ডাক্তার : সরি মিস্টার খান, আপনার আর বাঁচার আশা নেই। শেষ ইচ্ছা হিসেবে আপনি কি কারো সঙ্গে দেখা করতে চান? সবুর খান : হ্যাঁ, আর একজন ভালো ডাক্তারকে দেখতে চাই।
ডাক্তার : এখন কেমন আছেন? মিঃ সেন : ভালোই, তবে আমার ছেলে বলছিল আমার এই অপারেশনটার জন্য আপনি অনেক বেশি টাকা নিয়েছেন। ডাক্তার : দেখুন, আপনার ছেলের কাছে আপনার জীবনটা সস্তা মনে হতে পারে কিন্তু আমি ডাক্তার, আমার কাছে রোগীর জীবন অত সস্তা নয়।
ব্যস্ত রাস্তায় দুটো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হল। আশপাশের লোকজন ছুটে গেল তাদের সাহায্য করতে। সবার আগে পৌছল একটি মহিলা। হঠাৎ ভিড় ঠেসে এক লোক ভেতরে ঢুকে গেল। সে বাকি সবার মতো মহিলাটিকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলল সরুন সরুন আমাকে দেখতে দিন, আমার ফার্স্ট এইডের ওপর কোর্স করা আছে। ধাক্কা খেয়ে মহিলা কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে পড়ল। তারপর পেছন থেকে এসে তার ঘাড়ে আলতো টোকা দিয়ে বলল- ঠিক আছে দেখুন, কিন্তু ডাক্তার লাগলে আমকে বলতে পারেন। আমি পেছনেই আছি।
এক কয়েদি দুদিন পর পরই অসুস্থ হয়ে জেল ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। এবার তাকে পরীক্ষা করে ডাক্তার জানাল তার একটি কিডনি কেটে ফেলে দিতে হবে। এটা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল কয়েদি। : ডাক্তার ! আমি প্রথমবার যখন আসলাম তুমি আমার টনসিল কেটে নিলে, দ্বীতীয়বারে এ্যাপেন্ডিস, পরেরবার পাথর হয়েছে বলে গলব্লাডার কাটলে। আমি তোমার কাছে আসি এই আশা নিয়ে যে অসুস্থ বলে তুমি আমাকে জেল থেকে বেরুতে সাহায্য করবে আর তুমি নির্বোধ কিনা এখন উল্টো কিডনি কেটে ফেলার কথা বলছ !!! : আরে ! এত রেগে যাচ্ছ কেন ! একবারে কি সব হয় নাকি? আমি তো একটু একটু করে তোমাকে জেল থেকে বের করেই নিচ্ছি।
সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে ডাক্তারের রুমে ঢুকিয়ে বাইরে স্বামী অপেক্ষা করছে। একটু পর ডাক্তার বেরিয়ে এল, একটা লোহার রেঞ্জ নিয়ে আবার রুমে ঢুকল। কিছুক্ষণ পর এসে আবার এক জোড়া প্লায়ার্স নিয়ে ভেতরে ঢুকল। একটু পরে সে বাইরে এসে বড়সড় একটা হাতুড়ি নিয়ে যেই আবার রুমে ঢুকতে যাবে তখন স্বামী আর সহ্য করতে না পেরে ডাক্তারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জিজ্ঞেস করল-সত্যি করে বল আমার স্ত্রীর কী হয়েছে? ডাক্তার ভয় পেয়ে বলল-কী-কী করে বলি? এখনো তো আমার ব্যাগটাই খুলতে পারলাম না।