What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

এক ঝাঁক ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন ও এর ব্যবহার! (3 Viewers)

Mashruhan Eshita

Expert Member
Joined
Jan 11, 2022
Threads
68
Messages
1,788
Credits
39,873
Lipstick
Audio speakers
Glasses sunglasses
Thermometer
Tomato
Cocktail Green Agave


"দোস্ত! কালকে সুদীপার জন্মদিন! তাড়াতাড়ি একটা ভিডিও বানায় আমাকে মেইল কর।"

শুধু সুদীপার জন্মদিনের জন্য না, ফ্রেন্ডের ফ্রেন্ডদের জন্মদিন উপলক্ষেও ভিডিও বানানোর জন্য আমার ডাক পড়ে! অনেকে ভাবে, ভিডিও এডিট করা বেশ হ্যাপার কাজ, প্রচুর 'প্যারা' খেতে হয় ভিডিও এডিট করার জন্য। আবার অনেকের মতে, এর জন্য প্রয়োজন ভালো ক্ষমতার ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ। সেই সাথে এটার মধ্যে ভালো সফটওয়্যারও ইন্সটল করে রাখা লাগবে ইত্যাদি ইত্যাদি! এসব কারণে আমরা নিজেরা এই কষ্টটা করতে চাই না। তবে আমার কাছে মনে হয় ভিডিও এডিট করা কঠিন কোনো কাজ না! আর আজকাল তো আমাদের স্মার্টফোনেই চটজলদি ভিডিও এডিট করা যায়! ডেস্কটপের জন্য অনেক ভালো ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার থাকলেও এন্ড্রয়েড ফোনের প্লে স্টোরে গেলে দেখা যাবে স্মার্টফোনের জন্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপের কোনো কমতি নেই!

জ্বী হ্যাঁ! স্মার্টফোনেই ভালো কোয়ালিটির ভিডিও এডিট করা সম্ভব! কীভাবে? চলো তাহলে জেনে আসা যাক।
 
1. FilmoraGo:

পার্সোনালি, এই অ্যাপটা আমার বেশ পছন্দের! ব্যবহার করা খুবই সহজ, খুব ভালো লাগে FilmoraGo এর মাধ্যমে ভিডিও এডিট করতে! কারণ এই অ্যাপ দিয়ে আমি একদম স্মুথলি কাজ করতে পারি। অন্যান্য সব ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মতন এটাতেও আছে ট্রিম, কাট, থিমযুক্ত করা, সাউন্ড ট্র‍্যাক এড করার সুবিধা। পাশাপাশি নিজের সুবিধামত ফ্রেমিংও করা যাবে৷ তুমি চাইলেই ইন্সটাগ্রামের জন্য ১:১ আর ইউটিউবের জন্য ১৬:৯ ফ্রেমের ভিডিও বানাতে পারো।

এছাড়াও এটার মাধ্যমে তুমি রিভার্স ভিডিও বানাতে পারবে, ট্রানজিশন এড করতে পারবে, টেক্সট যুক্ত করতে পারবে, এমনকি স্লো মোশন ভিডিও-ও বানাতে পারবে খুব সহজেই!
এই অ্যাপের আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে, এরজন্য অবশ্য একটু টাকাপয়সা খরচ করা লাগবে৷ তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। FilmoraGo এর বেশির ভাগ ফিচারই একদম ফ্রি! ভিডিও এডিট করা শেষে সরাসরি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে আপলোড করার ব্যবস্থা আছে। মজার ব্যাপার হলো, এই ভিডিও ওয়াটার মার্ক দেখা যাবে একদম শেষে, প্রিমিয়াম ভার্সনের ক্ষেত্রে কোনো ওয়াটার মার্ক নেই।
 
2. Adobe Premiere Clip:

এডোবে'র সব সফটওয়্যারগুলো আমরা সাধারণত ডেস্কটপে ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। তবে স্মার্টফোনেও এইটা ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারবে৷ যদিও এইটা একটু বেশিই জায়গা দখল করে এবং মাঝে মাঝে ফোন হ্যাং হয়ে যায়। তাই আমি এটা সাধারণত ব্যবহার করি না। তবে এর নানান সুবিধাও রয়েছে৷ খুব দ্রুত ভিডিও এডিট করা যায়, আর ভিডিও এডিট করতেও বেশ মজা! Adobe Premiere Clip এর বেস্ট ফিচার হচ্ছে এর অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি! এই অ্যাপ ব্যবহার করার সময় কোনো এডও দেখানো হয় না। ভিডিও কাট করা, ট্রিম করা, ট্রানজিশন থেকে শুরু করে অডিও, টেক্সট, ফিল্টার, ইফেক্ট ইত্যাদি যোগ করা যায় এই অ্যাপটিতে। তবে ডেস্কটপ ভার্সনের চেয়ে এইটা বেশ সিম্পল। দুই স্টাইলে ভিডিও এডিট করা যাবে এখানে। এইটাও একদম ফ্রি!
 
