মানুষের জীবন খুব অদ্ভুত। যেখানের আঁকে-বাঁকে ভরপুর বিচিত্রতা। আর এই বিচিত্র জীবনে ঘটে অসংখ্য সব বিচিত্র ঘটনা। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, দুঃখ-সুখ, ভালো-মন্দের মিশেলে এগিয়ে চলে জীবন খরস্রোতা নদীর মতো। কখনো মুক্ত পাখির মতো, কখনওবা চুপসে যাওয়া ফুলের মতো। হারিয়ে যায় কত চেনা মুখ, কতশত স্মৃতি। নীল নীলিমায় দূরে কোথায় মন যে হারায় ব্যাকুলতায়।
ছায়া মুখার্জি একটি হাইস্কুলের গনিতের বিভাগের সিনিয়র শিক্ষিকা হিসেবে রয়েছে। তার বয়স ৩৯ বছর গায়ের রং
ধবধবে ফর্সা,
হাইট ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি,
পেটের উপরে হালকা মেদ জমেছে, যেটা তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তার স্বামীর বয়স ৫৩ বছর পেশায়
একজন তিনি বিজনেসম্যান। ছায়া কলেজে পড়া অবস্থায় ছায়ার কলেজের বাংলার বিভাগের একজন শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করছিল, শমিক বাবুর বড় দিদি আলিয়া মুখার্জি ।
ছায়া দেখতে যেমন অপরূপ সুন্দরী ছিলো সাথে আচার-ব্যবহার সবার থেকে মার্জিত হওয়ায়, শমিক বাবুর বড় দিদি ছায়াকে অনেক পছন্দ হয়ে যায়। তিনি তার ছোট ভাইয়ের জন্য ছায়াকে বউ হিসেবে করার সিন্ধান্ত নেয়, তার পরিবারের সাথে কথা বলে ছায়ার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়।
বিয়েতে ছায়ার অমত থাকা সত্ত্বেও, ছায়ার পরিবার মধ্যবৃত্ত
আর শমিক বাবুর
বনেদী ব্যবসায়িক পরিবার তাই বিয়ের প্রস্তাব আর ফিরাতেপারেনি ছায়ার মা-বাবা। ছায়া
মা-বাবা কথায় শেষ পযন্ত শমিক বাবুর সাথে বিয়ে করতে রাজি হয়
তাদের দুজনের ২২ বছরের সংসার জীবনে তারা নিঃসন্তান দম্পতি।ছায়া অনেক বার শমিক বাবুকে বলেছেন। চল আমরা কোনো ডাক্তার দেখাই কিন্তু শমিক বাবু ডাক্তারের কাছে যেতে রাজি হয় না, শমিক বাবু বলেন হলে এমনিতে হবে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে কিছুই হবে না সময় নষ্ট ছাড়া।সন্তান হওয়া নিয়ে শমিক বাবুর কোনো মাথা নেই, সে তার বিজনেস নিয়ে
সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে।
শমিক বাবুর গ্রামের দূর সম্পর্কের একটা জেঠাতো ভাইয়ের ছেলে,
তাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা
করছে। নাম মাহীন বয়স ১৭ বছর কলেজে পড়ে এবার ইন্টারমিডিয়েট
পরীক্ষা দিবে। স্কুলে যেমন সারাদিন তার সব শিক্ষাথীদের শাসন করে।
বাড়িতে মাহীনকে বেশ শাসন করে ছায়া। মাহীনের ভবিষ্যতের ভালো জন্য ছায়া মাঝে মধ্যে বকাবকি করে। ছায়া চায় মাহীন ভালো একটা রেজাল্ট করুক মানুষের মতো মানুষ হোক।
ছায়া প্রচন্ড একটা রাগী মানুষ কোনো
রকম অন্যায় বদস্ত করে না সে। ছায়ার কাজে সাহায্য করার জন্য সুপ্রিয়া নামে একটা মেয়ে আসে প্রতিদিন বাসায়। শমিক বিজনেসের কাজে সারা মাসে প্রায় দিন বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় প্রচুর ব্যস্ত থাকে তিনি।
