থাইল্যাণ্ডের একটি কুমিরের খামারে একটি কোম্পানির বার্ষিক বনভোজন চলাকালীন কোম্পানীর চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন যে, কোনও কর্মচারী যদি কুমিরে ভরা এই পুকুর সাঁতরে এপার থেকে ওপারে গিয়ে জীবন নিয়ে বেঁচে উঠতে পারে তবে সে ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার পাবে আর যদি সে মারা যায় তবে তাঁর পরিবার ২ মিলিয়ন ডলার পাবে।
দীর্ঘক্ষণ ধরে কেউই চ্যালেঞ্জ নিতে সাহস করেনি। তারপর হঠাৎ একজন ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার জীবনহানির কথা ভেবে পাড়ে দাঁড়ানো সবাই আফসোস করতে থাকে।
তবে সৌভাগ্যক্রমে সে অক্ষত অবস্থায় পুকুরটি পার হতে সক্ষম হয়। হাঁপাতে হাঁপাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পর কোম্পানির চেয়ারম্যান মিলিওনেয়ার ব্যাংক চেক সেই কর্মচারীটির হাতে তুলে দেয়।
কিন্তু সে কর্মচারীটি চেঁচিয়ে বলতে থাকে, “আমাকে কে ধাক্কা দিয়েছিল?” দুর্ভাগ্যক্রমে পরে জানতে পারলো, কাজটি তার স্ত্রীই করেছিলেন।
এবং সেই দিন থেকে এই প্রবাদটির সৃষ্টি হয় যে, _”প্রত্যেক পুরুষের সফলতার পিছনে একজন নারীর হাত আছে”…
পত্নি হালকা মুডে পতিকে: ধরো যদি কোন সুন্দরী মেয়ে তোমাকে ফ্লাইং কিস্ করে,তাহলে তোমার কি রকম ফিলিংস হবে?
পতি: আমি এই রকম কুড়ে, অলস মেয়েছেলে দুচোখে দেখতে পারি না।।
ছোটোবেলার বন্ধু রতন, প্রায় সন্ধে বেলাই আমাদের বাড়ি আসে আড্ডা দেবার জন্য। আজও এসেছিল। আড্ডার বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট কিছু নয়। এখান ওখান থেকে খামচে খুমচে হরেকরকম জিনিস নিয়ে পাঁচমিশালী আলোচনা। ওর আবার কাপড় ইস্ত্রি করার আয়রনটা খারাপ হয়ে গেছে বলে বেশ চিন্তিত। আমার কাছে পরামর্শ নিচ্ছিল কোন কোম্পানির আয়রন ভালো, আমি কোন আয়রন ব্যবহার করি ইত্যাদি। আলোচনার ফাঁকে গিন্নি একবার এসেছিল চা দিতে। কিন্তু ওর চোখ মুখের ভাব দেখে কেমন অদ্ভুত মনে হল। বিরাট বড় ভয় বা আঘাত পেলে যেমনটা হয় আরকি। অথবা রাগ, দুঃখ, ভয় ইত্যাদির মিলিত প্রকাশ। ভাবলাম, রতন চলেগেলে জিজ্ঞেস করব ব্যাপারখানা কি! রতন চলেযেতেই আমার কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ও প্রায় ঝাপিয়ে পড়ল আমার উপর- “ছোটলোক, লম্পট, চরিত্রহীন, তুমি এতটা নীচে নামতে পারবে স্বপ্নেও ভাবিনি! ছি ছি ছি!” বলেই হাউ হাউ করে কান্না।
আমি আকাশ থেকে পড়লাম! মাথামুন্ডু কিচ্ছু বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম- “হয়েছে টা কি?”
–“কি ভেবেছ? আমি কিচ্ছু শুনিনি? বলো কোথায় সে?? কোথায় রেখে এসেছ তাকে??”
–“কি আশ্চর্য!! কাকে? কার কথা বলছ?”
–“এমন ভাব করছ যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানোনা! তোমার দ্বিতীয় স্ত্রী!! কোথায় সে? তুমি তো কোনো দিন বলোও নি আমি তোমাকে সেই সুখ দিতে পারিনা। হে ভগবান! শেষে আমার কপালে এই ছিল!”
আমি যেন ভিরমি খেয়ে পড়ব। কি জানি কে আবার আমার গিন্নির কান ভাঙালো। শয়তান প্রতিবেশির তো অভাব নেই। কিন্তু ও তো লোকের কথায় বিশ্বাস করার মেয়ে নয়!
–“দ্বিতীয় স্ত্রী? কী যা তা বলছ তুমি?”
–“হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিকই বলছি।”
–“কার কাছ থেকে এসব গাঁজাখুরি গল্প শুনেছ?”
–“তোমার মুখ থেকে, আমি নিজের কানে শুনেছি একটু আগেই। তোমার বন্ধুকে বলোনি ঊষার কথা? বলোনি ঊষা তোমার স্ত্রী। ও খুব ভালো। খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়। ছ’ মাসের মধ্যে দুবার ছ্যাঁকা খেয়েছ, তবুও তার নাকি পারফরমেন্স খুব ভালো। কেন? আমি কি গরম হইনা? আমার পারফরমেন্স কি খুব খারাপ? বলো কোথায় রেখে এসেছ তাকে?”
— “এবার গোটা ব্যাপারটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমি হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। সোজা শোবার ঘরের আলনার তলা থেকে আমার স্ত্রীর সতীনকে টেনে বের করে আনলাম, “এই যে আমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, থুড়ি, ইস্ত্রি। ঊষা কোম্পানির। এক মিনিটের মধ্যেই গরম হয়ে যায় গো।”
এবার মহাশয়ার মান ভঞ্জন হলো। জামার কলার টেনে ধরে বুকে মুখ গুঁজে দিয়ে আদুরে গলায় বলল, “ঊষাই কিনতে হবে তোমায়? দেশে কি কোনো পুরুষ কোম্পানি ছিল না?”
পতি : দেখ বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
পত্নী : হুহ্, অত আদিখ্যেতা দেখাতে হবে না, ঘরে ব্যাসন পেঁয়াজ কিছু নেই, পকোড়া হবে না। ছেলে মেয়ে গুলো বড় হচ্ছে, সে খেয়াল আছে? ঐসব ছাইপাশ গেলার জন্য ঘরে বরফ নেই বলে রাখছি, ফ্রিজ সকাল থেকেই বন্ধ ছিল।
পতি চুপ করে পত্নীর দিকে তাকিয়ে ভাবছে, কি বললাম আর তার কি মানে হয়ে গেল।
পত্নী পতিকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে, একটু চুপ করে থেকে বলে… আমার দিকে তাকিয়ে লাভ নেই, আমার কোমরে ব্যথা, যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছি…
বাসস্টপে অপেক্ষা রত এক স্মার্ট যুবতীকে এক যুবক চোখ মারল।
যুবতী সোজা যুবকের কাছে এসে থ্রেট করার ভঙ্গিমায় বললো,’দেখুন আমি যা তা মেয়ে নই।।
যুবক: সে তো আপনি হতেই পারেন, কিন্তু চেক করাও তো আমার কর্তব্য
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ইংরেজি বলার দুর্বলতা নিয়ে সবাই কম বেশী জানেন।
‘ইনজামাম উল হক’ অধিনায়ক থাকাকালীন সময়ের ঘটনা…..ইনজামাম ইংরেজিতে দুর্বল ছিলেন, তাই আগে থেকেই মুখস্থ একটি ডায়লগ তিনি ম্যাচ শেষের পুরষ্কার বিতরণীতে বলতেন।
ডায়লগটি বাংলায় ছিল এমনঃ”আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সবাই এর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। এটাতে আসলে সবারই অবদান ছিল। দলীয় ভাবে কাজ করায় আমরা সফল হয়েছি।
বিশেষ করে যার কথা না বললেই নয় (ঐ ম্যাচে যে ভাল করত তার নাম) তার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।
তো একদিন পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছে, আর ওই দিনই খবর এলো ইনজামামের এক সন্তান হয়েছে।
তো কমেন্ট্রেটর ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেনঃ “প্রথমেই জিজ্ঞেস করব আপনার সন্তান হয়েছে। আপনার অনুভূতিটা কি?”
ইনজামামঃ “আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সবাই এর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। এটাতে আসলে সবারই অবদান ছিল। দলীয়ভাবে কাজ করায় আমরা সফল হয়েছি। বিশেষ করে যার কথা না বললেই নয়..আফ্রিদির জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।
স্বামী রুমে বসে বসে DVD দেখতেছিলো। আচানক জোরে জোরে চিল্লাতে চিল্লাতে বলতে লাগলো Ooohhh nooo!!!
গাড়ি থেকে নামিস না! গাড়ি থেকে নামিস না!! গাড়ি থেকে নামলে তুই সর্বনাশ হয়ে যাবি পাগোল! গাড়ি থেকে নামলে তোর জীবনের সুখ সান্তি নস্ট হয়ে যাবে!!
স্বামীর উত্তেজিত কণ্ঠে চিল্লা চিল্লি সুনে স্ত্রী এসে বলল। কি ব্যাপার DVD তে কি দেখে এতো চিল্লাচ্ছ?
স্বামী নরম গোলায় বললঃ- আমাদের বিয়ের DVD.