৫।
পরদিন সকালে মায়ের যখন ঘুম ভাঙল তখন সবে সূর্যের লালাভ ভাব আকাশে দেখা দিতে শুরু করেছে। মা জলদি জলদি নাস্তা খেয়ে প্রস্তুত হতে লাগল। আজ তারা নতুন একটা ঘর তৈরী করবে। সিদ্ধান্তটা মায়ের। আসলে লিয়াফের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ। গতরাতে লিয়াফ যা বলে তাতে মা প্রথমে চমকে উঠে, পরে লজ্জিত হয় আর শেষে অপমানিত হয়ে রেগে যায় আর ফলাফল লিয়াফের গালে তিনটা চড়। লিয়াফ কি বলেছিলো? লিয়াফ বলেছিলো
আসলে আমি আর কোন উপায় না দেখে এই কথাটা বলছি। আমি জানি আর কোনদিনই আমি এই দ্বীপ থেকে বের হতে পারবো না। পারবি কি? ঢাকার রাস্তায় আমরা চাইলেও কোনদিন যেতে পারবো না। আর এখানে থাকলে কি হবে তা আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে পারি : আমরা দুইজনই মারা যাবো। কিন্তু আমার পয়েন্ট তা নয়। আমার কথা হলো তার আগে কি হবে? আমরা এই দ্বীপে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করব আর সংগ্রাম করবো। হয়তো দ্বীপের ঔদিকে যাবো, কিন্তু আমার মনে হয় না কিছু পাবো সেখানে। তাহলে জিজ্ঞাসা করবে কি বলতে চাচ্ছি আসলে? আসল কথা হলো আজ হোক কাল হোক আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের সামনে কাপড় ছাড়াই থাকতে হবে। আমরা টিকবো দশ বছর কিন্তু কাপড় তো টিকবে না। তাই আমার প্রস্তাব কাল থেকেই আমরা দুজনেই ন্যাংটা থাকতে শুরু করি।
মা জানে লিয়াফ ভুল বলেনি। কিন্তু সে ঠিকও বলেনি। তার সব যুক্তি ঠিক হতে পারে কিন্তু হাজার হোক সে তো লিয়াফের মা! ঘটনা যেদিকে বয়ে যেতে চাইছে সেদিকে গড়াতে দেওয়া যেতে পারে না। তাই লিয়াফকে স্পষ্ট বলে দিয়েছে সে আলাদা ঘরে থাকবে। আর গতরাতে লিয়াফের গালে দেওয়া চড়গুলো নিয়েও তার কোন অনুশোচনা হচ্ছে না।
সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরই লিয়াফ বুঝল সে গতরাতে বড্ড বেশী বলে ফেলেছে। আসলে ও কিভাবে যে কথাগুলো বলেছে তা সে নিজেও জানে না। কিন্তু বুঝল মায়ের কাছে অবশ্যই তাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কুঁড়ে থেকে বের হয়ে মাকে কোথাও দেখতে না পেরে লিয়াফ খানিকটা চিন্তিত হলো। কিন্তু কতগুলো গাছের ছাল ও পাতা রোদে ছড়ানো দেখে বুঝল মা নতুন ঘর তৈরীর জন্য সত্যিই সিরিয়াস। ওর খাওয়া শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কুঁড়ের বাইরে সাড়া শুনে বাইরে বের হয়। বাইরে বের হয়েই পুরো শক্ড হয়ে যায় লিয়াফ। ওর হার্টবিট বেড়ে যায় সহসায়। ওর গা যেন আচমকা গরম হতে থাকে। ওর সামনে ওর মা, টকটকে লাল একটা ব্লাউজ পড়নে। একটা সবুজ ছায়া মায়ের লজ্জাস্থান আর লিয়াফের দৃষ্টির মধ্যকার বাধা। ব্লাউজের নিচ থেকে লিয়াফের দৃষ্টি মায়ের নাভীর দিকে এসে থামল। মা সামান্য মোটা তাই তার নাভীটা লিয়াফের কাজে বড় বেশী সুগভীর মনে হচ্ছে।
লিয়াফকে দেখেই মায়ের ষষ্ঠইন্দ্রীয় সজাগ হয়ে যায়। লিয়াফের দৃষ্টি দেখে বিস্মিত হয় অবিশ্বাসে। একি আমার আপন ছেলের দৃষ্টি? আপন মনেই নিজেকে প্রশ্ন করেন মা। এ দৃষ্টি যে কাম মেশানো তা তিনি স্পষ্টত বুঝতে পারেন। হঠাৎ ছেলের দৃষ্টি তার নাভীর দিকে যাচ্ছে দেখে তিনি সবেগে দুহাত দিয়ে নিজের দুধবর্ণের উন্মুক্ত পেট ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। লক্ষ্য করলেন লিয়াফ তার দিকে এগিয়ে আসছে। মনে মনে আতঙ্কিত না হয়ে পারলেন না তিনি। তবে কি শেষ পর্যন্ত নিজ সন্তানের হাতে......? চিন্তাটা শেষ না করার সাথে সাথেই লিয়াফ তার পাশে এসে দৃষ্টি নত করে ফেলল। অবাক হলেন তিনি। লিয়াফ তখন বলছে
কাল রাতের ঘটনার জন্য আমাকে মাফ করে দাও মা।
লিয়াফের কন্ঠে সহজ ক্ষমা প্রার্থনা শুনে মা মনে মনে বুঝলেন তার লিয়াফ এখনও হারিয়ে যায়নি। কিন্তু তিনি কি বলবে তা বুঝতে পারলো না। যদি এখন কোন বেফাঁস কিছু মুখ থেকে বের হয় তবে এর পরিনাম মারাত্মক হতে পারে। তিনি বললেন
মন থেকে বলছিস তো?
লিয়াফ মুখ তুলে মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ল।