What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ভূগোল স্যারের অসহায়ত্ব (2 Viewers)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,618
Messages
122,285
Credits
313,977
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
ভূগোল স্যারের অসহায়ত্ব


ঐ বছরই সানি দীপুদের স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো যে বছর দীপুদের নতুন ভূগোল স্যার জয়েন করেছেন। শুরুর দিকে সানির সাথে দীপুদের মানে দীপুর বন্ধু বান্ধব সহ ঐ গ্রুপের কারোর তেমন সম্পর্ক হয়নি। ভূগোল স্যার জয়েন করার কিছুদিনের মাঝেই দীপুদের সাথে সানির বেশ ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো। বলা যায় সানিও দীপুদের গ্রুপের একজন সদস্য হয়ে গেলো। এতোদিন সানির মাথার বিশাল টাক নিয়ে যখন দীপুরা ঠাট্টা মশকরা করতো তখন সানির খুব রাগ হতো। মনে মনে ভাবতো কোনো একটা সুযোগ পেলে এই গ্রুপের সাথে সে লেগে যাবে। কিন্তু গ্রুপে জয়েন করার পর থেকে সানির মন থেকে সেই ভাবনাটা দূর হয়ে গেলো। এখন সে দীপুদের এই ঠাট্টা মশকরায় মন তো খারাপ করেই না, বরং সেও তাতে বেশ ভালোভাবেই অংশ নেয়। নতুন ভূগোল স্যারের মাথায়ও সানির মতো টাক ছিলো। সানির মতো কি ? সানির থেকেও বিশাল টাক। ঘাড়ের কাছে দুগাছি চুল ছাড়া স্যারের সারা মাথাই ছিলো চুল শূন্য একেবারে ফাঁকা মাঠ। এই জন্য দীপু তো স্যারের নতুন নামই দিয়ে দিয়েছে, স্টেডিয়াম স্যার...
সেদিন স্যার পানি আর সাঁতার নিয়ে পড়াতে গিয়ে বললেন-
স্যারঃ তোরা যারা সাঁতার জানিস না তাদের মধ্য থেকে কেউ যদি পানিতে পড়ে যাস কিংবা তোদের ছাড়াও এমন কেউ যদি পানিতে পরে যায় যে সাঁতার জানে না তবে তোদের কি করা উচিৎ ? কিভাবে সাঁতার না জানা লোকটিকে উদ্ধার করবি সে ব্যাপারে কি তোরা জানিস ?
সবার পক্ষে থেকে দীপু বলে উঠলোঃ না, স্যার। এই ব্যাপারে আমাদের কোনো ধারনা নেই। আপনিই বলে দিন স্যার ঐ অবস্থায় অসহায় লোকটিকে কিভাবে উদ্ধার করতে হবে।
স্যারঃ যখন এরকম সাঁতার না জানা কোনো অসহায় লোক পানিতে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকবে তখন তার চুল ধরে টেনে উঠাতে হবে। আর এভাবেই অসহায় লোকটিকে উদ্ধার করা সম্ভব।
স্যারের কথা শুনে দীপু চট করে একবার সানির দিকে দেখে নিয়েই বলে উঠলো,
দীপুঃ স্যার, আপনি কি সাঁতার জানেন, স্যার ?
স্যার দীপুর দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে টাক মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
স্যারঃ নারে, জীবনে অনেক কিছুই শিখেছি কিন্তু সাঁতারটা আমার শেখা হয়নি।
স্যারের কথা শুনে দীপু খুব অবাক হয়ে বিষন্ন মনে বললো,
দীপুঃ আপনি পানিতে পরে গেলে আমরা কিন্তু কেউ আপনাকে বাঁচাতে পারবো না।
দীপুর কথায় স্যার খুব আশ্চর্য্য হয়ে বললেন,
স্যারঃ আমি তোদের শিক্ষক, গুরুজন তারপরেও তোদের সামনে আমি পানিতে পড়ে গেলে তোরা আমাকে বাঁচাবি না ?
দীপুঃ কি করে বাঁচাবো, স্যার ? পানিতে পরে গেলে তো চুল ধরে তাকে উদ্ধার করতে হয়। আপনার আর আমাদের সানির মাথায় তো কোনো চুলই নেই তবে কি ধরে আমরা আপনাদের বাঁচাবো, স্যার ?
 
