পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সশরীরই হয়তো বর্ষাকে বরণ করা যেত। কিন্তু এখন তো করোনাকাল। তাই বলে কি আবাহন বন্ধ থাকবে? অনলাইনেই তাই বর্ষাবন্দনার আয়োজন করেছে ফেসবুক পেজ ‘আমার গান’। আষাঢ়স্য চতুর্থ দিবস, ১৮ জুন বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ‘আজি ভরা বাদরে’ নামের সেই অনুষ্ঠানেই আবৃত্তিকার হিসেবে হাজির হবেন জয়া আহসান।
বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকের এত দিন শুধু তাঁর অভিনয় দেখার সুযোগ হয়েছে। বিচিত্র সব চরিত্র করে দুই বাংলার দর্শকের প্রিয় এক মুখ জয়া আহসান। ডিজিটাল বর্ষা উৎসবে এবার তাঁকে আবৃত্তিকার হিসেবে দেখা যাবে।
আজ দুপুরে জয়া আহসানের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হলো, ‘আজ পর্যন্ত কোনো অনুষ্ঠানে আমার কবিতা পড়া হয়নি। সকালেই কবিতাটি নিজের মতো করে পড়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। উচ্চ স্বরে, নাটকীয়ভাবে আবৃত্তির চেয়ে নিজ থেকে নিজের মতো করে কবিতা পড়া আমাকে টানে বেশি। আওয়াজ করে কবিতা পড়া আমার বেশি পছন্দ না। তারপরও এবার আমি পড়লাম, আমার মতো করে। যেহেতু বর্ষার অনুষ্ঠান, তাই আল মাহমুদের “আষাঢ়ের রাত্রে” পড়লাম।’
প্রিয় কবির নাম জানতে চাইলে জয়া আহসান বললেন, ‘অবশ্যই আল মাহমুদ। জীবনানন্দ দাশও বেশ ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে, প্রিয় কবি অনেকেই। এর মধ্যে শঙ্খ ঘোষ, জয় গোস্বামী, পাবলো নেরুদার কথা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে বেশি।’
১৮ জুন রাত আটটায় ‘আমার গান’ ফেসবুক পেজ থেকে ‘আজি ভরা বাদরে’ শিরোনামের অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে। আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, গানে-কথায়, নৃত্যে-কবিতায় মেতে উঠবে দুই বাংলা। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘সৃজন’ ও ‘এসপিসি ক্র্যাফট’। অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনয়শিল্পী ও আবৃত্তিকার সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় মনে করেন, ‘ঋতু উৎসব আমাদের দেশের সংস্কৃতির এক আনন্দময় নির্যাস।’
ডিজিটাল এই উৎসবে সাড়া দিয়েছেন দুই বাংলার অনেক বিশিষ্ট শিল্পী। বাংলাদেশের শামা রহমান ও লাইসা আহমেদ লিসার কণ্ঠে শোনা যাবে রবীন্দ্রনাথের গান। জয়া আহসান ছাড়া কবিতা শোনাবেন বাংলাদেশের শিমুল মুস্তাফাও।
কলকাতা থেকে গানে অংশ নিচ্ছেন শ্রাবণী সেন, জয়তী চক্রবর্তী, অদিতি গুপ্ত, মাধবী দত্ত, সুচন্দা ঘোষ প্রমুখ। বিশিষ্ট কবি শ্রীজাত, পশ্চিমবঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পাওলি দামের অংশগ্রহণও রয়েছে এই অনুষ্ঠানে।