What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বাংলার কামান (3 Viewers)

বাচ্চাওয়ালি তোপ
1557554337-bacchawali_tope.jpg


মুর্শিদাবাদের সবথেকে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হাজারদুয়ারি প্রাসাদ। ভাগীরথী নদীর পুব দিকে তিন তলা বিশাল এক বাড়ি। এই অট্টালিকার উত্তরে রয়েছে বাংলার সবথেকে বড়ো ইমামবাড়া। হাজারদুয়ারি আর ইমামবাড়ার মাঝখানে মাঠের মধ্যে সাদা মদিনা দেখতে পাওয়া যাবে। এটা সিরাজ-উদ-দৌলার সময়ে তৈরি হওয়া একমাত্র স্থাপত্যের নিদর্শন। মদিনার পাশেই রাখা আছে একটা বিশাল কামান। বিখ্যাতও বটে। এই কামানের নাম বাচ্চাওয়ালি তোপ। যিনি হাজারদুয়ারি তৈরি করিয়েছিলেন, সেই নবাব হুমায়ুন জা-র আমলে এই বিরাট কামান ভাগীরথী নদীর গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাচ্চাওয়ালি তোপ কবেকার, তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। কিছু মানুষ মনে করেন, এই তোপ সম্ভবত ১৩-১৪ শতকের গৌড়ের কোনো সুলতানের আমলে বানানো হয়েছিল। কেউ বলেন, এটি ছিল বাংলার সুলতান ইলিয়াস শাহের কামান। তবে সব থেকে প্রচলিত মত হচ্ছে, ঢাকার বিশিষ্ট লোহার মিস্ত্রি জনার্দন কর্মকার এটা তৈরি করেছিলেন ১৬৪৭ সালে। এই জনার্দন কর্মকার আরেকটি বিখ্যাত কামান বানিয়েছিলেন, তার নাম জাহানকোষা।বিশাল এই বাচ্চাওয়ালি কামান ১৮ ফুট লম্বা, ব্যাস ২২ ইঞ্চি আর প্রায় ৭৬৫৭ কিলোগ্রাম ভারী। এই কামান দাগার জন্য প্রয়োজন হত ১৮ সের মশলা বারুদ। তবে কামানটার নাম ‘বাচ্চাওয়ালি’ কীভাবে হল? এই নিয়ে একটা গল্প লোকমুখে প্রচলিত আছে। বলা হয়, এই কামান দাগা হয়েছিল মাত্র একবারই। কিন্তু সেই তোপ দাগার শব্দ এত তীব্র ছিল যে আশেপাশের বহু গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত ঘটে যায়। সেই কারণেই এর নাম দেওয়া হয় বাচ্চাওয়ালি তোপ। তারপর থেকে এই ভয়ংকর কামান আর ব্যবহার করা হয় না।
bachhawali-tope-con.jpg


তথ্যসূত্র - ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ, ডেলিহান্ট।
 
দলমাদল কামান (Dalmadal)বিষ্ণুপুর
dalmadal-canon-bishnupur.jpg

____________________
দলমর্দ্দন থেকে অপভ্রংশ হয়ে দলমাদল। দল শব্দের অর্থ শত্রু, মর্দ্দন শব্দের অর্থ দমন। কথিত আছে ১৭৪২ খ্রীষ্টাব্দে নগর দেবতা এই কামান থেকে গোলাবর্ষণ করে ভাস্কর রাও এর নেতৃত্বে আক্রমণকারী বর্গী বাহিনীকে বিতাড়িত করেছিলেন। সেই থেকে এই কামানটির নাম দলমর্দ্দন। বিষ্ণুপুর মল্লরাজাদের অসংখ্য কামান ছিল। গুটি কয়েক ছাড়া প্রায় সব কামানই বৃটিশ সরকার অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে বৃটিশ সরকার ট্যুরিস্ট আকর্ষণের জন্য কামানটিকে বেদির উপর স্থাপন করেন। ৬৩টি লোহার আংটা পেটাই করে এটি তৈরি করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৩.৮মিটার. ব্যাস প্রায় ৩০সেমি। এর ওজন প্রায় তিনশত মন বা ১১২ কুইন্ট্যাল। তথ্য ও ছবি - অসীম কুমার পাত্র

800px-Dalmadal_Canon.jpg






বীর হাম্বিরের শাসনামলে দল মাদল, যা সবচেয়ে বড় কামানগুলির মধ্যে একটি, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।যা সেই সময়কার কারিগরদের দক্ষতা প্রদর্শন করে। [১০] দল মাদল জগন্নাথ কর্মকার দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। "দল মাদল" মানে "শত্রুদের ধ্বংস"। [১১]বিষ্ণুপুরের সুবিখ্যাত দলমাদল কামানটির দৈর্ঘ ১২ ফুট ৫ ইঞ্চি ও পরিধি ১১ ইঞ্চি। গঠনে ইহা বিজাপুরের স্বপ্রসিদ্ধ কামান “ মালিক-ই-ময়দান ” এর অনুরূপ। ইহা এরূপ লৌহের দ্বারা প্রস্তুত যে আজ পর্য্যন্ত ইহার কোথাও একটু মরিচ ধরে নাই। ইহাতে স্বতঃই দিল্লীর প্রসিদ্ধ প্রাচীন ও মরিচাবিহীন লৌহস্তম্ভের কথা মনে হয়। বৰ্ত্তমানে এই কামানটি সরকারের রক্ষিত কীৰ্ত্তির অন্তর্গত । ইহার গায়ে ফাসিতে একটি লিপি খোদিত আছে, তাহা হইতে জানা যায় যে এই কামানটি প্রস্তুত করিতে একলক্ষ পচিশ হাজার টাকা লাগিয়াছিল। প্রবাদ যে মারাঠা সর্দার ভাস্কর পণ্ডিত ১৭৪২ খষ্টাব্দে বিষ্ণুপুর আক্রমণ করিলে রাজধানী রক্ষা করিবার জন্য স্বয়ং মদনমোহন দেব দলমাদল কামান দাগিয়া শত্রু সৈন্যকে দূরীভূত করিয়াছিলেন। [১২]
 
বাংলার ইতিহাসের সবচাইতে কলঙ্ক কর ইতিহাস দুইশত বছরের গোলামির ইতিহাস। এই দুইশত বছর বিদেশি শক্তি আমাদের্ ঐতিহ্য অবশিষ্ট রাখেনি। বেশির ভাগ জিনিস লুন্ঠিত হয়ে গেছে। যা নিতে পারেনাই শুধু মাত্র সেই সব জিনিসগুলি রয়েগেছে। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের আরো কিছু কামানের ছবি ও ইতিহাস শেয়ার করতে আপাতত এই টুকুই ধন্যবাদ সবাইকে আমার সাথে থাকার জন্য।
 
অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনার এই লিখাটির জন্য।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top