★★★*প্রিয় পাঠকবৃন্দ*★★★
***★কালবৈশাখী ঝড়★*** উপন্যাসে ব্যবহৃত সমস্ত নাম, চরিত্র এবং স্থান সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাবে লেখা বাস্তব জগতের সাথে এর কোনো মিল বা অস্তিত্ব নেই।
পরিচিতি পর্ব
মেহেরুন আহসান পেশায় গার্লস স্কুলের প্রেন্সিপাল ৪০ বয়সেও তাকে দেখে কেউ বলতে পারবে না, যে তার এতো বয়স হয়ে গেছে। গায়ের রং ফর্সা হাইট ৫" ৬ ইঞ্চি শরীরের গড়ন একদম স্লিমও না আবার মোটাও না শরীরের কোথাও এখনও মেদ জমে নি। মেহেরুন আহসান সব সময় সিম্পল ভাবে থাকতে পছন্দ করে বেশি সাজগোছ তার একদমই পছন্দ না। সব সময়ই শাড়ী পরতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ঢাকা একটি নামকরা গার্লস স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সহকারী প্রধান ছিলেন মেহেরুন আহসান। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলি করা হলে ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে।ছেলে মাহাদী এবার ১৭ বছরে পদায়ন করলো। চট্টগ্রামের একটি নামকরা কলেজ থেকে এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিবে।মেহেরুন আহসান তার স্বামী ড.কামরুল আহসান বয়স ৫৭ পেশায় একজন রোগতত্ত, রোগ নিয়ন্ত্রণ বিজ্ঞানী তিনি সারাক্ষণ গবেষণার কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকে।ড.কামরুল আহসান ৩থেকে৪মাস পরপর চট্টগ্রামে তাদের কাছে আসে ১ সপ্তাহ জন্য দিয়ে আবার চলে যায়। মেহেরুন আহসান আর তার ছেলে মাহাদী চট্টগ্রামে শহরের অভিজাত একটি এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে গত ১৪ বছর যাবত থাকছে। ছয় তলা বিল্ডিংয়ের তিন তলায় থাকে মেহেরুন আহসান।বিল্ডিংয়ের উপরের ৪,৫,৬ তলার ফ্ল্যাট গুলো মেহেরুন ভাড়া নিয়েছে গরীব অসহায় দরিদ্র পথশিশুদের লেখাপড়া শিখানোর জন্য মেহেরুন আর তার স্কুলের পাস করে বের হওয়া কয়েকজন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রীদের নিয়ে মেহেরুন সপ্তাহে ৪ দিন শিক্ষাদান করে থাকে ।বিল্ডিংয়ের দুই তলায় দুটি ফ্ল্যাট বিল্ডিংয়ের মালিক জয়নাল মন্ডল চৌধুরী তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখেছে।তার বয়স ৬৭ হাইট ৫" ৯ ব্যবসায়িক লোক।তার স্ত্রী শায়লা মন্ডল চৌধুরী বয়স ৪২ হাইট ৫"৭ গায়ের রং ফর্সা কোমরের নিচে পযন্ত চুল পেটে হালকা মেদ জমেছে।বিদেশের মাটিতেও তিনি সব সময় শাড়ীতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করে সাজগোজ তিনি খুব একটা করেন না তিনি এমনিতেই অসাধারণ সুন্দরী।
আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসেবে রয়েছে।তার একমাত্র মেয়ে জিনিয়া বয়স ৩৩ মায়ের একদম ফটোকপি বললে ভুল হবে না সেও সুন্দরী মায়ের থেকে কোনো অংশে কম না, মর্ডান আধুনিক ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে এই ক্ষেতে মায়ের পুরো বিপরীত সে।জয়নাল আর স্ত্রী তাদের মেয়ে আর মেয়ের জামাই এর সাথে আমেরিকাতে থাকে।২ থেকে ৩ বছর পরপর এই বাড়িতে ঘুরতে আসে তারা।বিল্ডিংয়ের দেখাশোনা আর দারোয়ান হিসেবে কালু মিয়া রয়েছে। কালু মিয়া বয়স ৬৫ ঘরে হাইট ৫" ৮ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেখা বোঝার উপায় নাই এতো বয়স তার। কালু মিয়া এতো বয়স হলেও এখনও বিয়ে করনি। কালু মিয়া এতিম এতিমখানা থেকে বড় হয়েছে সে একটা মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া পরও এতিম বলে তাকে বিয়ে করনি এরপর কালু মিয়া জীবনে আর বিয়ে না করার সিন্ধান্ত করে বসে।মেহেরুনের ফ্ল্যাটের সামনে আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে সেই ফ্ল্যাটে গাইনী ডাক্তার ডা.নিরা রহমান বয়স ৩৬ হাইট ৫" ৫ অপরুপ সুন্দরী তিনি ধবধবে সাদা ফর্সা শরীরের কোথাও একফোঁটা মেদ জমতে দেয়নি।তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার মেজর আরমান রহমান বয়স ৫০ হাইট ৬'' ফুট বেশ পেশিবহুল শরীর তার, তারা দুজন এখনও কোনো সন্তান নেননি।
[HIDE]
।মেহেরুন আহসানের বাসার কাজে সাহায্য করার জন্য একজন মেয়ে আসে। বাসার রান্না আর সব পরিস্কার করা ওর দায়িত্ব। স্কুল ছুটি থাকলে অবশ্য মেহেরুন আহসান নিজেই এই কাজগুলো করে থাকে। সকাল সকাল কলিংবেলের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো মেহেরুনের আস্তে আস্তে বেড থেকে ওঠে দরজার দিকে গেল মেহেরুন দরজা খুলে দেখলো রিনিতা এসেছে। বৌদি সকাল সকাল তোমার ঘুমটা ভেঙে ফেলাম আরে না তুই না আসলেও আমি ওঠে পরতাম এখুনি। বেলা করে ঘুমানো বদঅভ্যাস আমার নেই। বৌদি তোমাকে কি চা করে দিবো খাবে। হ্যা কর আমি তক্ষণ ফ্রেশ হয়ে আসি।রিনিতা ঘোষ বয়স ৩০ মেহেরুন আহসানের বাসায় ৪ বছর হলো কাজ করছে। ওর স্বামী তপন ঘোষ ৪১ বছর রিক্সারচালক মদ আর জুয়া এইগুলো নিয়ে পড়ে থাকে সারা দিন সংসার নিয়ে ওর বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই। রিনিতার ৭ বছরের একটা মেয়ে আছে। মেহেরুন আহসান রিনিতার মেয়েকে তার স্কুলে ভতি করে দিয়েছে। মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তা করে রিনিতা আজ লোকের বাড়িতে কাজ করছে। রিনিতা দেখতে খারাপ না বিয়ের আগে অনেক ছেলে ওর পিছে পিছে ঘুরতো। রিনিতা চোখ গুলো অনেক মায়াবী।গায়ের রং ধবধবে সাদা ফর্সা না হলেও শ্যামলা না হাইট ৫" ৪ শরীরে হালকা মেদ জমেছে। রিনিতা বাবা রিনিতাকে পড়াশোনা শিখাতে চেয়েছিল, কিন্তু তপন সাথে প্রেম করে পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করে ক্লাস ৮ থাকতে। রিনিতা চায় না তার মতো তার মেয়ের জীবন হোক। তাই যতো কষ্ট হোক মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সে।