What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ইংরেজী ও আরবী (2 Viewers)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,620
Messages
122,690
Credits
314,291
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
ইংরেজী ও আরবী

সেদিন ইংরেজী ক্লাসে স্যার সানিকে জিজ্ঞেস করলেন,
স্যারঃ সানি, বলো তো "ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেলো " এর ইংরেজী কি হবে ?
সানি সটান দাঁড়িয়ে সোজা বলে উঠলো,
সানিঃ এটার ইংরেজী কি হবে সেটা পারিনা, স্যার। তবে আরবীটা পারি।
স্যারঃ আরবীটা পারো ? ঠিক আছে, তবে আরবীটাই বলো।
সানিঃ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...
 
আমি ন্যুডলস পড়ি না ।

অনেক চেস্টা করেও মর্মার্থ বের করতে পারলাম না, মামা।
খুবই দুঃখিত...
 
ডাক্তারের হার্ট এটাক


ডাঃ এলদো রুবার্টস একজন উঁচু মানের কার্ডিওলজিস্ট। ইউরোপে বিশেষ করে নেদারল্যান্ডে ওনার চেয়ে বড় কোনো কার্ডিও সার্জন নেই। ওনি ওখানকার এপোলো হাসপাতালে চাকরি করেন। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে অবস্থিত এপোলো হাসপাতালের কিছু ভিআইপি মেম্বাররা কর্তৃপক্ষের কাছে আনুরোধ করে আসছিলো যেনো এলদো রবার্টসকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওনি যদি কিছুদিন বাংলাদেশে অবস্থান করেন তবে বাংলাদেশের ভিআইপিদের পাশাপাশি অন্য সাধারনরাও ওনার চিকিৎসা সেবা পেয়ে বেশ উপকৃত হতে পারবে। মেম্বারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অবশেষে কর্তৃপক্ষ সেই ডাক্তারকে খুবই অল্প দিনের জন্য বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। আসার পর থেকেই ওনি যথারিতি কাজে লেগে যান আর একটানা ওনি এক সপ্তাহ অস্ত্রোপচারে ব্যস্ত থাকেন। সপ্তাহ খানেক পর ওনি একদিনের জন্য ছুটি নেন। ছুটির দিনে ওনি ঢাকা শহরটাকে ঘুরে দেখবেন বলে মনঃস্থির করেন। সেই মতে সকাল বেলাতেই ওনি শুধু ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে বেড়িয়ে পরেন। প্রায় সারাদিন ঢাকার এদিক সেদিক ঘুরে দেখার পর বিকেলের দিকে গুলিস্থান এলাকায় এসে পোঁছান। তখন বেশ জ্যাম পড়েছিলো ঐ এলাকায়। ওনি জ্যামের মাঝে গাড়িতে বসে না থেকে এলাকাটা একটু হেটে দেখবেন বলে ড্রাইভারকে সামনে এগিয়ে কোনো একটা জায়গায় গাড়ি রাখার পরামর্শ দেন, আর নিজে গাড়ি থেকে নেমে ফুটপাথ ধরে হাটতে থাকেন। ড্রাইভার একটু সামনেই একটা ফাঁকা জায়গা দেখে গাড়ি পার্ক করে ডাক্তার এলদোর অপেক্ষা করতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও ডাক্তার ফিরে না আসায় ড্রাইভার খুব চিন্তায় পড়ে যায়। এতোক্ষনে তো ডাক্তার সাহেব চলে আসার কথা ! এখনো আসছে না কেনো ? ঘটনা কি, দেখার জন্য ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে যেখানে ডাক্তার সাহেবকে নামিয়ে দিয়ে এসেছিলো সেদিকে হাটতে থাকে। একটু যাবার পরই একটা জটলা দেখে ড্রাইভার সেই জটলায় মাথা ঢুকিয়ে দেখে ডাক্তার এলদো ফুটপাথের একটা বইয়ের দোকানের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। ওনার হাতে তখনো একটা বই ধরা। কি হয়েছে, কিভাবে হয়েছে জানতে চাইলে ফুটপাথের সেই বই বিক্রেতা জানায়,
বই বিক্রেতাঃ আমি কিছুই কইতে পারুম না। আমার কাছ থাইক্যা ওনার হাতের বইটা নিয়া পড়া শুরু করতেই দেহি ওনি মাথা ঘুরাইয়া পইড়া যাইতেছেন। আর এখন তো দেখতেছেনই ওনি অজ্ঞান হইয়া গ্যাছেন...
ড্রাইভার সবার সহযোগিতা নিয়ে ডাক্তার এলদোকে গাড়িতে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখনো ডাক্তারের হাতে বইটি ধরা ছিলো। হাসপাতালে আসার পর অন্যান্য ডাক্তাররা ওনার হাত থেকে বইটা নিয়ে দেখেন ওটার কভারে লেখা আছে...

"ডাক্তার হন মাত্র ২৫ দিনে "
 


দূর হ হতভাগা !


