মেয়ের বাবাঃ এই মাত্র মেয়েটার যে গান শুনলেন এর জন্য আমার বহু টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। ছেলের বাবাঃ হ্যাঁ, তা তো হবেই। নির্ঘাত প্রতিবেশীদের সঙ্গে মামলা লড়তে হয়েছে।
বিমান চলা অবস্থায় জানালা দিয়ে হাত কীভাবে বের করা যায় তা অবশ্য আমি এখনো জানি না। আমেরিকার এক লোক, রাশিয়ার এক লোক এবং বাংলাদেশের এক লোক বিমােন করে যাচ্ছিলেন। রাশিয়ার লোকটি হাত বের করে বললেন, ‘আমরা এখন সাইবেরিয়ার ওপর দিয়ে যাচ্ছি।’ কেমন করে বুঝলেন জিজ্ঞেস করাতে উনি বললেন, কারণ বাইরে অনেক ঠান্ডা। কিছুক্ষণ পর আমেরিকার লোকটি হাত বের করে বললেন, ‘আমরা এখন নিউইয়র্কের ওপর দিয়ে যাচ্ছি, কারণ এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের সঙ্গে গুঁতা খেয়ে আমার হাত ছিলে গেছে।’ শেষমেশ বাংলাদেশের জন হাত বের করে বললেন, ‘আমরা এখন গুলিস্তানের ওপর দিয়ে যাচ্ছি।’ বাকি সবাই জিজ্ঞেস করাতে উনি বললেন, ‘কারণ আমার হাতে একটা ক্যাসিও ঘড়ি ছিল, সেটা নাই হয়ে গেছে।’
আলোকচিত্র সাংবাদিক হরিপদ মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, পথিমধ্যে এক জায়গায় ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গেল, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। করিৎকর্মা হরিপদ ভাবলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে চটজলদি কিছু ছবি না তুললেই নয়। ক্যামেরা হাতে এগিয়ে গেলেন তিনি। এদিকে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। হরিপদ ছবি তুলবেন কি, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাওয়াই দায়। ফন্দি আঁটলেন হরিপদ। উঁচু গলায় বলতে শুরু করলেন, ‘দেখি ভাই, আমাকে একটু সামনে যেতে দেন। যিনি মারা গেছেন, তিনি আমার অত্যন্ত আপনজন…একটু সামনে যেতে দিন।’ হরিপদকে জায়গা করে দিল লোকজন। হরিপদ সামনে গিয়ে দেখলেন, দুটো ছাগল মরে পড়ে আছে!
জলিল সাহেব আর তাঁর স্ত্রী ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। বাড়ির দোরগোড়ায় ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। ট্যাক্সিতে ওঠার আগ মুহূর্তে জলিল সাহেবের স্ত্রী বললেন, ‘তুমি এক মিনিট অপেক্ষা করো। বাড়িতে তো বিল্লু একাই থাকবে, আমি ওকে ওর খাবারটা দিয়ে আসি।’ ট্যাক্সি ড্রাইভার জলিল সাহেবকে বললেন, ‘কিছু মনে করবেন না স্যার, বিল্লু কে?’ জলিল সাহেব ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। বিল্লু জলিল সাহেবের বিড়ালের নাম। কিন্তু বিল্লু কে, তা জানতে ড্রাইভার ব্যাটার এত আগ্রহ কেন? এমনিতেই দিনকাল খারাপ, ব্যাটার অন্য কোনো মতলব নেই তো…! বাড়িতে কে একা থাকছে, ভালো করে জেনে নিয়ে পরে আবার… নাহ্, হাবভাব ভালো ঠেকছে না। বুদ্ধি করে বললেন জলিল, ‘ওহ্ বিল্লু? ও হচ্ছে আমার ছোট ভাই, পুলিশে চাকরি করে। খুবই বুদ্ধিমান আর সাহসী ছেলে। বেশ ভালো কারাতেও জানে। একাই দু-চারজনকে পিটিয়ে কাবু করতে পারে!’ কিছুক্ষণ পরই ফিরলেন জলিল সাহেবের স্ত্রী। জলিল বললেন, ‘কী, খাবার দিয়েছ ঠিকমতো?’ স্ত্রী: ‘আর বোলো না, আমার ডাক শুনেই ভয় পেয়ে খাটের নিচে গিয়ে ঢুকেছে পাজিটা। এত করে ডাকলাম, বেরই হলো না!’
তিন ইঁদুর নিজেদের বীরত্বের গল্প করছে। প্রথম ইঁদুর: জানিস, সেদিন আমি এক বোতল ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলেছি, অথচ আমার কিছুই হয়নি। দ্বিতীয় ইঁদুর: কিছুদিন আগে আমি একটা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছিলাম। ফাঁদটা ভেঙে বেরিয়ে এসেছি। তৃতীয় ইঁদুর: তোরা গল্প কর, আমি আজ উঠি। বাড়ি ফিরে আবার পোষা বিড়ালটাকে খাবার দিতে হবে।
পাঁচ ফুট লম্বা একটি ছেলে গেছে পাত্রী দেখতে। পাত্রীর বাবা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা, তুমি কতটুকু লম্বা? পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি। ছেলের মা পাশেই বসেছিলেন। তিনি ছেলেকে বললেন, চুপ কর বাপ, এটা ফেসবুক নয়।
এক বৃদ্ধ রেস্টুরেন্টের ভেতর ঢুকে ম্যানেজারকে বলল, ‘আজ বিশ্বকাপের ফাইনাল, আমার নাতিটা ফুটবল খেলা খুব ভালোবাসে। ওকে যদি আজ বিকেলটা ছুটি দিতেন, তাহলে খুব ভালো হতো। আমরা দুজন একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারতাম।’ ম্যানেজার বলল, ‘দুঃখিত, সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ও তো আপনাকে কবর দিতে সারা দিনের জন্য ছুটি নিয়ে গেছে।