চোরাবালি নিয়ে যত কথা
চোরাবালি আসলে কী?
___________________
" চোরাবালি" -শব্দটা শোনেননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। একে ইংরেজিতে বলে "Quicksand"। চোরাবালি আসলে সাধারণ বালির মতোই এক ধরনের বালি। কিন্তু সাধারণ বালির সাথে একটি বড় পার্থক্যও আছে এর। পার্থক্য হলো এই বালি পানি দ্বারা অতি-সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। আমরা যখন সাধারণ বালির উপরে দাঁড়াই, তখন পা কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেলেও বেশিদূর যেতে পারে না। এর কারণ, বালিতে থাকা ঘর্ষণ বল আমাদেরকে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে পানি দ্বারা প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত হবার দরুন চোরাবালিতে এই বল সাধারণ বালির তুলনায় অনেক কমে যায়। এর ফলে পানি ও মাটি মিশ্রিত হয়ে স্যুপের মতো হয়ে যায়। যখন পানি ঝরঝরে-আলগা বালির মধ্যে আটকা পড়ে, তখন এটি তরলীকৃত মাটি তৈরি করে। ফলে এই মাটি কোনো ধরনের ভার বহন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর এরকম প্রাকৃতিক কারণেই মূলত তৈরি হয় 'চোরাবালি' নামক ফাঁদের।সাধারণত এর উপর চাপ ১% বৃদ্ধি করলেই এটা কাজ শুরু করে দেয়।
চোরাবালি-কে অঅতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন :
নাটক,চলচ্চিত্র ইত্যাদিতে নাটকীয়ভাবে দেখালেও চোরাবালিতে কেউ পুরো ডোবেনা- মানুষের আপেক্ষিক গুরুত্বে চোরাবালিতে ভেসে থাকা উচিত। সাধারণত চোরাবালিতে কেউ আটকে গেলে স্বীয় চেষ্টায় তা থেকে উঠে আসতে পারে না মানুষ, তখন সহায়তাকারীর দরকার হয়। এজন্য বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে লাইফগার্ডদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
🏷চোরাবালি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
______________________
চোরাবালি কয়েক ফুটের বেশি গভীর হয় না;কিন্তু এই কয়েক ফুট ই মৃত্যুশঙ্কা তৈরি করে।
কারণ আশা করি,চোরাবালির পরিচয় পর্ব থেকে বুঝেছেন।আপনি ভারসাম্য রাখতে ব্যর্থ হবেন।যত বেশি নড়াচড়া করতে চাইবেন;বিপদ তত বাড়বে।বরং,আস্তে আস্তে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।আশেপাশে ডাল/লাঠি থাকলে অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
যদি চোরাবালিতে পড়ে যান?
_________________________
আপাতদৃষ্টিতে আপনি বুঝতে পারবেন না যে কোথায় চোরাবালি আছে। তাই আপনি যদি ঘটনাক্রমে চোরাবালিতে পড়েও যান, তাহলে আপনার প্রথম কাজটি হবে- আতঙ্কিত না হওয়া। আগেই বলেছি, চোরাবালি কয়েক ফুটের বেশি গভীর হয় না। তাই চোরাবালিতে পড়ে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার জুতা জোড়া হারানোর সম্ভাবনাই প্রকট!
চোরাবালির ফাঁদে পড়লে যে কয়টি ব্যাপার মনে রাখবেন:
১. আপনি মারা যাচ্ছেন না, এটা নিশ্চিত!
২. আপনি যতটা বল প্রয়োগ করবেন, ততটাই ঐ ফাঁদে ফেঁসে যাবেন ; স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৩য় গতিসূত্র-এর দারুণ প্রয়োগ আরকি। তাই নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। কখনোই হাত-পা ছোঁড়ার চেষ্টা করবেন না। এই কাজ করলে আপনি শুধু একটাই সাফল্য পাবেন- আপনি নিজেকে চোরাবালির আরও গভীরে নিয়ে যাবেন!
৩. মানবদেহের ঘনত্ব প্রতি ঘনফুটে ৬২.৪ পাউন্ড। আর এই ঘনত্ব নিয়েই আমরা দিব্যি পানিতে ভেসে থাকতে পারি। অন্যদিকে চোরাবালির ঘনত্ব প্রতি ঘনফুটে ১২৫ পাউন্ড। তার মানে বুঝতেই পারছেন, পানির চেয়েও অনেক সহজে ভেসে থাকা যাবে চোরাবালিতে!
