What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ভ্রমন বাংলাদেশ- কক্সবাজার (4 Viewers)

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানঃ
১৯৮০ সালে পার্কটি স্থাপিত হয়। এটি বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে রয়েছে নানান প্রজাতির গাছ, পশু। পাখিদের আবাসস্থলের জন্যও এই পার্ক পরিচিত। শীতের সময় অতিথি পাখিদের ও দেখা মেলে।
পার্কের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫টাকা।
বলে রাখা ভাল হিমছড়িতে ক্রিসমাস ট্রি টুরিস্টের অন্যতম আকর্ষণ।
 
রামু বৌদ্ধ মন্দিরঃ

12.jpg

প্রাচীন বৌদ্ধ নিদর্শন সমৃদ্ধ কক্সবাজার জেলার সুপরিচিত উপজেলা রামু অনেক বিখ্যাত। রামুতে প্রায় ৩৫ টির মতন বৌদ্ধ মন্দির ও জাতি আছে। রামুতে গেলে দেখতে পাবেন গৌতম বুদ্ধের ১০০ ফুট লম্বা সিংহশয্যা মূর্তি। এছাড়া পাবেন লালচিং ও সাদা চিং সহ অসংখ্য বৌদ্ধ বিহার।
 
দরিয়া নগরঃ

13.jpg

সমুদ্র আর পাহাড় সাথে সূর্যের মিলনস্থান হলো এই পর্যটন কেন্দ্র। এর অবস্থান কলাতলী বীচ থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। এখানের একটি পাহাড়ের নিচ দিয়ে একটা সুড়ঙ্গ আছে যেটির নাম শাহেনশাহ গুহা। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন গুহার ভেতর। দরিয়া নগরের সেরা আকর্ষণ হচ্ছে প্যারাসেইলিং করা যায় এখানে। প্যারাসেইলিং করার ভিন্ন রকম প্যাকেজ আছে দামের। ১৫০০, ২০০০, ২৫০০ টাকায় রয়েছে তিনটি প্যাকেজ। ১৫০০ টাকার প্যাকেজে শুধু আকাশে উড়তে পারবেন। ২০০০টাকার প্যাকেজে পাচ্ছেন আকাশে উড়ানোর পর নিচে নামিয়ে সমুদ্রের পানি ছোঁয়াবে, তারপর আবার উড়াবে আকাশে। সময় নেয় ৫ থেকে ১৫ মিনিট। উচ্চতা সর্বোচ্চ ৫০০ ফুট পর্যন্ত।
 
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডঃ
14.jpg
এটি আমাদের দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ফিস একুরিয়াম দেখার সুযোগ। বাংলাদেশে এটিই সর্ব প্রথম একুরিয়াম ব্যবস্থাপনা যা ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে । এর অবস্থান শহরের ঝাউতলায়, এতে রয়েছে ১০০ প্রজাতির মাছ সহ শাপলাপাতা, কাঁকড়া, বোল, কুঁচিয়া, কাছিম সহ নানান জলজ প্রাণী। একুরিয়ামের ভেতর ঢুকলে এক ধরণের রোমাঞ্চকর অনুভূত হবে, মনে হবে সাগরের ভেতর আছেন আপনি। রেডিয়েন্টে প্রবেশ মূল্য দেশী নাগরিকের জন্য ১০০০টাকা, এবং বিদেশীদের জন্য ২০০০টাকা। খোলা থাকে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। কলাতলী পয়েন্ট থেকে অটো নিয়ে বলবেন ঝাউতলা ফিস ওয়ার্ল্ড যাবেন। ভাড়া ৮০ থেকে ১০০টাকা নিবে।
 
