, বিভিন্ন জাতি, সম্প্রদায় পাশাপাশি বাস করেও বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের আঙিনায় আলপনা আঁকা ভারতের মানচিত্রের সীমানা ভেঙ্গে পড়েছিল। সামাজিক ঐক্যের সুর কেটে গিয়েছিল। সনাতন গ্রাম ভারতের যেটা ছিল একান্ত নিজস্বতা। সামাজিক ঐক্যের দায়িত্ব কেন্দ্র অথবা রাজ্য সব সরকারকে নিতে হয়। ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতার বহুবর্ণের সেই সহিষ্ণুতা আজকের ভারতেও প্রশ্নের মুখে এসে দাড়িয়েছে।