বাপ ছেলেকে বললে – দেখ বেটা , আমি নদীতে সাতার কাটছি , তুমি এখানে চুপ করে যদি বসে থাকতে পার , তাহলে তােমাকে ঘরে গিয়ে একটা টাকা দেব ।
ছেলে বললে — আর যদি ফিরে না আসাে , তাহলে কি মায়ের কাছ থেকে নেব ?
দু ’ বাবুতে কথা হচ্ছিল ।
প্রথম বাবু বললে – দেখ ভাই । আজকাল কেমন মিথ্যার যুগ এসেছে । এই দুনিয়ায় আজকাল আর কেউ সত্যি কথা বলে না । ।
দ্বিতীয় বাবু বললে — আমি কিন্তু একটি ছেলেকে জানি । সে কখনও মিথ্যা কথা বলে না ।
প্রথমজন বললে — চল তাকে দেখে আসি ।
দ্বিতীয় জন বললে — আর তাকে দেখে কি লাভ ? সে তাে বােবা ।
একজন লােক সিনেমা দেখতে গিয়ে , বুকিং কাউন্টারে গিয়ে একটা টাকা দিয়ে বললে — আমাকে একখানা টিকিট দিন ।
বুকিং থেকে বললে — আর এক টাকা দিন । টিকিটের দাম দুটাকা ।
লােকটি বললে — আমি তাে কানা , একটা মাত্র চোখ , এক চোখে দেখব ! তাই হাফ টিকিট দিন ।
একটি রােগী ডাক্তারখানায় গিয়ে বললে , ডাক্তারের নেম প্লেটে ডাক্তারের নামের নিচে লেখা রয়েছে , পী , পী , এম , এফ দেখে রােগীটি এই লেখার অর্থ জিজ্ঞাসা করলে ।
ডাক্তার বল্লে — এই অর্থ খুবই সােজা । পী , পী , মানে হলাে প্রাইমারি পাস , আর এম , এফ এর মানে হলাে মিডিল ফেল ।
একজন পুলিশের স্ত্রী তার স্বামীর পকেট থেকে একখানা দশটাকার নােট বার করে নিয়েছিল । পুলিশটি জানতে পেরে , রেগে গিয়ে স্ত্রীকে বললে — তুমি আমার পকেট থেকে দশটাকা । চুরি করেছ । আমি চুরির অপরাধে তােমাকে গ্রেপ্তার করবাে । স্ত্রী তখন স্বামীর হাতে পাঁচ টাকা দিয়ে বললে – কেন শুধু
এ মেলা বাড়াচ্ছ এই নাও পাচটাকা দিচ্ছি মিষ্টি খেতে । আমাকে ছেড়ে দাও । পুলিশ খুশী হলাে ।
এক ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে বললে – দেখ শ্যাম , আজ ৩০ বছর হলাে তুমি আমার এখানে চাকরী করছ । তােমার কাজ কর্ম দেখে আমি বেশ খুশি হয়েছি । তােমার জন্য আমার কিছু করা দরকার । তাই ভাবছি , আজ থেকে তােমাকে শ্যাম বলে ডাকব না , শ্যাম বাবু বলেই ডাকব । ।
বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন আচ্ছা বলাে , তাে হাতী আর মাছিতে কি তফাৎ ?
প্রথম ছাত্র — হাতীর শুড় আছে কিন্তু মাছির নেই , এই তফাৎ ।
দ্বিতীয় ছাত্র — মাছির পালক আছে কিন্তু হাতির নেই এই তফাৎ ।
অল্প বয়সী ছাত্রটি বললে — মাছি হাতীর উপরে বসতে পারে কিন্তু হাতি মাছির উপরে বসতে পারে না ।
এইটাই সবচেয়ে বড় তফাৎ ।
শ্ৰীলা: আমিও তােমাদের সঙ্গে ছবিটা দেখতে যাবাে মেজমামা ।
মামাঃ তা হয় না । তুমি এখনও ছােট আছ । এ ছবি তােমার দেখতে নেই ।
শ্ৰীলাঃ আমাদের ক্লাসের তাে কত মেয়ে ‘ অ্যাডাল্টস্ ওনলি ’ ছবি দেখে ।
মামাঃ কত ছেলেরাও তাে লেডিজ ওনলি সীটে বসে , সেটা কি উচিত ?।
হর্ষবর্ধন আর গােবর্ধনের বাড়ীতে একবার এক ভিখিরী এল হরিনাম করতে করতে । সাত সকালে দুই ভাই খুশী । ভিখিরিটাকে ডেকে একেবারে ঘরের মধ্যে নিয়ে এল । এই ভিখিরিটা ছিল খোড়া । দুই ভাই তা দেখে ভারী কষ্ট পেল । হর্ষবর্ধন কষ্ট পেল ।
হর্ষবর্ধন সান্ত্বনা দিলঃ ভগবান তােমাকে খোড়া করেছেন সেজন্য দুঃখ কোর না ভাই , পরজন্মে তারই দয়ায় —
গােবর্ধনঃ তুমি একজন সেরা ফুটবল প্লেয়ার হবে ।
ভিখারীঃ হবই তাে ।
হর্ষবর্ধনঃ ( পুলকিত হয়ে ) তবেই বােঝ । খোঁড়া হওয়া খুবই দুঃখের তাতে সন্দেহ নেই , কিন্তু কানা হলে আরাে কষ্ট পাবাে।
ভিখারীঃ ঠিক বলেছেন বাবু । আগে যখন কানা ছিলাম তখন লােকে আমাকে কেবল অচল পয়সা চালাত । বাধ্য হয়ে আমায় খোঁড়া সাজতে হল । কি করি বলুন ? লােকে ভারী ঠকায় ।
হর্ষবর্ধন আর গােবর্ধন দিল্লী যাচ্ছে । পথে দুভাইয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন অবদান নিয়ে আলাপ আলােচনা মশগুল ছিল । অবশেষে আগ্রাতে এসে গাড়ি দাঁড়ালো । হর্ষবর্ধনের ইচ্ছা হলাে আগ্রাতে নেমে তাজমহলটা দেখে যাবে । চেকারের কাছ থেকে জানলাে । অবস্থা ! গাড়ি আগ্রাতে আধঘণ্টা দাঁড়ায় । দুই ভাইয়ে তাড়াহুড়াে করে ছুটলাে তাজমহল দেখতে । যাবার আগে নিজেদের কামরা । চেনার জন্য একটা চিহ্ন খুঁজছিল । কারণ অতবড় ট্রেনের মধ্যে খুঁজে বের করা কঠিন তাে । হঠাৎ একটা ছাগলকে তাদের কামরার সামনে শালপাতা চিবােতে দেখে সেটাকেই চিহ্ন হিসাবে চিহ্নিত করে তারা তাজমহল দেখতে গেল । ফিরে এসে সেখানে কলকাতাগামী ট্রেন এসে দাঁড়ালাে । ছাগলটা তখনও পাতা চিবিয়ে চলেছে । ফিরে এসে তারা ভারী খুশীমনে নিজেদের কামরায় ঢুকলো । গাড়ি ছেড়ে দিল । কথায় কথায় হর্ষবর্ধন তার ওপরের বাঙ্কের লােককে জিজ্ঞাসা করলাে ভাই ,
-কোথায় যাচ্ছেন ?
জনৈকঃ কলকাতা।
হর্ষবর্ধন: দেখেছিস বিজ্ঞানের অবদান । ওপরের বার্থের লােক কলকাতা যাচ্ছে । আর নীচের বার্থের লােক ।অর্থাৎ আমরা দিল্লী যাচ্ছি । কেমন ব্যাপার ?