ঈদরাতের খাবারের আয়োজনটা সাধারণত একটু ভারী থাকে। তবে এবার যেহেতু গরম থাকবে, তাই খাবারটা হতে হবে এমন, যেন খেয়ে হাঁসফাঁস না লাগে। রেসিপি দিয়েছেন মাস্টারশেফ সনদ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রন্ধনশিল্পী নাজিম খান।
তরমুজ ও আনারের মকটেইল
উপকরণ: তরমুজ (টুকরা করে নেওয়া) ৩ কাপ, আনারদানা আধা কাপ, চিনির শিরা আধা কাপ, পানি ১ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, লেবুর মিহি করা খোসা ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা (মিহি কুচি), চিনি স্বাদমতো।
প্রণালি: আনার, পানি, লেবুর রস (২ টেবিল চামচের সামান্য কম) এবং লেবুর মিহি করা খোসা ব্লেন্ড করে নিন। এতে তরমুজ ও চিনির শিরা যোগ করে আবার ব্লেন্ড করে নিন। এবার ছেঁকে নিতে হবে। পরিবেশন গ্লাসের প্রান্তে (রিমে) সামান্য লেবুর রস লাগিয়ে নিন ব্রাশের সাহায্যে। পুদিনাপাতা ও চিনির মিশ্রণ তৈরি করে নিন। গ্লাসটা উল্টো করে ধরলে লেবুর রস লাগানো অংশে মিশ্রণটা লেগে যাবে। ছেঁকে রাখা মকটেইল এবার ঢেলে নিন এই গ্লাসেম।
মুরগির চাপ
উপকরণ: মুরগির মাংস ১২ টুকরা (হাড় ছাড়া পা এবং থাইয়ের অংশ), দই ১ কাপ, পেঁয়াজ ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২টি, আদা-রসুনবাটা ৩ টেবিল চামচ, আস্ত শর্ষে পিষে নেওয়া দেড় টেবিল চামচ, লবণ ২ চা-চামচ, লেবু ১টি (রস ও মিহি করা খোসা), মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ২ চা-চামচ, গরমমসলা ২ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, কালো গোলমরিচ ১ চা-চামচ, জায়ফল সিকি চা-চামচ, কর্নস্টার্চ ৪ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি মরিচ ১ চা-চামচ।
প্রণালি: পেঁয়াজ, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ বেটে বা পেস্ট করে পিউরি তৈরি করে রাখুন। মুরগি পরিষ্কার করার পর এমনভাবে থেঁতলে নিন, যাতে মাংসের পুরুত্ব সমান থাকে। সব মসলা একটি পাত্রে নিয়ে একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। এরপর দই ও পিউরি যোগ করুন। এবার এই মিশ্রণ মাংসে মেখে নিন ভালোভাবে। এক ঘণ্টা পর ডুবোতেলে ভেজে জাফরান পোলাওর সঙ্গে পরিবেশন করুন।
কোফতা কারি
কোফতার উপকরণ: গরুর মাংসের কিমা ২ পাউন্ড, আদা-রসুনবাটা ৩ টেবিল চামচ, জায়ফল সিকি চা-চামচ, দই ৪ টেবিল চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ২ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ২ চা-চামচ, লবণ ২ চা-চামচ, কর্নস্টার্চ ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, ধনেপাতাকুচি সিকি কাপ, পুদিনাপাতাকুচি সিকি কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা সিকি কাপ, তেল (ভাজার জন্য)।
কোফতা প্রণালি: ফুড প্রসেসরে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। চামচের সাহায্যে পছন্দমতো আকারের কোফতা স্কুপ করে নিন। কোফতাগুলো ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর হালকাভাবে ভেজে এক পাশে রেখে দিন।
