What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

দাবার চাল (4 Viewers)

Black Knight

Not Writer or Creator, Only Collector
Staff member
Supporter
Joined
Mar 6, 2018
Threads
265
Messages
25,763
Credits
560,024
Purse
Birthday Cake
Billed Cap
Rocket
Pizza
Mosque
দাবার চাল
লেখক- Premik57


১.
আমাদের বংশ খুবই রক্ষনশীল ধরনের, ছোটবেলা থেকে কোনো অনিয়ম আমার চোখে পড়েনি, সকলেই ছিলেন ধর্মভীরু প্রকৃতির ৷
আমার দাদা ইফতেখারুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন শান্তি নগরের জমিদার, সে সূত্রে বংশগত ভাবেই আমারা বিত্তবান ছিলাম ৷ আমার বাবা আখতারুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন পরিবারে সবার ছোটো ৷ দাদা দাদী বড় জ্যাঠাদের সাথে থাকতেন,আর আমাদের পরিবার থাকতো আলাদা ৷
আমার মায়ের নাম ছিলো মোছাম্মত্ নাজনীন আক্তার তাদের বংশও ছিলো নামকরা, আমার নানা ছিলেন মাওলানা, সে সূত্রে মাও ভিষন ধর্মভীরু ছিলেন ৷
রক্ষনশীল পরিবারের কারনে মায়ের পড়ালেখা বেশিদূর এগুতে পারেনি ,ধর্মীয় ভাবে কিছুদূর পড়া শেষেই তার বিয়ের ব্যাবস্থা হয় ৷

মা ছিলেন অনন্য রুপের আদিকারি কিন্তু তার এরুপ বাহিরের লোকে কখনই দেখতে পায়নি ৷ ঘরের মধ্যেও তিনি হিজাব করতেন, আর বাহিরে বেরহওয়ার সময় বোরখা ৷
মায়ের উচ্চতা ৫.৪" এর মতো হবে ৷ মাকে যখন বিয়ে করে, তখন বাবার বয়স ছিলো ৩০ বছর ৷
বাবা নিজের পায়ে দাড়িয়ে তবেই বিয়ে করেছিলেন ৷
চকরিয়ায় তার ৮টি চিংড়ীর ঘের ছিলো, আর ৭টি লবনের মাঠ ৷ টেকনাফে বাবা বিশাল করে একটি বাংলো বানিয়েছেন , দাদাজানের এতো অর্থসম্পদ থাকা শর্তেও তিনি কখনো পরিশ্রম করতে দ্বিধা করেন নি ৷
মাকে যখন বিয়ে করে আনেন তখন তিনি অতটা পরিপূর্ণ ছিলেন না অর্থাত শারীরিকভাবে মা অনেক দূর্বল ছিলেন ৷ যারকারনে রতীক্রিয়ার সময় মা খুবই কষ্ট পেতেন ৷
আমার জন্মের সময় মায়ের অবস্থার অবনতি ঘটে তিনি প্রায় মৃত্যু সজ্জায় চলেগিয়েছিলেন, যদিও পরবর্তীতে সকলের দোয়ায় রিকভার করে উঠেছিলেন ৷
এঘটনায় বাবা অনেকটাই ভয়ে পেয়ে যান, কারন তিনি মা কে অনেক ভালোবেসে ফেলেন যার কারনে তিনি দীর্ঘ মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহন করেছিলেন ৷
এদিকে আমি বড় হতে থাকলাম,
ছোট থেকেই আমি ছিলাম দূরন্ত প্রকৃতির, কোনো নিয়মের ধার ধারতাম না ৷ কিন্তু বাবাকে ভিষন ভয় পেতাম, তার ভয়ে এক ওয়াক্ত নামাজও মিস হতো না ৷
প্রথমে আমি চট্রগ্রামের নামকরা একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হই কিন্তু বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন যার কারনে তিনি আমাকে এলাকার মাদ্রাসাতেই ভর্তি করালেন, আর আমিও বাড়িতে থেকে ছোট থেকেই পড়ার পাশাপশি বাবার সাথে গিয়ে তার ব্যাবসা সমূহ দেখতে থাকি ৷
 