আদিনাথ মন্দিরঃ
15.jpg
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার গোরঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামের মৈনাক পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান আদিনাথ মন্দিরের। হিন্দু দেবতা মহাদেবের নাম অনুসারে মন্দিরটির নাম রাখা হয়েছিল আদিনাথ। মন্দিরটি সমুদ্র থেকে ৮৫ মিটার উঁচুতে নির্মিত। আদিনাথ যেতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কাস্তুরি ঘাট। কাস্তুরি ঘাট থেকে স্পিডবোডে করে মহেশখালী চলে যান। ভাড়া পার পারসন ৮০টাকা করে। সময় লাগবে ৩০ মিনিট। চাইলে ইঞ্জিন চালিত নৌকা রিজার্ভ করেও যেতে পারেন।
 
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কঃ

181f602e0e32820c5e.jpg

পার্কটি সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ বিভাগ এই পার্ক টি ১৯৯৯ সালে স্থাপন করেছিল হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে। পার্কের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা।
 
বরইতলী মৎস্য খামারঃ
194c5841b0f2e9e566.jpg
দারিদ্র বিমোচন, বেকার সমস্যা সমাধান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম দাবিদার মৎস্য চাষ। শখের বশত মৎস্য চাষ সর্বপ্রথম বরইতলীতে ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা হতে ২৫০ বড় নাইলোটিকা মাছ এনে প্রাকৃতিক ভাবে জর্দাঘোনায় দুই একর জমিতে পোনা উৎপাদনের কাজ শুরু করেছিলেন তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য জনাব এ.এইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ।
সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন এই অন্যরকম অভিজ্ঞতার একটি জায়গা থেকে।
বরইতলী ইউনিয়ন একতাবাজারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। সিএনজি বা অটো রিজার্ভ করে যেতে হবে। ভাড়া কলাতলী পয়েন্ট থেকে ৩৫০/- প্রায়।
 
এবার কিছু টুকিটাকি ব্যাপার জানা যাকঃ
প্রতিটা বীচেই আপনি ফটোগ্রাফার আছে যারা ডিএসএলআর দিয়ে আপনার ছবি তুলে দিবেন। এরা টুরিস্ট পুলিশ দ্বারা নিয়োগকৃত। সফট কপি পার পিস ছবিতে নেবে ৫টাকা করে, আর যদি প্রিন্ট করান তাহলে পরবে ১০টাকা করে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে তাদের পরনে পুলিশ কন্ট্রোল থেকে দেয়া লাল শার্ট পরনে আছে কিনা, এবং তাতে তাদের সিরিয়াল কোড নাম্বার দেয়া থাকে। যাতে করে এরা কোনোরকম অনিয়ম বা ঝামেলা করলে সনাক্ত করে পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন।
কক্সবাজারে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নাই। অসংখ্য টুরিস্ট পুলিশ আছে যেকোনো সাহায্যে। আপনি যেকোনো হোটেলে চেক ইন করার পর ই আপনার মোবাইলে তাদের সিস্টেমের মাধ্যমে ওয়েলকাম মেসেজ চলে আসবে, সেখানে তাদের নাম্বার থাকবে। সুবিধার্থে নাম্বারটি আপনার ডায়াল লিস্টে রাখতে পারেন। বিভিন্ন ঝামেলা এড়াতে সাথে রাখুন জাতীয় পরিচয় পত্র, ভার্সিটির আইডি কার্ড, বিবাহিত হলে ম্যারিজ সার্টিফিকেট। সর্বোপরি আপনার ভ্রমণ হোক আনন্দময়, ঘুরুন, আবিষ্কার করুন নিজেকে। আর হ্যাঁ অবশ্যই ভ্রমণকৃত স্থান নোংরা করবেন না। প্রয়োজনবোধে অন্যের ফেলিত প্যাকেট, বোতল কুড়িয়ে নির্ধারিত জায়গায় ফেলার অনুরোধ রইলো। দেশ আমার, দোষও আমার।
 
সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র, নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনে মনোমুগ্ধকর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। অপরূপ সুন্দর বিশ্বের ... কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ভ্রমনের শুরু হোক এখনেই ... :love:
 

Users who are viewing this thread

Back
Top