[HIDE]
মাহমুদ সুলতান সাংঘাতিক ধরনেই লজ্জিত হয়ে পরে। ফৌজিয়া বিথী তাকে সহজ করে তুলার জন্যেই খিল খিল হাসিতে বলে, খুব লজ্জা করছে, তাই না? আসলে বিয়ে আর সেক্স এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। যখন আমরা বলি সেক্স, তখন তার অর্থ হয় দুটি নর নারীর দৈহিক মিলন। আর যখন বলি বিয়ে, তখন তার অর্থ হয় সামাজিক ভাবে দুটি নর নারীর দৈহিক মিলনের অনুমতি দেয়া। কি, ভুল বললাম?
মাহমুদ সুলতান খানিকটা সহজ হয়। তারপর বলে, জী না ম্যাডাম। আপনি ঠিকই বলেছেন।
ফৌজিয়া বিথী মুচকি হেসেই বললো, তো, কখনো সেক্স করেছেন?
মাহমুদ সুলতান এর চেহারাটা লজ্জায় খানিক লালচে হয়ে উঠে। ফৌজিয়া বিথীর আপাদ মস্তকও একবার দেখে। তারপর বলে, জী না ম্যাডাম। আমাদের রক্ষণশীল পরিবার।
ফৌজিয়া বিথী বললো, কিছু মনে করবেন না, কখনো সেক্স করতে ইচ্ছেও হয়নি?
মাহমুদ সুলতান বললো, না মানে, জী মানে, একবার একটা ইংলিশ ফিল্ম দেখার পর, খুবই ইচ্ছে হয়েছিলো।
ফৌজিয়া বিথী চোখ কপালে তুলে বললো, ইংলিশ ফিল্ম দেখে?
মাহমুদ সুলতান ইতস্ততঃ করেই বললো, না মানে, ওই ফিল্মে নায়িকা খানিকক্ষণের জন্যে নগ্ন ছিলো। জীবনে প্রথম মেয়েদের নগ্ন দেহ দেখেছিলাম বলে।
মাহমুদ খানিকটা থেমে দোহাই দেয়ার সুরে বললো, প্লীজ, এটা টি, ভি, তে প্রচার করবেন না। আমার ফ্যামিলীর কেউ জানলে কি না কি ভাববে!
ফৌজিয়া বিথী বিড় বিড় করেই বললো, জীবনে প্রথম মেয়েদের নগ্ন দেহ দেখা।
তারপর উঁচু গলাতেই বললো, তারপর কার নগ্ন দেহ দেখলেন?
মাহমুদ সুলতান বললো, ছি, ছি! কি যে বলেন! আমি ওরকম কোন ছেলেই না!
ফৌজিয়া বিথী অবাক গলায় বললো, তার মানে আপনার নিজ মা কিংবা বোনদের নগ্ন দেহও দেখেন নি?
মাহমুদ সুলতান বললো, জী, বলেছি না, আমাদের রক্ষণশীল পরিবার!
ফৌজিয়া বিথীর মনে হঠাৎ কোথায় যেনো খানিকটা খটকা লাগে। তারপরও, মিষ্টি হাসিটা ঠোটে রেখে জিজ্ঞাসা করলো, তার মানে গত বছর আপনি কিংবা আপনাদের পরিবার জাতীয় নগ্ন দিবসটা পালন করেন নি?
মাহমুদ সুলতান খানিকটা অপ্রস্তুত গলায় বললো, না মানে?
ফৌজিয়া বিথী ক্যামেরার দিকেই মুখ করে। সাদা দাঁতের মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিয়েই বলতে থাকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে, সুপ্রিয় দর্শক বৃন্দ, পাওয়া গেছে। আমি কথা বলছিলাম মাহমুদ সুলতান নাম এর এক সদ্র চাকুরীপ্রাপ্ত যুবক এর সাথে। দুই ভাই পাঁচ বোন সহ নয় জন সদস্যের একটি পরিবার। অথচ, তার ভাষ্য মতে সে কখনো তার মা কিংবা বোনদের নগ্ন দেহ দেখেনি। তার অর্থ এই হয় যে, গত বছর এই পরিবারটি জাতীয় নগ্ন দিবসটিকে এড়িয়ে গিয়েছিলো। আমি দৃষ্টি আকর্ষন করছি তরুন বুদ্ধীজীবী, বর্তমান সরকার এর তোখোর আই, বি, রিজভী রহমান এর। আপনি কি এই পরিবারটির কথা জানেন?