২.
আমার বয়স যখন সতেরো তখন আমার বোন ইকরার জন্মহয় ৷ এর পরের বছরেই আমি আলেম পরিক্ষায় উর্ত্তীণ হই ৷ এর কিছুদিন পর ভার্সিটি কোচিং এ ভর্তি হয়ে কোচিং করতে থাকি ৷ চট্রগ্রামে থেকে ছয়মাস কোচিং এর পর যখন CU তে আইন বিভাগে চান্স পাই তখন বাবা মা অনেক খুশি হয়েছিলেন ৷ জেঠু,দাদাজান সহ আমাদের বংশের সবাই আমাকে নিয়ে গর্ব করতো ৷ এদিকে ভার্সিটি ভর্তির পর বাবার ব্যাবসা আমিই চালাতে লাগলাম এবং কিছুদিন পর পর ভার্সিটিতে গিয়ে ক্লাস করে আসতাম ৷ বিরক্তিটা দেখা দেয় ভার্সিটিতে উঠার পরেই,
তখন আমি প্রথম স্মার্টফোন কিনলাম, এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের, এখানে উল্লেখ করে রাখা ভালো যে, ভার্সিটিতে আসার আগে আমি খুবই সিম্পল ছিলাম, পড়ালেখা, বাবার ব্যাবসা এই নিয়েই থাকতাম ৷ এসব আধুনিক গ্যাজেটের প্রতি আমার তেমন আগ্রহ ছিলো না ৷
তো ফোন হাতে নেওয়ার পর, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ার সাথে পরিচয় ঘটলো ৷ নিয়মিত নেট ব্রাউজিং করতাম ৷ একদিন ফেসবুক চালাচ্ছি, হঠাতই একটা চটি পেইজ সামনে এসে পড়লো!
প্রথমে তো লেখক কে গালি দিয়ে তার চোদ্দো গোষ্ঠী উদ্ধার করলাম, তারপর সুপ্ত আগ্রহ থেকে পড়া শুরু করলাম ৷
গল্পটা ইনসেস্টিক ছিলো, "মায়ের সাথে সহবাস "
পড়তে পড়তে কখনযে বাড়াটা দাড়িয়ে গেলো বুঝতেই পারিনি ৷
তখন পর্যন্ত জীবনে কখনো হাত মারিনি, কিন্তু সেদিন মারলাম প্রায় আধাঘন্টা অব্ধি ঢলাঢলির পর, চিরিক চিরিক করে বীর্য পড়ে পুরু বাথরুম ভেসে গেলো .......
এর পর পরেই খুব অপরাধ বোধ জেগে উঠলো মনে,
এ আমি কি করলাম?
অবশেষে নিজেকে নিজে সান্তনা দিলাম,
যা হওযার হয়ে গেছে আর হবে না ৷
কিন্তু কে জানতো কাহীনির সূচনা এখান থেকেই হবে ........
এর পর থেকেই যখনি মায়ের সামনে যেতাম,
চোখ চলে যেতো তার সুউচ্চ স্তনের দিকে, তার ফর্সা অপ্সরীর ন্যায় মুখমন্ডলে , রক্তজবার ন্যায় তার ঠোটের দিকে, তার মায়াবী চোখে,
আসলে মা বাড়িতেও পর্দা করতো যার কারনে মুখমন্ডল ছাড়া তেমন কিছুই নজরে পরতো না, তবে মায়ের চেহারাও দারুন দেখতে,
আর তিনি যখন ঘরের মধ্যে খালি পায়ে হাটতেন আমি তার পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম , কি সুন্দর তার পা ৷
নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারতাম না ৷
বাথরুমে চলে যেতাম, সেখানেই খিচে ঠান্ডা করতাম নিজেকে ......
 
৩.
দিন যাচ্ছে আমার মনের বাসনাও তীব্র হচ্ছে,
কিন্তু বাহির থেকে দেখে তা অনুমান করতে পারবেনা, আমি দিব্বি ওনার ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি, ভার্সিটিতে ও ক্লাস করছি, বিভিন্ন সময়ে গিয়ে পরিক্ষাও দিয়ে আসি ৷
একটা জিনিস লক্ষ করলাম, বাবা দিন দিন আমার পর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন ৷ সব কিছুই আমাকে দেখতে হয় , এমন কি মাছের আড়তের হিসেবও আমার কাছেই থাকে,
ব্যাস, দিন শেষে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে মায়ের হাতে দিয়ে দিই, বাবা হিসেবও চান না ৷ আমি বুঝলাম, সব আমার আয়ত্তেই চলে আসছে, বাবা সুধুই ইবাদাত বন্দেগী নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন ৷
বাড়িতে আমার মায়ের কাজ ছিলো ছোট বোনকে সামলানো আর রান্না করা,
আমাদের রান্নাঘরে কখনো কোনো কাজের লোক ঢুকেনি ৷ আমি আর বাবা মায়ের হাতের রান্নাই খেতাম, আর মাও অভ্যস্ত ৷ হিজাব নিয়েয় রান্না করতেন, তার পরেও তার বোরখার মতো ঢোলা মেক্সির উপর দিয়ে তার দেহের গঠন অনুমানের চেষ্টা করতাম, তার কোমরটা অসাধারণ ছিলো ৷ আর সম্পূর্ণ বডি সেপ অনেকটা হাওয়ারগ্লাসের মতো ৷
38-26-37 হবে ৷
সময়ের সাথে মায়ের প্রতি আমার আকর্ষণ তীব্র আকার ধারন করলো ৷ মাকে পাওয়ার নেশায় মাতাল হয়ে একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা সাজাতে লাগলাম ৷
 