দেশপ্রেম রচনা ও নির্বাচনী কেম্পেইনিং

দীপুদের টিফিন আওয়ার চলছে। টিফিনের ফাঁকে ফারিয়া ম্যাডামের ব্যাপারে কথা হচ্ছিলো। দীপুর প্রায় সব বন্ধুই সে আড্ডায় হাজির। এমনকি মাঝে মধ্যেই স্কুল কামাই দেয়া পাখিও ছিলো সেই আড্ডায়। বিষয় বস্তু ফারিয়া ম্যাডামের তেজ কমে যাওয়া...
কিছুদিন আগেও ম্যাডাম খুব রাগী ছিলেন। লকডাউন শুরু হবার কিছুদিন আগেই ম্যাডামের বিয়ে হয়ে যায়। আর এই লকডাউনের দীর্ঘ বিরতির পর যখন ম্যাডাম আবার ক্লাস নেয়া শুরু করেছেন তখন ম্যাডামকে সেই আগের ম্যাডামের সাথে তুলনাই করা যাচ্ছে না। এখন ছেলেদের তো মারেই না, এমনকি জোরে ধমকও দেয় না। একেবারে বদলে গ্যাছে যেনো ফারিয়া ম্যাডাম। কথার ফাঁকেই একটা ঘটনা মনে পড়ে যায় দীপুর। ঘটনাটা যে বছর দীপুর বাবা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলো সে বছরের...
ক্লাসে ঢুকেই ফারিয়া ম্যাডাম দীপুকে বেঞ্চে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
ম্যাডামঃ তিন সপ্তাহ ধরে তোমাকে "দেশ প্রেম " রচনা লিখে আনতে বলছি, লিখে আনো নাই কেনো ?
দীপুঃ ম্যাডাম, যখনই লিখি তখনই সেটি আব্বু নিয়ে চলে যায়।
ম্যাডামঃ মানে কি ? তোমার লেখা রচনা তোমার আব্বু নিয়ে যায় কেনো ?
বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে কাচুমাচু হয়ে দীপু বলে,
দীপুঃ আব্বুর নির্বাচনী কেম্পেইনিং চলছে তো, সেজন্য...
 
গোপন জিনিষ !