চা খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়ছে মেহেরুন আহসান। বৌদি সব ঘরই ঝাড়ু দেওয়া শেষ। শুধু মাহাদী দাদার ঘর টা বাকী আছে মাহাদীকে কি ডাক দিমু না থাক রে, ছেলে টা সারা রাত জেগে পড়াশোনা করছে এখন একটু ঘুমাক। মাহাদীর পড়শোনা নিয়ে মেহেরুনের এখন আর চিন্তা করা লাগে না অবশ্য ছোট থেকে কড়া শাসন রাখতো মেহেরুন স্কুল থেকে কলেজ আজ পযন্ত মাহাদীর ফলাফল অসাধারণ। ঘড়িতে সকাল সাতটা বাজতে চললো। রিনিতা রান্নাঘরে সকালের নাস্তা বানানো শুরু করেছে। মেহেরুন তার রুমে গেল স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হতে। রুম থেকে রেডি হয়ে ডাইনিং টেবিলে বাসলো মেহেরুন রিনিতা তোর কি নাস্তা বানানো শেষ আমি বের হবো এখুনি। হ্যা বৌদি শেষ নিয়ে আসছি। রুটি, আলুভাজি, ডিম পোচ দিল রিনিতা প্লেটে আর দিস না এতো খেতে পারবো না। এইটুকু খাওয়াতে হয় নাকি বৌদি।তুই যাওয়ার আগে মাহাদীকে ডেকে দিস আমি বের হলাম। বিল্ডিং থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিলো মেহেরুন ১৫ মিনিটে স্কুলে পৌঁছে গেল মেহেরুন।
স্কুলে ঢুকে নিজের অফিস রুমে প্রবেশ করল মেহেরুন। চেয়ারে বসতেই দীপ্তি রাণী রুমে ঢুকলো ম্যাডাম আপনার কিছু লাগবে। না এখন কিছু লাগবে না কিছু প্রয়োজন হলে তোমাকে ডাকছি। দীপ্তি রাণী বিশ্বাস বয়স ৩৭ এই স্কুলের আয়া হিসেবে রয়েছে।গায়ের রং শ্যামলা মিষ্টি গোলগাল চেহারার অধিকারী হাইট ৫" ৫ শরীরে মেদও জমেছে শরীরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
[/HIDE]
***★কালবৈশাখী ঝড়★*** উপন্যাসে ব্যবহৃত সমস্ত নাম, চরিত্র এবং স্থান সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাবে লেখা বাস্তব জগতের সাথে এর কোনো মিল বা অস্তিত্ব নেই।
পরিচিতি পর্ব
মেহেরুন আহসান পেশায় গার্লস স্কুলের প্রেন্সিপাল ৪০ বয়সেও তাকে দেখে কেউ বলতে পারবে না, যে তার এতো বয়স হয়ে গেছে। গায়ের রং ফর্সা হাইট ৫" ৬ ইঞ্চি শরীরের গড়ন একদম স্লিমও না আবার মোটাও না শরীরের কোথাও এখনও মেদ জমে নি। মেহেরুন আহসান সব সময় সিম্পল ভাবে থাকতে পছন্দ করে বেশি সাজগোছ তার একদমই পছন্দ না। সব সময়ই শাড়ী পরতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ঢাকা একটি নামকরা গার্লস স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সহকারী প্রধান ছিলেন মেহেরুন আহসান। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলি করা হলে ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে।ছেলে মাহাদী এবার ১৭ বছরে পদায়ন করলো। চট্টগ্রামের একটি নামকরা কলেজ থেকে এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিবে।মেহেরুন আহসান তার স্বামী ড.কামরুল আহসান বয়স ৫৭ পেশায় একজন রোগতত্ত, রোগ নিয়ন্ত্রণ বিজ্ঞানী তিনি সারাক্ষণ গবেষণার কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকে।ড.