3. Video Show:

এই অ্যাপটাকে বলা যায় 'মোস্ট ট্যালেন্টেড অ্যাপ'! কেননা Video Show কিন্তু অনেকগুলো এওয়ার্ড পেয়েছে! এইটাকে অনেকেই বলে বেস্ট ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। কেননা এর মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও এডিট করা যায়, টেক্সট, ইফেক্ট, সাউন্ড যুক্ত করা যায়, ডাব করা যায়। Video Show'তে তুমি পাবে কয়েক রকমের থিম! কম্প্রেস করার মাধ্যমে ভিডিও'র সাইজ কমাতে ও বাড়াতেও পারবে!
 
4. Power Director Video Editor:

এই অ্যাপটা বেশ কার্যকরী হলেও, টুলগুলোকে কন্ট্রোলে আনার জন্য একটু সময় লাগবে৷ কিন্তু একবার টুলস সম্পর্কে এক্সপার্ট হয়ে গেলে একদম প্রফেশনাল ভিডিও এডিটরদের মতন তুমি ভিডিও এডিট করা শুরু করে দিতে পারবে! আর সেটাও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই! এখানে ৩০+ বিভিন্ন ইফেক্ট ও ট্রানজিশন ইফেক্ট আছে। Power Director Video Editor অ্যাপটির সবচেয়ে জোস ব্যাপারটা হলে এইটা ব্যবহার করে গ্রিন স্ক্রিন ভিডিও বানানো যায়! তুমি চাইলেই ওদের টিউটোরিয়ালগুলো দেখে সব ফাংশনের ব্যবহার শিখে ফেলতে পারো! এই অ্যাপের বেশিরভাগ ফিচারই ফ্রি। তবে আপগ্রেড করলে ওয়াটার মার্ক ও এড রিমুভ করার সুযোগ রয়েছে। ভিডিও 1080 ও 4K রেজুলেশনে এক্সট্র‍্যাক্ট করার ব্যবস্থাও রয়েছে। এইটা এন্ড্রয়েড 4.3 এবং এর উপরের ভার্সনগুলোতে সাপোর্ট করে।
 
5. Kine Master:


এই অ্যাপটার ডিজাইন বেশ ভালো, সেই সাথে রয়েছে এর বেশ কিছু পাওয়ারফুল ফিচার! Drag-n-drop টেকনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়াতে ফাইল ইম্পোর্ট করা যায়। প্রোফেশনাল স্টাইলে ভিডিও এডিট করা যাবে খুব সহজেই! বিভিন্ন রকমের ট্রানজিশন ইফেক্ট রয়েছে। অনেকগুলো ভিডিওর মাঝেও একাধিক ট্রানজিশন এড করতে পারবে। সেই সাথে রয়েছে সাবটাইটেল যুক্ত করার সুবিধাও! তুমি লেয়ারের পর লেয়ার যুক্ত করে টেক্সট, গ্রাফিক্স, ইমেজ এমনকি নিজের হ্যান্ড রাইটিংও এড করতে পারবে৷ পাশাপাশি কালার এডজাস্ট করা, ব্রাইটনেস বাড়ানো কমানো, স্পিড, টিউনিং-সব ধরণের সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে৷
প্রফেশনাল এডিশনটা পারচেজ করলে ওয়াটার মার্ক রিমুভ করার পাশাপাশি আরো বেশকিছু সুবিধা তুমি পেতে পারো। এরজন্য লাগবে ৩৯.৯৯ ডলার!
 
