মতিন সাহেবের মাথায় চুল নেই বললেই চলে। বেচারা চুল কাটানোর পর দোকানদার তাঁর কাছে ৫০ টাকা দাবি করে বসলেন। মতিন সাহেব বললেন, ‘আমি তো প্রায় টাক। আমার চুল কাটার মজুরি ৫০ টাকা চাইছেন কেন?’ নাপিত: ‘স্যার, চুল কাটার জন্য তো ৩০ টাকা। বাকি ২০ টাকা আপনার চুল খুঁজে বের করার মজুরি!’
কয়েক দিন আগে আমাদের বাসার নিচতলার ছোট্ট বাবু রিমনকে দেখলাম পাশের বাসার বাবুটার সঙ্গে খেলছে। আমি রিমনের সঙ্গে কিছু কথা বলে দুষ্টুমি করলাম। তারপর বাসায় চলে এলাম। আজ দুপুরে গোসল করে বারান্দায় গেলাম কাপড় দিতে, এমন সময় পাশের বাসার বাবুটা আমাকে জিগ্যেস করল, ‘আপনি কি রিমনকে চিনেন?’ আমি মাথা নাড়লাম। তারপর আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে সে জিগ্যেস করল, ‘চিনলে বলেন তো রিমনের নাম কী?’ কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকার পর আমিও তাকে অবাক করে দিয়ে উত্তর দিলাম।
একবার কলকাতায় ট্রাম ভাড়া কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হলো। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল ব্যাপক আন্দোলন। হকচকিত ট্রাম কর্তৃপক্ষ জানতে চাইল, ভাইরে, আমরা তো ভাড়া বাড়াইনি, কমিয়েছি। তাহলে? ‘আগে হেঁটে অফিস যেতুম। ট্রাম ভাড়া বাবদ ১ টাকা বেঁচে যেত। আর এখনো হেঁটে অফিস যাই। কিন্তু সঞ্চয় হয় মাত্র পঞ্চাশ পয়সা।’
শিশু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। এক পথিক তাকে জিজ্ঞাসা করছেন পথিক: বাবা, তুমি কাঁদছ কেন? শিশু: আমার একটা টাকা হারিয়ে গেছে উ-উ-উ পথিক: আচ্ছা আচ্ছা তুমি কেঁদো না বাবা। এই নাও আমি তোমাকে দুই টাকা দিলাম। (এবার শিশুটি আরও জোরে চিৎকার করে কান্না শুরু করে দিল ) পথিক: কী হলো বাবা? আমি তো তোমাকে দুই টাকা দিলাম, এখন তুমি কাঁদছ কেন বাবা ? শিশু: আমার হারিয়ে যাওয়া টাকাটা থাকলে এখন আমার তিন টাকা হতো উ-উ-উ
ট্রেনের দুই সহযাত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে। .প্রথম যাত্রী: আপনি একটি বাইনোকুলার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন। অথচ একবারও দেখলাম না, আপনি বাইনোকুলার দিয়ে বাইরে দূরের কোনো দৃশ্য দেখছেন। তাহলে সঙ্গে এটা আনলেন কেন? দ্বিতীয় যাত্রী: আহ্! এটা দূরের দৃশ্য দেখার জন্য আনিনি। ছুটি কাটাতে যার বাড়ি যাচ্ছি, তাকে দেখার জন্য এনেছি। প্রথম যাত্রী: কেন? দ্বিতীয় যাত্রী: কারণ, তিনি আমার দূরসম্পর্কের আত্মীয়!
ছোট্ট ছেলেটার চেঁচামেচি আর দুষ্টুমিতে বিমানের যাত্রীরা সবাই অতিষ্ঠ। অবশেষে সামনের সারিতে বসা এক মধ্যবয়স্ক লোক উঠে দাঁড়ালেন। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বললেন, ‘এই ছেলে, এখানে দুষ্টুমি না করে বাইরে গিয়ে খেলা করোগে, যাও!’