What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মঙ্গলসূত্র (Running...) (1 Viewer)

মঙ্গলসূত্র

Writer: Henry
আজ পাহাড়ে রোদ ঝলমলে সকাল।বন বাংলোর বারান্দার সামনে রোদ এসে পড়ছে।অনিরুদ্ধ চায়ের কাপ নিয়ে বসে আছে।অয়ন ফুটবলে লাথি মেরে ছুঁড়ে দিল বলটা, সোজা গিয়ে ঢুকল পাইন গাছের জঙ্গলে।
সুজাতা স্নান করে বেরোল।রোদে তোয়ালেটা মেলে দিয়ে বলল---তুমি স্নান করবে না?
---এত ঠান্ডায় স্নান? মাথা খারাপ নাকি।অক্টোবরের এই সিজনে কালিম্পঙে টেম্পারেচার চার-পাঁচ ডিগ্রির আসেপাশে ঘোরে।তার ওপরে এই তিনদিনে একদিনও রোদের দেখা মেলেনি।
অয়ন বলটা কুড়িয়ে নিয়ে এসে বলল--মা যাবে না?
সুজাতা বলল--কি গো রেডি হয়ে নাও।ওদিকের পাহাড়ের ধাপে নাকি একটা মনেস্ট্রি আছে।
---তোমরা যাও।আমি বরং পুজো সংখ্যা গুলো বসে বসে পড়ি।
সুজাতা কোনো ব্যাপারে অনিরুদ্ধকে জোর করে না।অয়নকে রেডি করে বেরিয়ে গেল।সুজাতা সাবলম্বী।অনিরুদ্ধ কখনোই মনে করে না সুজাতার সঙ্গে সবসময় থাকার প্রয়োজন আছে।
অনি বই পড়ছিল।সমরেশ মজুমদারের দেশ পত্রিকার উপন্যাসটা এবার আধা পড়া হয়ে রেখে দিয়েছিল ট্রেনে।
দূরে পাহাড়ের তলার দিকে ছোট ছোট হোম স্টে গুলো দেখা যাচ্ছে।ওপাশ থেকে একটা মেঘ ভেসে আসছে।যদিও অনিরুদ্ধরা যেখানে আছে সেটাও বাংলো ফাংলো কিছু না; হোম স্টে।
অনিদের হোম স্টে থেকে সামান্য দূরে আরেকটা হোম স্টে।সেটা একটু নীচের দিকে।সেখান থেকে উঠে আসছে একটি বছর পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক।গলায় ক্যামেরা, চেক শার্ট, জিন্স।
দূরে একটা পাখির ছবি ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে কয়েকটা শট মেরে তুলল।
--আপনারা কি কলকাতা থেকে? যুবকটি জিজ্ঞেস করল।মুখে সৌজন্যমূলক হাসি।
---হ্যা।আপনি?
--হ্যা আমরাও।
কয়েকদিন ধরে যুবকটিকে একা একা দেখছিল অনিরুদ্ধ।তাই ভেবেছিল নির্ঘাৎ একা।ফটোগ্রাফী-টাফি করে বোধ হয়।
--আসুন বসুন।চেয়ারটা টেনে দিল অনিরুদ্ধ।
