[HIDE]একজন গেরুয়াধারী সুঠাম দীর্ঘকায় ব্যক্তি এসে প্রনাম জানালো। পুরো মুখ জুড়ে কালো একটা চশমা।সেই নাক সেইই মুখ অবিকল।১৮ বছর আগেএর একটা সাদা কালো ছবি। মনের কনে দপ করে ভেসে নিভেগেলো ছবিটা। শান্ত নির্লিপ্ত একজন সন্যাসী। “সুনলাম এখানে থাকতে চান। এখানে আপনাদের কোনো অসুবিধা হবে না। তবে এখানে আপনারা দামী হোটেলের সুখ পাবেন না।এখানে ভোগ হয়। আমরা নিজেরাও সেই ভোগ খাই আর সবাইকে খাওয়াই। মার ঘরে আমরা রোজ সন্ধ্যায় আর সকালে বসি। চা খাবার সাথে সাথে আমরা সুধু গল্প করি। আমার কোনো ধর্ম নেই। আমি কোনো ভগবানের পূজা করি নি।”
কিছুক্ষণের জন্য তাকিয়ে রইলাম। নিজেকে এই লোকটির সামনে বেশ ছোট মনে হলো। আমার বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতে এক মহিলা এসে হাজির হলেন। মনটা আলাদা প্রশান্তিতে ভরে গেল। এত সুন্দর হয় কোনো মহিলা।কোনো ভুসন নেই শরীরে, গেরুয়া সাড়ি, আর ব্লাউস।মার্জিত বেশ ভূসা। মুখে অদ্ভূত এক আবেশ। আমি বিভোর হয়ে চেয়ে রইলাম। বয়স ৫০ হবে।কিন্তু তার চোখের চাহনি তে আমার মনের গ্লানি খুরের ধারের মত কেটে যেতে লাগলো একে একে। কি ব্যাখা হয় জীবনের। নতুন কি ব্যাখা খুঁজে পাব অশ্বিনী কুমারের কাছ থেকে। কি ভাবে যে সময় কেটে গেল বুঝতে পারলাম না। ভোগ ভোগের পর বিশ্রাম, আর তার পর অশ্বিনী কুমার আমাদের নিয়ে গেলেন আবার মায়ের ঘরে। মন চাইল অশ্বিনী কুমারের ঘরটা দেখি। বললাম “আচ্ছা আমি কি আপনার ঘর দেখতে পারি, মনে সাধ জেগেছে।” নিস্পাপ শিশুর মত অস্ফুটে বেরিয়ে আসলো সব্দ গুচ্ছ নিয়ত্রনের কোনো বাধায় মানলো না।অশ্বিনী বাবা স্মিত হাস্যে বললেন এতে আবার এত দ্বিধা কেন ? একজন একটা চাবি হাতে দিয়ে গেল। সেই চাবি হাতে নিয়ে আমায় নিয়ে আসলেন তারই ঘরের সামনে। অন্য কোয়ার্টার এর থেকে ইটা আলাদা ছিল না। ঘরে ঢুকেই প্রচন্ড আত্ম গরিমার আত্মূভিমানের ধাক্কা খেলাম। উঠে দাঁড়াবার সমর্থ ছিল না। একটা বিছানা আর কিছু বই ছাড়া ঘরে কিছুই নেই। আর ঘরের কনে সযত্নে সাজানো একটা পুরনো সেলাই মেসিন, ঢাকা দিয়ে রাখা।[/HIDE]
কিছুক্ষণের জন্য তাকিয়ে রইলাম। নিজেকে এই লোকটির সামনে বেশ ছোট মনে হলো। আমার বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতে এক মহিলা এসে হাজির হলেন। মনটা আলাদা প্রশান্তিতে ভরে গেল। এত সুন্দর হয় কোনো মহিলা।কোনো ভুসন নেই শরীরে, গেরুয়া সাড়ি, আর ব্লাউস।মার্জিত বেশ ভূসা। মুখে অদ্ভূত এক আবেশ। আমি বিভোর হয়ে চেয়ে রইলাম। বয়স ৫০ হবে।কিন্তু তার চোখের চাহনি তে আমার মনের গ্লানি খুরের ধারের মত কেটে যেতে লাগলো একে একে। কি ব্যাখা হয় জীবনের। নতুন কি ব্যাখা খুঁজে পাব অশ্বিনী কুমারের কাছ থেকে। কি ভাবে যে সময় কেটে গেল বুঝতে পারলাম না। ভোগ ভোগের পর বিশ্রাম, আর তার পর অশ্বিনী কুমার আমাদের নিয়ে গেলেন আবার মায়ের ঘরে। মন চাইল অশ্বিনী কুমারের ঘরটা দেখি। বললাম “আচ্ছা আমি কি আপনার ঘর দেখতে পারি, মনে সাধ জেগেছে।” নিস্পাপ শিশুর মত অস্ফুটে বেরিয়ে আসলো সব্দ গুচ্ছ নিয়ত্রনের কোনো বাধায় মানলো না।অশ্বিনী বাবা স্মিত হাস্যে বললেন এতে আবার এত দ্বিধা কেন ? একজন একটা চাবি হাতে দিয়ে গেল। সেই চাবি হাতে নিয়ে আমায় নিয়ে আসলেন তারই ঘরের সামনে। অন্য কোয়ার্টার এর থেকে ইটা আলাদা ছিল না। ঘরে ঢুকেই প্রচন্ড আত্ম গরিমার আত্মূভিমানের ধাক্কা খেলাম। উঠে দাঁড়াবার সমর্থ ছিল না। একটা বিছানা আর কিছু বই ছাড়া ঘরে কিছুই নেই। আর ঘরের কনে সযত্নে সাজানো একটা পুরনো সেলাই মেসিন, ঢাকা দিয়ে রাখা।[/HIDE]