What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

হাঁপানি(Bronchial asthma) (1 Viewer)

NJ1

Member
Joined
Aug 14, 2021
Threads
3
Messages
109
Credits
809
fJS0Iir.jpg


আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব শ্বাসতন্তের (Respiratory system) আরেক টি রোগের সাথে প্রথম পর্বে আমরা ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) সম্পর্কে জেনেছিলাম আজকে আমারা জানব হাঁপানি (Bronchial asthma) সম্পর্কে ।

A) হাঁপানি(Bronchial asthma) কি :
এ রােগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট। বুকে আড়ষ্টভাব ও বাঁশির মতাে শব্দ হওয়া,
এগুলাে হয় শ্বাসনালীর মাংসপেশির আক্ষেষপ (Spasm), শ্লেষ্মা ঝিল্লির ফোলা (Mucosal Swelling) এবং আঠালো রস নিঃসরণ (Viscid secretion) জনিত কারণে। এই Asthma (এ্যাজমা) বা হাঁপানি রোগে ব্রংকিয়াল দেয়ালে প্রদাহজনিত কারণে হয় যাতে ইয়ােসিনােফিল (Eosinophils), মাস্টসেল (mast cells) এবং অন্যান্য কোষও জড়িত থাকে।

B) কি কি কারণে হতে পারে (Aetiology):

১. এ্যালার্জির কারণে হাঁপানি রােগ হতে পারে। সাধারণত এ ধরনের হাঁপানি
ছােটবেলায় শুরু হয়। এদের ত্বকে Allergic reaction হয়, কারও alergic rhinitis Eczema (একজিমা) ইত্যাদি থাকে। এদের পারিবারিক ইতিহাস থাকে এবং শৈশবে শুরু হয়। এলার্জির কারণ শস্যের ধূলা, বিছানার ধূলা, পাখির পালক, জীবজন্তর বর্জ্য, ফাংগাস ইত্যাদি দ্বারা হতে পারে। আরও কম সংখ্যক ক্ষেত্রে খাবারে এলারজি দায়ী হতে পারে। যেমন চিংড়ি, ইলিশ, বােয়াল, গােমাংস ইত্যকার খাদ্য।
কারও কারও এক্সারসাইজ (Exercise), দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস কিংবা ঠান্ডা বায়ু গ্রহণে হাঁপানির আক্রমণ শুরু হয়।
আবার এসপিরিন, বেটা ব্লকার ইত্যাদি ওষুধ, ইলেকট্রনিকসের কেমিক্যালস, প্লাস্টিক ও অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রীর কেমিক্যাল দ্বারাও হাঁপানির আক্রমণ হতে পারে।
এ হাঁপানিকে বলা হয় Atopic asthma বা Early onset asthma বা Extrinsic asthma.
২. অন্য আরেক ধরনের হাঁপানি আছে যাকে বলা হয় Non-atopic বা late onset
asthmal এই ধরনের হাঁপানি যেকোনাে বয়সে হতে পারে, তবে এদের বেশির ভাগই বয়স্ক। এ ধরনের হাঁপানিতে Allergen এর কোনাে ক্রিয়া নেই। এজন্য এটাকে Intrensic Asthma বলা হয়।

C) লক্ষণ গুলো কি কি (Clinical features):

