What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কীভাবে ঠিকঠাক রাখবে তোমার ল্যাপটপ (1 Viewer)

Mashruhan Eshita

Expert Member
Joined
Jan 11, 2022
Threads
68
Messages
1,788
Credits
39,873
Lipstick
Audio speakers
Glasses sunglasses
Thermometer
Tomato
Cocktail Green Agave
চারকোণা স্ক্রিন, গুছানো একটা কীবোর্ড, মাউসের বদলে মসৃণ টাচপ্যাড আর ছোট্ট ব্যাগের মধ্যে আস্ত একটা কম্পিউটারের বিকল্প- হ্যাঁ, ল্যাপটপের কথাই বলা হচ্ছে এখানে। এককালের ডেস্কটপের জায়গা দখল করে নিয়েছে আজকের ল্যাপটপ। বহনযোগ্যতায় সহায়ক এই ল্যাপটপ একটা সময়ে বিলাসিতার অংশ হয়ে থাকলেও এখন কিন্তু বেশ দরকারী বটে। নোটবুক, আল্ট্রাবুক, ক্রোমবুক কিংবা অল-ইন-ওয়ানের মত নানাভেদের ল্যাপটপ শোভা পাচ্ছে সকলের হাতে হাতে।

[H4]ল্যাপটপ কী?[/H4]
ছোটবেলার "ল্যাপ হল কোল, টপ অর্থ উপর, ল্যাপটপ অর্থ কোলের উপর" এর মত উত্তরগুলোকে পেছনে ফেলে এসেছি আমরা। এখন ল্যাপটপ বলতেই আমরা বুঝি ব্যাগ থেকে বের করে ছোট একটা যন্ত্রে চট করে একটা ডিজাইন ইলাস্ট্রেশন করে ফেলা কিংবা ক্লাসের কোনো প্রেজেন্টেশনের স্লাইড বানিয়ে ফেলা, অথবা দূরপাল্লার কোনো বাসে বসে নেটফ্লিক্সের হাজারো টিভি সিরিজ উপভোগ করা।

[H4]ল্যাপটপের নানা প্রকারভেদ[/H4]
একটা সময় ল্যাপটপ জগত নোটবুকের উপর ভর করে চললেও সময়ের বিবর্তনে বাজারে এসেছে হরেক রকম ল্যাপটপ। বিভিন্ন প্রকারের ল্যাপটপের মধ্যে রয়েছে:
 
[H4]নোটবুক:[/H4]



এটি মূলত ল্যাপটপের সবচেয়ে আদি সংস্করণ। অফিসের কাজে ব্যবহার করার জন্য নোটবুকের বিকল্প মেলা ভার। মূলত ল্যাপটপেরই আরেকটি নাম হচ্ছে নোটবুক। শুরুর দিকে ল্যাপটপ নাম নিয়ে পরিচিতি লাভ করলেও একটা সময় ল্যাপটপের আকৃতি একটি নোটবুকের পাতার মত ছোট হয়ে যায়। তখন থেকেই ল্যাপটপকে নোটবুক হিসেবেও ডাকা হয়। রাশিয়ার মত দেশে ল্যাপটপকে সম্বোধন করতে এখনো নোটবুক শব্দের প্রচলন আছে।
 
[H4]আল্ট্রাবুক:[/H4]



আল্ট্রাবুক হলো ল্যাপটপের এক বিপ্লবের নাম। সামান্য ওজন এবং অবিশ্বাস্য রকমের পাতলা এই ল্যাপটপ অন্য যেকোনো সাধারণ কম্পিউটারের সাথে যোজনে যোজনে টক্কর দিতে সক্ষম। আল্ট্রাবুকের ওজন কম হওয়ায় এসব ল্যাপটপ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে বহন করা যায়। এইচপি, লেনোভো, ডেল, আসুসের মত জনপ্রিয় কোম্পানিগুলো তাদের তৈরিকৃত আল্ট্রাবুকের জন্য জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছে। তবে আল্ট্রাবুকের মত ল্যাপটপগুলো তুলনামূলক ছোট আকারের হওয়ায় এর পরিপূর্ণ কাঠামো ও যন্ত্রাংশ একত্রীকরণেও নির্মাতাদের বাড়তি খরচ হয়, এ কারণে আল্ট্রাবুকের বাজারদামও কিছুটা বেশি হয়। ভাল মানের আল্ট্রাবুকগুলোর দাম ৬০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকারও হতে পারে।
 
[H4]অল-ইন-ওয়ান ল্যাপটপ:[/H4]



ট্যাবলেটের আবিষ্কারের পরপরই আবির্ভাব ঘটে অল-ইন-ওয়ান ল্যাপটপের। এসব ল্যাপটপের প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে পুরোপুরি টাচ স্ক্রিন। এর সঙ্গে কখনো কখনো যুক্ত হয় মূল যন্ত্রাংশ থেকে পর্দা আলাদা করে ট্যাবলেটের মত ব্যবহার করার সুবিধাও। এই সুবিধাকে বলা হয় "কনভার্টিবল উইথ টাচস্ক্রিন (Convertible with Touch Screen)"। দেখতে স্টাইলিশ ও যুগোপযোগী হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের অনেকেই বেছে নিচ্ছে এসব অল-ইন-ওয়ান ল্যাপটপ। লেনোভোর ইয়োগা, মাইক্রোসফটের সারফেস, এইচপির স্পেক্টর হলো তেমনই কিছু অল-ইন-ওয়ান ল্যাপটপের উদাহরণ।
 
[H4]ল্যাপটপের বাজার:[/H4]
কম্পিউটারের বাজারের কথা বললেই সবার প্রথমেই মাথায় আসবে ঢাকার আগাঁরগাও এ অবস্থিত বিসিএস কম্পিউটার সিটি এবং এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লান সেন্টারের নাম। এই দু'টি মার্কেট বাংলাদেশের কম্পিউটারপ্রেমীদের প্রথম পছন্দ। ল্যাপটপ-ডেস্কটপ ও এসবের যন্ত্রাংশের ক্রয়বিক্রয়ের জন্য এখানে রয়েছে অসংখ্য দোকান। তাছাড়া রায়ান্স আইটি, কম্পিউটার সোর্স, স্টারটেক, কম্পিউটার ভিলেজের মত নামকরা দোকানেও পাওয়া যাবে তোমার কাঙ্ক্ষিত ল্যাপটপ। ল্যাপটপ কেনার একটা উপলক্ষ্য হতে পারে ল্যাপটপ মেলা। প্রতিবছরই আয়োজিত হওয়া ল্যাপটপ মেলায় দেখা মেলে আকর্ষণীয় দামে নতুন নতুন ল্যাপটপের। মেলা উপলক্ষ্যে এসব ল্যাপটপের দামে থাকে বিপুল ছাড়, কখনো বা পাওয়া যায় লোভনীয় সব উপহার।
 
[H4]ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম:[/H4]
শিরোনাম শুনে হয়তো কেউ ভাবতে পারে যে এখন ল্যাপটপ চালানোর অ আ ক খ শেখানো হবে। তবে তেমনটা মোটেই নয়। ল্যাপটপ তো চালাতে পারে কম-বেশি সবাই, তবে সঠিকভাবে ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম অজানা থাকলেই খুব দ্রুতই কমে আসতে পারে তোমার ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা। ল্যাপটপের যত্নআত্তির প্রসঙ্গেও চলে আসবে সঠিকভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার। ল্যাপটপ চালানোর সঠিক নিয়মগুলোর মধ্যে যেগুলো না জানলেই নয়, সেগুলো হলো-
 
[H4]ল্যাপটপের স্থান:[/H4]
আমাদের মধ্যে অনেকেই ল্যাপটপ বিছানার উপর রেখে কাজ করতে পছন্দ করি। তবে চমকে দেয়া বিষয়টি হচ্ছে, বিছানা-কুশনের মত সমতল জায়গায় ল্যাপটপ চালনা করলে এটি ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রায় প্রতিটি ল্যাপটপের নিচের অংশে একটি কিংবা দুটি ফ্যান থাকে, যা ল্যাপটপের ভেতরের গরম বায়ু নিঃসরণ বা ভেন্টিলেশনে সহায়তা করে। বিছানা কিংবা কুশন পুরোপুরিভাবে এই ভেন্টিলেশন প্রক্রিয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করে, কেননা তুলা দ্বারা তৈরিকৃত এসব বস্তু বায়ু আটকে রাখে। তাই কোলের উপর, টেবিলের ন্যায় কোনো স্থানে রেখে ল্যাপটপ চালানো অধিক নিরাপদ।
 