যুবকটি বসে বলল---কদ্দিনের জন্য?
---যাতায়াতের দিন বাদ দিলে পনেরো দিন।তিনদিন কেটে গেছে।বাকি আর বারো দিন।বলেই অনিরুদ্ধ বলল--চা খাবেন?
---আছে? নাকি চামেলিজী কে বলতে হবে?
চামেলি শেরপা এই কাঠবাড়ি হোম স্টেগুলোর মালিক।বয়স্ক নেপালি মহিলা।ভারী কেয়ারেবল।
অনিরুদ্ধ বলল--না না।ফ্লাস্কে আছে।
দু'কাপ চা আনল অনিরুদ্ধ।বলল--আপনার সঙ্গে আর কে কে আছেন?
---আমার স্ত্রী মলি।
--ও আচ্ছা।আমি প্রথমে ভেবেছি আপনি বোধ হয় ব্যাচেলার।
হা হা হা করে হেসে উঠল যুবকটি বলল--সে সৌভাগ্য পাঁচ বছর আগে পেরিয়ে এসেছি।
---সৌভাগ্য বলছেন।আপনি আমার চেয়ে বয়সে ছোটই হবেন।মাত্র পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনেই টায়ার্ড? আর আমার ছেলেই এখন বারোতে পা দিল।
---ও, আপনার নাম..
---আমি অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী।এসবিআই, পিও।আপনি?
---আমি অর্ক সান্যাল।আইটিতে আছি।সল্টলেক বাড়ী।আমার স্ত্রীও আইটিতে।
--ও আচ্ছা।চাকুরিজীবি দম্পতি।সে অর্থে আমার স্ত্রীও।প্রাথমিক শিক্ষিকা।
--আচ্ছা।কি সিমিলারিটিজ।আপনাদের ঠিক কলকাতার কোন জায়গায় বাড়ী?
---শেক্সপিয়ার সরনী।আমাদের কলকাতা শহরের পুরোনো বাড়ী।অনিরুদ্ধ সিগারেটের বাক্স থেকে সিগারেট বের করল--চলে?
---না থ্যাংক্স।
---আমি কিন্তু জানি আইটি ইঞ্জিনিয়াররা সাংঘাতিক স্মোকার হয়।
---ওঃ তাই।তবে আমি ব্যতিক্রম।তবে এই ঠান্ডায় ওটা কিন্তু চলে।বলেই হাসল অর্ক।
অনি নিজেও অফিস পার্টি থাকলে একটু আধটু খায়।এরকম ঠান্ডায় একটু খেলে সুজাতা নিশ্চই বাধা দেবে না।
---ওকে আমি আপনাকে তবে অনিরুদ্ধ দা বলতে পারি।
অনিরুদ্ধ ধোঁয়া ছেড়ে বলল--আপনার এজ কত?
---থার্টি সেভেন।
---ও আপনি আমার ওয়াইফের বয়সী।আমি ফর্টি টু।
সেদিনের পরিচয়ের পর অর্কদের সাথে অনিরুদ্ধদের জমে গেল।সুজাতা আর মলিরও খুব ভাব হল।তাদের মেয়েলি আড্ডার মাঝে অনি আর অর্কও প্রাণ খুলে আড্ডা দিতে পারত।
Let starting is good let's how it goes
 
