সর্দারজীঃ এই লোকগুলো সব দৌঁড়াচ্ছে কেন? জনৈকঃ এটা একটা দৌড় প্রতিযোগিতা। যে জয়ী হবে সে কাপ জিতবে। সর্দারজীঃ যদি শুধু বিজয়ীই কাপ পাবে, তাহলে বাকীরা কেন দৌড়াচ্ছে?
এক ছাত্র বাসে সীট থাকতেও দাঁড়িয়ে আছে- বাস কন্ডাক্টরঃ কী ভাই, বসুন না, খামাখা দাঁড়িয়ে আছেন ক্যান ? ছাত্রঃ না ভাই, আমার বসার সময় নেই, আমাকে ২০ মিনিটের মধ্যে কলেজে যেতে হবে।
দুই বাস যাত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে ১ম যাত্রীঃ বেশী প্যাচাল পাড়বে না ! ২য় যাত্রীঃ বাড়াবাড়ি করলে কলাম এক লাথিতে করাচি পাঠায়া দিমু !! ৩য় যাত্রীঃ ভাই, দয়া করে আমাকে একটু আস্তে লাথি দেন , আমি গাবতলী যাব ।
একবার এক বোকা লোক একটা ছাগল নিয়ে যাচ্ছিল। আরেক বোকা বলল, ‘কিরে, ছাগলটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?’ ‘স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে যাই।’ ‘আমাকে কি বোকা পেয়েছিস? ছাগলকে স্কুলে ভর্তি করাবি কীভাবে? আজ তো শুক্রবার!’
আমার চারদিকে শুধু হতাশা। হতাশা নিয়ে এক বিকেলে পার্কে হাঁটছি। দেখি এক পরিচিত উল্টো হয়ে দৌড়াচ্ছেন। তাঁকে থামিয়ে জানতে চাইলাম ‘আঙ্কেল, ঘটনা কী?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘ডাক্তার ওজন কমানোর জন্য দৌড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তো দৌড়াতে দৌড়াতে একদিন মাপতে গিয়ে দেখি ওজন বেশি কমে গেছে। তাই এখন আবার বাড়ানোর জন্য উল্টো হয়ে দৌড়াচ্ছি।’
রুমকীর হাতব্যাগটা হারিয়ে গিয়েছিল। ব্যাগটা পেয়ে ফেরত দিতে এল বিলু। রুমকী: আশ্চর্য। আমি যখন ব্যাগটা হারিয়েছি, তখন ভেতরে একটা ৫০০ টাকার নোট ছিল, এখন ভেতরে ১০টা ৫০ টাকার নোট—এটা কেমন করে সম্ভব! বিলু: সম্ভব। কারণ, এর আগে যখন আমি একজনের ব্যাগ ফেরত দিতে গিয়েছিলাম, তাঁর কাছে আমাকে পুরস্কার দেওয়ার মতো ভাঙতি টাকা ছিল না!
মন্টু: দ্যাখ দেখি কাণ্ড! কাল আমার বিয়ে। এদিকে মেয়েবাড়ি থেকে বলেছে বরযাত্রায় খুব বেশি লোক না নিতে। খুবই টেনশনে আছি। শফিক: কেন? টেনশনের কী আছে? মন্টু: বাবা আমাকে নিয়ে যাবেন কি না কে জানে!
কদিন পর ঈদ। কাপড় ব্যবসায়ী তাহের মিয়া পড়েছেন বিপাকে। কথা নেই বার্তা নেই, ঈদের আগে তাঁর দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড়িয়ে গেছে। তাহের মিয়ার দোকানটা নিচতলায়। দোতলায় একটা নতুন কাপড়ের দোকান বড় করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে, ‘সকল জামার মূল্যে ৩০% ছাড়!’ তিনতলায় আরও একটা নতুন দোকান সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে, ‘সকল জামা-কাপড় সর্বনিম্ন দামে।’ ভেবেচিন্তে তাহের মিয়াও একটা সাইনবোর্ড লিখে দরজার সামনে লাগিয়ে দিলেন। তাতে লেখা, ‘দরজা এই দিকে!’
ছোট্ট খোকা এক সকালে দোকানের একটা সাইকেল দেখিয়ে বলল, ‘আঙ্কেল, আপনাদের এই সাইকেলটা কি রাত পর্যন্ত থাকবে?’ দোকানদার: নিশ্চয়ই। কিন্তু কেন? খোকা: কারণ, আমি এখন বাড়ি গিয়ে সাইকেলটা কেনার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করব। দুপুর নাগাদ বিরক্ত হয়ে মা আমাকে মারবেন। সন্ধ্যা অবধি আমার কান্না থামবে না। বাধ্য হয়ে রাতে বাবা আমাকে সাইকেলটা কিনে দেবেন।