রিজভী হঠাৎই টি, ভি, পর্দার সামনে থেকে উঠে দাঁড়ায়। কোন কিছু না ভেবেই ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়।
খর রোদে দীর্ঘ একটা সাক্ষাৎকার নিয়ে ফৌজিয়া বিথীও যেনো খানিকটা ক্লান্ত হয়ে পরে। তারপরও ঠোট থেকে মিষ্টি হাসিটা সরে না। এসিষ্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে লক্ষ্য করে মিষ্টি হাসিতেই বলে, এবার কাট করুন। একটু বিশ্রাম নেবো।
এ, ডি, কাট বলতেই, ক্যামেরার সাটারও থামে। ফৌজিয়া বিথী এগুতে থাকে গাছতলাটার দিকে। এ, ডি, স্নেহ ভরা গলাতেই বলতে থাকে, ওয়েল ডান! আফটার অল ফৌজিয়া বিথী, অল রাউণ্ডার! শুধু সুন্দরীই নও, কথার প্যাচও ভালো জানো। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। যথেষ্ট হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে এতটুকুই চলবে। সেই সাথে রিজভী রহমান এরও টনক নড়বে। আমাদের অনুষ্ঠানেই খুব গর্ব করে বলেছিলো, সব কিছু আমার হাতে ছেড়ে দিন। এবারের জাতীয় নগ্ন দিবসে একটি পরিবারও জাতীয় নগ্ন দিবস এড়িয়ে যেতে পারবে না। রিজভী রহমান যদি তোমার এই শেষ কথাগুলো শুনে, তাহলে সে আর ঘরে বসে থাকার কথা না।
গাছতলায় দাঁড়িয়ে ফৌজিয়া বিথীও গর্বিত হাসি হাসে।
তোখোর বুদ্ধিজীবী আই, বি, রিজভী রহমান তার অত্যাধুনিক মটর বাইকটা নিয়ে পন্খীরাজ এর মতোই ছুটে চলে। রিজভী রহমান এর চোখ শকুন এর মতো। তার চোখকে কোন কিছুই ফাঁকি দিতে পারে না। টি, ভি, তে আশ পাশের দৃশ্য দেখেই অনুমান করে ফেলেছে দৃশ্যটা কোথাকার ছিলো। যে এলাকাটায় দৃশ্যটা নেয়া হয়েছিলো, সেটা সম্ভবতঃ কাছাকাছি বিজয় উদ্যান এর সামনেই। সে তার মটর বাইকটা ছুটালো সেদিকেই। আর ভাবতে থাকলো, অসম্ভব একটা কঠিন যুদ্ধের কথা। রক্ষণশীল পরিবার, এরা মচকায় তারপরও ভাঙে না। নাহ, রক্তপাত এর যুদ্ধ নয়, বুদ্ধির যুদ্ধেই জয় করতে হবে এমন একটি পরিবারকে।
সাই সাই করে ছুটতে থাকে রিজভী রহমান এর বাইক। হ্যালমেটের আঁড়ালে চেহারা দেখা যায় না। তারপরও বুঝা যায় কে ছুটছে। রিজভী রহমান হ্যালমেটের আঁড়ালেই বিড় বিড় করে আপন মনেই বললো, ধন্যবাদ বিথী, আই লাইক ইউ।
তারপর, আরো স্পীড নিয়ে ছুটাতে থাকে বাইকটা। বিজয় উদ্যান এর পাশ দিয়েই ছুটে চলে। হঠাৎই চোখ পরে গাছতলায়, ফৌজিয়া বিথী!
কষিয়ে ব্রেইক চাপে রিজভী রহমান। তারপর, বাইকটা পিছিয়ে আনে বিজয় উদ্যান এর গাছতলাটার দিকেই। হাঁটু গেড়ে বসে থাকা ফৌজিয়া বিথী রিজভীকে দেখে অবাকই হয়। ফৌজিয়া বিথীকে সামনা সামনি দেখে অনেকেরই বোবা বনে যাবার উপক্রম হয়। সেদিন রিজভী রহমানকেও সামনা সামনি দেখে ফৌজিয়া বিথীরও বোকা বনে যাবার উপক্রম হয়।
খানিকটা স্থির চোখেই তাঁকিয়ে থাকে সে রিজভী রহমান এর দিকে। তারপর বলে, আপনি?
