এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি ইনানীতে। এখানকার সৈকতে ভাটার সময় প্রবাল পাথর দেখা যায়। এইটুকু ছাড়া কক্সবাজারের অন্য সৈকতাংশের সাথে ইনানীর আর কোনো পার্থক্য নাই। আর দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম থাকে। অবশ্য আগের তুলনায় এখন দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। কোরাল বিচের সামনে থেকে বিচ বাইকে করে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলে দেখা মেলে লাল কাঁকড়ার বিচের।
এখানে অজস্র লাল কাঁকড়া ঘুরে বেরায় সৈকতে। লোকজন এগিয়ে আসার সাড়া পেলেই চোখের নিমিশে ঢুকে পরে নিজেদের তৈরি করা গর্তে। ছবি তোলা খুব দুষ্কর। সুন্দরবনের পুটনির দ্বীপে আমি দেখেছি সর্বাধীক লাল কাঁকড়ার মেলা। এতো লাল কাঁকড়া একসাথে বাংলাদেশের আরো কোথাও দেখা যায় না।
দরদাম করে বিচ বাইকে চেপে বসলাম আমরা। ছুটে চললাম লাল কাঁকরার সৈকতে। ভাড়া দিতে হয়েছিলো সম্ভবতো ২০০ টাকা। সৈকতের মাঝে মাঝেই জল জমে আছে। কোথাও কোথাও সৈকতে উঁচু-নিচু ঢেউয়ের মতো হয়ে আছে ভাটার টানে জলের সাথে বালি সরে যাওয়ায়। সেগুলি পাশকাটিয়ে এঁকেবেঁকে চলতে চলতে পৌঁছে যাই লাল কাঁকড়ার আস্তানায়। কিছুক্ষণ ওদের খেলা দেখা হলো।
আরো কিছুটা এগিয়ে গেলে আছে অনেকটা যায়গা জুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা। এখান থেকেই ইউ টার্ন নিয়ে ফিরতি পথ ধরে বাইক গুলি। আমরা এখানে নেমে বেশ কিছু ছবি তুললাম। সাবধানে প্রবাল পাথরের উপর দিয়ে হাঁটাহাটি করলাম। প্রবাল পাথর গুলি প্রচন্ড ধারালো হয়। বেকায়দায় লাগলেই কেটে যাবে। সেই সাথে এগুলি বেশ পিচ্ছিল হয়। সারাটা জীবন জলের তলে থাকতে থাকতে তাদের এই হাল। শুকনো পাথরে পা দিলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। ভিজে পাথরে পা দিলেই পিছলে যাবার ভয় থাকে। আর একবার পিছলে পরলে অন্য পাথরের সাথে ঘষা লেগে আঁঘাত পাওয়ার সম্ভবনা ষোলআনা।