৪.
আমার মা খুব কমেই নানার বাড়িতে যেতো, আর বাবার কথা নাহয় বাদেই দি, কারন বাবাও সব সময় ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন, আর এখন ইবাদাত নিয়ে ৷ মায়ের ধারনা ছিলো, "বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই মেয়েদের সব " ৷ আবার নানানানী ও বেচেঁ ছিলেন না, এ কারনেও মায়ের অনিহা ছিলো নানা বাড়ির প্রতি,
কিন্তু তাই বোলে যে আমরা একেবারেই নানার বাড়ি যেতাম না তা নয়, শুধুমাত্র দাওয়াত টাওয়াতে বছরে হয়তো দু তিন বার যেতাম ৷
আজ এমনি একটি দাওয়াত, নানার জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মামারা আমাদের দাওয়াত করেছিলেন ৷
নানাজান মাওলানা হলেও, আমার মামারা ছিলেন অনেক উশৃঙ্খল প্রকৃতির, এলাকার মানুষ তাদের খুবি ভয় পেতো,
নানার বাড়িতে পৌছানোর পর, হালকা নাস্তা করে বৈঠক শুরু হয়ে গেলো,
বৈঠকের মাঝখানেই মামাদের সাথে বাবার কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়, বিষয়টা ছিলো আমার ছোট খালাকে নিয়ে ৷
ছোট খালারা আর্থিকভাবে দূর্বল ছিলো, যার কারনে বাবা, চেয়েছিলেন তাদের যে অংশ তা যেনো পুরুটাই তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু মামারা বলছেন অর্ধেকের বেশি দেওয়া হবে না ৷ বাবা তখন উত্তেজিত হয়ে পড়লেন, মামারাও উত্তেজিত,
আমারা ততক্ষনাৎ, সেখান থেকে চলে আসলাম ৷বাবার এক কথা, যেখানে তার কথার মূল্য নেই সেখানে তিনি একমুহূর্তও থাকবেন না ৷ মা তো এর আগেই এক পায়ে খাড়া ৷ বাবার অপমান তিনি সহ্য করতে পারেন না ৷ আমি বেচারা আর কি করি, বড়মামিকে জড়িয়ে ধরে বাড়াটা তার তলপেটে ঠেকিয়ে সালাম দিয়ে বিদায় নিয়েএসে গাড়িতে উঠি ৷
ড্রাইভার হাসান কাকা, গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলেন ৷
আমি গ্লাসে খালি মাকেই দেখছিলাম, বাবার সাথে কথা বলার সময় তাকে হেব্বী লাগছিলো ৷ গোলাপি ঠোঁট, দেখলেই যেকারো কিস করতে ইচ্ছে হবে ৷
যায় হোক, মাকে পেতে হলে আমাকে প্ল্যান মাফিক কাজ করতে হবে ৷ তাই তার থেকে চোখ সরিয়ে চোখ বন্ধ করে প্ল্যানটা সাজিয়ে নিলাম ৷
মাকে উদ্দেশ্য করে বললাম,
আমি—মামারা কিন্তু কাজটা ভালো করেনি, মা ৷
তারা আজ বাবাকে সবার সামনে শাসিয়েছে, কাল নাজানি কি করে বসে!
বাবা— কি, আর করবে? তাদের মুরোদ আমার জানা আছে, এরা সুধু শাসাতেই পারবে ৷ কিছু করার মতো জিগার, এদের নেই ৷
মা কিন্তু চুপ চাপেই ছিলো ৷ তিনি জারা কে সামলাচ্ছেন, কিন্তু তাকে দেখে ভীত মনে হচ্ছে ৷
এর মানে আমার কথা কাজে দিয়েছে .......
আমরা বাড়ির ভেতরেই চলে আসলাম,
সবার মন মেজাজ খারাপ হয়ে আছে ৷
আমি এমন একটা সুজোগের অপেক্ষাতেই ছিলাম ........
,
বাবা টেবিলে বসে ,তার পরিচিত উকিলদের ফোন করছিলেন, ছোট খালাদের হকের ব্যাপারে কথা বলার জন্যে,
এর মধ্যে, আমি আমার ভার্সিটির কিছু কাগজ পত্র বাবার কাছে নিলাম সাইন করাবার জন্যে, সাথে টেকনাফে নতুন যে টিলাটা কিনেছি, তার কাগজও ছিলো ৷
—আব্বু,
টেকনাফে যে টিলাটা তোমার নামে কিনেছি তাতে তোমার সাইন লাগবে, আর সাথে আমার ভার্সিটির কিছু কাগজ পত্র আছে ৷
—আচ্ছা, তাড়াতাড়ি দে ৷
পড়ে দেখার ফুরসতও বাবার ছিলো না,
তিনি তড়িঘড়ি করে সবগুলো কাগজে সাইন করে দিলেন ৷ তিনি টেরও পেলেন না, তিনি কি করলেন!
এসব কাগজের মধ্যে ছিলো, আমাদের সকল সম্পত্তি আর বাবার ব্যাংকের কাগজ, সাথে মায়ের ডিভোর্স পেপার .....
 