রিজভী রহমান মাথার উপর থেকে হ্যালমেটটা সরিয়ে বললো, তোমার সাহায্য খুব দরকার।
তারপর, খানিকটা আমতা আমতা করেই বললো, স্যরি, তুমি বলে ডেকে ফেললাম।
ফৌজিয়া বিথী অবাক হয়েই বললো, আমি সে কথা ভাবছি না। আপনি এই অল্প সময়ে লোকেশন এর খোঁজ পেলেন কি করে?
রিজভী রহমান খানিক গম্ভীর গলাতেই বললো, সেটা জানা কি খুব জরুরী?
ফৌজিয়া বিথী মুচকি হেসেই বললো, না রিজভী ভাই, খুব বেশী জরুরী না। এমনিতেই কৌতুহল। ঠিক আছে বলুন, কি সাহায্য করতে পারি আপনাকে।
রিজভী রহমান বললো, তুমি যে লোকটার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলে, লোকটা এদিকেই গেছে। আমি তাকে খোঁজে বেড় করবো। তুমিও আমার সাথে যাবে।
ফৌজিয়া বিথী আহলাদী গলাতেই বললো, স্যরি রিজভী ভাই, আমার লাইভ প্রোগ্রাম। খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। অন্ততঃ আরো দুটা সাক্ষাৎকার নিতে হবে। প্রোডাকশনের সবাই অপেক্ষা করছে।
রিজভী রহমান বাইকে স্টার্ট দিয়ে বললো, ওকে ঠিক আছে!
এই বলে আবারো হাতের হ্যালমেটটা মাথায় চাপালো।
এ, ডি, ফারুক আলম কি ভাবলো বুঝা গেলো না। তার বাইকের সামনে পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে বললো, ম্যাডাম সাহায্য না করলেও, আমি করবো।
[/HIDE]
মাহমুদ সুলতান সাংঘাতিক ধরনেই লজ্জিত হয়ে পরে। ফৌজিয়া বিথী তাকে সহজ করে তুলার জন্যেই খিল খিল হাসিতে বলে, খুব লজ্জা করছে, তাই না? আসলে বিয়ে আর সেক্স এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। যখন আমরা বলি সেক্স, তখন তার অর্থ হয় দুটি নর নারীর দৈহিক মিলন। আর যখন বলি বিয়ে, তখন তার অর্থ হয় সামাজিক ভাবে দুটি নর নারীর দৈহিক মিলনের অনুমতি দেয়া। কি, ভুল বললাম?
মাহমুদ সুলতান খানিকটা সহজ হয়। তারপর বলে, জী না ম্যাডাম। আপনি ঠিকই বলেছেন।
ফৌজিয়া বিথী মুচকি হেসেই বললো, তো, কখনো সেক্স করেছেন?
মাহমুদ সুলতান এর চেহারাটা লজ্জায় খানিক লালচে হয়ে উঠে। ফৌজিয়া বিথীর আপাদ মস্তকও একবার দেখে। তারপর বলে, জী না ম্যাডাম। আমাদের রক্ষণশীল পরিবার।
ফৌজিয়া বিথী বললো, কিছু মনে করবেন না, কখনো সেক্স করতে ইচ্ছেও হয়নি?
মাহমুদ সুলতান বললো, না মানে, জী মানে, একবার একটা ইংলিশ ফিল্ম দেখার পর, খুবই ইচ্ছে হয়েছিলো।
ফৌজিয়া বিথী চোখ কপালে তুলে বললো, ইংলিশ ফিল্ম দেখে?
মাহমুদ সুলতান ইতস্ততঃ করেই বললো, না মানে, ওই ফিল্মে নায়িকা খানিকক্ষণের জন্যে নগ্ন ছিলো। জীবনে প্রথম মেয়েদের নগ্ন দেহ দেখেছিলাম বলে।
মাহমুদ খানিকটা থেমে দোহাই দেয়ার সুরে বললো, প্লীজ, এটা টি, ভি, তে প্রচার করবেন না। আমার ফ্যামিলীর কেউ জানলে কি না কি ভাববে!