১ বংকিয়াল এ্যাজমা episodic অথবা Chronic হতে পারে, এটা কি তা জানা প্রয়োজন তাদের চিকিৎসা ও পরিণতি জানার জন্য। সাধারণত
Atopic দের episodic asthma এবং Non-atopic দের Chronic asthma হবার প্রবণতা থাকে।
২. Pbisodic asthma এতে হাঁপানির মাঝখানে রােগী সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে, কোনাে
রকম শ্বাসের সমস্যা থাকে না। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং বুকে বাঁশীর মতা সাঁ সাঁ শব্দ হয়। এ ধরনের আক্রমণ এমনিতেই হতে পারে অথবা allergens বা ব্যায়াম বা ভাইরাস দ্বারা আক্রমণ ইত্যাদির পরও হতে পারে। আক্রমণ মৃদু কিংবা
মারাত্মক হতে পারে এবং কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন এমনকি কয়েক সপ্তাহ
পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
৩. Severe Acute Asthma-এতে জীবন বিপন্ন হবার মতাে আক্রমণ হয়। রােগী
সাধারণত ওঠে বসে দুই কাঁধ স্থির করে শ্বাস-প্রশ্বাসের অতিরিক্ত মাংসপেশি কাজে
লাগায়। কখনাে কখনাে এর সাথে শুষ্ক কাশি থাকে-যা শ্বাসকষ্ট আরও বাড়িয়ে
তােলে। এই শ্বাসকষ্টের সাথে Pulse দ্রুত হয়, Pulsus paradoxus থাকে
ঘামতে থাকে এবং মারাত্মক অবস্থায় রােগী নীলাভ হয়ে যায়।
৪. পুরাতন হাঁপানি (Chronic Asthma) রােগীঃ এ ধরনের রােগীর বুকে আড়ষ্ট ভাব,
হুইজ (বাঁশির মতাে সাঁ সাঁ শব্দ), শ্বাসকষ্ট এবং কাশি লেগেই থাকে এবং পুরাত
হাপানি রােগীর মাঝে মাঝে আবার তীব্র আক্রমণ হয়। সাধারণত স্বাসতম়ে
সংক্রমণের ফলে তীব্র সংক্রমণ হয়, কফ হলুদ হয়ে বের হয় এ ধরনের asthma কে Chronic bronchitis বলা হয়।
৫. বুক পরীক্ষা করলে দেখা যায় রােগী প্রায় বুক ফুলিয়ে রাখে, টোকা দিলে।Perassion বেশি ফাঁপা (hyper resonant) মনে হয়। শ্বাসের শব্দ স্বাভাবিকের চেয়ে নিঃশ্বাস ত্যাগ করার শব্দ বেশি অতিরিক্ত শব্দ শ্বাস নেয়া ও শ্বাস ছাড়া উভয় সময়ই বাঁশির মতাে সাঁ সাঁ শব্দ(Rhonehi) হয়। অত্যন্ত তীব্র হাঁপানি রােগে শ্বাসনালীতে যথেষ্ট পরিমাণ বায়ু
ঢুকতে পারে না ফলে Rhonehi শােনা যায়। শৈশবকাল থেকে হাঁপানি থাকলে বুক কবুতরের মতাে 'Pigeon chest' হয়ে যেতে পারে।

(D) কি ভাবে এ থেকে পরিত্যান পেতে পারি (Management):

হাঁপানি রােগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট দূর করা এবং ভবিষ্যতে যাতে না হয় কিংবা আক্রমণ প্রবল না হয় তার ব্যবস্থা করা।
১. Allergic ফ্যাক্টর বর্জন করা (voidance of allergens)
কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে এলার্জির একটি মাত্র কারণ পাওয়া যায়। যেমন- ঘাস, ফুল,
বিছানার ধূলা, জীবজন্তুর বর্জ্য, ওষুধ, কারখানার কেমিক্যালস ইত্যাদি। এগুলাে নির্দিষ্ট করে ধরা গেলে সেটি বর্জন করতে হবে। তাহলে হাঁপানির আক্রমণ কম হতে পারে।
খাদ্যের এলার্জি থাকলে তাও বর্জন করতে হবে। বেশির ভাগ রােগীর একাধিক দ্রব্যে
এলার্জি থাকে এবং সবগুলাে চিহ্নিত করে বর্জন করা প্রায়ই অসম্ভব হয়।
২. ব্রংকোডাইলেটর (Bronchodilators), এই ওষুধ ব্যবহার করলে শ্বাসকষ্ট কমে।
এগুলাে মূলত ব্রংকিয়াল মাংসপেশিকে সম্প্রেসারিত করে।
ওষধ নেওয়ার সময় অবশ্যই ডাঃ এর পরামর্শ নিবেন
 

Users who are viewing this thread

Back
Top