মঙ্গলসূত্র

Writer: Henry
আজ পাহাড়ে রোদ ঝলমলে সকাল।বন বাংলোর বারান্দার সামনে রোদ এসে পড়ছে।অনিরুদ্ধ চায়ের কাপ নিয়ে বসে আছে।অয়ন ফুটবলে লাথি মেরে ছুঁড়ে দিল বলটা, সোজা গিয়ে ঢুকল পাইন গাছের জঙ্গলে।
সুজাতা স্নান করে বেরোল।রোদে তোয়ালেটা মেলে দিয়ে বলল---তুমি স্নান করবে না?
---এত ঠান্ডায় স্নান? মাথা খারাপ নাকি।অক্টোবরের এই সিজনে কালিম্পঙে টেম্পারেচার চার-পাঁচ ডিগ্রির আসেপাশে ঘোরে।তার ওপরে এই তিনদিনে একদিনও রোদের দেখা মেলেনি।
অয়ন বলটা কুড়িয়ে নিয়ে এসে বলল--মা যাবে না?
সুজাতা বলল--কি গো রেডি হয়ে নাও।ওদিকের পাহাড়ের ধাপে নাকি একটা মনেস্ট্রি আছে।
---তোমরা যাও।আমি বরং পুজো সংখ্যা গুলো বসে বসে পড়ি।
সুজাতা কোনো ব্যাপারে অনিরুদ্ধকে জোর করে না।অয়নকে রেডি করে বেরিয়ে গেল।সুজাতা সাবলম্বী।অনিরুদ্ধ কখনোই মনে করে না সুজাতার সঙ্গে সবসময় থাকার প্রয়োজন আছে।
অনি বই পড়ছিল।সমরেশ মজুমদারের দেশ পত্রিকার উপন্যাসটা এবার আধা পড়া হয়ে রেখে দিয়েছিল ট্রেনে।
দূরে পাহাড়ের তলার দিকে ছোট ছোট হোম স্টে গুলো দেখা যাচ্ছে।ওপাশ থেকে একটা মেঘ ভেসে আসছে।যদিও অনিরুদ্ধরা যেখানে আছে সেটাও বাংলো ফাংলো কিছু না; হোম স্টে।
অনিদের হোম স্টে থেকে সামান্য দূরে আরেকটা হোম স্টে।সেটা একটু নীচের দিকে।সেখান থেকে উঠে আসছে একটি বছর পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক।গলায় ক্যামেরা, চেক শার্ট, জিন্স।
দূরে একটা পাখির ছবি ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে কয়েকটা শট মেরে তুলল।
--আপনারা কি কলকাতা থেকে? যুবকটি জিজ্ঞেস করল।মুখে সৌজন্যমূলক হাসি।
---হ্যা।আপনি?
--হ্যা আমরাও।
কয়েকদিন ধরে যুবকটিকে একা একা দেখছিল অনিরুদ্ধ।তাই ভেবেছিল নির্ঘাৎ একা।ফটোগ্রাফী-টাফি করে বোধ হয়।
--আসুন বসুন।চেয়ারটা টেনে দিল অনিরুদ্ধ।
যুবকটি বসে বলল---কদ্দিনের জন্য?
---যাতায়াতের দিন বাদ দিলে পনেরো দিন।তিনদিন কেটে গেছে।বাকি আর বারো দিন।বলেই অনিরুদ্ধ বলল--চা খাবেন?
---আছে? নাকি চামেলিজী কে বলতে হবে?
চামেলি শেরপা এই কাঠবাড়ি হোম স্টেগুলোর মালিক।বয়স্ক নেপালি মহিলা।ভারী কেয়ারেবল।
অনিরুদ্ধ বলল--না না।ফ্লাস্কে আছে।
দু'কাপ চা আনল অনিরুদ্ধ।বলল--আপনার সঙ্গে আর কে কে আছেন?
---আমার স্ত্রী মলি।
--ও আচ্ছা।আমি প্রথমে ভেবেছি আপনি বোধ হয় ব্যাচেলার।
হা হা হা করে হেসে উঠল যুবকটি বলল--সে সৌভাগ্য পাঁচ বছর আগে পেরিয়ে এসেছি।
---সৌভাগ্য বলছেন।আপনি আমার চেয়ে বয়সে ছোটই হবেন।মাত্র পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনেই টায়ার্ড? আর আমার ছেলেই এখন বারোতে পা দিল।
---ও, আপনার নাম..
---আমি অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী।এসবিআই, পিও।আপনি?
---আমি অর্ক সান্যাল।আইটিতে আছি।সল্টলেক বাড়ী।আমার স্ত্রীও আইটিতে।
--ও আচ্ছা।চাকুরিজীবি দম্পতি।সে অর্থে আমার স্ত্রীও।প্রাথমিক শিক্ষিকা।
--আচ্ছা।কি সিমিলারিটিজ।আপনাদের ঠিক কলকাতার কোন জায়গায় বাড়ী?
---শেক্সপিয়ার সরনী।আমাদের কলকাতা শহরের পুরোনো বাড়ী।অনিরুদ্ধ সিগারেটের বাক্স থেকে সিগারেট বের করল--চলে?
---না থ্যাংক্স।
---আমি কিন্তু জানি আইটি ইঞ্জিনিয়াররা সাংঘাতিক স্মোকার হয়।
---ওঃ তাই।তবে আমি ব্যতিক্রম।তবে এই ঠান্ডায় ওটা কিন্তু চলে।বলেই হাসল অর্ক।
অনি নিজেও অফিস পার্টি থাকলে একটু আধটু খায়।এরকম ঠান্ডায় একটু খেলে সুজাতা নিশ্চই বাধা দেবে না।
---ওকে আমি আপনাকে তবে অনিরুদ্ধ দা বলতে পারি।
অনিরুদ্ধ ধোঁয়া ছেড়ে বলল--আপনার এজ কত?
---থার্টি সেভেন।
---ও আপনি আমার ওয়াইফের বয়সী।আমি ফর্টি টু।
সেদিনের পরিচয়ের পর অর্কদের সাথে অনিরুদ্ধদের জমে গেল।সুজাতা আর মলিরও খুব ভাব হল।তাদের মেয়েলি আড্ডার মাঝে অনি আর অর্কও প্রাণ খুলে আড্ডা দিতে পারত।
nice starting with nice place and weather
 

Users who are viewing this thread

Back
Top