[HIDE]বণিক: আসেন আসেন , আমার অভিনয় কেমন হয়েছে বলেন !
আমি: অরে আপনি তো মা মেয়েকে পুরো চোরের মতো ধরে ফেললেন মশাই !
বণিক: আরে দাদা মেয়েটাকে একবার সুখ করে খাবো ইটা ছাড়া আর কিছু না !
আমি: সে ব্যবস্থা হয়ে যাবে ! যাচ্ছ আপনি ওদের সব ধার শোধ করে দেবেন , মানে টাকা আমি আপনাকে দিয়ে দেব ! মা মেয়ে কে এখন থেকে নিয়ে যাচ্ছি , জানেন নি তো জায়গা সুবিধের নয় !
বণিক: আপনি পিলিকনটনের মালিক আমার টাকা নিয়ে চিন্তা নাই । বাড়ির কাগজ কি নিয়ে যাবেন !
আমি: আচ্ছা দিন তবে । আমি ইস্তিয়াক কে দিয়ে চেক পাঠিয়ে দিচ্ছি । আজ আসি । সামনের সপ্তায় মেয়ে কি দিয়ে যাবো আপনার হেপাজতে , যা চাই আদায় করে নেবেন , এ কদিন ওদের একটু দাওয়াই দিতে হবে !
বণিক: বুঝেছি হে হে বুঝলেন কিনা ।
বণিক কে নমস্কার করে বেরিয়ে আসলাম নয়নাদের বাড়ির দলিল নিয়ে ।
ইস্তিয়াক ফিরতে ফিরতে জিজ্ঞাসা করলো " দাদা এতগুলো টাকার রিস্ক নিলেন এক সাথে ?"
আমি বললাম " চিন্তা করছিস কেন ডিসটার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড এর ৭০-৮০ লক্ষ টাকা আছে না ! আপাতত ওখান থেকেই ম্যানেজ করি ! দরকার পড়লে ওদের বাড়ি বেচে দেব !
ইস্তিয়াক: মেয়েটাকে তো চোখে দেখে থাকতে পারছি না ! প্রসাদ কি পাবো না দাদা ! "
আমি: পাবি পাবি একটু ধৈর্য ধরে ।
ফিরে আসলাম নয়না দের বাড়িতে । ফিরে যা দেখলাম তার জন্য যদিও প্রস্তুত ছিলাম না । মা মেয়ের ব্যবহার পাল্টে গেছে । কি মধুর এই ব্যবহার । আমায় যেন ভগবানের মতো দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে দে পারলে ।
আমার হাতে কাজল পিসি ঘরের কাগজ দেখে গদ গদ হয়ে বললো " আমি জানতাম তুমি আমাদের এক মাত্র ভরসা , তুমি তো আমাদের বাঁচাবে বাবা !"
আমি খুব বিরক্ত হয়ে ঝাঝিয়ে বললাম : এই যে শুনুন আপনার না ন্যাকা ন্যাকা কথা আমার পোষায় না বুঝলেন । আপনি আমায় আর ন্যাকা ন্যাকা কথা বলবেন না !
এখন থেকে দুজনে আমার বাড়িতে থাকবে । বাড়ির কাজের জন্য দুজন কে ৮০০০ করে ১৬০০০ টাকা দেব । খাওয়া কাপড় পাবে ।
নয়নার দিকে তাকিয়ে বললাম " বোলো দেখি হিসাব কত !"
কাজল পিসি মুখিয়ে ছিলেন, বললেন " ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার "
" বেশ তোমার মাকে কলকাতার অফিসের ঝাড়ু পোচ , চা করার কাজে লাগিয়ে দিচ্ছি আমার বাড়ির কাজ ছাড়া , কিন্তু মাথায় রাখবে আমি ইস্তিয়াক ছাড়া অফিসের কেউ না জানে তোমরা মা মেয়ে ! পালাবার চেষ্টা করবে না , এডভোকেট রামন সব কাগজ তৈরী করছেন ।
হিসাব করে বললাম ২৭ মাস কাজ করলে সব পয়সা চুকে যাবে , তার পর তোমরা যে চুলো যাও যেতে পারো । টোটো দিন ঘর আর ঘরের কাগজ আমার কাছে ঠেকাবে ।"
তোমরা রাজি ?
মা মেয়ে প্রায় চোরের মতোই মুখ করে ঘাড় নাড়ালো । তাদের সম্মতি আছে ।
নয়না তুমি তো বণিকের বাধা রাখেল হতে চেয়েছিলে তাই না ?
ভয় পেয়ে তাকিয়ে দেখে নয়না আমায় । আমি এ কথা বণিকের থেকেই জেনেছি এরকম ভাবলো নয়না ।
" খাওয়া বসা শোয়া, পড়া , ঘুমানো সব কিছু আমার মন মর্জিতে চলবে ভালো করে ভেবে নাও , না হলে এই কুকুর গুলোর কাছে ছেড়ে দিয়ে যাবো ! এদের রেন্ডি হবার থেকে আমার রেন্ডি হও! "
বলে একটু সাহস করে এগিয়ে ধড়পড় বুক নিয়ে কাজল পিসিকে কে হাতে টেনে নিলাম একটু । চরম অপমানে আর লাঞ্ছনায় কাজল পিসির মুখ লাল হয়ে গেলো । মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া মা মেয়ের কিছু করার ছিল না ।
" কি রাজি !"
নীরব সম্মতি বুঝতে পারলাম ।
" তৈরী হয়ে নাও এখনই কলকাতায় রওনা দিতে হবে । যা কিছু দরকারি নেয়ার নিতে পারো ।" [/HIDE]
আমি: অরে আপনি তো মা মেয়েকে পুরো চোরের মতো ধরে ফেললেন মশাই !