আজকে মাহীনের প্রি-টেস্টর রেজাল্ট বের হয়েছে। মাহীনের ক্লাস টিচার দেবনাথ বড়ই ছায়াকে ফোন করলো। হ্যালো ম্যাডাম। আমি মাহীনের ক্লাস টিচার বলছি। হ্যা বলুন স্যার। ম্যাডাম আজকে তো মাহীনের প্রি-টেস্টর রেজাল্ট বের হয়েছে। হ্যা ওর রেজাল্ট কেমন করছে? মাহীনের তো ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, কম্পিউটার,
গনিত, রসায়ন , জীববিজ্ঞান,উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয় গুলোতে ফেল করেছে। আপনি মাহীনের লোকাল গার্জেন হিসেবে রয়েছেন।তাই বেপার টা আপনাকে ইনফর্ম করলাম।কি বললেন। বাংলাতে পাস করছে কোনো রকমে এই আরকি।ম্যাডাম টেস্ট পরীক্ষায় কিন্তু মাহীনকে সকল বিষয়ে কৃতকার্য হতে হবে। নাহলে মাহীন বোর্ড পরীক্ষা দিতে পারবে না। কলেজ কমিটি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো শিক্ষাথী টেস্ট পরীক্ষায় যদি সকল বিষয়ে কৃতকার্য না হয় তাহলে বোর্ডের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ম্যাডাম আপনি নিজেও তো একজন শিক্ষিকা ভালো করেই বুঝতে পারছেন মাহীনের অবস্থা। আমি আশা করছি মাহীন টেস্ট পরীক্ষায় সকল বিষয়ে কৃতকার্য হবে। স্যার আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আমার বিশ্বাস মাহীন টেস্ট পরীক্ষায় সকল বিষয়ে কৃতকার্য হবে। আমাদের কলেজের একটা সুনাম রয়েছে তাই আমরা সুনাম বজায় রাখার চেষ্টা করি। বোর্ড পরীক্ষায় আমরা কোনো দুর্বল শিক্ষাথী পাঠায় না। ম্যাডাম আমি এখন রাখছি মাহীনের উন্নতির জন্য কোনো পরামর্শ বা সাহায্য প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন। আচ্ছা ঠিক আছে স্যার। ছায়া স্কুল থেকে ফিরে দেখলো মাহীন বাসায় নেই। সুপ্রিয়াকে মাহীনের কথা জিজ্ঞেস করলো বললো এখনো আসেনি কলেজ থেকে। সন্ধ্যা দিকে মাহীন আসলো বাসায়। কলিংবেলের শব্দ শুনে। সুপ্রিয়া বাসার দরজা খুলে দিলো। ছায়া তার রুম থেকে বের হয়ে এসে মাহীনের সামনে দাড়ালো, কয়টা বাজে এখন মাহীন, এখন সময় হলো তোমার বাসায় আসার। আজকে তোমার প্রি-টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে তোমার ক্লাস টিচার দেবনাথ বাবু আমাকে ফোন করছিল। তোমার জন্য আমাকে অনেক কথা শুনিয়েছেন আজকে। বাংলা ছাড়া তুমি সব বিষয়ে ফেল করছো। তোমার মা-বাবা অনেক আশা করে আমাদের কাছে তোমাকে রেখেছেন। তোমাকে যদি মানুষ মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি তাহলে আমরা কি জবাব দিবো তোমার মা-বাবাকে বলো। তোমার যদি পড়াশোনা করতে ভালোই না লাগে তাহলে চলে যাও গ্রামে তোমার বাবাকে কৃষি কাজে সাহায্য করো। যদি পড়াশোনা করতে চাও তাহলে ভালোভাবে পড়াশোনা করো। নাহলে এভাবে পড়াশোনার করার কোনো দরকার নেই। তোমার বাবা চায় তুমি তার মতো