আবহাওয়া উষ্ণ হলেও শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে ত্বক। তাই ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত সময়ে একটু একটু করে পানি এবং তরল খাবার খেতে হবে। খেজুর, দুধ, চিড়া, ফল বা সালাদ দিয়েই হতে পারে সুস্বাদু ইফতার। ভাজাপোড়া খেলেও পরিমাণে অল্প। শাকসবজি খাবেন বেশি বেশি। সারা দিন রোজা রাখার পর একটু ক্লান্তি, একটু আলসেমি পেয়ে বসতে পারে। তাই রোজ সুবিধামতো একটু সময় বরাদ্দ রাখুন। এই সময় সপ্তাহে এক দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা ভালো।
রোজার এই সময়টায় ত্বকের যত্নের সহজ কিছু উপায় বলে দিলেন হারমনি স্পা-র আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
- ২ টেবিল চামচ টকদই, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, ১ চিমটি জাফরান (১০টি রেণু) ও আধা চা–চামচ মধু কাঁটা চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে ক্লিনজিং ক্রিম তৈরি করুন। ফ্রিজে রেখেও রোজ এটি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।
- টমেটো স্লাইসের ওপর চিনি ছিটিয়ে নিয়ে স্লাইসটি দিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন, সপ্তাহে এক দিন।
- ১ চা–চামচ রাজমা গুঁড়া, আধা চা–চামচ গুঁড়া দুধ ও আধা চা–চামচ মধুর প্যাক ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
- ১ টেবিল চামচ টমেটো পাল্প, ১ চা–চামচ গুঁড়া দুধ, আধা চা–চামচ মধু ও আধা চা–চামচ বেসনের প্যাকও ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে। চাইলে ১ টেবিল চামচ টকদই (ছেঁকে নিতে হবে) যোগ করতে পারেন।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ১ টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে বেসন, মধু, টকদই (প্রতিটি আধা চা–চামচ করে) মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে পারেন।
- শুষ্ক ত্বকের জন্য ১ টেবিল চামচ গাজরের রসের সঙ্গে বেসন, মধু, গুঁড়া দুধ (প্রতিটি আধা চা–চামচ করে) মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যায়।
খেয়াল রাখুন
- ত্বকে গ্লিসারিন প্রয়োগের পর মুখ না ধুয়ে রোদে যাবেন না। চুলার কাছেও যাওয়া যাবে না।
- দিনে গ্লিসারিন ব্যবহার না করে রাতে ব্যবহার করাই ভালো।