বণিক: আরে দাদা মেয়েটাকে একবার সুখ করে খাবো ইটা ছাড়া আর কিছু না !
আমি: সে ব্যবস্থা হয়ে যাবে ! যাচ্ছ আপনি ওদের সব ধার শোধ করে দেবেন , মানে টাকা আমি আপনাকে দিয়ে দেব ! মা মেয়ে কে এখন থেকে নিয়ে যাচ্ছি , জানেন নি তো জায়গা সুবিধের নয় !
বণিক: আপনি পিলিকনটনের মালিক আমার টাকা নিয়ে চিন্তা নাই । বাড়ির কাগজ কি নিয়ে যাবেন !
আমি: আচ্ছা দিন তবে । আমি ইস্তিয়াক কে দিয়ে চেক পাঠিয়ে দিচ্ছি । আজ আসি । সামনের সপ্তায় মেয়ে কি দিয়ে যাবো আপনার হেপাজতে , যা চাই আদায় করে নেবেন , এ কদিন ওদের একটু দাওয়াই দিতে হবে !
বণিক: বুঝেছি হে হে বুঝলেন কিনা ।
বণিক কে নমস্কার করে বেরিয়ে আসলাম নয়নাদের বাড়ির দলিল নিয়ে ।
ইস্তিয়াক ফিরতে ফিরতে জিজ্ঞাসা করলো " দাদা এতগুলো টাকার রিস্ক নিলেন এক সাথে ?"
আমি বললাম " চিন্তা করছিস কেন ডিসটার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড এর ৭০-৮০ লক্ষ টাকা আছে না ! আপাতত ওখান থেকেই ম্যানেজ করি ! দরকার পড়লে ওদের বাড়ি বেচে দেব !
ইস্তিয়াক: মেয়েটাকে তো চোখে দেখে থাকতে পারছি না ! প্রসাদ কি পাবো না দাদা ! "
আমি: পাবি পাবি একটু ধৈর্য ধরে ।
ফিরে আসলাম নয়না দের বাড়িতে । ফিরে যা দেখলাম তার জন্য যদিও প্রস্তুত ছিলাম না । মা মেয়ের ব্যবহার পাল্টে গেছে । কি মধুর এই ব্যবহার । আমায় যেন ভগবানের মতো দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে দে পারলে ।
আমার হাতে কাজল পিসি ঘরের কাগজ দেখে গদ গদ হয়ে বললো " আমি জানতাম তুমি আমাদের এক মাত্র ভরসা , তুমি তো আমাদের বাঁচাবে বাবা !"
আমি খুব বিরক্ত হয়ে ঝাঝিয়ে বললাম : এই যে শুনুন আপনার না ন্যাকা ন্যাকা কথা আমার পোষায় না বুঝলেন । আপনি আমায় আর ন্যাকা ন্যাকা কথা বলবেন না !
এখন থেকে দুজনে আমার বাড়িতে থাকবে । বাড়ির কাজের জন্য দুজন কে ৮০০০ করে ১৬০০০ টাকা দেব । খাওয়া কাপড় পাবে ।
নয়নার দিকে তাকিয়ে বললাম " বোলো দেখি হিসাব কত !"
কাজল পিসি মুখিয়ে ছিলেন, বললেন " ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার "
" বেশ তোমার মাকে কলকাতার অফিসের ঝাড়ু পোচ , চা করার কাজে লাগিয়ে দিচ্ছি আমার বাড়ির কাজ ছাড়া , কিন্তু মাথায় রাখবে আমি ইস্তিয়াক ছাড়া অফিসের কেউ না জানে তোমরা মা মেয়ে ! পালাবার চেষ্টা করবে না , এডভোকেট রামন সব কাগজ তৈরী করছেন ।
হিসাব করে বললাম ২৭ মাস কাজ করলে সব পয়সা চুকে যাবে , তার পর তোমরা যে চুলো যাও যেতে পারো । টোটো দিন ঘর আর ঘরের কাগজ আমার কাছে ঠেকাবে ।"
তোমরা রাজি ?
মা মেয়ে প্রায় চোরের মতোই মুখ করে ঘাড় নাড়ালো । তাদের সম্মতি আছে ।
নয়না তুমি তো বণিকের বাধা রাখেল হতে চেয়েছিলে তাই না ?
ভয় পেয়ে তাকিয়ে দেখে নয়না আমায় । আমি এ কথা বণিকের থেকেই জেনেছি এরকম ভাবলো নয়না ।
" খাওয়া বসা শোয়া, পড়া , ঘুমানো সব কিছু আমার মন মর্জিতে চলবে ভালো করে ভেবে নাও , না হলে এই কুকুর গুলোর কাছে ছেড়ে দিয়ে যাবো ! এদের রেন্ডি হবার থেকে আমার রেন্ডি হও! "
বলে একটু সাহস করে এগিয়ে ধড়পড় বুক নিয়ে কাজল পিসিকে কে হাতে টেনে নিলাম একটু । চরম অপমানে আর লাঞ্ছনায় কাজল পিসির মুখ লাল হয়ে গেলো । মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া মা মেয়ের কিছু করার ছিল না ।
" কি রাজি !"
নীরব সম্মতি বুঝতে পারলাম ।
" তৈরী হয়ে নাও এখনই কলকাতায় রওনা দিতে হবে । যা কিছু দরকারি নেয়ার নিতে পারো ।" [/HIDE]