ইদানিং পাখির যেনো কি হয়েছে। কথায় কথায় সে শুধু রেগে যায়। শুরুটা হয়েছিলো বৌয়ের সাথে রাগারাগির মাধ্যমে। এমনিতে বৌয়ের সাথে পাখির খুব ভালো সম্পর্ক। তাদের মাঝে কখনো ঝগড়া হতে কেউ দেখেনি। সারাটা সময়ই দুজনাতে কপোত কপোতির মতো খুনসুটিতে মেতে থাকতো আর ক্ষনে ক্ষনে ফিক ফিক করে হাসতো। হঠাতই এক চাঁদনী রাতে কপোত কপোতি ছাদে বসে আড্ডা দেয়ার ফাঁকে পাখির ভিতরের কাব্যিক রূপ প্রকাশ পেতে থাকে। চাঁদনী নিয়ে পাখি কবিতার পর কবিতা রচনা করে চলে। একসময় ভুলেই যায়, তার পাশে আসল চাঁদনী বসে আছে। বৌ যখন পাখিকে ধরে স্মরণ করিয়ে দিতে যায় যে সে পাশে আছে, তখনি প্রথম পাখি ক্ষেপে যায়। পাখির এই ক্ষ্যাপাতে পাখির বৌ তেমন কিছু মনে করে না। ভেবে নেয়, পাখির কাব্যিক মনে যখন ছন্দের ঢেউ উঠেছিলো তখন সে ঢেউ প্রশমন করে দেয়াতে পাখি কিছুটা ক্ষেপেছে। এটা হতেই পারে। মানুষের কাব্য প্রীতি তো আর সব সময় জেগে উঠে না। পাখির তখন উঠেছিলো আর তার নিজের কারনে সেটি প্রশমিত হয়ে যাওয়াতে পাখি ক্ষেপেছে।
ব্যাপারটা এপর্যন্ত থাকলে মিটেই যেতো। কিন্তু পাখির যেনো কি হয়েছে, তারপর থেকে পাখির সেই মেজাজ খারাপ দিন দিন শুধু বেড়েই চলছে। বৌ থেকে শুরু হলেও সেটি আস্তে আস্তে পরিবারের সবার উপরই পাখি প্রয়োগ করতে শুরু করলো। আস্তে আস্তে সেটি বন্ধু-বান্ধব থেকে আশেপাশের সবার উপরই প্রয়োগ করা শুরু করলো। এমনকি কাছের বন্ধু-বান্ধবরাও এর থেকে রেহাই পেলো না।
অবশেষে পরিবারের সবাই পাখির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পরামর্শ করে পাখিকে পাবনা মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলো। সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরদিনই পাখিকে পাবনা নিয়ে যাওয়া হলো। পাখিকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়ার পর ডাক্তার পাখির পরিবার আর বন্ধুদের জানিয়ে দিলেন, মাসে একবার যে কেউ একজন এসে পাখিকে দেখে যেতে পারবে এর বেশি দেখা-সাক্ষাত করা যাবে না। পাখির পরিবার থেকে দেখা সাক্ষাতের জন্য অপুকে দায়ীত্ব দেয়া হলো। সে পাখির খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে প্রতি মাসে একবার করে পাখিকে দেখে যাবে আর তার অসূস্থ্যতার উন্নতি-অবনতি পরিবারকে জানাবে।
কথা মতো একমাস পর অপু পাখিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে দেখে পাখি দিব্যি তার বেডে শুয়ে আছে। অপু কাছে যেয়ে পাখিকে খুব কোমল স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
অপুঃ পাখি, এখন কেমন আছিস ?
পাখিঃ ভালো আছি। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা !
অপুর মনটা ভেঙ্গে গেলো। সে পাখির বাড়িতে এসে জানালো, পাখির অবস্থার অবনতি হয়েছে। সে এখন রাগ প্রকাশের জন্য নতুন শব্দ প্রয়োগ করছে। এখন কথায় কথায় সে বলে। "দূর হয়ে যা, হতভাগা !"
যাই হউক, রুটিন মতো আরো একমাস পর অপু আবার পাখিকে দেখতে গেলো। গিয়েই পাখিকে জিজ্ঞেস করলো,
অপুঃ কেমন আছিস, পাখি ?
পাখিঃ আগের থেকে অনেক ভালো আছিরে... এখন এখান থেকে দূর হয়ে যা হতভাগা !
অপুর মনটা আবারো খারাপ হয়ে গেলো। তার প্রিয় দোস্তের অসূস্থ্যতাটা কিছুতেই কাটছে না...
পরের মাসে যথারীতি পাখিকে দেখতে আবারো অপু হাসপাতালে গেলো। গিয়ে আগের মতো পাখিকে জিজ্ঞেস করলো,
অপুঃ এখন কেমন আছিস পাখি ?
পাখিঃ খুব ভালো আছি। তুই কেমন আছিস ? বাড়ির সবাই কেমন আছে ?
পাখির কথায় অপু উচ্ছসিত হয়ে উঠে। এইতো তার প্রানের বন্ধু ভালো হয়ে গেছে। এখন একেবারেই সে তার সাথে রাগারাগি করছে না। মনে মনে ভাবে, ব্যাপারটা তো তাহলে ডাক্তারকে জানাতে হয়...
সেই ভেবে অপু ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো,
অপুঃ বাহ্‌ ! আপনারা তো আমার বন্ধুকে একেবারে সুস্থ্য করে তুলেছেন। সে এখন পুরোপুরি ভালো হয়ে গেছে। কি করে করলেন ডাক্তার সাহেব ?
ডাক্তারঃ ভালো হলেই ভালো। এখন এখান থেকে দূর হয়ে যা হতভাগা...
 
ছোঁয়াচে রোগ। বেচারা ডাক্তার।
এবার ওনাকে ঠিক করবে কে🤔
 
ছোঁয়াচে রোগ। বেচারা ডাক্তার।
এবার ওনাকে ঠিক করবে কে🤔

এই দায়ীত্বটাও মনে হয় অপু মামাকেই নিতে হবে...
 
খাইসে, ডাক্তারের নিজেরই তো রোগ ধইরা গেলো।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top