৫.
কাগজপত্র সব ঠিকঠাক করে যখন বাসায় আসলাম রাত হয়ে গেলো,ফ্রেস হতেই মা খেতে ডাকলেন,
বাবা আগেই টেবিলে বসাছিলো,
খাওয়াদাওয়ার এক পর্যায়ে বাবা বলে উঠলেন,
—জাবেদ, মানুষের যে কখন মৃত্যু হয় তা একমাত্র উপরওয়ালাই জানে,
মা—আহ্ খেতে বসে মৃত্যুর কথা বলবেন না তো
—শোন বাবা,আমার অনুপস্থিতিতে আমার সবকিছুই তোর,
তোর মা আর বোন কে দেখে রাখিস,
ভালোমানুষের শত্রুর অভাব হয়না ৷
কখন কি যে হয় কিছুই বলা যায় না ৷
—বাবা,আপনি চিন্তা করবেন না আমি সব কিছুই দেখে রাখবো
একথা বলে জাবেদ, নাজনীনের দিকে আড়চোখে তাকালো,
নাজনীন ছেলের এমন দৃষ্টির সাথে পরিচিত নন!
তার গায়ে যেনো কাটা দিয়ে উঠলো, জাবেদের চাহনি দেখে, সে একসময় চোখ সরিয়ে নিলো, ছেলেটা কেমন মরদ হয়ে উঠেছে,
এমন করে কোনো ছেলে তার মায়ের দিকে তাকায়?
—বাবা,তবে মামাদের বিষয়টা একটু বেশীই হয়ে গেলো মনে হচ্ছে!
তারা নিজিদের কি ভাবেন?
—আর বলিস না বাবা, লোভ! সম্পত্তির লোভ এতো সম্পত্তির কাজ কি? মরে গেলেতো সেই সাড়ে তিন হাতেই লাগে!
আজ আখতার বারবার করে মৃত্যু কে টেনে আনছে, বিষয়টা নাজনীনের একদমই ভালো লাগছে না, একারনে সে তা অগ্রাহ্য করে বলে উঠলো, সন্ধ্যায় আপনার পছন্দের কোরাল মাছ রান্না করেছি,দেখেন তো কেমন হলো!
—মা, আমাকে দেও আমি নিবো,
জাবেদ বলে উঠলো,
—জাবেদকে দেও,আজ কোরাল মাছ খেতে ইচ্ছে করছে না,
জাবেদ মায়ের নরম মসৃন হাতের দিকে তাকিয়ে নাজনীনের রুপ কিছুটা গেলার চেষ্টা করলো,
খাওয়াদাওয়া শেষে জাবেদ তার রুমে চলে গেলো ৷
তার বাড়াটা সেই কখন থেকে তাকে যন্ত্রনা দিয়ে যাচ্ছে, রুমে গিয়ে টাউজারটা নামিয়ে তার মজবুত ধনের উপর বাহাতটা একবার বুলিয়ে নিলো, আহ মা আপনার জন্যে দেখেন আপনার প্রেমিক ভাড়া দাড়া করিয়ে আসন পেতে রেখেছে,
আপনি আসবেন না?
বলবেন না এই আসনে .....
 