একটা কথা বলে রাখা ভালো, চোরাবালিতে পুরো শরীর নিয়ে না পড়ে যদি কখনো এক পা পড়ে যায়, তাহলে সাথে সাথে পিছনে ফিরে আসুন। চোরাবালি প্রায় এক মিনিট সময় নেয় তরলিত হওয়ার জন্য। আপনি সচেতন থাকলেই নিজের পা-কে ঐ সময়ের মধ্যে বের করে নিয়ে আসতে পারবেন।
আর আপনি যদি চোরাবালিতে পুরো দেহসমেত পড়েই যান, তাহলে আরো কিছু কাঠখড় পোড়াতেই হবে। চলুন অন্য একটা উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা বুঝতে চেষ্টা করি। ধরুন, আপনি চোরাবালিতে না পড়ে একটি বিশাল বড় পুকুরে পড়ে গেছেন। তখন আপনি কী করবেন? সাঁতরে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করবেন অবশ্যই। একই কাজ করতে হবে চোরাবালির ক্ষেত্রেও। নিজের দেহকে আনুভূমিক করে পিঠের উপর ভর দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীরের ভর সমানভাবে বণ্টন হবে। এর ফলে আপনি সহজে ভেসে থাকতে পারবেন। এরপর মূলত আপনাকে চিৎসাঁতার দিতে হবে! নিজের পা দুটোকে ঝাঁকিয়ে পায়ে লেগে থাকা বালিগুলোকে আলগা করার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে সেগুলোকে উপরে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। সাঁতারে যেভাবে হাতকে কাজে লাগান ঠিক সেভাবে এখানেও করার চেষ্টা করুন। তবে সাবধান! নিজের হাত দুটোকে ডুবিয়ে একসাথে করবেন না যেন। তাহলে ওগুলো আবার চোরাবালিতে আটকে যেতে পারে! এভাবে সাঁতরে আপনি যখন একটু শক্ত মাটির নাগাল পাবেন, নিজেকে টেনে বের করে নিয়ে আসুন।
তবে চোরাবালি নিয়ে কি মজা করতে পারি?
___________________________________
চোরাবালি যে একদম অহিংস- এমন বলা যাবে না। আবার অত্যন্ত বিপদজনক- এ কথাও বলা যাবে না। নিজে নোংরা হওয়া, জুতা কিংবা কাঁধের ব্যাগ হারানোর থেকে তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা এতে তেমন নেই। কিন্তু ব্যাপারটা মারাত্মক হতে পারে এতে আটকা পড়ার জায়গার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। চোরাবালিতে আটকা পড়ার পর মৃত্যুর খবরও শোনা যায়নি, এমন বলা যাবে না। সমুদ্রের তীরে চোরাবালিতে আটকা পড়ে পরবর্তীতে সমুদ্রে ঢেউয়ের কারণে মারা যাওয়ার ঘটনাও শোনা গেছে। আবার জনমানবহীন জায়গায় চোরাবালিতে আটকা পড়ে যদি নিজেকে উপরে তুলে আনতে কেউ ব্যর্থ হন, তাহলে সেটাকেও যথেষ্ট বিপদজনক বলতে হবে। তাই বলা যায়, মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করলে আপনার তেমন কোনো ক্ষতিই হবে না চোরাবালি থেকে।
চোরাবালি নিয়ে আশ্চর্যজনক কিছু জানা যাক?
____________________________________
এবারে আপনাদেরকে একটু চমকে দেয়া যাক! চোরাবালি যে পানি আর বালির সংমিশ্রণেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। চোরাবালি শুষ্কও হতে পারে। শুষ্ক চোরাবালি তখনই তৈরি হয়, যখন বালুকণা অত্যন্ত আলগা গঠন ধারণ করে। এর এমন পরিস্থিতি হয় যে, এটি খুব কষ্টে নিজের ভরই ধরে রাখে। তাহলে ভাবুন আপনি পড়ে গেলে কী হবে? তাসের ঘর যেভাবে পলকের মধ্যে ভেঙে যায়, ঠিক সেভাবেই টুপ করে এর ভেতরে হারিয়ে যাবেন আপনি! এখন মনে মনে আপনি হয়তো ভাবছেন, তাহলে চোরাবালিকে বিপদজনক বলবো না কেন? সৌভাগ্যবশত শুষ্ক চোরাবালির অস্তিত্ব গবেষণাগার ছাড়া প্রকৃতিতে কখনো পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা বিশেষ পদ্ধতিতে বালির মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবাহিত করার মাধ্যমে শুষ্ক চোরাবালি তৈরি করেন। তবে বিজ্ঞানীরা শুষ্ক চোরাবালির অস্তিত্ব একেবারেই নাকচ করে দেন না। তবে কখনো যদি এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়, ভাগ্যের উপর ভরসা করা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না বৈকি!
