দাবার চাল
লেখক- Premik57
লেখক- Premik57
১.
আমাদের বংশ খুবই রক্ষনশীল ধরনের, ছোটবেলা থেকে কোনো অনিয়ম আমার চোখে পড়েনি, সকলেই ছিলেন ধর্মভীরু প্রকৃতির ৷
আমার দাদা ইফতেখারুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন শান্তি নগরের জমিদার, সে সূত্রে বংশগত ভাবেই আমারা বিত্তবান ছিলাম ৷ আমার বাবা আখতারুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন পরিবারে সবার ছোটো ৷ দাদা দাদী বড় জ্যাঠাদের সাথে থাকতেন,আর আমাদের পরিবার থাকতো আলাদা ৷
আমার মায়ের নাম ছিলো মোছাম্মত্ নাজনীন আক্তার তাদের বংশও ছিলো নামকরা, আমার নানা ছিলেন মাওলানা, সে সূত্রে মাও ভিষন ধর্মভীরু ছিলেন ৷
রক্ষনশীল পরিবারের কারনে মায়ের পড়ালেখা বেশিদূর এগুতে পারেনি ,ধর্মীয় ভাবে কিছুদূর পড়া শেষেই তার বিয়ের ব্যাবস্থা হয় ৷
মা ছিলেন অনন্য রুপের আদিকারি কিন্তু তার এরুপ বাহিরের লোকে কখনই দেখতে পায়নি ৷ ঘরের মধ্যেও তিনি হিজাব করতেন, আর বাহিরে বেরহওয়ার সময় বোরখা ৷
মায়ের উচ্চতা ৫.৪" এর মতো হবে ৷ মাকে যখন বিয়ে করে, তখন বাবার বয়স ছিলো ৩০ বছর ৷
বাবা নিজের পায়ে দাড়িয়ে তবেই বিয়ে করেছিলেন ৷
চকরিয়ায় তার ৮টি চিংড়ীর ঘের ছিলো, আর ৭টি লবনের মাঠ ৷ টেকনাফে বাবা বিশাল করে একটি বাংলো বানিয়েছেন , দাদাজানের এতো অর্থসম্পদ থাকা শর্তেও তিনি কখনো পরিশ্রম করতে দ্বিধা করেন নি ৷
মাকে যখন বিয়ে করে আনেন তখন তিনি অতটা পরিপূর্ণ ছিলেন না অর্থাত শারীরিকভাবে মা অনেক দূর্বল ছিলেন ৷ যারকারনে রতীক্রিয়ার সময় মা খুবই কষ্ট পেতেন ৷
আমার জন্মের সময় মায়ের অবস্থার অবনতি ঘটে তিনি প্রায় মৃত্যু সজ্জায় চলেগিয়েছিলেন, যদিও পরবর্তীতে সকলের দোয়ায় রিকভার করে উঠেছিলেন ৷
এঘটনায় বাবা অনেকটাই ভয়ে পেয়ে যান, কারন তিনি মা কে অনেক ভালোবেসে ফেলেন যার কারনে তিনি দীর্ঘ মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহন করেছিলেন ৷
এদিকে আমি বড় হতে থাকলাম,
ছোট থেকেই আমি ছিলাম দূরন্ত প্রকৃতির, কোনো নিয়মের ধার ধারতাম না ৷ কিন্তু বাবাকে ভিষন ভয় পেতাম, তার ভয়ে এক ওয়াক্ত নামাজও মিস হতো না ৷
প্রথমে আমি চট্রগ্রামের নামকরা একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হই কিন্তু বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন যার কারনে তিনি আমাকে এলাকার মাদ্রাসাতেই ভর্তি করালেন, আর আমিও বাড়িতে থেকে ছোট থেকেই পড়ার পাশাপশি বাবার সাথে গিয়ে তার ব্যাবসা সমূহ দেখতে থাকি ৷