ওদিকে কিচেনে নাজনীন প্লেট ধোয়া শেষ করলো, কাল তার ছোটবোনেরা আসবে,একথা মনে পড়তেই সে ভাবলো জাবেদকে গিয়ে বলে আসাযাক কাল যেনো সেই গাড়িটা নিয়ে তার আন্টিদের নিয়ে আসে তাহলে হয়তো তাদের গাড়ি ভাড়াটাও বেচেঁ যাবে,আর আসাও দ্রুত হবে ৷
অন্যদিকে রাতুল বুঝতে পারলো তাকে এখন
একবার বাথরুমে যেতেই হবে,
সে পর্দাসরাতেই মায়ের সাথে মুখোমুখি ভাবে ধাক্কা লেগে যায়!
তার বলিষ্ঠ বাড়াটা সোজা গিয়ে নাজনীনের পেটে ধাক্কা লাগে মা বেলেন্স হারিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় জাবেদ তার হাত ধরে ফেলে আর কাছে টেনে নিতেই জননী জাবেদের কোলে এসে পড়ে,
জাবেদ অনুভব করতে লাগলো তার মায়ের কোমলতা!
আর বুকের সাথে স্পর্শ করে যাওয়া জননীর দুটি মাইয়ের অনুভূতি ৷
ঘটনার আকস্মিকতায় নাজনীন একটু থমকে গেলেও সে দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে ছেলের থেকে সরে দাড়ালো!
জাবেদ,নিজেকে
স্বাভাবিক রেখেই বললো,
মা কিছু বললে?
তেমন কিছুনা, বলছিলাম কাল যদি তুই সময় করে তোর ছোট আন্টিদেরও নিয়ে আসতি ৷
—মা ,কালতো আমার ভার্সিটিতে ক্লাস আছে ৷
কিন্তু সমস্যা নেই আমি হাসান কাকাকে বলে যাবো
—আচ্ছা,
ঠিকাছে,
নাজনীন আড় চোখে ছেলের পেন্টের দিকে দেখতেই বুঝতে পারলে তার পেটে খোচা দেওয়ার জিনিসটা আসলে কি!
কিন্তু সে কিছু না বুঝার ভান করে চলে এলো ৷
জাবেদ সেলোয়ারের উপর দিয়ে মায়ের পাছাটা মাপতে লাগলো !
৩৭"
মা তোমার এই উচুঁ পাছাটা আমার চাইই চাই !
 
৬.১।
চাল গুলো আগে থেকেই ঠিক করা আছে, আজ সুধু বাস্তবে চালতে হবে!
সকালে নাস্তা করে, হাসান চাচাকে বলে দিলাম যাতে করে আন্টিকে নিয়ে আসে,
আর বাবাকে বললাম টেকনাফ গিয়ে যেনো টিলা টা একবার দেখে আসে,
এরপর মাবাবাকে সালাম করে জাবেদ প্রাইভেট কারটা নিয়ে চলেগেলো ভার্সিটির উদ্দেশ্যে,

দেখলে জাভেদের মা,
ছেলেটা আমার কেমন দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে, জাভেদের কারনেই আপতত আমাকে কোনো টেনশন নিতে হয়না ৷
—কিন্তু আপনার মনে হয়না, ছেলের উপর বেশী চাপ হয়ে যাচ্ছে?
পড়ালেখার পাশাপাশি এতো কিছু সামলানো ৷
—আমার ছেলে পারবে সে,
ছোটো থেকে তাকে আমিই গড়ে তুলেছি,
নাজনীন,কিচেনে যেতে যেতে বললো,
ছিলেটা কিন্তু আমারো,
একথা বলতেই,
নাজনীনের গত রাতের অতর্কিতভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা মনে পড়ে গেলো,
কি বিশ্রী ভাবেই না ছেলের সাথে ধাক্কাটা লাগলো! এর জন্যে নাজনীন গতরাতে নামাজ পড়ে তওবাও করেছে,
যুবক ছেলের সাথে এমন ঘনিষ্ঠ হওয়া অবশ্যই গুনার কাজ ৷
তবে নাজনীন যেনো ছেলের বুকের উষ্ণতা এখনো টের পাচ্ছে!
কি চওড়া ছাতি জাবেদের ৷
না, মা হয়ে এসব ভাবা একদমই ঠিকনা ৷
কিন্তু তারপরও নাজনীন যখন গতরাতে স্বামী সহবাসে লিপ্ত ছিলো, কেনো যেনো স্বামীর স্পর্শে একবার ক্ষনিকের জন্যে জাভেদের চেহারাটা সামনে চলে এসেছিলো ৷
নাজনীন এমন ভ্রমকে পাত্তা দিলো না,
মন দিয়ে নিজের রান্নার কাজ করতে লাগলো,
ছোট বোন আসবে,
যাদের জন্যে এতো কান্ডঘটে গেলো, দুবোন অনেকদিন পর একসাথ হবে ৷
 
