What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

হাত ঘড়ির খোঁজ ! (2 Viewers)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,618
Messages
122,368
Credits
312,018
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
হাত ঘড়ির খোঁজ !


ক'দিন আগে ডাঃ জিসানের গ্রুপ মানে ইয়ং ডাক্তারদের গ্রুপ মিলে একটা সফল অস্ত্রপচার সম্পন্ন করলো। এতে সিনিয়র ডাক্তাররা তাদেরকে ডেকে নিয়ে খুব প্রশংসা করলেন। ডাক্তার জিসানকে তো তার স্যার পিঠ চাপড়ে বেশ উৎসাহ দিলেন। বললেন, জিসান তার মান আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা অপারেশনটাতে গ্রুপের সবাই অংশগ্রহণ করলেও মূল অপারেশনের দায়ীত্বে জিসানই ছিলো। স্যার ঐদিন জিসানকে পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানালেও জিসানের মনটা কোনো একটা কারনে বেশ খারাপ ছিলো। কারনটা শুধু সে জানে। কারনটা হলো অপারেশনের দিন থেকে তার প্রিয় আর দামী একটা ঘড়ি পাচ্ছে না। তার স্পস্ট মনে আছে, অপারেশন থিয়েটারে ঢুকার পরও তার হাতে সেই ঘড়িটা ছিলো। কিন্তু অপারেশনের পর থেকে আর খুঁজে পাচ্ছে না। সহপাঠিদের কাউকে ওভাবে জিজ্ঞেসও করতে পারছে না। যদি তারা ব্যাপারটা খারাপভাবে নেয়...
এই ঘটনার কিছুদিন পর অপারেশনের সেই রুগীর সাথে জিসানের দেখা হয়ে গেলো। তাকে দেখেই জিসান বেশ উচ্ছসিত হয়ে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
ডাঃ জিসানঃ আরে আপনি ! কেমন আছেন ? এখন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো ?
রুগীঃ না, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে হয়েছে কি, নিঃশ্বাস নেয়ার সময় আর ছাড়ার সময় বুকের ভিতরটায় টিক টিক শব্দ করে...
জিসানঃ (বেশ আনন্দের সাথে ) তাইতো বলি, আমার এতো দামী হাতঘড়িটা কোথায় গেলো ? এখন তার খোঁজ পাওয়া গেছে... !
 
আসলেই দারুন ছিলো,চালিয়ে যান।
সাপোর্ট দেয়ার জন্য আমরা আছি
 
আসলেই দারুন ছিলো,চালিয়ে যান।
সাপোর্ট দেয়ার জন্য আমরা আছি

চমৎকার রিপ্লাইয়ের জন্য মামাকে অনেক ধন্যবাদ !
 
মজার ছিলো। "কামবাকত ইস্ক" সিনেমাতে এমন একটা ঘটনা দেখেছিলাম।
 
ঢাকা কেনো ?


পাখির সেই চাচাকে আবারো ডাক্তার জিসানের কাছে নিয়ে আসা হয়েছে। ক'দিন যাবতই চাচাকে এক কথা বললে তিনি তার অন্য মানে করেন। এই কারনে ওনার সামনে কেউ ভালো কথা বলেও নিস্তার পায় না। ওনি সেই ভালো কথাতে কোনো না কোনো একটা নেগেটিভ মানে খুঁজে বের করবেনই। এমতাবস্থায় চাচাকে ডাক্তার না দেখিয়ে আর পারা গেলো না।
জিসান চাচাকে দেখে, চাচার সাথে কথা বলে পাখিকে জিসানের কাছে ডেকে আস্তে আস্তে বললো,
জিসানঃ পাখি, আমি যেটুকু দেখলাম তাতে চাচার তেমন কিছু হয়নি। বয়স বেড়ে যাওয়াতে বার্ধ্যক্যজনীত কিছু ভীমরতী টাইপের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা বয়স হলে অনেকেরই হয়ে থাকে। আমি কিছু ওষুধ লিখে দিচ্ছি, অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি সারবে বলে মনে হয় না।
পাখির সাথে কথা বলে জিসান চাচাকে বললো,
জিসানঃ আমি আপনার ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছি। ঠিকভাবে ওষুধগুলো খাবেন, আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।
আর আরেকটি কথা, আপনি আপনার খাবার সব সময় ঢাকা রাখবেন।
এটুকু বলতেই চাচা খেপে উঠলেন। চাচা এবার বেশ চেচিয়েই বলে উঠলেন,
চাচাঃ কেনো ? আমার সব খাবার ঢাকা রাখতে হবে কেনো ? ঢাকা তো অনেক দূর ! খুলনা রাখলে কি চলবে না ?
আমি থাকি খুলনায় আর আমার সব খাবার থাকবে ঢকায়, তা কি করে হয় ? !!
 
