চারিদিকে নিস্তব্ধতা, মৃত নগরীর পথে দু-একটা মানুষ। মৃত কোলাহল আর অব্যক্ত ইতিহাস যেন জড়িয়ে আছে এ নগরীর প্রতিটি ইটে। পথের দু’ধারে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন আর কাঠামোগুলো যেন হারানো জৌলুসের কথা জানান দিচ্ছে। প্রায় ৪৫০ বছর আগে এ নগরী কতটা সমৃদ্ধ ছিলো, তা বারবার ভাবতে বাধ্য করে রাস্তার দু’পাশের দু’তল-ত্রিতল ভবনগুলো। পানাম নগরের পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হতেই পারে, ঈশা খাঁর আমলে চলে গেছেন। কেমন যেন একটা রহস্য জড়িয়ে আছে জায়গাটিতে। প্রতিটি ধ্বংসস্তুপে যেন জড়িয়ে আছে একেকটা কাহিনী। যদিও ধ্বংসস্তুপ বলছি, তবুও এর আকর্ষণের নেই কমতি। ভবনগুলোর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
One of the last standing cultural heritage.চারিদিকে নিস্তব্ধতা, মৃত নগরীর পথে দু-একটা মানুষ। মৃত কোলাহল আর অব্যক্ত ইতিহাস যেন জড়িয়ে আছে এ নগরীর প্রতিটি ইটে। পথের দু’ধারে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন আর কাঠামোগুলো যেন হারানো জৌলুসের কথা জানান দিচ্ছে। প্রায় ৪৫০ বছর আগে এ নগরী কতটা সমৃদ্ধ ছিলো, তা বারবার ভাবতে বাধ্য করে রাস্তার দু’পাশের দু’তল-ত্রিতল ভবনগুলো। পানাম নগরের পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হতেই পারে, ঈশা খাঁর আমলে চলে গেছেন। কেমন যেন একটা রহস্য জড়িয়ে আছে জায়গাটিতে। প্রতিটি ধ্বংসস্তুপে যেন জড়িয়ে আছে একেকটা কাহিনী। যদিও ধ্বংসস্তুপ বলছি, তবুও এর আকর্ষণের নেই কমতি। ভবনগুলোর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
The pic is really goodপানাম নগরের সংস্কার
শত শত বছর ধরে অনাদরে পড়ে থাকা, এক সময়ের জৌলুসপূর্ণ পানাম নগর সংস্কারের উদ্যোগনেয়া হয়েছিলো কয়েক দফায়। বিভিন্ন সময়ে নেয়া উদ্যোগগুলোর কোনোটিই কার্যকর হয়নি। একবার কাজ শুরু হলেও সে কাজ মূলত নষ্ট করছিলো হারাতে বসা এ নগরীর প্রকৃত রূপ। এতে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ও সুশীল সমাজ আপত্তি করলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সে কাজ।
পানাম নগরে ধ্বংস্তুপের এমন রূপ দেখা যায় সন্ধ্যায়
২০০৬ সালে ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ড বিশ্বের ১০০টি ধ্বংসপ্রায় নগরীর তালিকায় পানাম নগরের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। তবে ২০০১ সালেই বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পানাম নগর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। শত শত বছর পুরনো এ ভবনগুলো দখল করে বসবাস করছিলো স্থানীয় মানুষ। সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে ভবনগুলো উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালায় কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালে স্থানীয় প্রশাসন পানাম নগরকে সম্পূর্ণ দখল মুক্ত করার পর প্রাথমিক কাজ শুরু করে। তবে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজের নামে ৯টি ভবনে যেনতেনভাবে চুন-সুরকির প্রলেপ দিয়ে নষ্ট করা হচ্ছিলো প্রত্নতাত্ত্বিক সৌন্দর্য। এতে বিশেষজ্ঞরা বাধা দিলে স্থগিত করা হয় সংস্কার। এখন, পানাম নগরের অবস্থা দেখলে বোঝা যায়, অনেক অভিমান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভবনগুলো, কখন যেন আর অভিমান ধরে রাখতে না পেরে ভেঙে পড়বে তারা! পাঁচটি ভবনের সংস্কারের জন্য কোরিয়া ভিত্তিক বহুজাতিক কম্পানি ইয়াং ওয়ান এর সাথে চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। বর্তমানে পানাম নগরে আনসার ক্যাম্প থাকলেও চোখে পড়বে ব্যবস্থাপনার অভাব।
All of them renovated very nicely.
বড় সর্দারবাড়ি
যেভাবে যাবেন এই নগরেঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটারের পথ পানাম নগর। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত পানাম নগর। গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের বাসে সোনারগাঁ যাওয়া যাবে। নামতে হবে মোগড়া পাড়া মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা ইজিবাইকে করে যাওয়া যাবে পানাম নগর।
বড় সর্দারবাড়ির প্রবেশ পথ
We use essential cookies to make this site work, and optional cookies to enhance your experience.