blacktranzer
Senior Member
বাচ্চাওয়ালি তোপ
মুর্শিদাবাদের সবথেকে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হাজারদুয়ারি প্রাসাদ। ভাগীরথী নদীর পুব দিকে তিন তলা বিশাল এক বাড়ি। এই অট্টালিকার উত্তরে রয়েছে বাংলার সবথেকে বড়ো ইমামবাড়া। হাজারদুয়ারি আর ইমামবাড়ার মাঝখানে মাঠের মধ্যে সাদা মদিনা দেখতে পাওয়া যাবে। এটা সিরাজ-উদ-দৌলার সময়ে তৈরি হওয়া একমাত্র স্থাপত্যের নিদর্শন। মদিনার পাশেই রাখা আছে একটা বিশাল কামান। বিখ্যাতও বটে। এই কামানের নাম বাচ্চাওয়ালি তোপ। যিনি হাজারদুয়ারি তৈরি করিয়েছিলেন, সেই নবাব হুমায়ুন জা-র আমলে এই বিরাট কামান ভাগীরথী নদীর গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাচ্চাওয়ালি তোপ কবেকার, তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। কিছু মানুষ মনে করেন, এই তোপ সম্ভবত ১৩-১৪ শতকের গৌড়ের কোনো সুলতানের আমলে বানানো হয়েছিল। কেউ বলেন, এটি ছিল বাংলার সুলতান ইলিয়াস শাহের কামান। তবে সব থেকে প্রচলিত মত হচ্ছে, ঢাকার বিশিষ্ট লোহার মিস্ত্রি জনার্দন কর্মকার এটা তৈরি করেছিলেন ১৬৪৭ সালে। এই জনার্দন কর্মকার আরেকটি বিখ্যাত কামান বানিয়েছিলেন, তার নাম জাহানকোষা।বিশাল এই বাচ্চাওয়ালি কামান ১৮ ফুট লম্বা, ব্যাস ২২ ইঞ্চি আর প্রায় ৭৬৫৭ কিলোগ্রাম ভারী। এই কামান দাগার জন্য প্রয়োজন হত ১৮ সের মশলা বারুদ। তবে কামানটার নাম ‘বাচ্চাওয়ালি’ কীভাবে হল? এই নিয়ে একটা গল্প লোকমুখে প্রচলিত আছে। বলা হয়, এই কামান দাগা হয়েছিল মাত্র একবারই। কিন্তু সেই তোপ দাগার শব্দ এত তীব্র ছিল যে আশেপাশের বহু গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত ঘটে যায়। সেই কারণেই এর নাম দেওয়া হয় বাচ্চাওয়ালি তোপ। তারপর থেকে এই ভয়ংকর কামান আর ব্যবহার করা হয় না।
তথ্যসূত্র - ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ, ডেলিহান্ট।
মুর্শিদাবাদের সবথেকে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হাজারদুয়ারি প্রাসাদ। ভাগীরথী নদীর পুব দিকে তিন তলা বিশাল এক বাড়ি। এই অট্টালিকার উত্তরে রয়েছে বাংলার সবথেকে বড়ো ইমামবাড়া। হাজারদুয়ারি আর ইমামবাড়ার মাঝখানে মাঠের মধ্যে সাদা মদিনা দেখতে পাওয়া যাবে। এটা সিরাজ-উদ-দৌলার সময়ে তৈরি হওয়া একমাত্র স্থাপত্যের নিদর্শন। মদিনার পাশেই রাখা আছে একটা বিশাল কামান। বিখ্যাতও বটে। এই কামানের নাম বাচ্চাওয়ালি তোপ। যিনি হাজারদুয়ারি তৈরি করিয়েছিলেন, সেই নবাব হুমায়ুন জা-র আমলে এই বিরাট কামান ভাগীরথী নদীর গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাচ্চাওয়ালি তোপ কবেকার, তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। কিছু মানুষ মনে করেন, এই তোপ সম্ভবত ১৩-১৪ শতকের গৌড়ের কোনো সুলতানের আমলে বানানো হয়েছিল। কেউ বলেন, এটি ছিল বাংলার সুলতান ইলিয়াস শাহের কামান। তবে সব থেকে প্রচলিত মত হচ্ছে, ঢাকার বিশিষ্ট লোহার মিস্ত্রি জনার্দন কর্মকার এটা তৈরি করেছিলেন ১৬৪৭ সালে। এই জনার্দন কর্মকার আরেকটি বিখ্যাত কামান বানিয়েছিলেন, তার নাম জাহানকোষা।বিশাল এই বাচ্চাওয়ালি কামান ১৮ ফুট লম্বা, ব্যাস ২২ ইঞ্চি আর প্রায় ৭৬৫৭ কিলোগ্রাম ভারী। এই কামান দাগার জন্য প্রয়োজন হত ১৮ সের মশলা বারুদ। তবে কামানটার নাম ‘বাচ্চাওয়ালি’ কীভাবে হল? এই নিয়ে একটা গল্প লোকমুখে প্রচলিত আছে। বলা হয়, এই কামান দাগা হয়েছিল মাত্র একবারই। কিন্তু সেই তোপ দাগার শব্দ এত তীব্র ছিল যে আশেপাশের বহু গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত ঘটে যায়। সেই কারণেই এর নাম দেওয়া হয় বাচ্চাওয়ালি তোপ। তারপর থেকে এই ভয়ংকর কামান আর ব্যবহার করা হয় না।
তথ্যসূত্র - ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ, ডেলিহান্ট।