নিষ্পাপ - ছোট গল্প (হিন্দি থেকে বাংলা অনুবাদ)
মুল লেখক - দ্য ভ্যাম্পায়ার
ওড়না মাথায় দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এল। যদিও এপ্রিল মাস তারপরও বাইরে খুব গরম এবং প্রখর রোদ। টিভিতেও শুনেছে যে এই বছর গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হবে। বিকেলের দিকে গ্রামের রাস্তাঘাট প্রায়ই জনশূন্য হয়ে পড়ে। মানুষ ১টার মধ্যে ঘরে ঢুকত এবং বিকেল ৪-৫টার আগে বের হতো না।
ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত পায়ে হেঁটে ও গ্রামের একটু বাইরে নির্মিত চার্চের দিকে এগিয়ে গেল। পেছন থেকে একটা গাড়ির আওয়াজ শুনে ও রাস্তার পাশে ঘুরে। ও জানে এটা কার গাড়ি। প্রতিদিন এই সময়ে এই গাড়িটি এখান দিয়ে যাতায়াত করত। কিন্তু আজ পেছন থেকে আসা গাড়িটি দ্রুত চলে না গিয়ে ওর কাছে পৌঁছানোর পর গতি কমে যায়।
"কেমন আছো সিরিশা?" মার্সিডিজের জানালা নিচে নেমে গেল, ও থেমে গাড়ির দিকে তাকায়। ওর বুক নিজে থেকেই ধড়ফড় করতে শুরু করে।
গ্রামের প্রতিটি মেয়েই বিঠালের জন্য পাগল এমনকি ওর নিজের দুই বড় বোনও। তার কারনও আছে। সে দেখতেও সেই রকম। লম্বা, চওড়া...... ইংরেজিতে কি বলে.... হ্যাঁ, টল ডার্ক এন্ড হ্যান্ডসাম। তিনি সবসময় দামী পোশাক পরে, দামী গাড়ী চালায়। ও আরও শুনেছে ভারতের প্রতিটি বড় শহরে বিঠালের বাবার বাড়ি আছে।
"আপনি আমার নাম কি করে জানলেন, বিঠাল সাহেব" জানালার একটু কাছে যেতেই ও বলল।
"তুমি আমার নাম জানো কিভাবে?" বিঠাল হেসে প্রশ্ন করে।
" আপনি কি যে বলেন। সবাই আপনাকে চেনে।" ও একটু লজ্জা পেয়ে বলল।
"হুমম" বিঠাল হাসল, "কোথায় যাচ্ছ?"
"গির্জা"
"গির্জা? সিরিশা কিন্তু তুমি ব্রাহ্মণ......।"
"আমি সেখানে যেয়ে একা বসতে পছন্দ করি, এই সময়ে গির্জায় কেউ থাকে না তাই আমি যাই, সম্পূর্ণ শান্তিতে আরামে বসে ঈশ্বরকে স্মরণ করা যায়" এক নিঃশ্বাসে বলল সিরিশা
" আরামে, শান্তিতে মন্দিরেও বসতে পারো। নাকি সেই সাদা ফাদারের সামনে মন্দিরের পুরোহিতকে পছন্দ কর না?"
এইভাবে ফাদার পিটারের নাম শুনে সিরিশা আরও বেশি বিব্রত হল। তিনি বাইরের কোন দেশ থেকে এসেছেন জানা নেই, তবে এখানে ভারতে এসেছেন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের জন্য। তিনি নিজেকে একজন ধর্মপ্রচারক বলেন। তিনি যখন চার্চে দাঁড়িয়ে কথা বলে তখন সিরিশার হৃদয় এক অদ্ভুত স্বস্তি পায়। যখনই কোন কিছু সিরিশাকে অস্থির করে তুলতো ও প্রায়ই তা কনফেশন বক্সে বসে ফাদার পিটারকে বলত। ও গির্জায় তার সামনে সবকিছু স্বীকার করতে পছন্দ করে।
"তুমি জানো এই লোকেরা গরীবদের টাকা দিয়ে এখানে খ্রিস্টান বানায়?"
