স্ত্রীর সঙ্গে গৃহবন্দী থাকার চেয়ে জেলখানায় থাকতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি। সিসিলীয় এক নির্মাতাকে দিন কয়েক আগে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু ঘরে স্ত্রীর জেরার মুখে তাঁর প্রাণ জেরবার হয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। —অ্যানানোভা
স্ত্রী: এতক্ষণ ধরে ওই কাগজটিতে কী দেখছ তুমি? স্বামী: কই, কিছু না তো! স্ত্রী: আরে, এ যে দেখি ডাহা মিথ্যে কথা বলছ। তুমি প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আমাদের কাবিননামা এত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছটা কী, শুনি? স্বামী: না, তেমন কিছু নয়। অনেকক্ষণ ধরে খুঁজেও কেন জানি কাবিননামার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটা বের করতে পারলাম না।
মৃত্যুশয্যায় শায়িত স্বামী তার স্ত্রীকে বলছেন— স্বামী: আমি তো আর এক মাস পর মারা যাব, তাই আমি চাই, আমার মৃত্যুর পর তুমি সাজ্জাদ সাহেবকে বিয়ে কর। স্ত্রী: সাজ্জাদ সাহেব! বলো কি, সে তো তোমার শত্রু। আর তাকে কিনা বিয়ে করতে বলছ তুমি! স্বামী: আমি জানি সে আমার শত্রু। সাজ্জাদকে শায়েস্তা করার এটাই তো মোক্ষম সুযোগ, বুঝলে?
স্বামী হারিয়ে যাওয়ায় স্ত্রী এক প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গেছেন পুলিশকে বিষয়টি জানাতে। পুলিশ তাঁর স্বামীর বর্ণনা জানতে চাইলেন। স্ত্রী বললেন, ‘আমার স্বামীর বয়স ৩৫ বছর, লম্বায় ছয় ফুট চার ইঞ্চি, ঘন কালো চুল, অ্যাথলেটিক শরীর এবং তিনি বাচ্চাদের খুব পছন্দ করেন।’ এ কথা শেষ হওয়ামাত্র ওই প্রতিবেশী বললেন, ‘আরে, তুমি এসব কী বলছ? তোমার স্বামী তো লম্বায় পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, মাথায় টাক আছে আর একদম পাতলা শরীর। কিন্তু তুমি এ কাকে খুঁজতে এসেছ?’ স্ত্রী বললেন, ‘হুম, তা তো আমি জানি। কিন্তু তাকে আর ফিরে পেতে কে চায়?’
আজই একটা পত্রিকায় কী পড়লাম জানো? —কী? —বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বেশির ভাগ মানুষ দিনে গড়ে ১০ হাজার শব্দ বলে। —লক্ষ্মীটি, তাতে তোমার লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। তুমি মোটেও সেই গড়পড়তাদের আওতায় পড় না। তুমি তাদের অনেক ওপরে।
পাভেলভের মতো স্ত্রৈণ খুব কমই দেখেছি। — কী রকম? — ও কোনো কাজের আগে স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে নেয়। — আমি একজনকে চিনি, তার অবস্থা আরও খারাপ। সেই লোক আত্মহত্যার আগেও স্ত্রীর অনুমতি চাইত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্ত্রী অনুমতি দেয়নি বলে দুঃখে দুঃখেই লোকটার জীবন কাটল।