মজার ছিলো। "কামবাকত ইস্ক" সিনেমাতে এমন একটা ঘটনা দেখেছিলাম।

চমৎকার রিপ্লাইয়ের জন্য মামাকে অনেক ধন্যবাদ !
 
চশমার সাহায্যে পড়া

গতো দুদিন যাবত গ্রাম থেকে দীপুর চাচা এসেছে দীপুদের বাসায়। কিছুদিন যাবতই ওনার চোখের সমস্যাটা খুব বেড়েছে। আগে দূরের কোনো কিছু দেখলে অস্পস্ট লাগতো। কিন্তু ইদানিং দূরের তো বটেই এমনকি কাছের জিনিষও ওনি ভালো দেখতে পাচ্ছেন না। ওনার ভাষায় সব কিছু খোয়া খোয়া লাগে। এদিকে দীপুরও অফিসে বেশ চাপ যাচ্ছে বলে সময় মতো চাচাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত ডাঃ জিসানের কাছেই আপাতত নিয়ে যাবার প্ল্যান করলো। বন্ধু মানুষ, রাতে হলেও তাকে দেখিয়ে নিয়ে আসা যাবে। যদিও জিসান চোখের ডাক্তার নয়, তথাপিও তার কাছে নিয়ে গেলে অন্তত ভালো একটা পরামর্শ তো পাওয়া যাবে ! সেই ভেবে দীপু অফিস থেকে ফিরেই চাচাকে নিয়ে ডাঃ জিসানের চেম্বারে গেলো।
জিসান চাচাকে দেখে জিসানের পেছনে ঝুলানো একটা ক্যালেন্ডারে অঙ্গুলি নির্দেশ করে জিজ্ঞেস করলো,
জিসানঃ এখানে কি লেখা আছে, চাচা ?
চাচা চোখ কুচকে বেশ মনোযোগ দিয়ে লেখাটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর ঘার একবার ডান দিকে কাৎ করলেন আবার বাম দিকে। শরীরটা বেশ কিছুটা সামনে এগিয়ে নিয়ে এসে আবারো চেস্টা করে বললেন,
চাচাঃ না, ডাক্তার সাব, কিছুই পড়তে পারছি না। সব কিমুন জানি খোয়া খোয়া লাগতেছে...
জিসান এতেই যা বুঝার বুঝে গেলো। দীপুকে উদ্দেশ্য করে জিসান বললো,
জিসানঃ চাচার চশমা লাগবে। চশমা দিলে ওনি সব কিছু ঠিকভাবে দেখতে পাবেন আর তখন এই ক্যালেন্ডার না শুধু সব কিছুই পড়তে পারবেন।
জিসানের কথায় চাচা খুব খুশী হয়ে গেলেন। তৎক্ষনাত চাচা জিসানকে প্রশ্ন করলেন,
চাচাঃ ডাক্তার সাব, আপনে বলছেন চশমা দিলে আমি পড়তে পারবো ? !!
জিসানঃ নিশ্চয়ই ! এই বিষয়ে সন্দেহ কি ?
চাচাঃ তাহলে ভালোই হবে। এতোদিন তো আমি পড়তে জানতাম না । চশমার সাহায্যে এবার যদি পড়তে পারি...
 
বেশ উপভোগ করার মতো ছিল লেখাটি | চশমা চাচার একটি লাগবেই
 

Users who are viewing this thread

Back
Top