লেখা টা সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত আশা করছি
চোরাবালি আসলে কী?
___________________
" চোরাবালি" -শব্দটা শোনেননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। একে ইংরেজিতে বলে "Quicksand"। চোরাবালি আসলে সাধারণ বালির মতোই এক ধরনের বালি। কিন্তু সাধারণ বালির সাথে একটি বড় পার্থক্যও আছে এর। পার্থক্য হলো এই বালি পানি দ্বারা অতি-সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। আমরা যখন সাধারণ বালির উপরে দাঁড়াই, তখন পা কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেলেও বেশিদূর যেতে পারে না। এর কারণ, বালিতে থাকা ঘর্ষণ বল আমাদেরকে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে পানি দ্বারা প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত হবার দরুন চোরাবালিতে এই বল সাধারণ বালির তুলনায় অনেক কমে যায়। এর ফলে পানি ও মাটি মিশ্রিত হয়ে স্যুপের মতো হয়ে যায়। যখন পানি ঝরঝরে-আলগা বালির মধ্যে আটকা পড়ে, তখন এটি তরলীকৃত মাটি তৈরি করে। ফলে এই মাটি কোনো ধরনের ভার বহন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর এরকম প্রাকৃতিক কারণেই মূলত তৈরি হয় 'চোরাবালি' নামক ফাঁদের।সাধারণত এর উপর চাপ ১% বৃদ্ধি করলেই এটা কাজ শুরু করে দেয়।
চোরাবালি-কে অঅতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন :
নাটক,চলচ্চিত্র ইত্যাদিতে নাটকীয়ভাবে দেখালেও চোরাবালিতে কেউ পুরো ডোবেনা- মানুষের আপেক্ষিক গুরুত্বে চোরাবালিতে ভেসে থাকা উচিত। সাধারণত চোরাবালিতে কেউ আটকে গেলে স্বীয় চেষ্টায় তা থেকে উঠে আসতে পারে না মানুষ, তখন সহায়তাকারীর দরকার হয়। এজন্য বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে লাইফগার্ডদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
🏷চোরাবালি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
______________________
চোরাবালি কয়েক ফুটের বেশি গভীর হয় না;কিন্তু এই কয়েক ফুট ই মৃত্যুশঙ্কা তৈরি করে।
কারণ আশা করি,চোরাবালির পরিচয় পর্ব থেকে বুঝেছেন।আপনি ভারসাম্য রাখতে ব্যর্থ হবেন।যত বেশি নড়াচড়া করতে চাইবেন;বিপদ তত বাড়বে।বরং,আস্তে আস্তে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।আশেপাশে ডাল/লাঠি থাকলে অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
যদি চোরাবালিতে পড়ে যান?
_________________________
আপাতদৃষ্টিতে আপনি বুঝতে পারবেন না যে কোথায় চোরাবালি আছে। তাই আপনি যদি ঘটনাক্রমে চোরাবালিতে পড়েও যান, তাহলে আপনার প্রথম কাজটি হবে- আতঙ্কিত না হওয়া। আগেই বলেছি, চোরাবালি কয়েক ফুটের বেশি গভীর হয় না। তাই চোরাবালিতে পড়ে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার জুতা জোড়া হারানোর সম্ভাবনাই প্রকট!
চোরাবালির ফাঁদে পড়লে যে কয়টি ব্যাপার মনে রাখবেন:
১. আপনি মারা যাচ্ছেন না, এটা নিশ্চিত!
২. আপনি যতটা বল প্রয়োগ করবেন, ততটাই ঐ ফাঁদে ফেঁসে যাবেন ; স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৩য় গতিসূত্র-এর দারুণ প্রয়োগ আরকি। তাই নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। কখনোই হাত-পা ছোঁড়ার চেষ্টা করবেন না। এই কাজ করলে আপনি শুধু একটাই সাফল্য পাবেন- আপনি নিজেকে চোরাবালির আরও গভীরে নিয়ে যাবেন!
৩. মানবদেহের ঘনত্ব প্রতি ঘনফুটে ৬২.৪ পাউন্ড। আর এই ঘনত্ব নিয়েই আমরা দিব্যি পানিতে ভেসে থাকতে পারি। অন্যদিকে চোরাবালির ঘনত্ব প্রতি ঘনফুটে ১২৫ পাউন্ড। তার মানে বুঝতেই পারছেন, পানির চেয়েও অনেক সহজে ভেসে থাকা যাবে চোরাবালিতে!