কারির উপকরণ: টুকরা করা পেঁয়াজ ১ কাপ, ভেজিটেবল অয়েল আধা কাপ, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল সিকি চা-চামচ, আদা-রসুনবাটা ৩ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ২ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ২ চা-চামচ (চাইলে সামান্য গোটা গরমমসলা যোগ করতে পারেন), টমেটো (টুকরা করা) আধা কাপ, টমেটো বাটা বা পেস্ট ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, পানি ৩ কাপ।
কোফতা কারি প্রণালি: অগভীর পাত্রে তেল নিন। তাতে পেঁয়াজ ভেজে নিন ২-৩ মিনিট। এরপর আদা-রসুনবাটা দিন (গোটা গরমমসলা দিতে চাইলে এখন যোগ করুন)। এরপর বাকি সব মসলা দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন (নিচের দিকে ধরে এলে সামান্য পানি দিতে হবে)। টুকরা করা এবং পেস্ট করে রাখা টমেটো যোগ করে বাকি পানিটুকু দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না হতে দিন। এরপর কোফতা যোগ করে ঢেকে দিন। কোফতা চামচ দিয়ে নাড়া যাবে না, বরং পাত্রটা দুই পাশ থেকে ধরে আস্তে আস্তে নাড়াতে হবে। ৫ মিনিট পর নামিয়ে নিন।
ইয়াজদি কেক
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, ডিম ৪টি, চিনি দেড় কাপ, মাখন (গলিয়ে নেওয়া) দেড় কাপ, টক দই (ঐচ্ছিক) ১ কাপ, এলাচিগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলাপজল ৪ টেবিল চামচ, কাঠবাদাম (কুচি) আধা কাপ, পেস্তাবাদাম (কুচি) আধা কাপ, তিলের বীজ ২ টেবিল চামচ। উপকরণ ঘরের তাপমাত্রায় থাকতে হবে।
প্রণালি: ডিম ও চিনি মিক্সচারের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ক্রিমের মতো ঘনত্ব আসা পর্যন্ত কাজটা করতে হবে। এরপর মেশাতে হবে গলিয়ে নেওয়া মাখন, দই, এলাচিগুঁড়া ও গোলাপজল। এরপর ময়দা, বেকিং পাউডার, কুচি করে রাখা বাদামগুলোর অর্ধেক অংশ যোগ করতে হবে। বেকিং পাত্র গ্রিজ করে নিয়ে এই কেকের মিশ্রণ ঢেলে বাকি বাদামকুচি এবং তিলের বীজ দিয়ে দিন। ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বেক করতে হবে ২৫ মিনিট।
টোস্টের ওপর ধনেপাতা পেস্তো মুরগির সালাদ
পেস্তো তৈরির উপকরণ: কাজুবাদাম ১ কাপ, ধনেপাতা ১ কাপ, এক্সট্রা ভার্জিন জলপাই তেল ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, কালো গোলমরিচ ১ চা-চামচ। চাইলে অন্যান্য বাদামও ব্যবহার করতে পারেন। ইতালীয়রা পেস্তোতে বেসিল এবং পাইন নাট ব্যবহার করেন।
পেস্তো প্রণালি: সব উপকরণ ফুড প্রসেসরে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
মুরগির সালাদ তৈরির উপকরণ: ধনেপাতা পেস্তো আধা কাপ, রান্না করা মুরগির টুকরা ২ কাপ, টুকরা করা সেলেরি আধা কাপ, লাল পেঁয়াজ সিকি কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, অর্ধেকটা লেবুর খোসা, লবণ ও মরিচ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ স্বাদমতো (ঐচ্ছিক)।
