মাল্টিটাস্কিংয়ে কাজের ফোকাস হারানোর ঝুঁকি প্রবল
কোনটা মাল্টিটাস্কিং, কোনটা নয়
মাল্টিটাস্কিং ঠিক ততটা ভালো নয়, যতটা আমরা ভাবি। এই বিষয়টি বোঝার আগে আমাদের বোঝা প্রয়োজন- কোনটাকে ঠিক 'মাল্টিটাস্কিং' বলা হচ্ছে।
কেউ চাইলে তার সারাদিনের সময়কে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে একাধিক কাজে যুক্ত থাকতে পারে, সেটা মাল্টিটাস্কিং নয়। একজন ব্যক্তি একইসাথে চাকরি আর পড়াশোনা চালাচ্ছে কিংবা এক ব্যক্তি একইসাথে সন্তান, সংসার, পড়াশোনা সামলাচ্ছে, কিংবা চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হচ্ছেন- এগুলো মাল্টিটাস্কিংয়ের উদাহরণ নয়।
মাল্টিটাস্কিং হলো একইসাথে অর্থাৎ একই সময়ে একাধিক কাজ করতে যাওয়া, নিজের বর্তমান মনোযোগকে একটা কাজে স্থির না রেখে বহুদিকে বিক্ষিপ্ত করে দেওয়া। মাল্টিটাস্কিং কিন্তু নতুন কোনো ধারণা নয়, এক কাজের সাথে মিলিয়ে আরেক কাজ করার প্রচলন তো অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে এসে এ ধারণা প্রচণ্ড ব্যাপকতা লাভ করেছে। বর্তমান যুগে তথ্যবহুলতার ভালোর পাশাপাশি মন্দ দিকটা হলো- তথ্যবহুলতা আমাদের একাগ্রতা ব্যহত করে। আমাদের 'অ্যাটেনশন স্প্যান' এখন এমনিতেই অনেক কমে গেছে। তার মধ্যে যদি আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে মাল্টিটাস্কিংয়ের বাড়তি পরিশ্রম করাই, তাহলে তার কাজ করার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই অনেক কমে আসবে।