একটা কথা বলে রাখা ভালো, চোরাবালিতে পুরো শরীর নিয়ে না পড়ে যদি কখনো এক পা পড়ে যায়, তাহলে সাথে সাথে পিছনে ফিরে আসুন। চোরাবালি প্রায় এক মিনিট সময় নেয় তরলিত হওয়ার জন্য। আপনি সচেতন থাকলেই নিজের পা-কে ঐ সময়ের মধ্যে বের করে নিয়ে আসতে পারবেন।
আর আপনি যদি চোরাবালিতে পুরো দেহসমেত পড়েই যান, তাহলে আরো কিছু কাঠখড় পোড়াতেই হবে। চলুন অন্য একটা উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা বুঝতে চেষ্টা করি। ধরুন, আপনি চোরাবালিতে না পড়ে একটি বিশাল বড় পুকুরে পড়ে গেছেন। তখন আপনি কী করবেন? সাঁতরে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করবেন অবশ্যই। একই কাজ করতে হবে চোরাবালির ক্ষেত্রেও। নিজের দেহকে আনুভূমিক করে পিঠের উপর ভর দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীরের ভর সমানভাবে বণ্টন হবে। এর ফলে আপনি সহজে ভেসে থাকতে পারবেন। এরপর মূলত আপনাকে চিৎসাঁতার দিতে হবে! নিজের পা দুটোকে ঝাঁকিয়ে পায়ে লেগে থাকা বালিগুলোকে আলগা করার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে সেগুলোকে উপরে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। সাঁতারে যেভাবে হাতকে কাজে লাগান ঠিক সেভাবে এখানেও করার চেষ্টা করুন। তবে সাবধান! নিজের হাত দুটোকে ডুবিয়ে একসাথে করবেন না যেন। তাহলে ওগুলো আবার চোরাবালিতে আটকে যেতে পারে! এভাবে সাঁতরে আপনি যখন একটু শক্ত মাটির নাগাল পাবেন, নিজেকে টেনে বের করে নিয়ে আসুন।
তবে চোরাবালি নিয়ে কি মজা করতে পারি?
___________________________________
চোরাবালি যে একদম অহিংস- এমন বলা যাবে না। আবার অত্যন্ত বিপদজনক- এ কথাও বলা যাবে না। নিজে নোংরা হওয়া, জুতা কিংবা কাঁধের ব্যাগ হারানোর থেকে তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা এতে তেমন নেই। কিন্তু ব্যাপারটা মারাত্মক হতে পারে এতে আটকা পড়ার জায়গার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। চোরাবালিতে আটকা পড়ার পর মৃত্যুর খবরও শোনা যায়নি, এমন বলা যাবে না। সমুদ্রের তীরে চোরাবালিতে আটকা পড়ে পরবর্তীতে সমুদ্রে ঢেউয়ের কারণে মারা যাওয়ার ঘটনাও শোনা গেছে। আবার জনমানবহীন জায়গায় চোরাবালিতে আটকা পড়ে যদি নিজেকে উপরে তুলে আনতে কেউ ব্যর্থ হন, তাহলে সেটাকেও যথেষ্ট বিপদজনক বলতে হবে। তাই বলা যায়, মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করলে আপনার তেমন কোনো ক্ষতিই হবে না চোরাবালি থেকে।
চোরাবালি নিয়ে আশ্চর্যজনক কিছু জানা যাক?
____________________________________
এবারে আপনাদেরকে একটু চমকে দেয়া যাক! চোরাবালি যে পানি আর বালির সংমিশ্রণেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। চোরাবালি শুষ্কও হতে পারে। শুষ্ক চোরাবালি তখনই তৈরি হয়, যখন বালুকণা অত্যন্ত আলগা গঠন ধারণ করে। এর এমন পরিস্থিতি হয় যে, এটি খুব কষ্টে নিজের ভরই ধরে রাখে। তাহলে ভাবুন আপনি পড়ে গেলে কী হবে? তাসের ঘর যেভাবে পলকের মধ্যে ভেঙে যায়, ঠিক সেভাবেই টুপ করে এর ভেতরে হারিয়ে যাবেন আপনি! এখন মনে মনে আপনি হয়তো ভাবছেন, তাহলে চোরাবালিকে বিপদজনক বলবো না কেন? সৌভাগ্যবশত শুষ্ক চোরাবালির অস্তিত্ব গবেষণাগার ছাড়া প্রকৃতিতে কখনো পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা বিশেষ পদ্ধতিতে বালির মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবাহিত করার মাধ্যমে শুষ্ক চোরাবালি তৈরি করেন। তবে বিজ্ঞানীরা শুষ্ক চোরাবালির অস্তিত্ব একেবারেই নাকচ করে দেন না। তবে কখনো যদি এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়, ভাগ্যের উপর ভরসা করা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না বৈকি!
লেখা টা সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত আশা করছি