ওদিকে হাসেন মিয়া গাড়ি নিয়ে বাঁশখালী গেলেন,
বাজারের উত্তর পাশেই মুন্সী বাড়ি,
পূর্ব যাতায়ত থাকায়
হাসানের চিনতে কোন অসুবিধে হয়নি,বাড়ির প্রথমের একতলা অর্ধ সমাপ্ত বাসাটায় ছোট খালাদের,
"মোসাম্মত্ শারমীন আক্তার "
নাজনীনের ছোট বোন, জাবেদের ছোট খালা,
খালুাজানের কদমতলী কাপড়ের একটা মাঝারি দোকান আছে,
একবার আগুন লেগে যাওয়ার পর থেকে ব্যবসায় উঠে দাড়াতে হিমসিম খাচ্ছেন,
জাবেদের বাবা অবশ্য তাকে কিছু টাকা ধার হিসেবে দিয়েছিলেন,যদিও তা আর ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি ৷ আখতার সাহেবই আসলে চাননি!
ছোট খালা আর তার মেয়ে অপর্ণা কে নিয়ে একাই থাকেন, খালু সকালে বাসে করে কদমতলী যান এবং রাতে ফিরেন,আর কাজ করার জন্যে বাড়ীর এক ননদ জমিলা বেগম তাকে সাহায্য করে ,

ছোট খালা নিজে একটা বোরখা চাপিয়ে নিলো আর তার ৩ বছরের মেয়ে অপর্ণাকেও জামা পরিয়ে প্রায় তৈরী হয়েই ছিলো,

মাইক্রোর হর্ন শুনে অপর্ণা চঞ্চল হয়ে উঠলো,
—আম্মু আম্মু গাদি গাদি!
—বাবা কেমন করছে দেখো মেয়েটা
দাড়া তোর খালামনির জন্যে যে পিঠাগুলো বানিয়েছি নিয়ে নিই,জাবেদের আবার পিঠার খুবই শখ ৷
এর ফাকে হাসান ভেতরে এসে বসলো,
জমিলা বেগম,
তাকে কিছু পিঠা আর একগ্লাস পানি দিয়ে গেলো,
হাসানের খাওয়ার ফাকে শারমিন পিঠে টিঠে প্যাক করেনিলো,
এরপর বাসায় তালা দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো, শারমিন বাসার চাবি নিজের বেগে নিয়ে নিলো, কারন তার স্বামী রাতে এদিকে আর আসবে না একসাথে বোনের বাড়িতেই যাবেন,
জমিলার থেকে বিদায় নিতেই হোসেন দরজা আটকে দিয়ে,
গাড়ি স্টার্ট দিতেই তাদের যাত্রা শুরু হলো ৷
 
৬.২।
সারমিন বাসায় আসতেই দুলাভাইয়ের সাথে দেখা,আখতারুজ্জাম চৌধুরী ড্রয়িংরুমে বসে বসে টিভি দেখছিলেন, দুলাভাই কে সালাম দিলো,
আখতার তার শালিকার সালাম নিয়ে স্ত্রীকে ঢাকতে লাগলেন, কৈ জাভেদের মা দেখো কে এসেছে!
—ভেতরের দিকে যাও ৷
নাজনীন আক্তার তার বোনকে দেখে বেজায় খুশী ৷
ছোটো অপর্ণা তার অন্টিকে দেখে,দৌড়ে তার কোলে উঠে গেলো,
—মিষ্টি একটা,মেয়ে হয়েছে তোর ৷
আপু তোমারটার মতো মিষ্টি হয়নি!
শারমিন বলতে লাগলো,
—কি যে বলিস না!
তা আমাদের জাবেদ কই?
তোমার মেয়েটা কই বুড়িটা কি করছে?
—ছেলেটা গিয়েছে ভার্সিটিতে আর অন্যজন ঘুমিয়েছে জাগাস না, এখন ৷
এই পিঠে গুলো বানিয়েছি তোমাদের জন্যে ৷ ফ্রীজে রেখে দেও ৷
শারমিন বোরখা খুলে ফেললো, বুবু যা গরম পড়ছে না,
—হুম, এসিটা বাড়িয়ে দিয়ে রুমে গিয়ে রেস্ট কর,
দু বোন নিজেদের নিয়ে মেতে উঠলো,

