যে বাড়িতে করোনার সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকলে তাঁর জন্য আলাদা সুরক্ষাপ্রাচীর গড়ে তুলতে হবে।
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের এ সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন। গর্ভধারণের পর এমনিতেই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। তাই এ সময়ে করোনায় সংক্রমিত হলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু খুব বেশি জটিল লক্ষণ দেখা না গেলে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর অনাগত সন্তান—দুজনেরই জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তাই নিজের ও গর্ভের সন্তানের সুরক্ষার জন্য দরকার বাড়তি সতর্কতা।
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনায় সংক্রমিত অন্তঃসত্ত্বা নারীর শারীরিক জটিলতা বেড়ে গেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। প্রিম্যাচিউরড বেবি জন্মের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
কাজেই যে বাড়িতে করোনার সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকলে তাঁর জন্য আলাদা সুরক্ষাপ্রাচীর গড়ে তুলতে হবে। মহামারির কারণে এ সময় নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন সেবা একটি সমাধান হতে পারে। এ ছাড়া বাসায় ওজন পরিমাপক যন্ত্র, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র ও গ্লুকোমিটার দিয়ে নিয়মিত ওজন, রক্তচাপ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পর্যবেক্ষণসহ অন্য শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন। নিয়মিত হাসপাতালে যেতে না পারলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আলট্রাসাউন্ড অবশ্যই করতে হবে। যেমন গর্ভের শিশুর জন্মগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা দেখার জন্য ২২ থেকে ২৪ সপ্তাহে অ্যানোমালি স্ক্যান অবশ্যই করতে হবে। বাসার আশপাশের চার–পাঁচটি হাসপাতালের ঠিকানা, ফোন নম্বর ও সেখানকার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখুন।
অন্তঃসত্ত্বা নারী করোনায় সংক্রমিত হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাঁর চিকিৎসার জন্য এমন হাসপাতাল বাছাই করতে হবে, যেখানে গর্ভাবস্থা ও করোনার সংক্রমণ—উভয়েরই চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়। করোনার সংক্রমণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে সিবিসি, সিআরপি, ডি ডাইমার, ফেরিটিন, এলডিএইচ অন্যতম। প্রয়োজনে বুকের এক্স–রে বা সিটি স্ক্যান করতে হতে পারে।
সন্তান জন্মদানের পর কোনো মা করোনায় সংক্রমিত হলে তিনি সন্তানকে বুকের দুধ দিতে পারবেন। বুকের দুধের মাধ্যমে নবজাতকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মা মুখে মাস্ক পরে, হাত ধুয়ে এবং একটি পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে সন্তানকে বুকের দুধ দেবেন। মা যদি সঠিকভাবে বুকের দুধ দিতে না পারেন, তাহলে অন্য কারও সহায়তা নিয়ে বুকের দুধ দেবেন।
করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যাঁরা গর্ভ ধারণ করেছেন, তাঁরা টিকার দ্বিতীয় ডোজও নিতে পারবেন। তবে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার আগে গর্ভ ধারণ করলে টিকা নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। যাঁরা সন্তানকে বুকের দুধ দিচ্ছেন, তাঁদের টিকা নিতে কোনো সমস্যা নেই।
* ডা. শারমিন আব্বাসি, সহযোগী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের এ সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন। গর্ভধারণের পর এমনিতেই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। তাই এ সময়ে করোনায় সংক্রমিত হলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু খুব বেশি জটিল লক্ষণ দেখা না গেলে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর অনাগত সন্তান—দুজনেরই জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তাই নিজের ও গর্ভের সন্তানের সুরক্ষার জন্য দরকার বাড়তি সতর্কতা।
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনায় সংক্রমিত অন্তঃসত্ত্বা নারীর শারীরিক জটিলতা বেড়ে গেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। প্রিম্যাচিউরড বেবি জন্মের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
কাজেই যে বাড়িতে করোনার সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকলে তাঁর জন্য আলাদা সুরক্ষাপ্রাচীর গড়ে তুলতে হবে। মহামারির কারণে এ সময় নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন সেবা একটি সমাধান হতে পারে। এ ছাড়া বাসায় ওজন পরিমাপক যন্ত্র, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র ও গ্লুকোমিটার দিয়ে নিয়মিত ওজন, রক্তচাপ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পর্যবেক্ষণসহ অন্য শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন। নিয়মিত হাসপাতালে যেতে না পারলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আলট্রাসাউন্ড অবশ্যই করতে হবে। যেমন গর্ভের শিশুর জন্মগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা দেখার জন্য ২২ থেকে ২৪ সপ্তাহে অ্যানোমালি স্ক্যান অবশ্যই করতে হবে। বাসার আশপাশের চার–পাঁচটি হাসপাতালের ঠিকানা, ফোন নম্বর ও সেখানকার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখুন।
অন্তঃসত্ত্বা নারী করোনায় সংক্রমিত হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাঁর চিকিৎসার জন্য এমন হাসপাতাল বাছাই করতে হবে, যেখানে গর্ভাবস্থা ও করোনার সংক্রমণ—উভয়েরই চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়। করোনার সংক্রমণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে সিবিসি, সিআরপি, ডি ডাইমার, ফেরিটিন, এলডিএইচ অন্যতম। প্রয়োজনে বুকের এক্স–রে বা সিটি স্ক্যান করতে হতে পারে।
সন্তান জন্মদানের পর কোনো মা করোনায় সংক্রমিত হলে তিনি সন্তানকে বুকের দুধ দিতে পারবেন। বুকের দুধের মাধ্যমে নবজাতকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মা মুখে মাস্ক পরে, হাত ধুয়ে এবং একটি পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে সন্তানকে বুকের দুধ দেবেন। মা যদি সঠিকভাবে বুকের দুধ দিতে না পারেন, তাহলে অন্য কারও সহায়তা নিয়ে বুকের দুধ দেবেন।
করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যাঁরা গর্ভ ধারণ করেছেন, তাঁরা টিকার দ্বিতীয় ডোজও নিতে পারবেন। তবে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার আগে গর্ভ ধারণ করলে টিকা নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। যাঁরা সন্তানকে বুকের দুধ দিচ্ছেন, তাঁদের টিকা নিতে কোনো সমস্যা নেই।
* ডা. শারমিন আব্বাসি, সহযোগী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল