৬.৪।
তিনটা ক্লাসেই শেষ!
—বলছিলি প্রথমটা মিস হবে, একটাতেও তো উপস্থিত হতে পারলি না?
—আর বলিস না, বদ্দার হাট আসতেই গাড়িটা নষ্ট হয়ে গেলো,পরে নিজেই মেকানিক হয়ে ঠিক করা লেগেছে ৷
—তা প্রেজেন্ট দিয়েছিস?
একগাল হাঁসি দিয়ে নিয়াজ বললো,
হুম, বলেছিলাম না মিস হবে না ৷
আচ্ছা শুন আজ বাবা দিবস উপলক্ষে, বাবা মায়ের জন্যে আজ একটু মার্কেটিং করবো, হলের সামনে আমার জন্যে একটু অপেক্ষা কর আসছি আমি ৷
—ঠিকাছে ৷ জলদি আসিছ প্রচুর খিদে লেগেছে,
নিয়াজকে জাবেদ বিশ্বাস করলেও সে কোনো রিক্স নিতে চায় না, যার কারনে কলাভবনে স্যারের অফিসের দিকে গেলো,
রফিক মামা, স্যারকি ভেতরে আছেন ৷
—নাই, বাহিরে গিয়েছে,
জাবেদ তারপরও চোখ ফাকি দিয়ে স্যারের অফিস রুমে ডুকে তাদের ব্যাচের হাজিরা সিট গুলো দেখতে লাগলো,
জাবেদ তাদের সিএ মনির জাজালীর সাথে বহু বার স্যারের কাছে এসেছে, এবং স্যারের সাথে তার সম্পর্কও ভালো যার কারনে, এসব কাগজ পত্র সীট গুলো কোথায় থাকে তা সম্পর্কে তার যথেষ্ট ধারনা ছিলো ৷
প্রসুন স্যার,ইলিয়াস স্যার, রেজাউল স্যার
তিন তিনটা তেই হাজিরা দেওয়া আছে তার ৷ নিশ্চিন্ত হয়ে সে সীটগুলো গুছিয়ে, বের হয়ে যায় ৷
নিয়াজ কে সাথে নিয়ে সে বের হয়ে পড়ে সে, আহমদিয়ায় এক সাথে লান্স সারার পর তারা যায়, সুপার মার্কেটের দিকে,
সেখানে কালো একটা শাড়ি দেখেই তার চোখ আটকে যায়, সে তার মাকে এই শাড়ীতে কল্পনা করতে থাকে,
দরদামে না গিয়ে ১২ হাজার দিয়ে মায়ের জন্যে শাড়িটা নিয়ে নেয় জাবেদ,
আর তার বাবার জন্যে খাদি কাপড়ের একটা পাঞ্জাবী নিয়ে নেয় ৪ হাজারের মধ্যে ৷
—কিরে বাবা দিবসে বাবার উপহারটার দাম খানিকটা কম হয়ে গেলো না!
—উপহারের কোনো দাম হয়না, সেটা জানিস না?
—আচ্ছা আচ্ছা!
নিয়াজদের ফ্যামিলি অতটা সচ্ছল না, তাদের বাসা ফয়েজলেগের পাশেই, পাহাড়ী জায়গা গুলো আগে দাম কম ছিলো বিধায় বাবা কিনতে পেরেছে নাহলে সরকারি চাকুরী করে এখনকার দিনে সম্ভব হতো না, সেখানে চার রুমের একটা একতলা বিল্ডিং করেছে তারা, খুবই ছোট বাসা,দু বোন মা বাবা আর নিয়াজের কোনো রকম মাথা গুজার ঠাই এটাই ,
বাবার পেনশনের টাকায় তাদের চলতে খুবই হিমসিম খেতে হয়,তার পড়ালেখার খরচ সে টিউশনি করেই চালায় ৷
জাবেদ নিয়াজের মা বাবার জন্যেও পাঞ্জাবী আর শাড়ী কিনে দিলো,
নিয়াজ যদিও নিতে চাইনি কিন্তু জাবেদ এমন ভাবে জোর করলো যে সে আসলে না করতে পারেনি ৷
বিকেল প্রায় শেষ পর্যায় চলছে, ঘড়িতে প্রায় ৬টা বেজে এসেছে ,
দোস্ত যেতে এতো,
বুঝিসতো, লম্বা পথ ড্রাইভ করে বাড়ি যেতে হবে, রাত হলে সমস্যা ৷
—আমাদের বাসা থেকে ঘুরে যা!
—হারমী তোকে নামিয়ে দিতে পারবো না, এর থেকে বাসে করে যা,আমার দেরি হচ্ছে ৷
—না দোস্ত,আসলেই বলছি আব্বা আম্মার সাথে দেখা করে যা,
— না পরে আরেকদিন, প্রায় তো ক্লাসের বাহানায় আসা হয় ৷
—ঠিকাছে তাহলে ,
জাবেদ পার্কিং থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ির পথ ধরলো ৷
তিনটা ক্লাসেই শেষ!