[H4]কীবোর্ড ও টাচপ্যাড:[/H4]

আমার মেজচাচা ছিলেন অদ্ভুত রকমের এক মানুষ। তিনি যখন কম্পিউটারের কীবোর্ড টাইপিং করে, খুব স্বাভাবিক থাকে ব্যাপারটা। লেখা শেষ হওয়ামাত্র তার যখন এন্টার বাটন চাপার সময় আসে, তখন সে খুব সজোরে এন্টার বাটন প্রেস করেন। এমন অনেকেই রয়েছে যাদের ডেস্কটপ কম্পিউটারের এন্টার ও স্পেসবার বাটনটি খুব প্রিয়। এন্টার ও স্পেসবারের প্রতি এমন ভালবাসাই ল্যাপটপের জন্য কখনো কখনো কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। ল্যাপটপের কীবোর্ড থাকে অত্যন্ত পাতলা, তবে অত্যন্ত শক্তিশালী। শক্তিশালী কীবোর্ড থাকার কারণে সামান্য চাপেই ল্যাপটপের কীবোর্ড সাড়া দিয়ে থাকে।

টাচবারের সঠিক ব্যবহারের কথা বললে বলাই বাহুল্য যে, টাচপ্যাড খুব সংবেদনশীল একটি অংশ কেননা টাচবারের নিচে থাকে হাজারো মোশন সেন্সর। শুধুমাত্র ২-৩ টি আঙ্গুল দিয়ে টাচবার পরিচালনা করাই শ্রেয়।
 
[H4]ব্যাটারি ও চার্জিং:[/H4]
এবার আসা যাক ব্যাটারির দিকে। ভালো মানের একটি ল্যাপটপের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা ১৪-১৬ ঘন্টার মতো হয়ে থাকে এবং দীর্ঘদিনের ব্যবহারে খুব একটা সমস্যাও হয় না। তবে সমস্যার কথা যখন উঠলো, সাথে সাথে তখন চলে আসে ব্যাটারি চার্জের ব্যাপারটা। ব্যাটারি চার্জ দেয়া নিয়ে কয়েকটি মিথ রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হলো, সারারাত ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখলে ল্যাপটপের ব্যাটারি ওভারচার্জড হয়ে যায়। বাস্তবে দেখা যায়, এখনকার বাজারের অত্যাধুনিক ল্যাপটপগুলোতে এমন এক প্রযুক্তি রয়েছে, যার কাজ হচ্ছে ব্যাটারি ফুল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ল্যাপটপের চার্জ অফ করে দেয়া। অর্থাৎ তোমার ল্যাপটপের ব্যাটারি সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপ আর চার্জ হবেনা। এতে ব্যাটারির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয় না। তবে অনেকসময় বৈদ্যুতিক গোলযোগ সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকির কারণে রাতভর চার্জ দেয়া এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে।
 
[H4]ল্যাপটপ অন-অফ:[/H4]
একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২৭ শতাংশ ল্যাপটপ ব্যবহারকারী সঠিকভাবে ল্যাপটপ অন-অফ করেনা, যার কারণে ল্যাপটপের আয়ুষ্কাল খুব দ্রুতই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। দেখা যায়, কাজ শেষ হয়ে গেলে ল্যাপটপটা সুন্দরমত ভাঁজ করে হয়তো বিছানার পাশে রেখে দিই। জেনে রাখা ভাল, ভাঁজ করামাত্র প্রতিটি ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যায় না, বরং স্লিপ মোডে চলে যায়। ল্যাপটপ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না করে কেবলমাত্র ব্যাটারি সেভিং এর কাজের জন্য স্লিপমোড ব্যবহার করা উচিত। কাজ শেষ হয়ে গেলে পাওয়ার বাটন না চেপে অপারেটিং সিস্টেম থেকে শাট ডাউনের সাহায্যে ল্যাপটপ অফ করা উচিত।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top