জাবেদের মা, একটু এদিকে আসবে?
নাজনীন কথা থামিয়ে স্বামীর ঢাকে তাড়াতারি সেখানে উপস্থিত হলো,
—আমি নতুন টিলাটা দেখতে যাবো,তোমরা দুবোন থাকো, আর কিছু লাগলে আমায় ফোন করো, বাবলু কে দিয়ে পাঠিয়ে দিবো ৷
—আচ্ছা ঠিকাছে, তবে আসার সময় মনে করে একঘটি মিষ্টি দৈ নিয়ে আসবেন ৷
—খোদাহাফেজ,
নাজনীন স্বামীকে দুয়ার পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন,


হাসানের বুঝি আর জিরিয়ে নেওয়া হলোনা,সবে মাত্র আসলেন তারপর বড় মালিক আবার গাড়ি স্টার্ট দিতে বললেন,
ছোট মালিক নাকি নতুন একটা টিলা কিনেছেন, তা দেখতে যাবে,
দেখতে যাওয়ার কি আছে, কিনছে তো কিনছেই,
মানুষের টাকা থাকলে কত্ত কি করে! শুনেছি ছোট মালিক নাকি সেখানে একটা বাংলো করবেন ৷ এতো বাড়ি দিয়ে কি করবেন তিনি?
বাপের এক ছেলে কক্সবাজারেও একটা বাড়ি আছে তাদের,এখন আরেকটা বানাবে!
তবে দুজনই বড় মনের মানুষ, যেমন বাবা তেমনি তার ছেলে ৷
হাসান মিয়ার আজ চৌদ্দ বছর থেকে তাদের ড্রাইভার ৷ কিন্তু কখনো বুজতে দেয়নি তিনি তাদের কর্মচারী সবসময়ই তাকে পরিবারের সদস্যের মতোই ট্রেট করেছে, হুম যদিও হাসান মিয়া আম্মাজান কে এতো বছরে বোরখা বেতিরেখে তেমন একটা দেখে নি, তারপরেও বুঝতে পারেন উনিও মানুষ খারাপ না, হয়তো পর্দার ব্যাপারে একটু বেশীই সতর্ক!
তারপরেও হাসানের বৌ কিন্তু কয়েকবার তাদের বাসায় এসেছে,তার থেকে শুনে এটুকু বুঝেছেন, আম্মাজান আসলেই অনেক ভালো মানুষ ৷
তার বড় মেয়ের বিয়ের সব স্বর্ন আম্মাজানই দিয়েছেন,
আর টাকা যা লেগেছে বড় মালিক ব্যাবস্থা করেছে,
নিজের মেয়ের মতো করেই হাসানের মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ৷
এসব ভাবলে হাসান মিয়ার সব কষ্টই তুচ্ছ মনে হয়,এ পরিবারের জন্যে সে যতটুকুই করেনা কেনো সবি যেনো খুবই তুচ্ছ !
নিজের জীবন দিয়েও হয়তো এঋন তিনি শোধ করতে পারবেন না ৷

—হোসেন, তুই কি চিনিস!!
টিলাটা রাস্তার ঠিক কোন পাশে?
—না, মালিক ৷
—ছেলেটা বারবার করে বলে গেলে গিয়ে দেখে আসার জন্যে কিন্তু লোকেশনটাইতো তিনি ঠিক মতো জানেন না,
উত্তরে বলেছিলে না কি পশ্চিমে?
আর পাশাপাশি এতো টিলা কোনটা কার!
ছেলেকে ফোন দিবো?
না থাক,
হয়তো ক্লাসের মাঝে আছ ৷
,
তুই চালাতে থাক, ঘেরে গিয়ে শফিকেকে প্রয়োজনে সাথে নিয়ে আসবো, অনেকদিন চিংড়ী ঘেরে যাইনি ৷
 
৬.৩।
—নিয়াজ,শুন ফাস্ট পিরিওডের ক্লাসটা বোধয় ধরতে পারবো না, প্রেজেন্টটা ম্যানেজ করে দিস,
—তুই ভাবিস না, দিয়ে দিবো,
—অতো দূর থেকে গিয়ে ক্লাস করি, বুঝিসিই তো, তার উপর আমার প্রেজেন্ট পারসেন্টিজও এবার লো ৷
—হ্যা হ্যা ঠিকাছে, বদ্দা তুই টেনশন ন লইয়ো ৷
ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলো নিয়াজ, জাবেদ জানে নিয়াজ ঠিকই তার উপস্থিতি দিয়ে দিবে,
ওয়ারহাউজে বসে বসে সে,তার বাইকের নাম্বার প্লেট পাল্টাচ্ছে,
প্লেট পাল্টে ,ড্রয়ার থেকে
P18c টা বের করে তাতে সাইলেন্সার লাগাতে লাগলো, তার ভেতরের জানোয়ারটা যেনো জেগে উঠেছে ৷ হাতে গ্লাভস পরে সে তার রিভালবারটা কোর্টের পকেটে নিয়ে নিলো,
জাবেদ মাদ্রাসায় পরার দরুন সবসময় পাঞ্জাবি আর পাজামায় পরতো, ভার্সিটিতে সে পাঞ্জাবির উপর দিয়ে কোর্ট পরে যেতো ৷ আইনের ছাত্র হিসেবে কালো কোর্টে তাকে দারুণ মানাতো, দেখেই উকিল উকিল ভাব!
টিলার পাশের রাস্তায় অনেক্ষন ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছে সে,
অবশেষে গাড়ির হর্নে যেনো তার অধীর অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটলো ৷