মুরগির সালাদ প্রণালি: সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে আরেকটু লেবুর রস, লবণ ও মরিচ যোগ করতে পারেন।
শেষ ধাপে: ফ্রেঞ্চব্রেড কেটে এতে মাখন ও পেস্তো ব্রাশ করে নিয়ে প্যানে টোস্ট করতে হবে। ঠান্ডা হয়ে এলে চিকেন সালাদ যোগ করুন। হয়ে গেল ওপেন ফেইসড স্যান্ডউইচ।
চিলি ব্রকলি
উপকরণ: টুকরা করে কাটা ব্রকলি ১ কেজি, টুকরা করা পেঁয়াজ ১ কাপ, গাজরকুচি সিকি কাপ, চিলি ফ্লেকস সিকি টেবিল চামচ, গোটা জিরা ১ চা–চামচ, কর্নস্টার্চ ১ টেবিল চামচ, তিলের তেল ২ টেবিল চামচ, আদা-রসুন ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, মধু দেড় টেবিল চামচ, সয়া সস ২ টেবিল চামচ, তিল ১ টেবিল চামচ, অর্ধেকটা লেবুর রস, ১ টুকরা লেবুর মিহি খোসা, মুলার ছোট টুকরা ৬টি, পানি আধা কাপ, ধনেপাতাকুচি সিকি কাপ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: পানি ফুটে উঠলে লবণ দিয়ে ব্রকলি ছেড়ে দিন। এক মিনিট পর নামিয়ে সাবধানে ব্রকলি ছেঁকে নিন। এরপর ঠান্ডা হওয়ার জন্য বরফপানিতে রেখে দিন। একটি পাত্রে সয়া সস, তিলের তেল, লেবুর রস ও খোসা, পানি ও কর্নস্টার্চ মিশিয়ে নিন। একটি প্যানে তেল নিয়ে খুব ভালোভাবে গরম করুন। এতে পেঁয়াজ হালকাভাবে ভেজে নিয়ে জিরা ও আদা-রসুন দিন। একটু পানি দিলে নিচের দিকে ধরে আসবে না। এরপর ড্রেসিংটা ঢেলে ১ মিনিট রান্না করলে দেখা যাবে ঘন একটা সস তৈরি হয়েছে। পানি ঝরানো ব্রকলি ঢেলে দিন। একটু রান্না হয়ে এলেই গাজর ও মুলা দিন। ভেজে নেওয়া তিল এবং ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন। বেশিক্ষণ রান্না করলে ব্রকলি হলুদ হয়ে যাবে। সব রান্নার শেষে এই পদ রান্না করতে পারেন।
তরমুজ ও আনারের মকটেইল
উপকরণ: তরমুজ (টুকরা করে নেওয়া) ৩ কাপ, আনারদানা আধা কাপ, চিনির শিরা আধা কাপ, পানি ১ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, লেবুর মিহি করা খোসা ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা (মিহি কুচি), চিনি স্বাদমতো।
প্রণালি: আনার, পানি, লেবুর রস (২ টেবিল চামচের সামান্য কম) এবং লেবুর মিহি করা খোসা ব্লেন্ড করে নিন। এতে তরমুজ ও চিনির শিরা যোগ করে আবার ব্লেন্ড করে নিন। এবার ছেঁকে নিতে হবে। পরিবেশন গ্লাসের প্রান্তে (রিমে) সামান্য লেবুর রস লাগিয়ে নিন ব্রাশের সাহায্যে। পুদিনাপাতা ও চিনির মিশ্রণ তৈরি করে নিন। গ্লাসটা উল্টো করে ধরলে লেবুর রস লাগানো অংশে মিশ্রণটা লেগে যাবে। ছেঁকে রাখা মকটেইল এবার ঢেলে নিন এই গ্লাসেম।
মুরগির চাপ
উপকরণ: মুরগির মাংস ১২ টুকরা (হাড় ছাড়া পা এবং থাইয়ের অংশ), দই ১ কাপ, পেঁয়াজ ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২টি, আদা-রসুনবাটা ৩ টেবিল চামচ, আস্ত শর্ষে পিষে নেওয়া দেড় টেবিল চামচ, লবণ ২ চা-চামচ, লেবু ১টি (রস ও মিহি করা খোসা), মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ২ চা-চামচ, গরমমসলা ২ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, কালো গোলমরিচ ১ চা-চামচ, জায়ফল সিকি চা-চামচ, কর্নস্টার্চ ৪ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি মরিচ ১ চা-চামচ।
