সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই সাকিব রান্নাঘরে ঢুকে চিনির বয়ামটার মুখ খুলে ভেতরে একবার দেখল। কিছুক্ষণ পর সে আবার রান্নাঘরে ঢুকে চিনির বয়াম পরীক্ষা করল। পুরো ব্যাপারটাই লক্ষ করছিল সাকিবের স্ত্রী। কী ব্যাপার-জিজ্ঞেস করতেই সাকিব জানাল, ডায়াবেটিস আছে কি না জানতে কাল সে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। ডাক্তার তাকে কিছুক্ষণ পর পর সুগার লেভেল ঠিক আছে কি না চেক করতে বলেছেন।
এক তরুণীর হঠাৎ কঠিন এক রোগ ধরা পড়ল। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা বললেন, ‘আপনি আর বড়জোর ছয় মাস বাঁচবেন।’ বেচারী বিমর্ষ হয়ে বাড়ি ফিরল। তারপর কী ভেবে আবার সেই চিকিৎসককে ফোন করে বলল, ‘কিন্তু আমি যে আরও অনেক দিন বাঁচতে চাই।’ চিকিৎসক কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ‘আপনি একটা বিয়ে করুন।’ ‘আপনি আমার সঙ্গে মশকরা করছেন!’ ‘না না,’ চিকিৎসক বললেন, ‘আমার কথা শেষ হয়নি। আপনি একজন অর্থনীতিবিদকে বিয়ে করবেন।’ ‘কেন?’ ‘তার সঙ্গে থাকলে প্রতিটি দিনই আপনার অনেক বড় মনে হবে। এবং অল্প সময়েই জীবনের ওপর বিরক্তি এসে যাবে।’
চিকিৎসকের কাছে টেলিফোন এসেছে। ‘ডাক্তার, আমি গত সাত বছরে এক দিনের জন্যও সিগারেট খাইনি, মদ খাইনি, এমনকি মেয়েদের সঙ্গও পাইনি···’ ‘আপনার সমস্যাটা বলুন।’ ‘তার পরও সাত বছর বয়স হয়েছে বলে মা আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে!’
মনোচিকিৎসকের কাছে এসেছেন একজনঃ প্রতি রাতেই আমি একটা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখছি। দেখি, আমার শাশুড়ি পানিতে পড়ে গেছেন। তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে একটা কুমির। ভেবে দেখুন, ইয়া বড় বড় দাঁত, কুতকুতে চোখ, ঘৃণার দৃষ্টি, ঠান্ডা ম্যাড়মেড়ে চামড়া··· মনোচিকিৎসকঃ ঠিকই বলেছেন, এ এক ভয়ঙ্কর স্বপ্ন! -রাখেন মিয়া, আমি তো কেবল শাশুড়ির কথা বললাম, কুমিরের কথা তো বলাই হয়নি!
রোগীঃ ডাক্তার সাহেব, আপনার কথামতো এই কদিন আমি কোনো ভেজাল খাবার খাইনি, প্রিজারভেটিভ-যুক্ত খাবার, এমনকি স্প্রে করা হয় এমন সবজিও ছুঁইনি। ডাক্তারঃ বাহ! বাহ! তা এখন আপনি কেমন বোধ করছেন। রোগীঃ ক্ষুধার্ত! খুব ক্ষুধার্ত!