ক্লাস শেষে দীপুদের সাথেই ফারিয়া কোচিং করে বিজয় স্যারের কাছে, ওনার বাড়ির পাশের কোচিং সেন্টারে। সপ্তাহে তিনদিন কোচিং করে তারা। যেহেতু ক্লাসের পরে কোচিং সেরে তারা একবারে বাসায় ফিরে, তাই কোচিং শেষ হবার পর কেউ আর কোনো কারনে দেরী করতে চায় না। স্যার কোচিং শেষের ঘোষনা দিলেই শুরু হয়ে যায় বেরোনোর জন্য হুটোপুটি। কে কার আগে বেরিয়ে বাসার দিকে দৌড়োবে সেদিকেই লক্ষ্য থাকে সবার। যদিও ইদানিং ছোটম কোচিং থেকে দৌড়ে বেরোলেও দীপুর জন্য বাইরে অপেক্ষা করে। অবশ্য তারও একটা কারন আছে। ছোটমরা এখন দীপুদের পাশেই থাকে। বলা যায় দীপুদের বাসার উপর দিয়েই ছোটমের যেতে হয়। তাই রিক্সা ভাড়া শেয়ার করার সুযোগটা নেয়ার জন্য ছোটম দীপুর জন্য কিছুটা সময় বাইরে অপেক্ষায় থাকে।
সেদিন কোচিং সেন্টার থেকে বেরোতে দীপুর কিছুটা সময় লাগে। অপেক্ষা করতে করতে ছোটম বেশ কিছুটা বিরক্তও হয় দীপুর প্রতি। দীপু বেরিয়ে আসতেই ছোটম তেড়ে যায় দীপুর কাছে আর জিজ্ঞেস করে,
ছোটমঃ হ্যারে, প্রতিদিনই কোচিং থেকে বেরোতে তোর এতো দেরী হয় ক্যানরে ? দেরী তো হবে মেয়েদের। ওরা বেরোনোর আগে এটা সেটা ঠিক করে তারপর বেরোয়। তুই পুরুষ মানুষ তোর তো আর ওসব ঝামেলা নেই !
দীপুঃ আরে আমার কি প্রতিদিনই দেরী হয় নাকি ? আজ খুব পেচ্ছাব চাপছিলো, তাই কোচিং সেন্টারেই ঝেড়ে আসলাম। খামোখা ঐ যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তায় চলবো ক্যান ? আইচ্ছা, মেয়েদের বাইর হইতে এতো দেরী হয় ক্যানরে দোস্ত ? তারা কি খালি নিজেদের ঠিকঠাকই করে নাকি অন্য কিছু করে ?
ছোটমঃ (বেশ ঝাঁঝ দেখিয়ে ) আমি কি দেখছি নাকি ওরা কি করে ? কোচিং শেষ হইলে তো আমি সবতের আগে বাইর হইয়া যাই। তবে ওগোর ব্যাপারে যা জানি সেই হিসাবে কইছিলাম,ওগোর এইটা সেইটা গুছাইতে গুছাইতে দেরী হইয়া যায় আরকি...
দীপুঃ আমার তো মনে হয় আরো কিছু করে। না হইলে এতো দেরী হইবো ক্যান ? তাছাড়া বিজয় স্যারও কইলাম ওগোর লগে থাইক্যা যায়। সবতে বাইর হইলে পরে স্যার বাইর হয়।
ছোটমঃ (কিছুটা অনিশ্চিত ভাবে ) স্যার তো সবার শেষে বাইর হয় য্যান ঘরে তালা দিয়া বাইর হইতে পারে সেই জন্য। অবশ্য আরো কিছু থাকলে সেইটা আমি জানি না। হইতে পারে স্যার ফারিয়ারে স্পেশাল কোনো টিপস দ্যায়।
দীপুঃ আইজকাও তো ওরা কেউ বাইর হয় নাই। চল দোস্ত দেইখ্যা আসি তারা কি করে ?
ছোটমঃ আবার ফিরা যাইবি ? স্যার দেখলে কি মনে করবো ?
দীপুঃ আরে ধুর ! আমরা কি সামনে দিয়া যামু নাকি ? ঘরের পিছন দিয়া গিয়া আমাগোর রুমের পাশের জানালা দিয়া ফুচকি মাইরা দেখুম। চল চল, আর দেরী করিস না !
যেই কথা সেই কাজ। দুই দুস্টু ঘরের পিছন দিয়ে গিয়ে তাদের কোচিং রুমের পাশের জানালার পাশে দাঁড়াতেই ফারিয়ার কন্ঠ শুনতে পেলো। বিজয় স্যারকে উদ্দেশ্য করে ফারিয়া বলছে,
ফারিয়াঃ স্যার, দরজা জানালা বন্ধ করে দিন।
স্যারঃ কেনো, ফারিয়া ?
ফারিয়াঃ আপনাকে একটা গোপন জিনিষ দেখাবো স্যার।
স্যারঃ সত্যি ? (বেশ কিছুটা অবাক হয়ে )কি জিনিষ দেখাবা আমাকে ফারিয়া ?
ফারিয়াঃ আগে সব কিছু বন্ধ করে দিন, স্যার। যাতে ঘরের ভিতর একটুও আলো না থাকে, স্যার !
স্যারঃ (দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে ) তারপর ? এবার কি করবো, ফারিয়া ?
ফারিয়াঃ এবার আমার কাছে আসেন, স্যার।
স্যারঃ (ফারিয়ার একেবারে কাছে সরে গিয়ে ) এবার বলো ফারিয়া এবার আমি কি করবো ? আমার যে দেরী সইছে না, ফারিয়া !
ফারিয়াঃ এবার দেখেন স্যার, আমার ঘড়িতে লাইট জ্বলে স্যার !আলো থাকলে সেটা দেখতে পেতেন না, তাই সব দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছিলাম, স্যার !!!
 
আমি কিন্তুক আমার খ্যামতা দেখাইয়া দিছি।
দেখি @dipu মামা কি করে।
 
আমি কিন্তুক আমার খ্যামতা দেখাইয়া দিছি।
দেখি @dipu মামা কি করে।

খ্যামতা দেইখ্যা কইলাম আমি খুব ডরাইছি।
হের লাইগ্যা আবার আগের লাহান কইরা দিছি...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top