প্রণালি: পেঁয়াজ, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ বেটে বা পেস্ট করে পিউরি তৈরি করে রাখুন। মুরগি পরিষ্কার করার পর এমনভাবে থেঁতলে নিন, যাতে মাংসের পুরুত্ব সমান থাকে। সব মসলা একটি পাত্রে নিয়ে একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। এরপর দই ও পিউরি যোগ করুন। এবার এই মিশ্রণ মাংসে মেখে নিন ভালোভাবে। এক ঘণ্টা পর ডুবোতেলে ভেজে জাফরান পোলাওর সঙ্গে পরিবেশন করুন।
কোফতা কারি
কোফতার উপকরণ: গরুর মাংসের কিমা ২ পাউন্ড, আদা-রসুনবাটা ৩ টেবিল চামচ, জায়ফল সিকি চা-চামচ, দই ৪ টেবিল চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ২ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ২ চা-চামচ, লবণ ২ চা-চামচ, কর্নস্টার্চ ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, ধনেপাতাকুচি সিকি কাপ, পুদিনাপাতাকুচি সিকি কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা সিকি কাপ, তেল (ভাজার জন্য)।
কোফতা প্রণালি: ফুড প্রসেসরে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। চামচের সাহায্যে পছন্দমতো আকারের কোফতা স্কুপ করে নিন। কোফতাগুলো ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর হালকাভাবে ভেজে এক পাশে রেখে দিন।
কারির উপকরণ: টুকরা করা পেঁয়াজ ১ কাপ, ভেজিটেবল অয়েল আধা কাপ, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল সিকি চা-চামচ, আদা-রসুনবাটা ৩ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ২ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ২ চা-চামচ (চাইলে সামান্য গোটা গরমমসলা যোগ করতে পারেন), টমেটো (টুকরা করা) আধা কাপ, টমেটো বাটা বা পেস্ট ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, পানি ৩ কাপ।
কোফতা কারি প্রণালি: অগভীর পাত্রে তেল নিন। তাতে পেঁয়াজ ভেজে নিন ২-৩ মিনিট। এরপর আদা-রসুনবাটা দিন (গোটা গরমমসলা দিতে চাইলে এখন যোগ করুন)। এরপর বাকি সব মসলা দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন (নিচের দিকে ধরে এলে সামান্য পানি দিতে হবে)। টুকরা করা এবং পেস্ট করে রাখা টমেটো যোগ করে বাকি পানিটুকু দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না হতে দিন। এরপর কোফতা যোগ করে ঢেকে দিন। কোফতা চামচ দিয়ে নাড়া যাবে না, বরং পাত্রটা দুই পাশ থেকে ধরে আস্তে আস্তে নাড়াতে হবে। ৫ মিনিট পর নামিয়ে নিন।
ইয়াজদি কেক
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, ডিম ৪টি, চিনি দেড় কাপ, মাখন (গলিয়ে নেওয়া) দেড় কাপ, টক দই (ঐচ্ছিক) ১ কাপ, এলাচিগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলাপজল ৪ টেবিল চামচ, কাঠবাদাম (কুচি) আধা কাপ, পেস্তাবাদাম (কুচি) আধা কাপ, তিলের বীজ ২ টেবিল চামচ। উপকরণ ঘরের তাপমাত্রায় থাকতে হবে।
