দুইজন ফেসবুক বন্ধু দেখা করতে এসেছে। এটা তাদের প্রথম দেখা। তখনো তারা ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করে যাচ্ছে।
আপনি কোথায়? তমা জিজ্ঞেস করে।
ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে। অনিকেত উত্তর দেয়।
আচ্ছা কেউ ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে দেখা করে। এটা কোন জায়গা হল? চিনবো কিভাবে? কি কালারের শার্ট পড়েছেন।
সাদা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড তার উপর নানা রঙের ডিজাইন।
কেমন?
কাক শার্টের উপর হাগু করলে একটা ডিজাইন হয় দেখেছেন কখনো?
কি বলছেন?
হুম; আমার শার্ট দেখলে মনে হবে অনেকগুলো কাক মিলে হাগু করেছে। কাকদের গণ-টয়লেট যাকে বলে। তবে শার্ট কিন্তু স্যান্সব্যারি ব্র্যান্ডের। নিউমার্কেট ভার্সন।
আপনি না পাগল!
অনিকেতের সামনে তমা এসে দাড়ায়। আপনি কি অনিকেত?
অনিকেত একটা দাঁত কেলানো হাসি দেয়।
জী।
ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারের সাথেতো কোন মিল নাই। প্রোফাইল পিকচারে দেখেতো মনে হচ্ছিল কলেজ গোয়িং বয়, এখনতো মনে হচ্ছে এক পা কবরে। কিভাবে আপনি অনিকেত হন?
অনিকেত আবার দাঁত কেলানো হাসি দেয়। এই জন্যইতো আপনাকে ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে আসতে বলেছি।
মানে কি?
একটু কষ্ট করে সিঁড়ি বেয়ে গুণে গুণে সাত ধাপ উপরে উঠেন। তারপর আমার দিকে তাকান। দেখুনতো ফেসবুক চেহারার সাথে মিল খুঁজে পান কিনা?
তমা গুণে গুণে সাত ধাপ উপরে গিয়ে নীচের দিকে তাকায়।
পাচ্ছেন কোন মিল? অনিকেত জিজ্ঞেস করে।
হুম, এইবার কিছুটা মিল পাচ্ছি।
আসলে মোবাইল ক্যামেরাতে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি তোলা যায়। আমার সবচাইতে ভালো ছবি উঠে উপর থেকে তুললে। আমি জানতাম আপনি এসে এই প্রশ্নই করবেন। তাই ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে আসতে বলেছি। যেন আপনি এঙ্গেল মিলিয়ে প্রোফাইল পিকচারের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন।
এটা কিছু হইলো!!!
যাক আমারটা তো গেলো কিন্তু আপনার চেহারাও তো ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারের সাথে মিলে না। ফেসবুকে দেখেতো মনে হয়েছিল জিসম-টু এর সানি লিওন। সামনা সামনিতো মায়ানমারের আং সান সুচি।
আমি রাস্তা পার হচ্ছি আপনি পাশ থেকে দেখে মিলিয়ে নিয়েন।
অনিকেত খুশী হয়; সবই এঙ্গেলের খেলা।
তমা রাস্তা পার হয়ে হাঁটা দেয়।
পেছন থেকে অনিকেত তমাকে ডাকতে থাকে, মিলছে মিলছে; এইবার ফিরে আসুন।
কিন্তু তমা ফিরে তাকায় না।
ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠায়; আং সান সুচির পক্ষে নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে প্রেম করা সম্ভব না।
আপনি কোথায়? তমা জিজ্ঞেস করে।
ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে। অনিকেত উত্তর দেয়।
আচ্ছা কেউ ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে দেখা করে। এটা কোন জায়গা হল? চিনবো কিভাবে? কি কালারের শার্ট পড়েছেন।
সাদা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড তার উপর নানা রঙের ডিজাইন।
কেমন?
কাক শার্টের উপর হাগু করলে একটা ডিজাইন হয় দেখেছেন কখনো?
কি বলছেন?
হুম; আমার শার্ট দেখলে মনে হবে অনেকগুলো কাক মিলে হাগু করেছে। কাকদের গণ-টয়লেট যাকে বলে। তবে শার্ট কিন্তু স্যান্সব্যারি ব্র্যান্ডের। নিউমার্কেট ভার্সন।
আপনি না পাগল!
অনিকেতের সামনে তমা এসে দাড়ায়। আপনি কি অনিকেত?
অনিকেত একটা দাঁত কেলানো হাসি দেয়।
জী।
ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারের সাথেতো কোন মিল নাই। প্রোফাইল পিকচারে দেখেতো মনে হচ্ছিল কলেজ গোয়িং বয়, এখনতো মনে হচ্ছে এক পা কবরে। কিভাবে আপনি অনিকেত হন?
অনিকেত আবার দাঁত কেলানো হাসি দেয়। এই জন্যইতো আপনাকে ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে আসতে বলেছি।
মানে কি?
একটু কষ্ট করে সিঁড়ি বেয়ে গুণে গুণে সাত ধাপ উপরে উঠেন। তারপর আমার দিকে তাকান। দেখুনতো ফেসবুক চেহারার সাথে মিল খুঁজে পান কিনা?
তমা গুণে গুণে সাত ধাপ উপরে গিয়ে নীচের দিকে তাকায়।
পাচ্ছেন কোন মিল? অনিকেত জিজ্ঞেস করে।
হুম, এইবার কিছুটা মিল পাচ্ছি।
আসলে মোবাইল ক্যামেরাতে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি তোলা যায়। আমার সবচাইতে ভালো ছবি উঠে উপর থেকে তুললে। আমি জানতাম আপনি এসে এই প্রশ্নই করবেন। তাই ফার্মগেট ওভারব্রিজের নীচে আসতে বলেছি। যেন আপনি এঙ্গেল মিলিয়ে প্রোফাইল পিকচারের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন।
এটা কিছু হইলো!!!
যাক আমারটা তো গেলো কিন্তু আপনার চেহারাও তো ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারের সাথে মিলে না। ফেসবুকে দেখেতো মনে হয়েছিল জিসম-টু এর সানি লিওন। সামনা সামনিতো মায়ানমারের আং সান সুচি।
আমি রাস্তা পার হচ্ছি আপনি পাশ থেকে দেখে মিলিয়ে নিয়েন।
অনিকেত খুশী হয়; সবই এঙ্গেলের খেলা।
তমা রাস্তা পার হয়ে হাঁটা দেয়।
পেছন থেকে অনিকেত তমাকে ডাকতে থাকে, মিলছে মিলছে; এইবার ফিরে আসুন।
কিন্তু তমা ফিরে তাকায় না।
ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠায়; আং সান সুচির পক্ষে নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে প্রেম করা সম্ভব না।