যেহেতু মানুষের ত্বক ও চুল খুবই স্পর্শকাতর, তাই এগুলোর জন্য মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিম্নমানের পণ্য ব্যবহারে বিরত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো খুশকি। খুশকি চুলে হয় না, হয় মাথার ত্বকের ওপরের অংশে। এ ছাড়া মুখ ও কানে, নাকের ছিদ্র থেকে শুরু করে কপাল, ভ্রুতে, এমনকি ঠোঁটে দেখা যেতে পারে খুশকি। মাথার ত্বকের উপরিভাগের ঝরে পড়া মৃত কোষ হচ্ছে খুশকির মূল উপাদান। কারও মাথার ত্বকে খুব বেশি মৃত কোষ তৈরি হয়, আবার কারও কম। মাথার ত্বকের মৃত কোষ ঝরে গিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন কোষ তৈরি হচ্ছে। ফলে এসব মৃত কোষ খুব বেশি জমে গেলে মাথায় চুলপড়া রোগের সৃষ্টি হয়। হতে পারে নানা ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি।
খুশকির আরেকটি কারণ হচ্ছে মানসিক দুশ্চিন্তা। হতাশা কিংবা মানসিক চিন্তা থেকে মাথার ত্বক শুকিয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনিয়মিত পরিচর্যা ও অবহেলায় মাথার ত্বকে খুশকির পরিমাণ বাড়ে এবং ছত্রাকের সৃষ্টি হয়। ফলে ত্বকে ঘা–সহ নানা রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাসের কারণেও খুশকি হতে পারে। মূলত ভিটামিন বি ও জিংকের অভাবে খুশকি হয়।
ম্যালেসেজিয়া নামের একধরনের ছত্রাক খুশকির কারণ। এ ছত্রাক সবার ত্বকেই কমবেশি থাকে। কিন্তু এটির পরিমাণ ত্বকে বেশি হলে তা ত্বক শুষ্ক করে তোলে। ফলে খুশকির সৃষ্টি হয়। আবার ত্বকের নানা সমস্যায় এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় খুশকি হতে পারে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাঁদের খুশকি হতে পারে। খুশকি হতে পারে আরও নানা কারণে। যদি এর প্রতিকার না করা যায়, তবে চুল পড়া রোধ সম্ভব নয়।
নিয়ন্ত্রণের উপায়: খুশকি একেবারে গোড়াতেই নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। কারণ, একবার বাড়তে শুরু করলে তা নিরাময় করা কঠিন। কেন এত খুশকি হচ্ছে, সেটা জানার চেষ্টা করতে হবে। এর চিকিৎসা না করালে চুলের স্বাস্থ্যহানি হবে। মাথার তালু চুলকাবে বেশি, চুল পড়া শুরু হবে। চুল যদি অতিরিক্ত ময়লা হয় বা নিয়মিত না ধোয়া হয়, তাহলে খুশকি হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত বাইরে যান বা ধুলাবালুতে চলাফেরা করেন, তাঁদের নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। যেহেতু মানুষের ত্বক ও চুল খুবই স্পর্শকাতর, তাই এগুলোর জন্য মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিম্নমানের পণ্য ব্যবহারে বিরত থাকতে হবে। পরিবারের কারও মাথায় খুশকি থাকলে তাঁর ব্যবহৃত তোয়ালে বা চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়। মন প্রফুল্ল রাখতে হবে, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। মনে রাখবেন, একবার খুশকি সেরে গেলে এবং মাথার তালু ফাঙ্গাসমুক্ত হলে আবার চুল গজাবে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে খুশকিপ্রতিরোধী ওষুধ ও অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
* ডা. জাহেদ পারভেজ | চর্ম ও হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞ
অতিরিক্ত চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো খুশকি। খুশকি চুলে হয় না, হয় মাথার ত্বকের ওপরের অংশে। এ ছাড়া মুখ ও কানে, নাকের ছিদ্র থেকে শুরু করে কপাল, ভ্রুতে, এমনকি ঠোঁটে দেখা যেতে পারে খুশকি। মাথার ত্বকের উপরিভাগের ঝরে পড়া মৃত কোষ হচ্ছে খুশকির মূল উপাদান। কারও মাথার ত্বকে খুব বেশি মৃত কোষ তৈরি হয়, আবার কারও কম। মাথার ত্বকের মৃত কোষ ঝরে গিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন কোষ তৈরি হচ্ছে। ফলে এসব মৃত কোষ খুব বেশি জমে গেলে মাথায় চুলপড়া রোগের সৃষ্টি হয়। হতে পারে নানা ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি।
খুশকির আরেকটি কারণ হচ্ছে মানসিক দুশ্চিন্তা। হতাশা কিংবা মানসিক চিন্তা থেকে মাথার ত্বক শুকিয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনিয়মিত পরিচর্যা ও অবহেলায় মাথার ত্বকে খুশকির পরিমাণ বাড়ে এবং ছত্রাকের সৃষ্টি হয়। ফলে ত্বকে ঘা–সহ নানা রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাসের কারণেও খুশকি হতে পারে। মূলত ভিটামিন বি ও জিংকের অভাবে খুশকি হয়।
ম্যালেসেজিয়া নামের একধরনের ছত্রাক খুশকির কারণ। এ ছত্রাক সবার ত্বকেই কমবেশি থাকে। কিন্তু এটির পরিমাণ ত্বকে বেশি হলে তা ত্বক শুষ্ক করে তোলে। ফলে খুশকির সৃষ্টি হয়। আবার ত্বকের নানা সমস্যায় এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় খুশকি হতে পারে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাঁদের খুশকি হতে পারে। খুশকি হতে পারে আরও নানা কারণে। যদি এর প্রতিকার না করা যায়, তবে চুল পড়া রোধ সম্ভব নয়।
নিয়ন্ত্রণের উপায়: খুশকি একেবারে গোড়াতেই নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। কারণ, একবার বাড়তে শুরু করলে তা নিরাময় করা কঠিন। কেন এত খুশকি হচ্ছে, সেটা জানার চেষ্টা করতে হবে। এর চিকিৎসা না করালে চুলের স্বাস্থ্যহানি হবে। মাথার তালু চুলকাবে বেশি, চুল পড়া শুরু হবে। চুল যদি অতিরিক্ত ময়লা হয় বা নিয়মিত না ধোয়া হয়, তাহলে খুশকি হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত বাইরে যান বা ধুলাবালুতে চলাফেরা করেন, তাঁদের নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। যেহেতু মানুষের ত্বক ও চুল খুবই স্পর্শকাতর, তাই এগুলোর জন্য মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিম্নমানের পণ্য ব্যবহারে বিরত থাকতে হবে। পরিবারের কারও মাথায় খুশকি থাকলে তাঁর ব্যবহৃত তোয়ালে বা চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়। মন প্রফুল্ল রাখতে হবে, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। মনে রাখবেন, একবার খুশকি সেরে গেলে এবং মাথার তালু ফাঙ্গাসমুক্ত হলে আবার চুল গজাবে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে খুশকিপ্রতিরোধী ওষুধ ও অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
* ডা. জাহেদ পারভেজ | চর্ম ও হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