পড়াশোনা না করে অশিক্ষিত না থাকো। পড়াশোনা করে অনেক বড় কিছু হও,তার স্বপ্নের কি হবে তুমি যদি এভাবে চলতে থাকো। তোমাকে তো আমি সব সময় বলি তোমার কোনো সমস্যা থাকলে আমাকে জানাবে। তুমি বলতে কোনো সমস্যা নেই তোমার সমস্যা না থাকলে তাহলে রেজাল্টের এই অবস্থা কেনো। এখন বলো তুমি কি পড়াশোনা করতে চাও নাকি গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চাও। পড়াশোনা যদি করতে চাও তাহলে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পযন্ত আমি যা বলবো তোমাকে শুনতে হবে। মাহীন এতোক্ষণ কোনো কথা বলছিল না শুধু শুনে যাচ্ছিল। ছায়া কথা শেষ করে তার রুমে আবার ঢুকে গেলো। মাহীন প্রথম প্রথম বেশ ভদ্র গ্রামের সরল প্রকৃতির ছেলে ছিলো। কিন্তু মাহীনের কলেজের বেশ কয়েকজন বখাটে ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। তাদের সাথে মিশে মাহীনের চালচলন পরিবর্তন হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর মাহীন তার রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে আসলো। তারপর বাসা থেকে বের হয়ে ছায়ার উপর তলার ফ্ল্যাটে গেলো। কলিং বেল টিপ দিলো। একটু পর দরজা খুললো তময় দার মা। আন্টি তময় দা বাসায় আছে? হ্যা আছে তো ওর রুমে। তুমি ওর রুমে যাও। আচ্ছা আন্টি। তময়ের বয়স ২৪ বছর ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারের পড়ে। এই বিল্ডিংয়ের ৪ তলায় ছায়ার একদম উপর তলার ফ্ল্যাটে মা-বাবা সাথে ভাড়া থাকে। তময় মাহীনের সাথে অনেক ফ্রী। তময়ের মা-বাবা গ্রামের বাড়িতে গেলে, মাহীনের সাথে তার বাসায় পর্ণ সিনেমা দেখে আর সাথে বিয়ার খায়। মাহীন তময়ের রুমে প্রবেশ করলো। কিরে মাহীন তুই হঠাৎ এসময়। তময় দা তোমার সাথে আমার দরকারী কিছু কথা আছে,বল কি কথা? তময় দা আমি আর ছায়া কাকিমার বাসায় থাকতে চায় না। কি আবোলতাবোল বলছিস তোর মাথা ঠিক আছে কিছু খেয়ে এসেছিস নাকি। তময় দা আমার মাথা ঠিকই আছে আমি যা বলছি বুঝে শুনে বলছি। তময় দা আমার জীবন আমার যা খুশি, তাই করবো তার এতো মাথা ব্যথা কেন বললো তো। তোর মাথা এখন অনেক গরম হয়ে আছে। এসব আজব চিন্তা ভাবনা বাদ দে মাহীন, তুই এখন বাসায় যা পরে তোর সাথে আমি কথা বলবো। ছায়া কাকিমা অনেক ভালো মানুষ তোকে যদি বকাঝকা শাসন করলেও তোর ভালোর জন্য করছে। তময় দা তুমি আমাকে থাকার জন্য একটা হোস্টেলের, ব্যবস্থা করে দিতে পারবে শুধু এইটুকু বলো। নাহলে আমি নিজেই একটা ব্যবস্থা করে নিবো। মাহীন তুই এখন বাসায় যা। তোর সাথে আমার এই বেপার নিয়ে কথা বলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। মাহীন আর কোনো কথা বললো না। মাহীন দরজা খুলে তময়ের রুম থেকে বের হলো তারপর বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।মাহীন বাসায় এসে দেখলো ছায়া তার রুমে আছে। মাহীন রাতের খাবার খেয়ে তার রুমে ঢুকে পড়লো। মাহীন ঘুমিয়ে পড়লো। পরদিন সকালে মাহীন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়লো। রুম থেকে বের হয়ে মাহীন দেখলো সোফায় বসে ছায়া খবরের কাগজ পড়ছে।