ফৌজিয়া বিথী বিড় বিড় করেই বললো, জীবনে প্রথম মেয়েদের নগ্ন দেহ দেখা।
তারপর উঁচু গলাতেই বললো, তারপর কার নগ্ন দেহ দেখলেন?
মাহমুদ সুলতান বললো, ছি, ছি! কি যে বলেন! আমি ওরকম কোন ছেলেই না!
ফৌজিয়া বিথী অবাক গলায় বললো, তার মানে আপনার নিজ মা কিংবা বোনদের নগ্ন দেহও দেখেন নি?
মাহমুদ সুলতান বললো, জী, বলেছি না, আমাদের রক্ষণশীল পরিবার!
ফৌজিয়া বিথীর মনে হঠাৎ কোথায় যেনো খানিকটা খটকা লাগে। তারপরও, মিষ্টি হাসিটা ঠোটে রেখে জিজ্ঞাসা করলো, তার মানে গত বছর আপনি কিংবা আপনাদের পরিবার জাতীয় নগ্ন দিবসটা পালন করেন নি?
মাহমুদ সুলতান খানিকটা অপ্রস্তুত গলায় বললো, না মানে?
ফৌজিয়া বিথী ক্যামেরার দিকেই মুখ করে। সাদা দাঁতের মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিয়েই বলতে থাকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে, সুপ্রিয় দর্শক বৃন্দ, পাওয়া গেছে। আমি কথা বলছিলাম মাহমুদ সুলতান নাম এর এক সদ্র চাকুরীপ্রাপ্ত যুবক এর সাথে। দুই ভাই পাঁচ বোন সহ নয় জন সদস্যের একটি পরিবার। অথচ, তার ভাষ্য মতে সে কখনো তার মা কিংবা বোনদের নগ্ন দেহ দেখেনি। তার অর্থ এই হয় যে, গত বছর এই পরিবারটি জাতীয় নগ্ন দিবসটিকে এড়িয়ে গিয়েছিলো। আমি দৃষ্টি আকর্ষন করছি তরুন বুদ্ধীজীবী, বর্তমান সরকার এর তোখোর আই, বি, রিজভী রহমান এর। আপনি কি এই পরিবারটির কথা জানেন?
রিজভী হঠাৎই টি, ভি, পর্দার সামনে থেকে উঠে দাঁড়ায়। কোন কিছু না ভেবেই ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়।
খর রোদে দীর্ঘ একটা সাক্ষাৎকার নিয়ে ফৌজিয়া বিথীও যেনো খানিকটা ক্লান্ত হয়ে পরে। তারপরও ঠোট থেকে মিষ্টি হাসিটা সরে না। এসিষ্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে লক্ষ্য করে মিষ্টি হাসিতেই বলে, এবার কাট করুন। একটু বিশ্রাম নেবো।
এ, ডি, কাট বলতেই, ক্যামেরার সাটারও থামে। ফৌজিয়া বিথী এগুতে থাকে গাছতলাটার দিকে। এ, ডি, স্নেহ ভরা গলাতেই বলতে থাকে, ওয়েল ডান! আফটার অল ফৌজিয়া বিথী, অল রাউণ্ডার! শুধু সুন্দরীই নও, কথার প্যাচও ভালো জানো। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। যথেষ্ট হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে এতটুকুই চলবে। সেই সাথে রিজভী রহমান এরও টনক নড়বে। আমাদের অনুষ্ঠানেই খুব গর্ব করে বলেছিলো, সব কিছু আমার হাতে ছেড়ে দিন। এবারের জাতীয় নগ্ন দিবসে একটি পরিবারও জাতীয় নগ্ন দিবস এড়িয়ে যেতে পারবে না। রিজভী রহমান যদি তোমার এই শেষ কথাগুলো শুনে, তাহলে সে আর ঘরে বসে থাকার কথা না।
গাছতলায় দাঁড়িয়ে ফৌজিয়া বিথীও গর্বিত হাসি হাসে।