ড্রাইভার হাসান মিয়া জাবেদকে দেখে গাড়ি থামালো,
এদিকের আঁকাবাঁকা রোডগুলো অনেকটাই নির্জন ও ফাকা থাকে,আশেপাশে বসতি গড়ে উঠেনি বোলে জনমানব শূন্য থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু অনেকসময় ঘন্টার পর ঘন্টায়ও কোনো যানবাহন যায় না ৷
আখতারুজ্জামান গাড়ি থেকে নেমে ছেলেকে দেখে অবাক হলেন,
—কিরে, ভার্সিটি গেলি না ৷
—না বাবা,আজ ভার্সিটিতে ক্লাস হবে না, স্টুডেন্ট লীগ, আর ছাত্র ফোরামের মধ্যে গন্ডগোল বেধেছে ৷
—তাই নাকি, তাহলে ভালোই করেছিস ৷
তুই থাকাতে সুবিধাই হলো, নতুন কোন টিলাটা কিনছিস, আমি তো জানিই না, আর হাসান মিয়াও নাকি চিনে না ৷
—সমস্যা নেই, বাবা আমি তো আছি, আমিই সব সামলে নিবো!
জাবেদ তার বাবাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলো,খানিক পথ যেতেই তাড়া রাস্তা থেকে আড়াল হয়ে গেলো, হাসান মিয়া গাড়ি রাস্তার পাশে পার্ক করাতে ব্যাস্ত ৷
হঠাতই এক মৃদু শব্দের পর,
মালিকের আহ্ আওয়াজে সে তাড়াতাড়ি সেদিকে গেলো,
—হাসান চাচা এদিকে এসো জলদি বাবাকে সাপে কেটেছে,
হাসান মিয়া দ্রুতবেগে সেখানে যেতেই দেখে,তার মালিকের দেহটা মাটিতে পড়ে আছে আর মাথা থেকে রক্ত ঝরছে!
জাবেদ পাশেই দাড়িয়ে ছিলো,
হা হা হা হা,
হাসান মিয়ার দিকে তাকিয়ে সে উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো, জাভেদের ভয়ানক হাসিতে হাসান মিয়ার দেহ যেনো রক্তশূণ্য হয়ে পড়লো ৷
জীবনে ভয়ে সে কাঁপতে লাগলো,তাও নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করলো সে,
ছোট মালিক, এটা আপনে কি করলেন!
—দেখিস নি কি করেছি!
পথের কাঁটা সরিয়ে দিলাম! এখন রাজ্য আর রানী দুটোই আমার,
—কি বলছেন মালিক ?
তোর মাথায় এসব ঢুকবে না, তোর মাথায় সুধু বুলেট ঢুকবে, বুলেট !
হাসান মিয়া পালানোর চেষ্টা করলেন , কিন্তু
আরেকটা মৃদু শব্দ আর হাসেনের চিতকারের পর সব কিছুই শীতল হয়ে গেলো ৷
9mm এর একটা বুলেট হাসানের পিঠে বিধলো আর তারপর পরই আরেকটা বুলেট তার মাথার খুলিতে আঘাত করতেই সব শেষ হয়ে গেলো,
জাবেদ তার পরের চালে, হাসান আর বাবার মৃত দেহটাকে মাইক্রোতে তুলে, অটো স্টার্ট দিয়ে গাড়িটা ছেড়ে দিলো,
গাড়িটা ঠিক কত নিচে পড়ছে এসব দেখার সময় জাবেদের হাতে নেই,
সে ওয়ার হাউজে গিয়ে, দ্রুত প্লেট পাল্টে বাইকটা রেখে, প্রাইভেট কারে করে ভার্সিটির দিকে রওনা দিলো ৷
 

Users who are viewing this thread

Back
Top