ছায়া মুখার্জি একটি হাইস্কুলের গনিতের বিভাগের সিনিয়র শিক্ষিকা হিসেবে রয়েছে। তার বয়স ৩৯ বছর গায়ের রং
ধবধবে ফর্সা,
হাইট ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি,
পেটের উপরে হালকা মেদ জমেছে, যেটা তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তার স্বামীর বয়স ৫৩ বছর পেশায়
একজন তিনি বিজনেসম্যান। ছায়া কলেজে পড়া অবস্থায় ছায়ার কলেজের বাংলার বিভাগের একজন শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করছিল, শমিক বাবুর বড় দিদি আলিয়া মুখার্জি ।
ছায়া দেখতে যেমন অপরূপ সুন্দরী ছিলো সাথে আচার-ব্যবহার সবার থেকে মার্জিত হওয়ায়, শমিক বাবুর বড় দিদি ছায়াকে অনেক পছন্দ হয়ে যায়। তিনি তার ছোট ভাইয়ের জন্য ছায়াকে বউ হিসেবে করার সিন্ধান্ত নেয়, তার পরিবারের সাথে কথা বলে ছায়ার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়।
বিয়েতে ছায়ার অমত থাকা সত্ত্বেও, ছায়ার পরিবার মধ্যবৃত্ত
আর শমিক বাবুর
বনেদী ব্যবসায়িক পরিবার তাই বিয়ের প্রস্তাব আর ফিরাতেপারেনি ছায়ার মা-বাবা। ছায়া
মা-বাবা কথায় শেষ পযন্ত শমিক বাবুর সাথে বিয়ে করতে রাজি হয়
তাদের দুজনের ২২ বছরের সংসার জীবনে তারা নিঃসন্তান দম্পতি।ছায়া অনেক বার শমিক বাবুকে বলেছেন। চল আমরা কোনো ডাক্তার দেখাই কিন্তু শমিক বাবু ডাক্তারের কাছে যেতে রাজি হয় না, শমিক বাবু বলেন হলে এমনিতে হবে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে কিছুই হবে না সময় নষ্ট ছাড়া।সন্তান হওয়া নিয়ে শমিক বাবুর কোনো মাথা নেই, সে তার বিজনেস নিয়ে
সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে।
শমিক বাবুর গ্রামের দূর সম্পর্কের একটা জেঠাতো ভাইয়ের ছেলে,
তাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা
করছে। নাম মাহীন বয়স ১৭ বছর কলেজে পড়ে এবার ইন্টারমিডিয়েট
পরীক্ষা দিবে। স্কুলে যেমন সারাদিন তার সব শিক্ষাথীদের শাসন করে।
বাড়িতে মাহীনকে বেশ শাসন করে ছায়া। মাহীনের ভবিষ্যতের ভালো জন্য ছায়া মাঝে মধ্যে বকাবকি করে। ছায়া চায় মাহীন ভালো একটা রেজাল্ট করুক মানুষের মতো মানুষ হোক।
ছায়া প্রচন্ড একটা রাগী মানুষ কোনো
রকম অন্যায় বদস্ত করে না সে। ছায়ার কাজে সাহায্য করার জন্য সুপ্রিয়া নামে একটা মেয়ে আসে প্রতিদিন বাসায়। শমিক বিজনেসের কাজে সারা মাসে প্রায় দিন বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় প্রচুর ব্যস্ত থাকে তিনি।