6. Quik:

ভিডিও স্মার্টলি এডিট করার জন্য এইটা হলো আরো একটা মজাদার অ্যাপ! এইটা বেশ ফাস্ট এবং ফ্রি! নিজের পছন্দমতো বেশ কিছু ছবি বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করো, এরপর বানিয়ে ফেলো নিজের স্টোরি! এই অ্যাপের সবচেয়ে জোস জিনিস হলো Quik এ রয়েছে অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি! সেই সাথে ক্রপিং, কুইকলি সিংক, টেক্সট সবকিছুই যুক্ত করা সম্ভব। এছাড়াও রয়েছে মিউজিকের অটো সিংকিং ব্যবস্থাও৷ একসাথে সর্বোচ্চ ২০০টি ছবি নিয়ে ভিডিও তৈরি করা যাবে। ভিডিও সেভ করার পর ক্যামেরা রোলে নিয়ে যাওয়ার সময় 1080p বা 720p এ নেওয়া যাবে৷ এমনকি সরাসরি কোনো সাইটে ভিডিও শেয়ারও করতে পারবে! আর এই অ্যাপে কোনো প্রকার এডও দেখানো হয় না!
 
7. Viva Video:


অনেক দৃষ্টিনন্দন ভিডিও এডিটিং ফিচার আছে Viva Video-তে! এইটাও আমার বেশ পছন্দের একটা অ্যাপ্লিকেশন। এইটা এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে যেকোনো এন্ড্রয়েড ব্যবহার করি এইটা ইউজ করতে পারবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রো লেভেলের ভিডিও তৈরি করা যায়৷ ১০০ এর চেয়েও বেশি স্টিকার ও ফিল্টার পাবে এইখানে! শুধু তাই না, এরমধ্যে রয়েছে এনিমেটেড ক্লিপ ও সাবটাইটেল যুক্ত করার হরেক রকম ডিজাইন! এরমধ্যে আছে স্লো মোশন ভিডিও মেকার এবং স্লাইড শো মেকারও! অন্যান্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মতন এখানেও আছে কাটিং, ভিডিও পোস্টিং, ক্রপিং, মার্জিং ক্লিপসহ আরো অনেক কিছু! সারা বিশ্বের প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউজার এই অ্যাপ ব্যবহার করে! তাই তো এন্ড্রয়েডের সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে একটা হলো এই Viva Video!
 
8. Funimate:


ফানি ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে এই অ্যাপটা নাম্বার ১! Funimate এর মাধ্যমে খুব সহজেই ফানি ভিডিও বানানো যায়। এটা দিয়ে তুমি চাইলেই ছোট্ট কিন্তু মজা করে বন্ধুদের বার্থডেতে উইশ করতে পারবে৷ প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে ভিডিও আকারে ধারণ করার জন্যই এই অ্যাপটা তৈরি করা হয়েছে। এখান থেকে ভিডিও বানিয়ে সরাসরি যেকোনো সাইটে তুমি ভিডিও শেয়ার করতে পারবে৷ ২০ এরও বেশি এডভান্স ভিডিও ইফেক্ট এখানে রয়েছে। তুমি এটা দিয়ে শর্ট ভিডিও লুপ বানাতে পারো, যেটা বেশ এন্টারটেইনিং!

তবে এই অ্যাপ ইউজ করার আগে তোমাকে এখানে সাইন ইন করা লাগবে৷ সাইন ইন করার ফলে Funimate এ তোমার একটা একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে৷ এই একাউন্টের মাধ্যমে তুমি অন্য Funimate ইউজারদেরকে ফলো করতে পারবে, তারাও চাইলে তোমাকে ফলো করবে৷ তবে এই অ্যাপের এডগুলো বেশ যন্ত্রণাদায়ক। ওহ, এই অ্যাপটা কিন্তু একদম ফ্রি!
 
9. Magisto Video Editor:

এই অ্যাপ তাদের জন্য ভালো, যাদের ফরমাল ভিডিও বানানোর অভিজ্ঞতা একদমই নেই। অন্যান্য সফটওয়্যারগুলোর মতন এইখানেও রয়েছে ভিডিও ক্লিপস, ছবি, ইফেক্ট, টেক্সট, মিউজিক এড করার সুবিধা। এখানে তুমি অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও ইফেক্ট খুঁজে পাবে৷ যেকোনো একটা ভিডিও ক্লিপ বা ছবি সিলেক্ট করে এর সাথে কোনো গান বা সাউন্ড যুক্ত করে দিলে অ্যাপ অটোমেটিকভাবে ভিডিও বানিয়ে দিবে! তখন মনে হবে, "আরেহ! ভিডিও বানানো তো এখন হাতের মোয়া!"
 

Users who are viewing this thread

Back
Top