ও তখনও চিন্তায় নিমগ্ন ছিল কিন্তু বিঠালের কথা শুনে এক অদ্ভুত বিতৃষ্ণায় শিরিষার মন ভরে গেল। ও বিঠালের কথার উত্তর দেওয়া প্রয়োজন মনে না করে গাড়ি ছেড়ে সামনের দিকে যেতে লাগল।
"আরে এই গরমে কোথায় যাচ্ছো? চলো তোমাকে পৌছে দিয়ে আসি।" পিছন থেকে বিঠালের চিৎকার শুনে শিরিশা এক মুহূর্ত ভাবতে বাধ্য হলো। গির্জাএকটু দূরে আর আজ একটু গরম ছিল। ও গির্জায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে ও ঘেমে যাবে আর এই অবস্থায় ও গির্জায় যেতে পছন্দ করে না।
"গাড়িতে এসি চলছে। আমি তোমাকে নামিয়ে দেব," গাড়ির দরজা খুলে বলল বিঠাল।
মুল লেখক - দ্য ভ্যাম্পায়ার
ওড়না মাথায় দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এল। যদিও এপ্রিল মাস তারপরও বাইরে খুব গরম এবং প্রখর রোদ। টিভিতেও শুনেছে যে এই বছর গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হবে। বিকেলের দিকে গ্রামের রাস্তাঘাট প্রায়ই জনশূন্য হয়ে পড়ে। মানুষ ১টার মধ্যে ঘরে ঢুকত এবং বিকেল ৪-৫টার আগে বের হতো না।
ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত পায়ে হেঁটে ও গ্রামের একটু বাইরে নির্মিত চার্চের দিকে এগিয়ে গেল। পেছন থেকে একটা গাড়ির আওয়াজ শুনে ও রাস্তার পাশে ঘুরে। ও জানে এটা কার গাড়ি। প্রতিদিন এই সময়ে এই গাড়িটি এখান দিয়ে যাতায়াত করত। কিন্তু আজ পেছন থেকে আসা গাড়িটি দ্রুত চলে না গিয়ে ওর কাছে পৌঁছানোর পর গতি কমে যায়।
"কেমন আছো সিরিশা?" মার্সিডিজের জানালা নিচে নেমে গেল, ও থেমে গাড়ির দিকে তাকায়। ওর বুক নিজে থেকেই ধড়ফড় করতে শুরু করে।
গ্রামের প্রতিটি মেয়েই বিঠালের জন্য পাগল এমনকি ওর নিজের দুই বড় বোনও। তার কারনও আছে। সে দেখতেও সেই রকম। লম্বা, চওড়া...... ইংরেজিতে কি বলে.... হ্যাঁ, টল ডার্ক এন্ড হ্যান্ডসাম। তিনি সবসময় দামী পোশাক পরে, দামী গাড়ী চালায়। ও আরও শুনেছে ভারতের প্রতিটি বড় শহরে বিঠালের বাবার বাড়ি আছে।
"আপনি আমার নাম কি করে জানলেন, বিঠাল সাহেব" জানালার একটু কাছে যেতেই ও বলল।
"তুমি আমার নাম জানো কিভাবে?" বিঠাল হেসে প্রশ্ন করে।
" আপনি কি যে বলেন। সবাই আপনাকে চেনে।" ও একটু লজ্জা পেয়ে বলল।
"হুমম" বিঠাল হাসল, "কোথায় যাচ্ছ?"
"গির্জা"
"গির্জা? সিরিশা কিন্তু তুমি ব্রাহ্মণ......।"
"আমি সেখানে যেয়ে একা বসতে পছন্দ করি, এই সময়ে গির্জায় কেউ থাকে না তাই আমি যাই, সম্পূর্ণ শান্তিতে আরামে বসে ঈশ্বরকে স্মরণ করা যায়" এক নিঃশ্বাসে বলল সিরিশা
" আরামে, শান্তিতে মন্দিরেও বসতে পারো। নাকি সেই সাদা ফাদারের সামনে মন্দিরের পুরোহিতকে পছন্দ কর না?"
এইভাবে ফাদার পিটারের নাম শুনে সিরিশা আরও বেশি বিব্রত হল। তিনি বাইরের কোন দেশ থেকে এসেছেন জানা নেই, তবে এখানে ভারতে এসেছেন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের জন্য। তিনি নিজেকে একজন ধর্মপ্রচারক বলেন। তিনি যখন চার্চে দাঁড়িয়ে কথা বলে তখন সিরিশার হৃদয় এক অদ্ভুত স্বস্তি পায়। যখনই কোন কিছু সিরিশাকে অস্থির করে তুলতো ও প্রায়ই তা কনফেশন বক্সে বসে ফাদার পিটারকে বলত। ও গির্জায় তার সামনে সবকিছু স্বীকার করতে পছন্দ করে।
"তুমি জানো এই লোকেরা গরীবদের টাকা দিয়ে এখানে খ্রিস্টান বানায়?"
ও তখনও চিন্তায় নিমগ্ন ছিল কিন্তু বিঠালের কথা শুনে এক অদ্ভুত বিতৃষ্ণায় শিরিষার মন ভরে গেল। ও বিঠালের কথার উত্তর দেওয়া প্রয়োজন মনে না করে গাড়ি ছেড়ে সামনের দিকে যেতে লাগল।
"আরে এই গরমে কোথায় যাচ্ছো? চলো তোমাকে পৌছে দিয়ে আসি।" পিছন থেকে বিঠালের চিৎকার শুনে শিরিশা এক মুহূর্ত ভাবতে বাধ্য হলো। গির্জাএকটু দূরে আর আজ একটু গরম ছিল। ও গির্জায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে ও ঘেমে যাবে আর এই অবস্থায় ও গির্জায় যেতে পছন্দ করে না।
"গাড়িতে এসি চলছে। আমি তোমাকে নামিয়ে দেব," গাড়ির দরজা খুলে বলল বিঠাল।