তোখোর বুদ্ধিজীবী আই, বি, রিজভী রহমান তার অত্যাধুনিক মটর বাইকটা নিয়ে পন্খীরাজ এর মতোই ছুটে চলে। রিজভী রহমান এর চোখ শকুন এর মতো। তার চোখকে কোন কিছুই ফাঁকি দিতে পারে না। টি, ভি, তে আশ পাশের দৃশ্য দেখেই অনুমান করে ফেলেছে দৃশ্যটা কোথাকার ছিলো। যে এলাকাটায় দৃশ্যটা নেয়া হয়েছিলো, সেটা সম্ভবতঃ কাছাকাছি বিজয় উদ্যান এর সামনেই। সে তার মটর বাইকটা ছুটালো সেদিকেই। আর ভাবতে থাকলো, অসম্ভব একটা কঠিন যুদ্ধের কথা। রক্ষণশীল পরিবার, এরা মচকায় তারপরও ভাঙে না। নাহ, রক্তপাত এর যুদ্ধ নয়, বুদ্ধির যুদ্ধেই জয় করতে হবে এমন একটি পরিবারকে।
সাই সাই করে ছুটতে থাকে রিজভী রহমান এর বাইক। হ্যালমেটের আঁড়ালে চেহারা দেখা যায় না। তারপরও বুঝা যায় কে ছুটছে। রিজভী রহমান হ্যালমেটের আঁড়ালেই বিড় বিড় করে আপন মনেই বললো, ধন্যবাদ বিথী, আই লাইক ইউ।
তারপর, আরো স্পীড নিয়ে ছুটাতে থাকে বাইকটা। বিজয় উদ্যান এর পাশ দিয়েই ছুটে চলে। হঠাৎই চোখ পরে গাছতলায়, ফৌজিয়া বিথী!
কষিয়ে ব্রেইক চাপে রিজভী রহমান। তারপর, বাইকটা পিছিয়ে আনে বিজয় উদ্যান এর গাছতলাটার দিকেই। হাঁটু গেড়ে বসে থাকা ফৌজিয়া বিথী রিজভীকে দেখে অবাকই হয়। ফৌজিয়া বিথীকে সামনা সামনি দেখে অনেকেরই বোবা বনে যাবার উপক্রম হয়। সেদিন রিজভী রহমানকেও সামনা সামনি দেখে ফৌজিয়া বিথীরও বোকা বনে যাবার উপক্রম হয়।
খানিকটা স্থির চোখেই তাঁকিয়ে থাকে সে রিজভী রহমান এর দিকে। তারপর বলে, আপনি?
রিজভী রহমান মাথার উপর থেকে হ্যালমেটটা সরিয়ে বললো, তোমার সাহায্য খুব দরকার।
তারপর, খানিকটা আমতা আমতা করেই বললো, স্যরি, তুমি বলে ডেকে ফেললাম।
ফৌজিয়া বিথী অবাক হয়েই বললো, আমি সে কথা ভাবছি না। আপনি এই অল্প সময়ে লোকেশন এর খোঁজ পেলেন কি করে?
রিজভী রহমান খানিক গম্ভীর গলাতেই বললো, সেটা জানা কি খুব জরুরী?
ফৌজিয়া বিথী মুচকি হেসেই বললো, না রিজভী ভাই, খুব বেশী জরুরী না। এমনিতেই কৌতুহল। ঠিক আছে বলুন, কি সাহায্য করতে পারি আপনাকে।
রিজভী রহমান বললো, তুমি যে লোকটার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলে, লোকটা এদিকেই গেছে। আমি তাকে খোঁজে বেড় করবো। তুমিও আমার সাথে যাবে।
ফৌজিয়া বিথী আহলাদী গলাতেই বললো, স্যরি রিজভী ভাই, আমার লাইভ প্রোগ্রাম। খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। অন্ততঃ আরো দুটা সাক্ষাৎকার নিতে হবে। প্রোডাকশনের সবাই অপেক্ষা করছে।
রিজভী রহমান বাইকে স্টার্ট দিয়ে বললো, ওকে ঠিক আছে!
এই বলে আবারো হাতের হ্যালমেটটা মাথায় চাপালো।
এ, ডি, ফারুক আলম কি ভাবলো বুঝা গেলো না। তার বাইকের সামনে পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে বললো, ম্যাডাম সাহায্য না করলেও, আমি করবো।
[/HIDE]