প্রণালি: ডিম ও চিনি মিক্সচারের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ক্রিমের মতো ঘনত্ব আসা পর্যন্ত কাজটা করতে হবে। এরপর মেশাতে হবে গলিয়ে নেওয়া মাখন, দই, এলাচিগুঁড়া ও গোলাপজল। এরপর ময়দা, বেকিং পাউডার, কুচি করে রাখা বাদামগুলোর অর্ধেক অংশ যোগ করতে হবে। বেকিং পাত্র গ্রিজ করে নিয়ে এই কেকের মিশ্রণ ঢেলে বাকি বাদামকুচি এবং তিলের বীজ দিয়ে দিন। ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বেক করতে হবে ২৫ মিনিট।
টোস্টের ওপর ধনেপাতা পেস্তো মুরগির সালাদ
পেস্তো তৈরির উপকরণ: কাজুবাদাম ১ কাপ, ধনেপাতা ১ কাপ, এক্সট্রা ভার্জিন জলপাই তেল ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, কালো গোলমরিচ ১ চা-চামচ। চাইলে অন্যান্য বাদামও ব্যবহার করতে পারেন। ইতালীয়রা পেস্তোতে বেসিল এবং পাইন নাট ব্যবহার করেন।
পেস্তো প্রণালি: সব উপকরণ ফুড প্রসেসরে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
মুরগির সালাদ তৈরির উপকরণ: ধনেপাতা পেস্তো আধা কাপ, রান্না করা মুরগির টুকরা ২ কাপ, টুকরা করা সেলেরি আধা কাপ, লাল পেঁয়াজ সিকি কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, অর্ধেকটা লেবুর খোসা, লবণ ও মরিচ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ স্বাদমতো (ঐচ্ছিক)।
মুরগির সালাদ প্রণালি: সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে আরেকটু লেবুর রস, লবণ ও মরিচ যোগ করতে পারেন।
শেষ ধাপে: ফ্রেঞ্চব্রেড কেটে এতে মাখন ও পেস্তো ব্রাশ করে নিয়ে প্যানে টোস্ট করতে হবে। ঠান্ডা হয়ে এলে চিকেন সালাদ যোগ করুন। হয়ে গেল ওপেন ফেইসড স্যান্ডউইচ।
চিলি ব্রকলি
উপকরণ: টুকরা করে কাটা ব্রকলি ১ কেজি, টুকরা করা পেঁয়াজ ১ কাপ, গাজরকুচি সিকি কাপ, চিলি ফ্লেকস সিকি টেবিল চামচ, গোটা জিরা ১ চা–চামচ, কর্নস্টার্চ ১ টেবিল চামচ, তিলের তেল ২ টেবিল চামচ, আদা-রসুন ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, মধু দেড় টেবিল চামচ, সয়া সস ২ টেবিল চামচ, তিল ১ টেবিল চামচ, অর্ধেকটা লেবুর রস, ১ টুকরা লেবুর মিহি খোসা, মুলার ছোট টুকরা ৬টি, পানি আধা কাপ, ধনেপাতাকুচি সিকি কাপ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: পানি ফুটে উঠলে লবণ দিয়ে ব্রকলি ছেড়ে দিন। এক মিনিট পর নামিয়ে সাবধানে ব্রকলি ছেঁকে নিন। এরপর ঠান্ডা হওয়ার জন্য বরফপানিতে রেখে দিন। একটি পাত্রে সয়া সস, তিলের তেল, লেবুর রস ও খোসা, পানি ও কর্নস্টার্চ মিশিয়ে নিন। একটি প্যানে তেল নিয়ে খুব ভালোভাবে গরম করুন। এতে পেঁয়াজ হালকাভাবে ভেজে নিয়ে জিরা ও আদা-রসুন দিন। একটু পানি দিলে নিচের দিকে ধরে আসবে না। এরপর ড্রেসিংটা ঢেলে ১ মিনিট রান্না করলে দেখা যাবে ঘন একটা সস তৈরি হয়েছে। পানি ঝরানো ব্রকলি ঢেলে দিন। একটু রান্না হয়ে এলেই গাজর ও মুলা দিন। ভেজে নেওয়া তিল এবং ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন। বেশিক্ষণ রান্না করলে ব্রকলি হলুদ হয়ে যাবে। সব রান্নার শেষে এই পদ রান্না করতে পারেন।