আজকে মাহীনের প্রি-টেস্টর রেজাল্ট বের হয়েছে। মাহীনের ক্লাস টিচার দেবনাথ বড়ই ছায়াকে ফোন করলো। হ্যালো ম্যাডাম। আমি মাহীনের ক্লাস টিচার বলছি। হ্যা বলুন স্যার। ম্যাডাম আজকে তো মাহীনের প্রি-টেস্টর রেজাল্ট বের হয়েছে। হ্যা ওর রেজাল্ট কেমন করছে? মাহীনের তো ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, কম্পিউটার,
গনিত, রসায়ন , জীববিজ্ঞান,উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয় গুলোতে ফেল করেছে। আপনি মাহীনের লোকাল গার্জেন হিসেবে রয়েছেন।তাই বেপার টা আপনাকে ইনফর্ম করলাম।কি বললেন। বাংলাতে পাস করছে কোনো রকমে এই আরকি।ম্যাডাম টেস্ট পরীক্ষায় কিন্তু মাহীনকে সকল বিষয়ে কৃতকার্য হতে হবে। নাহলে মাহীন বোর্ড পরীক্ষা দিতে পারবে না। কলেজ কমিটি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো শিক্ষাথী টেস্ট পরীক্ষায় যদি সকল বিষয়ে কৃতকার্য না হয় তাহলে বোর্ডের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ম্যাডাম আপনি নিজেও তো একজন শিক্ষিকা ভালো করেই বুঝতে পারছেন মাহীনের অবস্থা। আমি আশা করছি মাহীন টেস্ট পরীক্ষায় সকল বিষয়ে কৃতকার্য হবে। স্যার আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আমার বিশ্বাস মাহীন টেস্ট পরীক্ষায় সকল বিষয়ে কৃতকার্য হবে। আমাদের কলেজের একটা সুনাম রয়েছে তাই আমরা সুনাম বজায় রাখার চেষ্টা করি। বোর্ড পরীক্ষায় আমরা কোনো দুর্বল শিক্ষাথী পাঠায় না। ম্যাডাম আমি এখন রাখছি মাহীনের উন্নতির জন্য কোনো পরামর্শ বা সাহায্য প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন। আচ্ছা ঠিক আছে স্যার। ছায়া স্কুল থেকে ফিরে দেখলো মাহীন বাসায় নেই। সুপ্রিয়াকে মাহীনের কথা জিজ্ঞেস করলো বললো এখনো আসেনি কলেজ থেকে। সন্ধ্যা দিকে মাহীন আসলো বাসায়। কলিংবেলের শব্দ শুনে। সুপ্রিয়া বাসার দরজা খুলে দিলো। ছায়া তার রুম থেকে বের হয়ে এসে মাহীনের সামনে দাড়ালো, কয়টা বাজে এখন মাহীন, এখন সময় হলো তোমার বাসায় আসার। আজকে তোমার প্রি-টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে তোমার ক্লাস টিচার দেবনাথ বাবু আমাকে ফোন করছিল। তোমার জন্য আমাকে অনেক কথা শুনিয়েছেন আজকে। বাংলা ছাড়া তুমি সব বিষয়ে ফেল করছো। তোমার মা-বাবা অনেক আশা করে আমাদের কাছে তোমাকে রেখেছেন। তোমাকে যদি মানুষ মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি তাহলে আমরা কি জবাব দিবো তোমার মা-বাবাকে বলো। তোমার যদি পড়াশোনা করতে ভালোই না লাগে তাহলে চলে যাও গ্রামে তোমার বাবাকে কৃষি কাজে সাহায্য করো। যদি পড়াশোনা করতে চাও তাহলে ভালোভাবে পড়াশোনা করো। নাহলে এভাবে পড়াশোনার করার কোনো দরকার নেই। তোমার বাবা চায় তুমি তার মতো পড়াশোনা না করে অশিক্ষিত না থাকো। পড়াশোনা করে অনেক বড় কিছু হও,তার স্বপ্নের কি হবে তুমি যদি এভাবে চলতে থাকো। তোমাকে তো আমি সব সময় বলি তোমার কোনো সমস্যা থাকলে আমাকে জানাবে। তুমি বলতে কোনো