রাজনীতিবিদদের মজলিশে বক্তব্য দিতে উঠে দাঁড়িয়েছে মজনু। শুরুতেই সে বলল, ‘আমাকে এখানে রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে কোনো কটূক্তি করতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং, আমি কটূক্তিমূলক বক্তব্যগুলো এড়িয়ে যাচ্ছি।’ এই বলে মজনু তার বক্তব্য লেখা কাগজগুলোর পাতা ওল্টাতে শুরু করল। একেবারে শেষ পৃষ্ঠায় গিয়ে থামল এবং বলল, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।’
একটানা বক্তব্য শেষে বক্তা বললেন, ‘আশা করি, আমার বক্তব্য আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে, আপনাদের ধন্যবাদ। আর যাঁদের ভালো লাগেনি, তাঁরাও আমাকে ধন্যবাদ দিতে পারেন। একটা ভালো ঘুমের বিনিময়ে একটা ধন্যবাদও দেবেন না!’
বক্তা: জানি, আমি খুব ভালো বক্তৃতা দিতে পারি। কারণ, আমি যখনই বক্তব্য শেষ করে আমার আসনে বসি, দর্শক তুমুল করতালি দেয়। এবং বলে, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো কাজ ছিল!
রেস্টুরেন্টে সাংসদের খাওয়া শেষ হলে তাঁর কাছে এগিয়ে এল রেস্টুরেন্টের শেফ। জিজ্ঞেস করল, আলু-মাংসের ডিশটা কেমন লেগেছে আপনার? —কীভাবে বলি! ওই ডিশে ছিল আলুর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। আর মাংস ছিল দুর্বল বিরোধী দলের মতো।
সংসদের গেটের সামনে ভাঙাচোরা একটা সাইকেলে তালা মেরে রেখে যাচ্ছিল এক লোক। তা দেখে হা হা করে ছুটে আসে দারোয়ান। চিৎকার করে বলে, ‘ওই ব্যাটা, এখানে সাইকেল রাখছিস কী বুঝে? জানিস না, এ পথ দিয়ে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা যান।’ লোকটা একগাল হেসে জবাব দেয়, ‘কোনো সমস্যা নাই ভাইজান, সাইকেলে তালা মাইরা দিছি।’
‘এবার সবুজ দলকেই ভোট দেব।’ ‘কেন রে?’ ‘ওদের নেতারা অনেক ভালো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সস্তায় খাবার খাওয়াবে, সস্তায় জায়গা কেনার সুযোগ করে দেবে, আরও কত কী!’ ‘বুদ্ধু কোথাকার। এগুলো যখন করবে, তখন আমাদের সবাইকে অনেক বেশি ট্যাক্সও দিতে হবে।’