What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (3 Viewers)

জানিস আমাদের না সব সময় আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে হয়, যেমন ধর চাচা বিয়ে করেছে চাচিকে, মামা মামিকে, খালা খালুকে আপা দুলাভাইকে। : না রে, আমাদের এরকম হয় না। এই তো কদিন আগে ভাইয়া ইউনিভার্সিটির কোন একটা মেয়েকে বিয়ে করে এনেছে চিনিও না।
 
একবার মন্টু মিয়া, ক্যাবলা আর তাদের এক বন্ধু সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছে। সেন্টমার্টিনে তারা হোটেলে এক বিছানার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছে। কিন্তু রাতে যখন তারা বিছানায় ঘুমাতে গেল, তখন কিছুতেই তিনজনের জায়গা হচ্ছিল না। অনেক জোরাজুরি করেও যখন তিনজনের জায়গা হলো না, তখন ক্যাবলা বিছানা থেকে নেমে নিচে শুয়ে পড়ল। ক্যাবলা নিচে নামামাত্রই মন্টু মিয়া বলল, ‘আরে, এখন তো অনেক জায়গা বেড়ে গেল। ক্যাবলা এবার উঠে আয়।’
 
একবার মন্টু মিয়া আর তার এক বন্ধু গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিল। বেশ দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো দেখে মন্টু মিয়া তার বন্ধুটিকে বলল, ‘আরে দোস্ত, এত জোরে গাড়ি চালাচ্ছ কেন?’ বন্ধুটি বলল, ‘সাধে কি গাড়ি জোরে চালাচ্ছি! গাড়ির ব্রেক ছিঁড়ে গেছে, তাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই দ্রুত বাসায় পৌঁছাতে হবে।’
 
মন্টু মিয়া তার বন্ধু ক্যাবলাকে নিয়ে গেছে ছবিঘরে। ফাটাফাটি একটা বাংলা সিনেমা লেগেছে সেদিন। হন্তদন্ত হয়ে টিকিটঘরে উঁকি দেয় সে, সেখানে বসে থাকা এক লোককে বলে—দুইটা টিকিট দেন তো ভাই। টিকিট বিক্রেতা দাঁত কেলিয়ে হাসে, বলে—নারে ভাই, টিকিট তো শেষ, হাউসফুল আছে! মন্টুর তাত্ক্ষণিক আরজি—তাহলে ওই দুটো হাউসফুলই দিয়ে দেন!
 
মন্টু মিয়া ও ক্যাবলা দুজন-দুজনের ঘোর শত্রু। মন্টু মিয়া থাকে ভবনের সাততলায় আর ক্যাবলা থাকে একই ভবনের নিচতলায়। একদিন কোনো কারণে সারা দিন লিফট বন্ধ থাকবে জেনে মন্টু মিয়া ক্যাবলাকে রাত নয়টায় তার বাসায় রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। ক্যাবলা তো এ খবর শুনে রাতের বেলা হাঁপাতে হাঁপাতে সাততলায় উঠে হাজির। কিন্তু এ কী, মন্টু মিয়ার দরজায় তো বিশাল এক তালা ঝুলে আছে! আর তালার সঙ্গে একটি চিরকুটে লেখা—দেখলে, কেমন বেকুব বানালাম তোমাকে? এটা দেখে ক্যাবলা রাগে একদম অগ্নিশর্মা হয়ে ওই চিরকুটের পাশে লিখে দিল—আরে বোকা, আমি তো এখানে আসিইনি।
 
একবার একটা ভালুক মন্টু মিয়ার মাথায় থাবা মেরে সজোরে হাঁটা শুরু করল। মন্টু মিয়া উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভালুকের পিছু নিল। কিছু দূর যাওয়ার পর মন্টু মিয়া ভালুককে হারিয়ে ফেলল। ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসার পথে একটা জিরাফ দেখে মন্টু মিয়া বলল, ‘ব্যাটা, পালাবি কোথায়! ধরা পড়ে গেছিস তুই। ট্র্যাকসুট পরে জিরাফ সাজা হচ্ছে। আমাকে ধোঁকা দেওয়া এতই সোজা!’
 
একবার মন্টু মিয়া উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সা নিতে ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার সবকিছু পরীক্ষা করে মন্টু মিয়াকে প্রতি রাতে জানালা খুলে ঘুমাতে বলে ১৫ দিন পর আবার দেখা করতে বললেন। মন্টু মিয়া সব ঠিকঠাকমতো করে ১৫ দিন পর ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে গেল। ডাক্তার তাকে দেখে বললেন, ‘কী মন্টু মিয়া, রোগ পালিয়ে গেছে তো?’ মন্টু মিয়া বলল, ‘ডাক্তার সাহেব, রোগ তো পালায়নি কিন্তু খোলা জানালা দিয়ে আমার মোবাইল, ল্যাপটপসহ সবকিছুই চুরি হয়ে গেছে।’
 
আচ্ছা, বল তো কেন দিনের বেলা আলো আর রাতের বেলা অন্ধকার? : এ প্রশ্নের উত্তর একটা গাধাও দিতে পারে। : সে-জন্যই তো তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম
 
তোমার স্টুডিওতে ঢোকার মুখে দেখলাম টুলের ওপর গম্ভীর মুখে একজন বসে আছেন। তা উনি কি ফটো তোলাতে এসেছেন ? : আরে না ভাই, ও হচ্ছে ফার্নিচারের দোকানের লোক। ঐ টুলটাই বানিয়েছিল, বকেয়া পাওনার জন্য বসে আছে। : তা ওর টাকাটা মিটিয়ে দিচ্ছ না কেন ? : আরে ও বলেছে, যতক্ষন না ওর পাওনা টাকা বুঝে পাচ্ছে ততক্ষণ আর একজন পাওনাদারকেও দোকানে ঢুকতে দেবে না।
 
প্লেনে একটি ছোট ছেলে, ভীষণ ছটফটে। এদিকে যাচ্ছে, ওদিকে বসছে। শেষে হুড়মুড়িয়ে ছুটতে গিয়ে এয়ার হোস্টেসের হাত থেকে খাবারের ট্রে ফেলে দিল। এয়ার হোস্টেস রেগে বললেন : আচ্ছা বদমায়েশ ছেলে তো ! বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করতে পার না ?
 

Users who are viewing this thread

Back
Top