কামরুল আহসান ৩থেকে৪মাস পরপর চট্টগ্রামে তাদের কাছে আসে ১ সপ্তাহ জন্য দিয়ে আবার চলে যায়। মেহেরুন আহসান আর তার ছেলে মাহাদী চট্টগ্রামে শহরের অভিজাত একটি এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে গত ১৪ বছর যাবত থাকছে। ছয় তলা বিল্ডিংয়ের তিন তলায় থাকে মেহেরুন আহসান।বিল্ডিংয়ের উপরের ৪,৫,৬ তলার ফ্ল্যাট গুলো মেহেরুন ভাড়া নিয়েছে গরীব অসহায় দরিদ্র পথশিশুদের লেখাপড়া শিখানোর জন্য মেহেরুন আর তার স্কুলের পাস করে বের হওয়া কয়েকজন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রীদের নিয়ে মেহেরুন সপ্তাহে ৪ দিন শিক্ষাদান করে থাকে ।বিল্ডিংয়ের দুই তলায় দুটি ফ্ল্যাট বিল্ডিংয়ের মালিক জয়নাল মন্ডল চৌধুরী তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখেছে।তার বয়স ৬৭ হাইট ৫" ৯ ব্যবসায়িক লোক।তার স্ত্রী শায়লা মন্ডল চৌধুরী বয়স ৪২ হাইট ৫"৭ গায়ের রং ফর্সা কোমরের নিচে পযন্ত চুল পেটে হালকা মেদ জমেছে।বিদেশের মাটিতেও তিনি সব সময় শাড়ীতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করে সাজগোজ তিনি খুব একটা করেন না তিনি এমনিতেই অসাধারণ সুন্দরী।
আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসেবে রয়েছে।তার একমাত্র মেয়ে জিনিয়া বয়স ৩৩ মায়ের একদম ফটোকপি বললে ভুল হবে না সেও সুন্দরী মায়ের থেকে কোনো অংশে কম না, মর্ডান আধুনিক ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে এই ক্ষেতে মায়ের পুরো বিপরীত সে।জয়নাল আর স্ত্রী তাদের মেয়ে আর মেয়ের জামাই এর সাথে আমেরিকাতে থাকে।২ থেকে ৩ বছর পরপর এই বাড়িতে ঘুরতে আসে তারা।বিল্ডিংয়ের দেখাশোনা আর দারোয়ান হিসেবে কালু মিয়া রয়েছে। কালু মিয়া বয়স ৬৫ ঘরে হাইট ৫" ৮ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেখা বোঝার উপায় নাই এতো বয়স তার। কালু মিয়া এতো বয়স হলেও এখনও বিয়ে করনি। কালু মিয়া এতিম এতিমখানা থেকে বড় হয়েছে সে একটা মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া পরও এতিম বলে তাকে বিয়ে করনি এরপর কালু মিয়া জীবনে আর বিয়ে না করার সিন্ধান্ত করে বসে।মেহেরুনের ফ্ল্যাটের সামনে আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে সেই ফ্ল্যাটে গাইনী ডাক্তার ডা.নিরা রহমান বয়স ৩৬ হাইট ৫" ৫ অপরুপ সুন্দরী তিনি ধবধবে সাদা ফর্সা শরীরের কোথাও একফোঁটা মেদ জমতে দেয়নি।তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার মেজর আরমান রহমান বয়স ৫০ হাইট ৬'' ফুট বেশ পেশিবহুল শরীর তার, তারা দুজন এখনও কোনো সন্তান নেননি।
[HIDE]
