কনেপক্ষ: শুনলাম ছেলে না-কি নেশাপানি করে খুব?
ছেলের বাবা: তা একটু আধটু করে। আমার ছেলে স্বভাবে-আচরণে কিন্তু খুবই ভালো। মিথ্যা বলবো না আপনাদের। ও আজকাল একটু বেশিই খায়। প্রতিদিন তিন-চার পেগ। তবে রাতের বেলায়...
মেয়ের বাবা: এই বিয়ে পাক্কা। ছেলে পছন্দ হয়েছে আমাদের। বোঝা যাচ্ছে, কামাই-রোজগার বেশ ভালোই ছেলের...
স্ত্রী: তোমাকে একটা কথা জানাতে চাই।
স্বামী: বলো।
স্ত্রী: তুমি আবার রাগ করো না যেন।
স্বামী: বলো না, কী এমন কথা!
স্ত্রী: তোমার এক বন্ধু আমার খুব প্রশংসা করে। বলে, ‘ভাবি, আপনি যা সুন্দরী না’।
স্বামী: বুঝেছি, ও তো পিয়াল।
স্ত্রী: তুমি চিনলে কীভাবে?
স্বামী: ও তো ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী! পুরোনো-বাতিল সব জিনিসই ওর কাছে ভালো!
শিক্ষক: পিন্টু বলো তো পোস্ট মাস্টার কাকে বলে?
পিন্টু: স্যার, আগের দিনে এলাকার পোস্ট অফিসের প্রধানকে পোস্ট মাস্টার বলা হতো।
শিক্ষক: আর এখন কী বলা হয়?
পিন্টু: এখন ফেসবুক-টুইটারে যারা পোস্ট দিতে ওস্তাদ, তাদের পোস্ট মাস্টার বলা হয়...
সেন্টু তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বোনকে বিয়ে করেছিল। কিছুদিন পর সেই বন্ধুও প্রেম করে বিয়ে করতে গেল। বিষয়টি সেন্টুর স্ত্রীকে খুব কষ্টে ফেলে দিলো।
স্ত্রী: শুনছো! তোমার বন্ধু মানে আমার বড় ভাই তো এক পাগলীকে বিয়ে করতে যাচ্ছে!
সেন্টু: করুক।
স্ত্রী: শুনলাম মেয়েটা ঝগড়াটে, তর্ক না করে থাকতে পারে না!
সেন্টু: খারাপ কী, যেমন কর্ম তেমন ফল!
স্ত্রী: তোমার বন্ধু একটা পাগলী আর ঝগড়াটে মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে জেনেও তুমি কিছু বলবে না!
সেন্টু: তোমার ভাই আমাকে থামিয়েছিল?
গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল লালু মিয়া ওষুধের দোকানে সেলসম্যানের চাকরি নিলো। তার কাছে এলো মহল্লার উঠতি রংবাজ। একটি কাশির সিরাপ কেনার পর লালুকে বলছে-
রংবাজ: এবার চিনি দাও।
লালু: এখানে চিনি পাওয়া যায় না, স্যার।
রংবাজ: আমারে বোকা পাইছস? আমি শিক্ষিত মানুষ। প্যাকেটের গায়ে পরিষ্কার লেখা আছে ‘সুগার ফ্রি’! দে, ফ্রি চিনি দে এখনই...
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরলো ছেলে। কাচুমাচু ভাব দেখে বাবা বলল-
বাবা: আজ স্কুলে গিয়ে কোনোরকম বদমায়েশি করিসনি তো?
ছেলে: না বাবা, স্যার তো সারা দিন আমাকে বেঞ্চের ওপর দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন।
বাবা: বলিস কী?
ছেলে: এবার তুমিই বলো, এরপর আর কী করে দুষ্টুমি করি!
শীতের রাতে এক পথিকের পথ আগলে ধরলো এক ছিনতাইকারী-
ছিনতাইকারী: যা আছে বাইর কর। দেখছস! কত্ত বড় চাকু।
পথিক: ধুর। এর চেয়ে বড় চাকু দিয়া আমার বউ পেঁয়াজ কাটে। ভাগ এখান থেকে!
ছিনতাইকারী মন খারাপ করে চলে গেল। একটু পরেই আবার ফিরে এলো-
ছিনতাইকারী: যা আছে বাইর কর। দেখছস আমার হাতে কী? মাত্র ফ্রিজ থেকে বাইর করছি। এক মগ ঠান্ডা পানি। দিলাম গায়ে ঢাইল্লা।
পথিক: ভাই আমার! যা আছে সব লইয়া যা। ২ টাকার কয়েনটাও ছাড়িস না।