সমস্যা নেই তোমার সমস্যা না থাকলে তাহলে রেজাল্টের এই অবস্থা কেনো। এখন বলো তুমি কি পড়াশোনা করতে চাও নাকি গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চাও। পড়াশোনা যদি করতে চাও তাহলে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পযন্ত আমি যা বলবো তোমাকে শুনতে হবে। মাহীন এতোক্ষণ কোনো কথা বলছিল না শুধু শুনে যাচ্ছিল। ছায়া কথা শেষ করে তার রুমে আবার ঢুকে গেলো। মাহীন প্রথম প্রথম বেশ ভদ্র গ্রামের সরল প্রকৃতির ছেলে ছিলো। কিন্তু মাহীনের কলেজের বেশ কয়েকজন বখাটে ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। তাদের সাথে মিশে মাহীনের চালচলন পরিবর্তন হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর মাহীন তার রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে আসলো। তারপর বাসা থেকে বের হয়ে ছায়ার উপর তলার ফ্ল্যাটে গেলো। কলিং বেল টিপ দিলো। একটু পর দরজা খুললো তময় দার মা। আন্টি তময় দা বাসায় আছে? হ্যা আছে তো ওর রুমে। তুমি ওর রুমে যাও। আচ্ছা আন্টি। তময়ের বয়স ২৪ বছর ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারের পড়ে। এই বিল্ডিংয়ের ৪ তলায় ছায়ার একদম উপর তলার ফ্ল্যাটে মা-বাবা সাথে ভাড়া থাকে। তময় মাহীনের সাথে অনেক ফ্রী। তময়ের মা-বাবা গ্রামের বাড়িতে গেলে, মাহীনের সাথে তার বাসায় পর্ণ সিনেমা দেখে আর সাথে বিয়ার খায়। মাহীন তময়ের রুমে প্রবেশ করলো। কিরে মাহীন তুই হঠাৎ এসময়। তময় দা তোমার সাথে আমার দরকারী কিছু কথা আছে,বল কি কথা? তময় দা আমি আর ছায়া কাকিমার বাসায় থাকতে চায় না। কি আবোলতাবোল বলছিস তোর মাথা ঠিক আছে কিছু খেয়ে এসেছিস নাকি। তময় দা আমার মাথা ঠিকই আছে আমি যা বলছি বুঝে শুনে বলছি। তময় দা আমার জীবন আমার যা খুশি, তাই করবো তার এতো মাথা ব্যথা কেন বললো তো। তোর মাথা এখন অনেক গরম হয়ে আছে। এসব আজব চিন্তা ভাবনা বাদ দে মাহীন, তুই এখন বাসায় যা পরে তোর সাথে আমি কথা বলবো। ছায়া কাকিমা অনেক ভালো মানুষ তোকে যদি বকাঝকা শাসন করলেও তোর ভালোর জন্য করছে। তময় দা তুমি আমাকে থাকার জন্য একটা হোস্টেলের, ব্যবস্থা করে দিতে পারবে শুধু এইটুকু বলো। নাহলে আমি নিজেই একটা ব্যবস্থা করে নিবো। মাহীন তুই এখন বাসায় যা। তোর সাথে আমার এই বেপার নিয়ে কথা বলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। মাহীন আর কোনো কথা বললো না। মাহীন দরজা খুলে তময়ের রুম থেকে বের হলো তারপর বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।মাহীন বাসায় এসে দেখলো ছায়া তার রুমে আছে। মাহীন রাতের খাবার খেয়ে তার রুমে ঢুকে পড়লো। মাহীন ঘুমিয়ে পড়লো। পরদিন সকালে মাহীন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়লো। রুম থেকে বের হয়ে মাহীন দেখলো সোফায় বসে ছায়া খবরের কাগজ পড়ছে।