—বলছিলি প্রথমটা মিস হবে, একটাতেও তো উপস্থিত হতে পারলি না?
—আর বলিস না, বদ্দার হাট আসতেই গাড়িটা নষ্ট হয়ে গেলো,পরে নিজেই মেকানিক হয়ে ঠিক করা লেগেছে ৷
—তা প্রেজেন্ট দিয়েছিস?
একগাল হাঁসি দিয়ে নিয়াজ বললো,
হুম, বলেছিলাম না মিস হবে না ৷
আচ্ছা শুন আজ বাবা দিবস উপলক্ষে, বাবা মায়ের জন্যে আজ একটু মার্কেটিং করবো, হলের সামনে আমার জন্যে একটু অপেক্ষা কর আসছি আমি ৷
—ঠিকাছে ৷ জলদি আসিছ প্রচুর খিদে লেগেছে,
নিয়াজকে জাবেদ বিশ্বাস করলেও সে কোনো রিক্স নিতে চায় না, যার কারনে কলাভবনে স্যারের অফিসের দিকে গেলো,
রফিক মামা, স্যারকি ভেতরে আছেন ৷
—নাই, বাহিরে গিয়েছে,
জাবেদ তারপরও চোখ ফাকি দিয়ে স্যারের অফিস রুমে ডুকে তাদের ব্যাচের হাজিরা সিট গুলো দেখতে লাগলো,
জাবেদ তাদের সিএ মনির জাজালীর সাথে বহু বার স্যারের কাছে এসেছে, এবং স্যারের সাথে তার সম্পর্কও ভালো যার কারনে, এসব কাগজ পত্র সীট গুলো কোথায় থাকে তা সম্পর্কে তার যথেষ্ট ধারনা ছিলো ৷
প্রসুন স্যার,ইলিয়াস স্যার, রেজাউল স্যার
তিন তিনটা তেই হাজিরা দেওয়া আছে তার ৷ নিশ্চিন্ত হয়ে সে সীটগুলো গুছিয়ে, বের হয়ে যায় ৷
নিয়াজ কে সাথে নিয়ে সে বের হয়ে পড়ে সে, আহমদিয়ায় এক সাথে লান্স সারার পর তারা যায়, সুপার মার্কেটের দিকে,
সেখানে কালো একটা শাড়ি দেখেই তার চোখ আটকে যায়, সে তার মাকে এই শাড়ীতে কল্পনা করতে থাকে,
দরদামে না গিয়ে ১২ হাজার দিয়ে মায়ের জন্যে শাড়িটা নিয়ে নেয় জাবেদ,
আর তার বাবার জন্যে খাদি কাপড়ের একটা পাঞ্জাবী নিয়ে নেয় ৪ হাজারের মধ্যে ৷
—কিরে বাবা দিবসে বাবার উপহারটার দাম খানিকটা কম হয়ে গেলো না!
—উপহারের কোনো দাম হয়না, সেটা জানিস না?
—আচ্ছা আচ্ছা!
নিয়াজদের ফ্যামিলি অতটা সচ্ছল না, তাদের বাসা ফয়েজলেগের পাশেই, পাহাড়ী জায়গা গুলো আগে দাম কম ছিলো বিধায় বাবা কিনতে পেরেছে নাহলে সরকারি চাকুরী করে এখনকার দিনে সম্ভব হতো না, সেখানে চার রুমের একটা একতলা বিল্ডিং করেছে তারা, খুবই ছোট বাসা,দু বোন মা বাবা আর নিয়াজের কোনো রকম মাথা গুজার ঠাই এটাই ,
বাবার পেনশনের টাকায় তাদের চলতে খুবই হিমসিম খেতে হয়,তার পড়ালেখার খরচ সে টিউশনি করেই চালায় ৷
জাবেদ নিয়াজের মা বাবার জন্যেও পাঞ্জাবী আর শাড়ী কিনে দিলো,
নিয়াজ যদিও নিতে চাইনি কিন্তু জাবেদ এমন ভাবে জোর করলো যে সে আসলে না করতে পারেনি ৷
বিকেল প্রায় শেষ পর্যায় চলছে, ঘড়িতে প্রায় ৬টা বেজে এসেছে ,
দোস্ত যেতে এতো,
বুঝিসতো, লম্বা পথ ড্রাইভ করে বাড়ি যেতে হবে, রাত হলে সমস্যা ৷
—আমাদের বাসা থেকে ঘুরে যা!
—হারমী তোকে নামিয়ে দিতে পারবো না, এর থেকে বাসে করে যা,আমার দেরি হচ্ছে ৷
—না দোস্ত,আসলেই বলছি আব্বা আম্মার সাথে দেখা করে যা,
— না পরে আরেকদিন, প্রায় তো ক্লাসের বাহানায় আসা হয় ৷
—ঠিকাছে তাহলে ,
জাবেদ পার্কিং থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ির পথ ধরলো ৷