ব্ল্যাক ব্যাট ফ্লাওয়ার একটি রহস্যময় এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় গাছ। এর কালো ব্র্যাক্টস (ব্ল্যাক ব্র্যাক্টস) এবং সাদা সুতা সদৃশ পাখির মত ফুলগুলি যেন জঙ্গলে লটকানো ভূত অথবা বাদলের মুখের মতো মনে হয়।
অন্যান্য নামঃ Bat-head Lily, Devil Flower, Cat's Whiskers
ফুলের বৈশিষ্ট্যঃ এই গাছের ফুলগুলি অদ্ভুত আকৃতির এবং কালো রঙের হয়ে থাকে, যা একে অন্য গাছের থেকে আলাদা করে তোলে। ফুলের মধ্য অংশের সাদা সুতার মতো অংশগুলোও চোখে পড়ার মতো।
উৎপত্তিঃ ব্ল্যাক ব্যাট ফ্লাওয়ার মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসে, যেমন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস এবং চীনের দক্ষিণাংশ। সাদা ফুলের T. integrifolia প্রজাতিটি সম্ভবত আমাদের দেশের বন-জঙ্গলেও দেখা যায়। এই প্রজাতির তাই বাংলা নাম আছে, নাম মতিমুন্দা। কালো ফুলের বাংলা নাম নেই। বাদুড়ের মতো দেখতে এই ফুলের নাম দেয়া যেতে পারে বাদুড়মুখো ফুল।
বিস্তৃতিঃ এই গাছটি মূলত ট্রপিক্যাল বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় ভালো বেড়ে ওঠে, যেখানে উচ্চ আর্দ্রতা এবং সুশ্রাবণ তাপমাত্রা থাকে।
চাষঃ এই গাছটি সাধারণত বাগানে বা গৃহবাগানে বিশেষ যত্নের সাথে চাষ করা হয়। সঠিক পরিবেশ এবং পরিচর্যা নিশ্চিত করলে এটি ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং ফুল দেয়।
পোকামাকড়ঃ বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড়ের প্রতি ব্ল্যাক ব্যাট ফ্লাওয়ার কিছুটা সংবেদনশীল হতে পারে।
বড় বড় পাতার গাছগুলো অনেকটা কলাবতী গাছের স্টাইলে বাগানে লাগানো হয়। এরা ছায়াযুক্ত স্থানেও ভালো জন্মে, তবে শর্ত হচ্ছে, গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকা চলবে না। ভালো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা, বাতাসের আর্দ্রতা বেশি এবং পরিমিত পানি গাছের বৃদ্ধির সহায়ক।
গাছ থেকে লম্বা ডাল বের হয়, যার আগায় ডানা মেলা বাদুড়ের মতো দুটি ব্র্যাক্ট। ছোট, প্রায় কালচে রঙের ফুল, গন্ধহীন। বিড়ালের গোফের মতো অংশ এই ফুলের বাড়তি আকর্ষণ। এই অংশগুলো ১২-২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বাগান ছাড়া খুব অল্প সংখ্যক মানুষের শখের বাগানে এই গাছ আছে।
এটি আপনার গাছের সংগ্রহে একটি অনন্য এবং ভুতুড়ে সংযোজন হতে পারে!