What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ভ্রমন বাংলাদেশ- কক্সবাজার (1 Viewer)

ছোটভাই

Super Moderator
Staff member
Super Mod
Joined
Mar 4, 2018
Threads
775
Messages
51,102
Credits
371,053
Sunflower
T-Shirt
Sari
Sari
Thermometer
Tomato
সমুদ্র ও পাহাড়ের টানে চলুন যাই কক্সবাজার
6.jpg
অবস্থান ও পরিচিতিঃ
এটি চট্টগ্রাম বিভাগের একটি ছোট পর্যটন জেলা শহর। কক্সবাজার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আমরা সবাই জানি যে কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত। প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার,অর্থাৎ ৯৬ মাইল পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য। কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে। কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি।
চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫২ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে দূরত্ব ৪১৪ কিলোমিটার। রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে করে কক্সবাজার যাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকা থেকে চিটাগাং পর্যন্ত ট্রেনে করেও যাওয়া যায়, তারপর সেখান থেকে বাসে কক্সবাজার। তবে চিটাগাং থেকে কক্সবাজার রেলপথ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে স্থাপন করা হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। স্থাপিত হয়েছে পর্যটন মোটেল, বিলাস বহুল ফাইভ স্টার হোটেল, সাধারণ হোটেল, গেস্ট হাউজ, রিসোর্ট ইত্যাদি।
 
যেভাবে যাবেনঃ
16.jpg
রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের বাস আছে মোটামুটি সব গুলো বাস কোম্পানিরই। শ্যামলী, হানিফ, এনা, স্টার লাইন, সোহাগ, সেন্ট মার্টিন, গ্রীণলাইন পরিবহন সহ আরো বেশ কিছু অপারেটর। নন এসির ভাড়া ঢাকা টু কক্সবাজার ৮০০/-, এসি বাসের ভাড়া ইকোনমি ১৫০০/- বিজনেস ক্লাস ২০০০/-।
ঢাকা থেকে মেইন বাস পয়েন্ট গুলো হচ্ছে আরামবাগ, মতিঝিল, রাজারবাগ, ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ, পান্থপথ, কলাবাগান। এছাড়া যেতে পারেন প্রথমে চট্টগ্রামে বাস বা ট্রেনে। তারপর সেখান থেকে বাসে কক্সবাজার। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের বাস ভাড়া ২৫০/- (নন এসি)।
যারা এয়ারে যেতে চান সেই ব্যবস্থাও আছে। ঢাকা টু কক্সবাজার এয়ার ফেয়ার পরবে বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে ৫৫০০/- থেকে ৮০০০/-, এয়ারলাইন্সগুলো হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ, নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারলাইন্স। সময় লাগবে ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা মাত্র।
 
এবার চলুন জেনে নেই কি কি দেখবেন কক্সবাজার গিয়েঃ
লাবণী বীচ, সুগন্ধা বীচ, ইনানি বীচ, হিমছড়ি, বৌদ্ধ মন্দির, বার্মিজ মার্কেট এগুলোই কক্সবাজার শহরের মূল আকর্ষণ। দেশের যে প্রান্ত থেকে আসুন না কেন বাস থামবে কলাতলি ও সুগন্ধা পয়েন্টে। প্রতিটি বীচের পয়েন্টেই পাবেন থাকার হোটেল, খাবার রেস্টুরেন্ট। কক্সবাজারে বর্তমান আবাসান ব্যবস্থা আছে প্রায় দেড় লাখ মানুষের। সুতরাং বুকিং না দিয়ে গেলেও তেমন সমস্যা নেই, কোনো না কোনো হোটেলে রুম পাওয়াই যায়। তবে ফ্যামিলি নিয়ে গেলে কোনোরকম ঝামেলায় না গিয়ে বুকিং দিয়ে যাওয়াই ভাল। বিভিন্ন রেঞ্জের হোটেল পাবেন মানভেদে। অফ সিজনে হোটেল গুলো ৩০ থেকে ৬০% পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে। কক্সবাজারের অন সিজন হচ্ছে বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। রুম ভাড়া অফ সিজনে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেও পাওয়া যায়। যদি আপনার বাজেট সীমিত হয় তবে দরকষাকষি করে নেবেন।
ফাইভ স্টার থেকে শুরু করে মধ্যম সারির প্রতিটা হোটেলেই নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে। আপনি চাইলে সেগুলোতে খেতে পারেন অথবা চাইলে বাইরে। কোনো কোনো হোটেলে ব্রেকফাস্ট ফ্রি দিয়ে থাকে। শহরের রেস্তরাঁ গুলোর খাবারের মান এভারেজ। দাম স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। তবে যারা বাজেট ট্রাভেল করেন তারা চাইলেই খাবারের খরচ, থাকার খরচ মানিয়ে নিতে পারেন কৌশলে।
 
এই গেল থাকা আর খাওয়া, এবার চলুন ঘুরতে বের হওয়া যাক। আপনার বাস যদি সুগন্ধা পয়েন্ট থামে বা আপনার হোটেল যদি সুগন্ধা পয়েন্টে হয় তাহলে প্রথমেই চলে যান সুগন্ধা বীচে। পয়েন্ট থেকে সোজা রাস্তা ধরে একদম বীচে। কিছুটা এগুলেই ঢেউয়ের গর্জন শুনতে পাবেন। সেখানে যতক্ষণ মন চায় থাকুন। পাশেই বার্মিজ মার্কেট। এখানে রয়েছে মায়ানমার, থাইল্যান্ড, চীনের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সমূহ। হরেক রকম আচার, উপজাতি পোশাক, সামুদ্রিক ঝিনুক, শামুক, পাথরের জিনিস।
কক্সবাজার শহরের মধ্যে যে বীচ গুলো সেগুলো আগে দেখা শেষ করুন, এগুলো মোটামুটি কাছাকাছিই, যেমন- সুগন্ধা, লাবণী, কলাতলি। কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। এগুলো শেষ হলে চলে যান শহর থেকে একটু দূরে বিখ্যাত ইনানী বীচে। অটো বা সিএঞ্জি রিজার্ভ করে যেতে পারেন। আপডাউন আসা যাওয়া + পথে হিমছড়ি দেখা সব মিলিয়ে ভাড়া পরবে ৭০০ থেকে ১০০০/-। কক্সবাজার থেকে ইনানী বিচের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয়। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ একশো বিশ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইনানী সৈকত। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে রাস্তায় মাত্র আধঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। বাকি বীচগুলো থেকে ইনানীর পানি অনেক স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। এখানে গোসল করে আরাম পাবেন। শহর থেকে দূরে হওয়ায় ইনানী একটু নীরব পরিবেশের। এসব নানান কারণে ইনানী তাই পর্যটকদের সেরা আকর্ষণ।
 
হিমছড়িঃ
11.jpg
হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ভঙ্গুর পাহাড় আর ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। কলাতলি বীচ থেকে মাত্র ১৫ মিনিট লাগবে যেতে। যারা ট্র্যাকিং পছন্দ করেন না তারা হিমছড়ি যাওয়া বাদ দিতে পারেন। কারণ অনেক উঁচুতে উঠতে হয়, অনেক সিঁড়ি পেরোতে হয়, প্রায় ২৫০টির মতন। হিমছড়িতে দেখতে পাবেন অসম্ভব সুন্দরী ঝর্ণা। বর্ষাকালে এই ঝর্ণা তার সৌন্দর্যের মহিমায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠে। পাহাড়ের উঁচুতে উঠলে বঙ্গোপসাগরের গর্জন শোনা যাবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top