।মেহেরুন আহসানের বাসার কাজে সাহায্য করার জন্য একজন মেয়ে আসে। বাসার রান্না আর সব পরিস্কার করা ওর দায়িত্ব। স্কুল ছুটি থাকলে অবশ্য মেহেরুন আহসান নিজেই এই কাজগুলো করে থাকে। সকাল সকাল কলিংবেলের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো মেহেরুনের আস্তে আস্তে বেড থেকে ওঠে দরজার দিকে গেল মেহেরুন দরজা খুলে দেখলো রিনিতা এসেছে। বৌদি সকাল সকাল তোমার ঘুমটা ভেঙে ফেলাম আরে না তুই না আসলেও আমি ওঠে পরতাম এখুনি। বেলা করে ঘুমানো বদঅভ্যাস আমার নেই। বৌদি তোমাকে কি চা করে দিবো খাবে। হ্যা কর আমি তক্ষণ ফ্রেশ হয়ে আসি।রিনিতা ঘোষ বয়স ৩০ মেহেরুন আহসানের বাসায় ৪ বছর হলো কাজ করছে। ওর স্বামী তপন ঘোষ ৪১ বছর রিক্সারচালক মদ আর জুয়া এইগুলো নিয়ে পড়ে থাকে সারা দিন সংসার নিয়ে ওর বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই। রিনিতার ৭ বছরের একটা মেয়ে আছে। মেহেরুন আহসান রিনিতার মেয়েকে তার স্কুলে ভতি করে দিয়েছে। মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তা করে রিনিতা আজ লোকের বাড়িতে কাজ করছে। রিনিতা দেখতে খারাপ না বিয়ের আগে অনেক ছেলে ওর পিছে পিছে ঘুরতো। রিনিতা চোখ গুলো অনেক মায়াবী।গায়ের রং ধবধবে সাদা ফর্সা না হলেও শ্যামলা না হাইট ৫" ৪ শরীরে হালকা মেদ জমেছে। রিনিতা বাবা রিনিতাকে পড়াশোনা শিখাতে চেয়েছিল, কিন্তু তপন সাথে প্রেম করে পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করে ক্লাস ৮ থাকতে। রিনিতা চায় না তার মতো তার মেয়ের জীবন হোক। তাই যতো কষ্ট হোক মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সে।চা খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়ছে মেহেরুন আহসান। বৌদি সব ঘরই ঝাড়ু দেওয়া শেষ। শুধু মাহাদী দাদার ঘর টা বাকী আছে মাহাদীকে কি ডাক দিমু না থাক রে, ছেলে টা সারা রাত জেগে পড়াশোনা করছে এখন একটু ঘুমাক। মাহাদীর পড়শোনা নিয়ে মেহেরুনের এখন আর চিন্তা করা লাগে না অবশ্য ছোট থেকে কড়া শাসন রাখতো মেহেরুন স্কুল থেকে কলেজ আজ পযন্ত মাহাদীর ফলাফল অসাধারণ। ঘড়িতে সকাল সাতটা বাজতে চললো। রিনিতা রান্নাঘরে সকালের নাস্তা বানানো শুরু করেছে। মেহেরুন তার রুমে গেল স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হতে। রুম থেকে রেডি হয়ে ডাইনিং টেবিলে বাসলো মেহেরুন রিনিতা তোর কি নাস্তা বানানো শেষ আমি বের হবো এখুনি। হ্যা বৌদি শেষ নিয়ে আসছি। রুটি, আলুভাজি, ডিম পোচ দিল রিনিতা প্লেটে আর দিস না এতো খেতে পারবো না। এইটুকু খাওয়াতে হয় নাকি বৌদি।তুই যাওয়ার আগে মাহাদীকে ডেকে দিস আমি বের হলাম। বিল্ডিং থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিলো মেহেরুন ১৫ মিনিটে স্কুলে পৌঁছে গেল মেহেরুন।
স্কুলে ঢুকে নিজের অফিস রুমে প্রবেশ করল মেহেরুন। চেয়ারে বসতেই দীপ্তি রাণী রুমে ঢুকলো ম্যাডাম আপনার কিছু লাগবে। না এখন কিছু লাগবে না কিছু প্রয়োজন হলে তোমাকে ডাকছি। দীপ্তি রাণী বিশ্বাস বয়স ৩৭ এই স্কুলের আয়া হিসেবে রয়েছে।গায়ের রং শ্যামলা মিষ্টি গোলগাল চেহারার অধিকারী হাইট ৫" ৫ শরীরে মেদও জমেছে শরীরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
[/HIDE]